লাইফস্টাইল Yellow teeth: দাঁত হলুদ বলে হাসতে লজ্জা পান! হাতের সামনে থাকা স্বস্তার উপাদানে চুটকিতে করুন সমাধান Gallery September 28, 2024 Bangla Digital Desk অনেক সময় রোগ ও ওষুধের কারণে দাঁতের রং হলুদ হয়ে যায়। আপনিও যদি হলুদ দাঁতের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে আজ আপনাকে একটি ঘরোয়া উপায়ে প্রতিকারের কথা জানানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে, আপনার দাঁতের হলদেভাব কয়েক দিনের মধ্যেই সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যাবে৷ লোক সমাজে আপনার আর দাঁত বের হাসতে লজ্জা লাগবে না৷ আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ড. রাশ বিহারী তিওয়ারি (বিএএমএস) লোকাল 18-কে বলেন, দাঁতের হলদে ভাব দূর করতে অনেক ধরনের পাতা ও ভেষজ ব্যবহার করা যেতে পারে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বিশিষ্ট হল নিম পাতা৷ নিমপাতা মানুষের মুখ পরিষ্কার করতে এবং দাঁতের রং বাড়াতে দারুণ কাজে আসে৷ ডাক্তারবাবু বলেছেন, “নিম পাতায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ রয়েছে। এগুলো মুখের ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।” শুধু দাঁত নয়৷ এমন অনেকে আছেন যারা দাঁতের গর্ত বা দাঁতের মাড়ির সমস্যাতেও দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন৷ নিম পাতার ক্রমাগত ব্যবহারে দাঁত ও মাড়ির রোগ সেরে যায়। ড. রাশ বিহারী তিওয়ারি সবশেষে জানিয়েছেন, নিমপাতার ব্যবহারে দাঁতের স্বাস্থ্য সঠিক থাকে৷ তাঁর মতে, দাঁতের যত্ন না নিলে তার মধ্য প্লাক (এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া) এবং টারটার (দাঁতকে হলদে করে দেয়) জমা হতে থাকে৷ তবে নিমপাতা নিয়মিত ব্যবহার করলে এই সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব৷ নিমপাতাই দাঁতকে সাদা রাখতে সাহায্য করে।
উত্তর ২৪ পরগণা, লাইফস্টাইল Toothbrush: সর্বনাশ! ৩ মাস ধরে একই টুথব্রাশ ব্যবহার করছেন? আজই ফেলুন…, ভয়ঙ্কর রোগ ছড়িয়ে পড়লেই শরীরের বারোটা বাজবে! Gallery September 5, 2024 Bangla Digital Desk টুথব্রাশ এর আগে কবে বদলেছেন! এই প্রশ্নের উত্তর যদি মনে না পড়ে তবে এখনই আপনার নতুন একটি টুথব্রাশ নেওয়া উচিত। শারীরিক সুস্থতা ও টুথব্রাশ এই দুটি গভীরভাবে সম্পর্কিত। টুথব্রাশের সঠিক ব্যবহারে আপনার শারীরিক সুস্থতা এনে দিতে পারে। প্রতিটি খাদ্যদ্রব্য আগে দাঁতের সংস্পর্শে গিয়ে তারপর প্রবেশ করে আমাদের শরীরে। তাই খাদ্যের পুষ্টিতে মনোযোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দাঁতের যত্নেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। কোনও টুথব্রাশ তিন মাসের বেশিদিন ব্যবহার করা উচিত নয়। তবে কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে সময় কমেও আসতে পারে। চিকিৎসক শ্যামল কুমার বিশ্বাস জানান, যে কোনও ভাইরাসঘটিত রোগ থেকে সেরে ওঠার পর অবশ্যই টুথব্রাশ বদলে ফেলা জরুরি। কারণ, রোগ সেরে গেলেও রোগের জীবাণু লেগে থাকতে পারে টুথব্রাশে। প্রায় বেশিরভাগ বাড়িতেই সব সদস্যের ব্রাশ একই পাত্রে সাজানো থাকে। এইভাবে ব্রাশ রাখলে একজনের ব্রাশ থেকে অন্যজনের ব্রাশে জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে। যদি এক পাত্রেই রাখতে হয়, তবে ব্রাশে অবশ্যই ঢাকনা পরিয়ে রাখুন।
লাইফস্টাইল Tooth Ache Control Tips: কড়া সব ওষুধ লাগবে না! হেঁশেলের ৩ উপাদানই দাঁতে ব্যথার যম, কী ভাবে কাজে লাগাবেন Gallery August 25, 2024 Bangla Digital Desk অনেক সময় দাঁতের ব্যথা খুব ভোগায়। মানুষ এই ব্যথা থেকে তাৎক্ষণিক উপশম পেতে ঘরোয়া প্রতিকারের খোঁজেন। এমন পরিস্থিতিতে অনেক ধরনের জিনিস ব্যবহার করা হয়। কী কী ব্যবহার করলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে? বিস্তারিত জানাচ্ছেন চিকিৎসক পঙ্কজ কুমার। দাঁত ব্যথা কমাতে হলুদ এবং কালো নুন সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়। সাধারণত আয়ুর্বেদ এবং ঐতিহ্যগত চিকিৎসায় দাঁতের ব্যথা কমাতে হলুদ, কালো নুন এবং সরষের তেল ব্যবহার করা হয়। এই প্রাকৃতিক উপাদানগুলো শুধু ব্যথা থেকে মুক্তি দেয় না, মাড়িকেও শক্তিশালী করে। চিকিৎসক জানান যে, মানুষ সাধারণত হলুদ, নুন এবং সরষের তেল ব্যবহার করেন। তবে এর পরিবর্তে হলুদের সঙ্গে