Tag Archives: West Bengal BJP

Suvendu Adhikari: ‘এত ভয়, ইগো কেন…?’ দুই বিধায়কের শপথ জট আবহে বোসের পাশে থেকে মুখ্যমন্ত্রীকেও খোঁচা শুভেন্দু অধিকারীর

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: এত ইগো কেন? রাজভবনে যেতে এত আপত্তিও বা কেন? তৃণমূলের দুই নবনির্বাচিত বিধায়কের শপথ জটিলতা প্রসঙ্গে এই প্রশ্নই তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বৃহস্পতিবার শুভেন্দু বলেন, ‘‘রাজ্যপাল যা করছেন তা তাঁর ক্ষমতা এবং সংবিধানের মধ্যে থেকেই করছেন।’’

শপথ বাক্য পাঠ করানোর জন্য রাজভবনে দুই বিধায়ককে ডেকে কোনও অন্যায় করা হয়নি বলেও স্পষ্ট জানান বিরোধী দলনেতা। সরকার পক্ষকে খোঁচা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী এও বলেন, ‘‘দুই বিধায়কের উচিৎ নাচতে নাচতে গিয়ে রাজভবনে শপথ বাক্য পাঠ করে আসা। ২১ সালে আমরা বিধায়ক হয়েছি। সেই সময়ে বিধানসভার প্রোটেম স্পিকার সুব্রত মুখোপাধ্যায় আমাদের শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছিলেন। যদি রাজভবনের পক্ষ থেকে তখন আমাদের রাজভবনে গিয়ে শপথ বাক্য পাঠ করার কথা বলা হত আমরা আগে গিয়ে সেখানে শপথ বাক্য পাঠ করতাম।’’

আরও পড়ুন– রাশিফল ২৮ জুন; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

শপথ বাক্য পাঠ করার জন্য রাজভবনে যেতে বিধায়কদের ‘ভয়’ পাওয়া প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী কেন রাজ্যপালকে যিনি নিয়োগ করেছেন সেই রাষ্ট্রপতির কাছে তাহলে চিঠি লিখছেন না? প্রধানমন্ত্রীকেও বা তিনি কেন লিখছেন না যে রাজ্যপালকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হোক? অন্যরা তো কেউ রাজভবনে যেতে ‘ভয়’ পাচ্ছেন না, তাহলে তৃণমূলের এত ভয় কেন?’’

আরও পড়ুন- স্বাদে চিনির মতোই মিষ্টি, লিচুর মতো দেখতে অথচ আকারে ছোট এই ফলটির ঔষধি গুণ অতুলনীয়

প্রসঙ্গত, বুধবার দুই জয়ী বিধায়ককে শপথ নেওয়ার জন্য রাজভবনে যেতে বলা হয়।‌ তবে রাজভবন নয়, বিধানসভাতেই শপথ নেবেন বলে জানান সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকার। রাজ্যপাল বিধানসভায় না আসায় বিধানসভাতেই ধরনায় বসেন তাঁরা। বৃহস্পতিবারও আম্বেদকরের মূর্তির নিচে অবস্থানে বসেন দুই নবনির্বাচিত বিধায়ক। বুধবারই বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই জটিলতা না কাটলে প্রয়োজনে তাঁরা রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখবেন। সেই কথা মতোই বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিল রাজ্য বিধানসভা। শপথ জট কাটাতে চিঠি পাঠানো হয় রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের কাছেও।

বিধানসভায় এসে রাজ্যপালই দুই বিধায়কের শপথগ্রহণ সংক্রান্ত সমস্যা মিটিয়ে দিন, সি ভি আনন্দ বোসকে চিঠি লিখে অনুরোধ করেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এই আবহে এবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের পাশেই দাঁড়ালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।‌

Suvendu Adhikari: শুভেন্দু অধিকারীর ডেডলাইন, অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ মাশুল! বড়সড় অভিযানের হুঁশিয়ারি

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: চুপিসারে বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধির প্রতিবাদে বড়সড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতায় সিইএসসি (CESC) এলাকায় অস্বাভাবিক হারে বিদ্যুতের বিল বাড়ার প্রতিবাদে আগামী সপ্তাহেই বিজেপির প্রতিনিধি দল যাবে সিইএসসির অফিসে। বিজেপি কাউন্সিলর এবং কলকাতা উত্তর ও কলকাতা দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতিদের নিয়ে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল সিইএসসির কাছে গিয়ে প্রয়োজনীয় দাবি-দাওয়া জানাবেন। তারপর এক সপ্তাহ অপেক্ষা করেও যদি কাজ না হয়, তাহলে বিজেপির তরফে সিইএসসি অফিস অভিযান চালানো হবে বলেও রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

