Tag Archives: Watermelon Farming

Watermelon: মনসাই নদীর চরের তরমুজ খেলে স্বাদ মুখে লেগে থাকবে!

কোচবিহার: গরমের তীব্রতা বাড়তেই বাজারে বিক্রি বেড়েছে তরমুজের। এই তীব্র গরমের মধ্যে তরমুজ শরীরকে অনেকটাই ঠান্ডা রাখে। সেইসঙ্গে খেতেও হয় অত্যন্ত সুস্বাদ। মূলত নদী তীরবর্তী এলাকাগুলিতে হয় তরমুজের চাষ। কোচবিহারের বহু এলাকায় তরমুজ চাষ করেন কৃষকরা। তবে মাথাভাঙা মহকুমার মানসাই নদীর চরে যে তরমুজ চাষ করা হয় তার স্বাদ ও রসালোভাব অতুলনীয়। তা অন্য কোথাও সাধারণত দেখাই যায় না। মূলত এই কারণেই শুধুমাত্র কোচবিহার জেলা নয়, অন্যত্র এর চাহিদা আছে ব্যাপক। তাই জেলার বাইরেও বিভিন্ন এলাকায় এবং ভিন রাজ্যে এই তরমুজ রফতানি করা হয়।

আর‌ও পড়ুন: জলের পাইপ লাইন ফেটে বিরাট ধস উত্তরপাড়ায়

মানসাই নদীর চরে তরমুজ চাষ করা তারাপদ সরকার জানান, তাঁদের এখানকার তরমুজ স্বাদ ও তার রসালোভাবের জন্য এতটাই পরিচিতি লাভ করেছে যে বড় বড় গাড়ি ভর্তি করে তা এই মরসুমের সময় অন্যত্রর রফতানি করা হয়। মূলত গাড়ি প্রতি হিসাবে এই তরমুজগুলিকে বিক্রি করা হয় ভিন্ন রাজ্যে। এতে ভাল মুনাফা হয়। চলতি বছরেও বহু তরমুজ ভিন রাজ্যে পাঠিয়েছেন তাঁরা।

আর‌ও পড়ুন: প্রোমোটিংয়ের জন্য খেলার মাঠের উপর দিয়ে রাস্তা! কাজ বন্ধ করে দিলেন গ্রামবাসীরা

আরেকজন চাষি ভরত দাস জানান, একটা সময় বিহারের কিছু পরিযায়ী মানুষ এখানে তরমুজ চাষ শুরু করেছিলেন। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে প্রচার পায় মানসাই নদী চরের তরমুজ চাষ। এখন বর্তমানে বহু কৃষক এই তরমুজ চাষ করে থাকেন। তবে অন্যান্য তরমুজের চাইতে এই তরমুজের স্বাদ ও গুণগতমান অনেকটাই ভাল। ক্রেতারাও এই তরমুজ কেনার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকেন।

সার্থক পণ্ডিত

Hailstorm: রমজান মাসে আর পাওয়া যাবে না তরমুজ! কয়েক ঘণ্টার শিলা বৃষ্টিতে সব শেষ…

বাঁকুড়া: মাত্র কয়েক ঘণ্টার শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হলো তরমুজ চাষের। বিঘার পর বিঘা জমির তরমুজ শিলাবৃষ্টির জেরে উপরের খোলা ফেটে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। মাথায় হাত কৃষকদের।

আর‌ও পড়ুন: গার্ডেনরিচের আতঙ্ক এবার কোচবিহারে! দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে বাড়ির মালিক ও স্থানীয়দের

বাঁকুড়ায় এই হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে প্রায় ৫০০ থেকে ৫৫০ বিঘা জমির তরমুজ নষ্ট হয়েছে। এছাড়াও প্রায় ২০০০ বিঘা জমিতে চাষ করা তিল নষ্ট হয়েছে। এছাড়াও কয়েকশো বিঘার আলু, বাদাম, কুমড়ো, বেগুন সহ মরশুমি সবজির চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে রীতিমত বিপর্যস্ত অবস্থা কৃষকদের।

জেলায় প্রায় ঘণ্টা খানেক এক নাগাড়ে শিলাবৃষ্টি হয়। আর তাতেই সর্বত্র লণ্ডভণ্ড দশা। অর্থকরী ফসল আলু এখনও মাঠে, আর তার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে শিলাবৃষ্টি। এই সময়ে বাজারে কৃষকরা বেশ ভাল দাম পান ফসলের। কিন্তু হঠাৎ শিলা বৃষ্টি গোটা পরিস্থিতিটাই বদলে দিয়েছে। বাঁকুড়ার রাইপুর ব্লকের লুড়কা, মৌলাশোল, কাঁটাপাল, কোলমুরারি, মেলেড়া সহ বেশকিছু এলাকার চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