রক সল্ট, তিলের তেল এবং লবঙ্গ ব্যবহার করা উচিত। এটি তাৎক্ষণিক সুবিধা দেয়, যা দ্রুত ব্যথা উপশমে সাহায্য। হলুদে প্রাকৃতিকভাবে প্রদাহরোধী এবং অ্যান্টিসেপটিক গুণ রয়েছে। এটি দাঁত এবং মাড়ির ফোলাভাব কমায়। এবং ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। রক সল্টে ব্যাকটেরিয়ারোধী গুণ রয়েছে, যা দাঁত এবং মাড়ির সংক্রমণ কমায়। এটি ব্যথা এবং ফোলাভাব প্রশমিত করতেও সাহায্য করে। নুনে পাওয়া খনিজ উপাদান দাঁতের পুষ্টির পাশাপাশি ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সহায়ক। প্রথমে একটি ছোট পাত্রে আধা চামচ তিলের তেল নিন। এতে এক চিমটি হলুদ এবং এক চিমটি রক সল্ট যোগ করুন। এই মিশ্রণটি ভাল করে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। আঙুল বা তুলোর সাহায্যে এই পেস্টটি দাঁত এবং মাড়িতে লাগান। হালকা হাতে মাড়ি ম্যাসাজ করুন এবং প্রায় এক থেকে দু’মিনিট রেখে দিন। এর পর গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। হলুদ এবং রক সল্টের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণাবলী দাঁত এবং মাড়িতে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে। যার ফলে ক্যাভিটি এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। তিলের তেল দাঁতের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং দাঁতের দাগ কমায়। ব্যথা সম্পূর্ণরূপে উপশম না হওয়া পর্যন্ত এই জিনিসটি দিনে একবার বা দু’বার ব্যবহার করা যেতে পারে।
লাইফস্টাইল Health Tips: যৌবনেই পড়ে যাবে সব দাঁত, খবরদার ‘এই’ ভুল নয়, বুড়িয়ে যাবেন অকালে…! বাড়ছে ক্যানসারের ঝুঁকি, রোজ খেলেই শরীর ঝাঁঝরা! Gallery July 9, 2024 Bangla Digital Desk প্রত্যেকেই ১০০ বছর ধরে দাঁতকে শক্তিশালী ও চকচকে রাখতে চায়। দাঁত সুস্থ রাখতে খাদ্য উপাদান নির্বাচন করা খুবই জরুরি। এমন অনেক কিছু রয়েছে, যা দাঁতের মারাত্মক ক্ষতি করে এবং সেগুলি খাওয়ার ফলে মানুষ দাঁতের সমস্যা তৈরি করতে শুরু করে। এর মধ্যে একটি হল তামাক। তামাক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে বিবেচিত হলেও বিপুল সংখ্যক মানুষ সারাদিন তামাক খেয়ে থাকেন। তামাকের কারণে দাঁতের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। নয়াদিল্লির ডেন্টিস্ট ডক্টর বৈভব গুলাটি বলেছেন যে, তামাক দাঁত এবং মাড়ির জন্য বিপজ্জনক৷ তামাক সেবন করলে মুখের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। তামাক মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে, যা মাড়ির ভিতরে ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর ঝুঁকি বাড়ায়। তামাক সেবন করলে মাড়ির অনেক মারাত্মক রোগ হতে পারে। এই কারণে, ছোট সংক্রমণ থেকে পুনরুদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়ে এবং ধীরে ধীরে সমস্যা বাড়তে থাকে। যারা দীর্ঘদিন তামাক সেবন করেন তাদের মুখের স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যায়। ডা. বৈভব গুলাটি বলেন, তামাকের মধ্যে নিকোটিন থাকে, যার কারণে দাঁতের উপরের স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। একে দাঁতের এনামেল বলে। তামাক খেলে দাঁতের এনামেলের ক্ষতি হয় এবং দাঁতের রং হলুদ, লাল বা কালো হয়ে যায়। তামাকের দাগ একেবার দাঁত লেগে গেলে তা আর তোলা যায় না। তামাকের কারণে মাড়ি অতি সংবেদনশীল হয়ে পড়ে এবং খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয়। যারা তামাক সেবন করেন তাদের লবণ ও মরিচ যুক্ত খাবার খেতে অসুবিধা হয়। একে বলা হয় মাড়ির সংবেদনশীলতা। মাড়ির রোগের কারণে দাঁত দুর্বল হয়ে পড়ে। ডেন্টিস্টদের মতে, তামাক সেবন করলে মুখের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে, যা তামাকের সবচেয়ে বিপজ্জনক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে বিবেচিত হয়। তামাক সেবন কোনওভাবেই স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। বছরের পর বছর ধরে তামাক সেবন করলে দাঁত পড়ে যায় এবং খুব সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। যারা তামাক সেবন করেন তাদের মুখে কোনও রোগ হলে তার চিকিৎসা করা কঠিন হয়ে পড়ে। এই ধরনের লোকদের দাঁতের সমস্যা থেকে পুনরুদ্ধার করা খুব কঠিন মনে হয়। মানুষের তামাক সেবন করা একেবারেই উচিত নয়।