আরও পড়ুন– বয়সজনিত সমস্যা, অসুস্থ লালকৃষ্ণ আডবাণী ! রাতেই ভর্তি করানো হল দিল্লির AIIMS-এ

তবে শুধুমাত্র সিইএসসিই নয়, রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ দফতরেও দাবি না মিটলে অভিযান করা হবে বলেও সাফ জানিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা। বুধবার সন্ধ্যায় বঙ্গ বিজেপির মুরলিধর সেন লেনের অফিসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একগুচ্ছ বিদ্যুতের বিল হাতে নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, ‘‘ভোটের সময় কাউকে কিছু না জানিয়েই দু থেকে তিনগুণ পর্যন্ত বিদ্যুতের মাশুল বাড়িয়েছে সিইএসসি। রাজ্য সরকারও গ্রাহকদের কার্যত অন্ধকারে রেখে ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের বিল বাড়িয়েছে। এর ফলে সাধারণ গ্রাহকরা চরম সমস্যার মুখে পড়েছেন।’’ অবিলম্বে বর্ধিত বিদ্যুতের মাশুল না কমালে যে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি চলবে তাও স্পষ্ট করে দেন শুভেন্দু অধিকারী।

আরও পড়ুন– রাশিফল ২৭ জুন; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

বুধবারের সাংবাদিক বৈঠকে নির্বাচনী বন্ডের ইস্যুতে সিইএসসি ও তৃণমূলকে একযোগে আক্রমণ শানিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেন, ‘‘সিইএসসি একটি বাণিজ্যিক সংস্থা। তাদের টাকা তুলতেই হবে। তারা হলদিয়া এনার্জির নামে তৃণমূলের ফান্ডে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা চাঁদা দিয়েছে। যে সংস্থা তৃণমূলকে ৪০০ কোটি টাকা চাঁদা দেয়, তাকে ৮০০ কোটি টাকা জনগণের থেকে তুলতেই হবে, এটা ধ্রুব সত্য। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল, সেই টাকার দায় কেন নেবে গ্রাহকরা?’’

রাজ্য সরকারের রেগুলেটরি বোর্ডের অনুমোদন নিয়েই ট্যারিফে সিলিং বদলে বিল বাড়ানো হয়েছে বলেও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। বাড়তি বিদ্যুতের বিল প্রত্যাহার করা না হলে কলকাতায় সিইএসসি অফিসে আগামী ৮ জুলাইয়ের পর এবং রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের সল্টলেক অফিসে আগামী ১৫ জুলাইয়ের পর অভিযান করা হবে বলেও ডেডলাইন দেন শুভেন্দু।

BJP: সুকান্তই থাকবেন রাজ্য সভাপতি…? নাকি আসবেন শুভেন্দু অথবা দিলীপ? বঙ্গ বিজেপিতে জোর জল্পনা

কলকাতা: ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দিলীপ ঘোষের পরিবর্তে বাংলার রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছিলেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। ২০২৪ লোকসভা ভোটে প্রত্যাশিত ফল না মেলায় এবার রাজ্য সভাপতি বদলের পথেই কি হাঁটতে চলেছে বিজেপি? ইঙ্গিত উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। রবিবারই সুকান্ত মজুমদার জানান, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হতে চলেছেন তিনি। যার ফলে রাজ্য বিজেপি সভাপতি পদে রদবদল কি কার্যত অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছে ? কী বলছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।

গেরুয়া শিবির সূত্রের খবর, অনেক নাম নিয়ে চর্চা চলছে কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি রাজ্য সভাপতি বদল হবে? নাকি সুকান্ত মজুমদারকেই রেখে দেওয়া হবে রাজ্য সভাপতি পদে? তা এখনও দলীয় স্তরে চূড়ান্ত হয়নি। বিজেপি সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষের পাশাপাশি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নামও আলোচনায় আছে এই পদের সম্ভাব্য যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে।

যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে বিজেপির সংবিধান অনুসারে, কোনও ব্যক্তি একসঙ্গে ২টি পদে থাকতে পারেন না। ফলে সুকান্তবাবু মন্ত্রী হলে তাঁকে রাজ্য সভাপতি পদে ইস্তফা দিতেই হবে। ফলে রাজ্য বিজেপির সভাপতি রদবদল এখন সময়ের অপেক্ষা।