শিলাবৃষ্টিতে তিলগাছ, বেগুনগাছ, কুমড়ো গাছ, বাদাম গাছ পুরো নষ্ট হয়ে গিয়েছে। রুক্ষ সূক্ষ্ম লাল মাটির জেলা বাঁকুড়া। এখানে ফসল ফলাতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয় কৃষকদের। খুব একটা সাথ দেয় না প্রকৃতি। অসময়ের বৃষ্টি, ঝড় কিংবা প্রচণ্ড দাবদাহ বাধা হয়ে দাঁড়ায় চাষের কাজে। এবারও ঘটল একই ঘটনা। শিলাবৃষ্টির কারণে কার্যতর পথে এসে বসলেন বহু কৃষক।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Yellow Watermelon Cultivation: খরচের থেকে দ্বিগুণ মুনাফা! যে কোনও মরশুমে এই হলুদ তরমুজ চাষ করে দারুণ লাভবান হবেন, জানুন পদ্ধতি

তুফানগঞ্জ: তরমুজ খেতে ভালবাসেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। গ্রীষ্মকালীন ফল হিসেবে বেশি পরিচিত এই তরমুজ। তরমুজের নাম শুনলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে বাইরেটা সবুজ ও ভিতরে টুকটুকে লাল রঙের সুস্বাদু একটি ফল। স্বাদে ও গুণে অপূর্ব খেতে এই ফল প্রত্যেকটি মানুষের পছন্দের তালিকায় থাকে। তবে এই তরমুজ ছাড়াও হলুদ রঙের তরমুজ পাওয়া যায় বাজারে। আর এই হলুদ তরমুজের চাহিদা রয়েছে বাজারে অধিক। আর সেটি চাষ করা যায় বছরের যে কোনও সময়ে। তুফানগঞ্জ মহকুমার এক ব্যক্তি শীতের শুরুতে হলুদ তরমুজ চাষ করে চমকে দিয়েছেন সকলকে। পেশায় শিক্ষক, তবে নেশায় চাষি এই ব্যক্তি। তিনি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ফসল চাষ করে চলেছেন তাঁর জমিতে।

চাষিরা নতুন ধরনের ফসল চাষের মাধ্যমে আর্থিক লাভের সম্মুখীন হতে পারবেন। এই বিষয়টি তিনি বারবার প্রমাণ করে দিচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত বহু প্রজাতির ফসল চাষ করেছেন তিনি। তবে এবার হলুদ তরমুজ চাষে চাষিদের নতুন দিশা দেখাচ্ছেন তিনি। রূপম পাল জানান, শিক্ষকতার পাশাপাশি চাষাবাদ করা তাঁর একটি নেশা। নিত্যনতুন চাষাবাদের প্রতি সকলকে আগ্রহশীল করে তুলতেই তাঁর এই প্রচেষ্টা। এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করেছেন তিনি। তাঁর দেখাদেখি প্রচুর কৃষক বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষে আগ্রহশীল হয়ে উঠেছেন। তবে এবার বারোমেসে ফল হিসাবে তিনি হলুদ তরমুজ চাষ করেছেন। মোট এক বিঘা জমিতে তিনি চাষ করেছেন এই হলুদ তরমুজ।

আরও পড়ুন: হুহু করে নামছে তাপমাত্রা, দার্জিলিং-কালিম্পংয়ে কত ঠান্ডা জানেন? পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার আগে জানুন

তিনি আরও জানান, এই তরমুজ দেখতে যেমনি আকর্ষণীয় খেতেও তেমনি সুস্বাদু। এছাড়াও যে সকল চাষিরা নিত্যনতুন ফসল চাষে আগ্রহী। তাঁরা এই নতুন ধরনের ফসল চাষ করে নিজেদের আয়ের পরিমাণ বাড়াতে পারবেন। সাধারণ তরমুজের চাইতে এই তরমুজ অনেকটাই বেশি দামে বিক্রি করা সম্ভব। বাজারে এই তরমুজের বেশ অনেকটাই চাহিদা রয়েছে। বছরের যে কোনও সময়ে এই চাষ আল পদ্ধতি এবং মালচিং ব্যবহার করে করলে ভাল হয়। ফ্রুট প্যাকেট ব্যবহার করলে তরমুজ সুরক্ষিত থাকে।

এই চাষে খরচ বেশি হলেও, মুনাফা হয় খরচের দ্বিগুণ। বাজারে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এই হলুদ তরমুজ চাষ করে বেশি মুনাফা পাওয়া সম্ভব। যে সকল চাষিরা গতানুগতিক চাষের বাইরে অন্য কিছু চাষ করতে চান। তাঁদের জন্য এই তরমুজ চাষ করা দারুণ আয়ের।

Sarthak Pandit