কোচবিহার: গরমের তীব্রতা বাড়তেই বাজারে বিক্রি বেড়েছে তরমুজের। এই তীব্র গরমের মধ্যে তরমুজ শরীরকে অনেকটাই ঠান্ডা রাখে। সেইসঙ্গে খেতেও হয় অত্যন্ত সুস্বাদ। মূলত নদী তীরবর্তী এলাকাগুলিতে হয় তরমুজের চাষ। কোচবিহারের বহু এলাকায় তরমুজ চাষ করেন কৃষকরা। তবে মাথাভাঙা মহকুমার মানসাই নদীর চরে যে তরমুজ চাষ করা হয় তার স্বাদ ও রসালোভাব অতুলনীয়। তা অন্য কোথাও সাধারণত দেখাই যায় না। মূলত এই কারণেই শুধুমাত্র কোচবিহার জেলা নয়, অন্যত্র এর চাহিদা আছে ব্যাপক। তাই জেলার বাইরেও বিভিন্ন এলাকায় এবং ভিন রাজ্যে এই তরমুজ রফতানি করা হয়।
আরও পড়ুন: জলের পাইপ লাইন ফেটে বিরাট ধস উত্তরপাড়ায়
মানসাই নদীর চরে তরমুজ চাষ করা তারাপদ সরকার জানান, তাঁদের এখানকার তরমুজ স্বাদ ও তার রসালোভাবের জন্য এতটাই পরিচিতি লাভ করেছে যে বড় বড় গাড়ি ভর্তি করে তা এই মরসুমের সময় অন্যত্রর রফতানি করা হয়। মূলত গাড়ি প্রতি হিসাবে এই তরমুজগুলিকে বিক্রি করা হয় ভিন্ন রাজ্যে। এতে ভাল মুনাফা হয়। চলতি বছরেও বহু তরমুজ ভিন রাজ্যে পাঠিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: প্রোমোটিংয়ের জন্য খেলার মাঠের উপর দিয়ে রাস্তা! কাজ বন্ধ করে দিলেন গ্রামবাসীরা
আরেকজন চাষি ভরত দাস জানান, একটা সময় বিহারের কিছু পরিযায়ী মানুষ এখানে তরমুজ চাষ শুরু করেছিলেন। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে প্রচার পায় মানসাই নদী চরের তরমুজ চাষ। এখন বর্তমানে বহু কৃষক এই তরমুজ চাষ করে থাকেন। তবে অন্যান্য তরমুজের চাইতে এই তরমুজের স্বাদ ও গুণগতমান অনেকটাই ভাল। ক্রেতারাও এই তরমুজ কেনার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকেন।
সার্থক পণ্ডিত