এখনও পর্যন্ত বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের শপথের পরেই কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব এই নিয়ে বৈঠকে বসবেন। পাশাপাশি বিজেপির পরিষদীয় দলে ও সাংগঠনিক ক্ষেত্রে আরও বেশ কিছু পরিবর্তনেরও সম্ভাবনা রয়েছে। বিজেপি সূত্রে ও জানা যাচ্ছে বাংলায় লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের জেরেই সম্ভবত বড় সাংগঠনিক বদল হতে চলেছে গেরুয়া শিবিরে।

 

Dilip Ghosh: বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ! হারের পরই দিলীপের নিশানায় পদ্ম, বেসামাল গেরুয়া শিবির

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: দিলীপ ঘোষের নিশানায় দলের নেতৃত্ব। দিলীপের দাবি, ‘‘আসন বদলের জেরেই যে তিনি হারলেন, সেটা প্রমাণ হয়ে গেল।’’ বাংলায় বিজেপির বিপর্যয় নিয়ে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির প্রশ্নের মুখে কার্যত বর্তমান সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও অন্যান্য বঙ্গ পদ্ম নেতৃত্ব। সুকান্ত মজুমদার অবশ্য বিষয়টি মানতে নারাজ। তিনিও পাল্টা মুখ খুলেছেন। দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘আমি তো মেদিনীপুরে এক বছর, সোয়া বছর ধরে লেগে বুথ অবদি সংগঠন তৈরি করেছিলাম। সমস্ত পার্টির লোকেরা আমার পক্ষে ছিল। যে কোনও কারণে হোক পার্টি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সেটা ঠিক ছিল না তা প্রমাণ হয়ে গেছে।’’

আরও পড়ুন– রাশিফল ৭ জুন; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

সুকান্ত মজুমদারের কথায়, ‘‘দিলীপ দা জিতবেনই বলে আমাদের বিশ্বাস ছিল। পার্টি অনেক সময় সিদ্ধান্ত নেয়, সেই সিদ্ধান্ত অনেক সময় ক্লিক করে না। মাঝে মাঝে হয় ক্লিক করে না। আমরা যেটা ভাবি সেটা কাজ করে না।’’ উনিশের লোকসভা ভোটে মেদিনীপুর থেকে জেতেন দিলীপ ঘোষ।চব্বিশে সেই মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে তাঁকে পাঠানো হয় বর্ধমান-দুর্গাপুরে। নতুন কেন্দ্রে গিয়ে তিনি হেরে গেলেন। এরপরই বিস্ফোরক বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। প্রশ্ন তুলে দিলেন বর্তমান নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নিয়ে।

সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ‘‘সংগঠন একেবারে পশ্চিমবঙ্গে শুয়ে পড়েছে। আমি তো মেদিনীপুরে এক বছর, সোয়া বছর ধরে লেগে বুথ অবদি সংগঠন তৈরি করেছিলাম। সব গ্রামে গেছিলাম। আমার ফান্ড থেকে যা কাজ করার করেছি। মানুষ খুশি ছিল। সমস্ত পার্টির লোকেরা আমার পক্ষে ছিল। যে কোনও কারণে হোক পার্টি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সেটা ঠিক ছিল না প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।’’

আরও পড়ুন- সংখ্যাতত্ত্বে ৭ জুন; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন; জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘আমরা একসময় দিলীপ দা যখন রাজ্য সভাপতি ছিলেন উনিশের সাফল্যের পর তিনটি উপনির্বাচন হেরেছিলাম। তার মধ্যে খড়গপুর ছিল। তখনও ক্লিক করেনি। মাঝে মাঝে হয় ক্লিক করে না। আমরা যেটা ভাবি সেটা কাজ করে না ৷’’

২০১৯। তখন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর আমলেই বঙ্গে বিজেপি একলাফে দুই থেকে ১৮ হয়। দিলীপ ঘোষ নিজেও ২০১৯ সালে জেতেন মেদিনীপুর থেকে। কিন্তু এবার তাঁকে পাঠানো হয় উনিশে আলুওয়ালিয়ার জেতা আসন বর্ধমান দুর্গাপুরে। এখানে তৃণমূলের কীর্তি আজাদের কাছে হারলেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপিও বাংলায় জোর ধাক্কা খেল।

