Tag Archives: summer fruit

গরমে পাতে রাখুন এই ৩ সবজি; শরীরের জন্য অমৃত, সুগার, বিপি, হজমের অব্যর্থ ওষুধ

নিখিল স্বামী, বিকানের: ইদানীং রাজস্থানে প্রচণ্ড গরম। হাঁসফাঁস অবস্থা। কম জলে ফলন হয় এমন প্রচুর দেশি সবজির চাষ হয় রাজস্থানে। বিকানের এলাকায় এমনই ৩ সবজি ইদানীং বিদেশি পর্যটকদেরও মন জয় করে নিয়েছে। কী সেই ৩ সবজি? সেগুলি হল শুঁটি, শসা এবং কাছাড়। বাজরার রুটির সঙ্গে এই সবজির তরকারি খাওয়া হয়। ৪৫ থেকে ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রাতেও অনায়াসে জন্মায়।

আরও পড়ুন– ভয়ঙ্কর দৃশ্য ! ডিউটিতে থাকাকালীন সিঁড়ি সরতেই বিমান থেকে পড়ে গেলেন কর্মী, জাকার্তার ভিডিও ভাইরাল

দোকানদার মনুলাল কাছাওয়া জানান, ইদানীং এই ৩ সবজি খুব জনপ্রিয় হয়েছে। এই সবজির মরশুম সবে শুরু হয়েছে, চলবে অক্টোবর-নভেম্বর পর্যন্ত। বিকানেরের আশপাশের মাঠে এই সবজির চাষ হয়। বর্তমানে এর চাহিদা বেড়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবে ব্যবহারও বাড়ছে। তিনি জানান, শুঁটি কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৯০ টাকা এবং শসা বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকা কেজিতে। সেই সঙ্গে কাছাড় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৫ টাকায়। শহরের মোট জনসংখ্যার ২৫ শতাংশের স্থানীয় সবজি যায় এই বাজার থেকে।

আরও পড়ুন– সস্তায় হোটেল থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা, ট্রেনের কনফার্ম টিকিট থাকলে মিলবে এই ৬ বাড়তি সুবিধা

এই সবজির অনেক উপকারিতা: আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. অমিত গেহলট জানান, এই দেশি সবজির উপকারিতা অনেক। যেমন কাছাড়ের কথাই ধরা যাক। এই সবজি শরীরকে অনেক ধরনের রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। কাছাড়ে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা, শরীরের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। অনেক পুষ্টি উপাদানও রয়েছে এতে। কাছাড় শুকিয়েও খাওয়া হয়। এমনকী গুঁড়ো করেও। রাজস্থানি খাবারে কাছাড় পাউডার হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।

শুঁটি খাওয়ারও অনেক উপকারিতা রয়েছে। যেমন সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, রক্তচাপ বাড়ায়, হজমে সহায়ক, মন শান্ত রাখে, হার্ট ভাল রাখে এমনকী গর্ভাবস্থাতেও উপকারী। নিয়মিত গুয়ার শুঁটি খেলে ওজন কমে। অন্য দিকে, শসারও উপকারিতাও কম নয়। এতে জলের ভাগ বেশি থাকে। ফলে শরীর থাকে হাইড্রেটেড। তাছাড়া এতে স্টেরল নামের উপাদান রয়েছে যা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। রক্তচাপের সমস্যায় ভুগলেও শসা ম্যাজিকের মতো কাজ দেয়। এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। সঙ্গে ভাল রাখে কিডনি।

(Disclaimer: প্রতিবেদনের লেখা তথ্য News18 বাংলার নিজস্ব মত নয় ৷ সঠিক ফল পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷)

Watermelon: মনসাই নদীর চরের তরমুজ খেলে স্বাদ মুখে লেগে থাকবে!

কোচবিহার: গরমের তীব্রতা বাড়তেই বাজারে বিক্রি বেড়েছে তরমুজের। এই তীব্র গরমের মধ্যে তরমুজ শরীরকে অনেকটাই ঠান্ডা রাখে। সেইসঙ্গে খেতেও হয় অত্যন্ত সুস্বাদ। মূলত নদী তীরবর্তী এলাকাগুলিতে হয় তরমুজের চাষ। কোচবিহারের বহু এলাকায় তরমুজ চাষ করেন কৃষকরা। তবে মাথাভাঙা মহকুমার মানসাই নদীর চরে যে তরমুজ চাষ করা হয় তার স্বাদ ও রসালোভাব অতুলনীয়। তা অন্য কোথাও সাধারণত দেখাই যায় না। মূলত এই কারণেই শুধুমাত্র কোচবিহার জেলা নয়, অন্যত্র এর চাহিদা আছে ব্যাপক। তাই জেলার বাইরেও বিভিন্ন এলাকায় এবং ভিন রাজ্যে এই তরমুজ রফতানি করা হয়।

আর‌ও পড়ুন: জলের পাইপ লাইন ফেটে বিরাট ধস উত্তরপাড়ায়

মানসাই নদীর চরে তরমুজ চাষ করা তারাপদ সরকার জানান, তাঁদের এখানকার তরমুজ স্বাদ ও তার রসালোভাবের জন্য এতটাই পরিচিতি লাভ করেছে যে বড় বড় গাড়ি ভর্তি করে তা এই মরসুমের সময় অন্যত্রর রফতানি করা হয়। মূলত গাড়ি প্রতি হিসাবে এই তরমুজগুলিকে বিক্রি করা হয় ভিন্ন রাজ্যে। এতে ভাল মুনাফা হয়। চলতি বছরেও বহু তরমুজ ভিন রাজ্যে পাঠিয়েছেন তাঁরা।