১৮ থেকে কমে হল ১২। বর্তমান নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রাক্তন সভাপতি তথা পরাজিত দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘‘বিজেপির সংগঠন যেভাবে ঢিলে হয়ে গেছে সব জায়গায় প্রথমে বুথে আমরা লোক খুঁজে পাইনি। খুঁজে খুঁজে দাঁড় করাতে হয়েছে। এজেন্ট খুঁজতেও হয়েছে। দুর্বলতা ছিল সংগঠনের। সেই জন্য সব জায়গায় সার্বিকভাবে ভোট কমেছে এবং হার হয়েছে।’’ পাল্টা সুকান্ত মজুমদারের দাবি, ‘‘দুকোটি ৩৩ লক্ষ ভোট পেয়েছি আমরা। এক পার্সেন্টও ভোট কমেনি। বরং ভোট বেড়েছে। উনি সম্ভবত স্ট্যাটিটিক্সটা দেখেননি।’’

দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট জানান, ‘‘এবার সব জায়গায় আমি যাব। শুধু বর্ধমান বা মেদিনীপুর নয়, রাজ্য সভাপতি হিসেবে পুরো প্রদেশে ঘুরতাম। সব জায়গায় সমস্যার সমাধানে ছিলাম। জবাব দিতাম। আমার ভূমিকা থাকবে। পার্টি দায়িত্ব দিক আর না দিক, আমি যতদিন রাজনীতিতে থাকব, কর্মীদের সঙ্গেই থাকব।’ এ ব্যাপারে সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্য ‘দিলীপ দা আমাদের পার্টির নেতা। উনি যেকোনও জায়গায় যেতে পারেন অসুবিধা নেই। কিন্তু সেটা সিঙ্ক্রোনাইজ করে গেলে ভালো হয়। পার্টির যারা নেতৃত্ব আছে, সবাইকে সব জায়গায় যেতে হবে। যাতে গোটা পশ্চিমবঙ্গটা আমরা কভার করতে পারি।’’

Suvendu Adhikari: ভোট পরবর্তী অশান্তির অভিযোগ ! রাজ্যপালকে চিঠি লিখলেন শুভেন্দু অধিকারী

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: একুশের মতো চব্বিশেও ভোট পরবর্তী অশান্তির অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর। তৃণমূলের ‘টার্গেট’ বিজেপি। রাজ্যপালকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন বিরোধী দলনেতার। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যে সমস্ত জায়গায় অশান্তি হচ্ছে, রাজ্যপালকে সেই সমস্ত জায়গা পরিদর্শনের অনুরোধ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও চিঠিতে উল্লেখ শুভেন্দুর ।

আরও পড়ুন– ৮ শতাংশ হারে মিলছে সুদ ! এই ৩ বিশেষ এফডি স্কিমের ধামাকা অফার, শেষ দিন ৩০ জুন

ভোট পরবর্তী অশান্তির অভিযোগ। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে চিঠি লিখলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

আরও পড়ুন- বিয়ে হচ্ছে না, প্রেমে পড়ছে না কেউ! ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বড় কোম্পানিতে চাকরি করা যুবতী, কিন্তু কেন?

ভোটের আগে এবং ভোটের পরেও অশান্তি। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপর ডায়মন্ডহারবার থেকে শুরু করে বাসন্তী হিঙ্গলগঞ্জ-সহ সর্বত্র হামলা করা হচ্ছে শাসক দলের তরফে। এটাই এখন বাংলার সংস্কৃতি। অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর।

তাপস রায় ও তমোঘ্ন ঘোষকে এবার X ক্যাটেগরি সুরক্ষা, ভোটের মুখে বাড়ানো হল দুই বিজেপি নেতার নিরাপত্তা

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: তাপস রায়কে X ক্যাটেগরি নিরাপত্তা দেওয়া হল কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। উত্তর কলকাতা জেলা বিজেপি সভাপতি তমঘ্ন ঘোষকেও দেওয়া হল কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা। এই দুই নেতার নিরাপত্তায় চারজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান দেহরক্ষী হিসেবে শুক্রবার রাত থেকেই মোতায়েন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- গঙ্গার ঘাটে নেই কোনও কোলাহল, বারাণসী জুড়ে বিরাজ করছে যেন এক অদ্ভুত নিস্তব্ধতা; হঠাৎ কী এমন হল?

উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায় এবং জেলা বিজেপি সভাপতি তমঘ্ন ঘোষের উপর হামলা হতে পারে। এরকমই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় গোয়েন্দাদের তরফে। তারপরেই দুই পদ্ম নেতার নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলে সূত্রের খবর।

এ রাজ্যের আরও বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতার নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে বলে খবর। সম্প্রতি শহর কলকাতায় বেশ কিছু ঘটনা ঘটার পর থেকেই দুই বিজেপি নেতার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

Lok Sabha Elections 2024: বিষ্ণুর বিরুদ্ধে কমিশনে গেল রাজু বিস্তা, দলীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনার অভিযোগ সাংসদের

আবীর ঘোষাল, দার্জিলিং: আবহাওয়া শীতল। কিন্তু রাজনৈতিক উত্তাপ বজায় রয়েছে দার্জিলিংয়ে। পাহাড়ের একাধিক নেতার রাজনৈতিক দল বদলের প্রেক্ষিত। নির্বাচনের আগে একে অপরের সঙ্গে সংযোগের প্রেক্ষিত ঘিরে বেশ রাজনৈতিক তরজা জারি পাহাড়ে ৷ মেঘ, কুয়াশার আড়ালে এরই মধ্যে ফের প্রকাশ্যে এল রাজু বিস্তা বনাম বিষ্ণুর লড়াই ৷

পশ্চিমবঙ্গ লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ লাইভ

আরও পড়ুন- আরও সাত দিন তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা, বাড়বে গরম, উইকেন্ডে চরমে উঠবে আবহাওয়া !

নির্বাচনের কয়েক ঘণ্টা আগে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন রাজু বিস্তা ৷ তিনি জানিয়েছেন, ‘‘সাম্প্রতিক অতীতে, বিষ্ণু প্রসাদ শর্মা (বি পি বাজগাইন) বিভিন্ন অসদুপায়ে ক্রমাগত এলাকার ভোটারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। তিনি একনাগাড়ে আমার সম্মানহানি করে, বিভ্রান্তিকর একাধিক তথ্য পেশ করে এবং ভিত্তিহীন অপমানজনক বক্তব্য উপস্থাপন করে আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন। এটি একটি অত্যন্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, যার উদ্দেশ্য শুধুমাত্র আমার সুনাম কালিমালিপ্ত করা এবং ভোটারদের বিভ্রান্ত করা। তাই আমি বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানির মামলা করব, আর আমি নির্বাচন কমিশনকেও চিঠি লিখেছি এই বিষয়টি যথাযথভাবে বিবেচনা করতে এবং বিষ্ণু প্রসাদ শর্মার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে।

আমি স্পষ্টভাবে বলছি, আমি কখনই দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলা অথবা গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (GTA), অথবা ভারতবর্ষের কোথাও তথাকথিত ‘জল জীবন মিশন (JJM) প্ল্যানিং অ্যান্ড মনিটারিং’ সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। উপরন্তু, আমি সুস্পষ্টভাবে বলছি যে, M/S সূর্য ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ, সম্পর্ক বা লেনদেন নেই। আমি আবারও বলছি যে M/S সূর্য ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির, সূর্য রোশনি লিমিটেডের সাথে কোনভাবেই যুক্ত নয় যার জন্য আমি কাজ করি। আমার বিরুদ্ধে এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ করে বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা ভোটারদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে চাইছেন, এবং আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকেও নষ্ট করতে চাইছেন। তিনি একই সাথে আমার অসম্মান ও মানহানি করেছেন।তাই আমি বিষ্ণু প্রসাদ শর্মার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছি। আর আমি বিষ্ণু প্রসাদ শর্মার বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার ফৌজদারি মানহানির মামলাও করব।’’

আরও পড়ুন– পঞ্জিকা ২৫ এপ্রিল: দেখে নিন আজকের দিনের নক্ষত্রযোগ, শুভ মুহূর্ত, রাহুকাল এবং দিনের অন্যান্য লগ্ন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

গোটা বিষয়টি নিয়ে অবশ্য রাজনৈতিক ভাবে খুশি তৃণমূল কংগ্রেস শিবির ৷ অনীত থাপা অবশ্য বলছেন, ‘‘ওদের দলের মধ্যেকার কলহ প্রকাশ্যে চলে এসেছে ৷ ’’

Gorkhaland Demand: চাপে বিস্তা! পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ড আবেগে শাহী শান, পৃথক রাজ্যের হুঁশিয়ারি গুরুংয়ের, ভোটের রাজনীতিতে সমীকরণ বদলের সম্ভাবনা?