আর‌ও পড়ুন: প্রোমোটিংয়ের জন্য খেলার মাঠের উপর দিয়ে রাস্তা! কাজ বন্ধ করে দিলেন গ্রামবাসীরা

আরেকজন চাষি ভরত দাস জানান, একটা সময় বিহারের কিছু পরিযায়ী মানুষ এখানে তরমুজ চাষ শুরু করেছিলেন। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে প্রচার পায় মানসাই নদী চরের তরমুজ চাষ। এখন বর্তমানে বহু কৃষক এই তরমুজ চাষ করে থাকেন। তবে অন্যান্য তরমুজের চাইতে এই তরমুজের স্বাদ ও গুণগতমান অনেকটাই ভাল। ক্রেতারাও এই তরমুজ কেনার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকেন।

সার্থক পণ্ডিত

Summer Fish Market: গরম পড়তেই মাছের বাজারে বদল, ইলিশ-ভেটকি ছেড়ে চারা পোনা-শিঙি’তে মজেছে বাঙালি

পশ্চিম বর্ধমান: খাতায়-কলমে গ্রীষ্মকাল আসার আগেই হাঁসফাঁস অবস্থা দক্ষিণবঙ্গের। তাপমাত্রা বাড়ছে হু হু করে। এমন অবস্থায় সকাল সকাল সবজি বাজারে গিয়েও শান্তি পাচ্ছেন না অনেকেই। পাওয়া যাচ্ছে না পছন্দসই সবজি। মাছ-ভাত প্রিয় বাঙালি তাই ব্যাগ হাতে ছুটছে মাছ বাজারের দিকে। কিন্তু মাছের বাজারে ছবিটা এখন ঠিক কেমন? কী ধরনের মাছ এখন পাওয়া যাচ্ছে? ক্রেতাদের কাছে কোন মাছের চাহিদা বেশি? সব কিছুই আপনাদের সামনে তুলে ধরা হল এই প্রতিবেদনে।

গরমে বেশিরভাগ পরিবারেই বেশি মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া হয়না। মাছের পদও যাতে কম মসলাযুক্ত হয় তেমনটাই চাইছেন সবাই। মাছের পাতলা ঝোল খেয়ে শরীর সুস্থ রাখার দিকেই সবার মনোযোগ। এমন অবস্থায় ক্রেতারা চাইছেন ছোট মাছ বাড়ি নিয়ে যেতে। চারা পোনা অথবা মৌরলার মত মাছের চাহিদাই এখন ক্রেতাদের কাছে সব থেকে বেশি। বাজারে গিয়ে তাঁরা প্রথমে এই সমস্ত ছোট মাছের খোঁজ করছেন। তবে যথারীতি পিছিয়ে নেই রুই, কাতলাও। কাটা পোনাও অনেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ঝোল খাবেন বলে।

আর‌ও পড়ুন: গাড়ি চালাতে চালাতে ঘুমে চোখ লেগে গিয়েছিল, তারপর‌ই চিরনিদ্রায় চালক!

বিক্রেতারাও ক্রেতাদের এই চাহিদা সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল। তাঁরা জানালেন, গরম পড়তেই বাজারে ছোট মাছের চাহিদা বেড়েছে। এদিকে যোগান ভাল থাকলেও মাছের চাহিদা সার্বিকভাবে কমেছে। ফলে মাছের দাম এখন সকলের সাধ্যের মধ্যেই আছে।স্বাভাবিকভাবেই চারাপোনা, মৌরোলা, পাবদা, রুই, কাতলার মত মাছের বিক্রি বেশি হচ্ছে। তাছাড়াও মাগুর মাছের চাহিদা রয়েছে অনেকটাই। অন্যদিকে বাজারে সামুদ্রিক মাছের সেই অর্থে দেখা পাওয়া যাচ্ছে না।

আর‌ও পড়ুন: ভোট আসতেই স্কুলের মারাত্মক ক্ষতি! ইভিএম ভর্তি কন্টেনার ঢুকতে গিয়ে ভাঙল তোরণ

তবে এইসবের বাইরে গিয়ে তীব্র গরমের কারণে মাছ ব্যবসায়ীরা কিছুটা সমস্যায় পড়ছেন। সমস্যা হচ্ছে মাছ সংরক্ষণ নিয়ে। বিক্রেতারা বলছেন, মাছ সংরক্ষণ করতে গুরুত্বপূর্ণ হল বরফ। কিন্তু তীব্র তাপমাত্রার কারণে বরফ তাড়াতাড়ি গলে জল হয়ে যাচ্ছে। ফলে অনেক সময়ই মাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে তাঁরা বেশিক্ষণ মাছ সংরক্ষণ করতে পারছেন না। যে কারণে তাঁরা চাইছেন, যত সকাল সকাল সম্ভব মাছ বিক্রি হয়ে যাক।

নয়ন ঘোষ