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, দার্জিলিং: ভোট এলেই পাহাড়ে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের জিগির ওঠে। পাহাড়বাসীর আবেগকে কাজে লাগিয়ে সব রাজনৈতিক দলই ভোটে জিততে চায়। এবার পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। তাতেও পাহাড়ে ভোটের ইস্যু সেই পৃথক গোর্খাল্যান্ড। এই প্রথম পাহাড় একচ্ছত্র আধিপত্যের বাইরে। এই প্রথম পাহাড় ভূমিপুত্রের ভোটে লড়ার দাবিতে সরব। পাহাড়ের ভোট ব্যাঙ্কে এখন চারটি রাজনৈতিক দলের আধিপত্য।

জিএনএলএফ, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, হামরো পার্টি, বিজেপি। আগে পাহাড়ের ভোট ব্যাঙ্ক নিয়ন্ত্রণ করত কোনও একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল। বাইরে থেকে রাজনৈতিক দলগুলি গিয়ে তাদের সহায়তায় ভোটে জিতত। এবার এতগুলি ভাগে ভোট ব্যাঙ্ক ভাগ হয়ে যাওয়ায় খানিকটা চাপে বিজেপি। তবে ইস্যু সেই গোর্খাল্যান্ডই। রবিবার আবহাওয়া খারাপ থাকায় দার্জিলিঙের লেবংয়ের সভায় পৌঁছতে পারেননি অমিত শাহ। কিন্তু ফোন বার্তায় পাহাড়ে শান্তি ফেরানোর বার্তা দিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন– সপ্তাহভর তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি, বুধবার থেকে গরম আরও বাড়বে! শুকনো গরম ও অস্বস্তি চরমে পৌঁছবে

অমিত শাহ এও বলেন, ‘‘কমিউনিস্ট ও তৃণমূল দুই দলই পাহাড়কে রক্ত রঞ্জিত করেছে। পাহাড়ে শান্তি আনার কাজ একমাত্র বিজেপি করতে পারে। সংবিধান মেনে পাহাড়ের স্থায়ী সমাধান করতে পারবে বিজেপিই। তাই রাজু বিস্তাকে এবারও জয়ী করুন।’’ অমিত শাহ পৃথক গোর্খাল্যান্ডের কথা না বললেও চাপে পড়ে আশ্বাস দিয়েছেন দার্জিলিংয়ের বিদায়ী সাংসদ তথা এবারেও বিজেপির প্রার্থী রাজু বিস্তা। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজু বিস্তা বলেন,’ পাহাড়ের ইসুটি সিএএ কার্যকর হওয়ার দিনেই ঘোষণা হয়ে যেত। কিন্তু কিছু সমস্যার কারণে তা হয়ে ওঠেনি। তবে ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে গোর্খা তথা জনজাতিদের সমস্যার বিষয়টির সমাধান হবেই।

আরও পড়ুন– রাশিফল ২২ এপ্রিল; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

অন্যদিকে রবিবার দার্জিলিঙে বিজেপির সভামঞ্চে বিমল গুরুংকে জয় গোর্খা বলে স্লোগান দিতেও দেখা যায়। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে গুরুং সাফ জানান, ‘‘তৃণমূল আমাদের দাবির ব্যাপারে কোনও রকম পদক্ষেপ নেয়নি। তাই আমরা এবার বিজেপিকে সমর্থন করছি।’’ কিন্তু বিজেপিও যদি গোর্খাল্যান্ড দাবির ব্যাপারে কোনও রকম পদক্ষেপ না নেয় সেক্ষেত্রে বিজেপির ওপর থেকেও তাদের সমর্থন যে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে সে কথাও কার্যত স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন গুরুং। গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরেই পাহাড়ে সাংসদ বিজেপির। তারপরেও ভোটের মুখে এই বক্তব্যে দ্বিচারিতা দেখছে তৃণমূল।

দার্জিলিংয়ের সাংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে পাহাড়ের ভোটেই সিদ্ধান্ত হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে গোর্খাল্যান্ড ইস্যুকে কেন্দ্র করে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে এবারের লোকসভা ভোটে বদলে যেতে পারে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণ বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের।

Suvendu Adhikari: ‘আগামী সপ্তাহে তৃণমূল বেসামাল…!’ শুভেন্দু অধিকারীর দাবিতে শোরগোল

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: ‘‘আগামী সপ্তাহের শুরুতে এমন একটা বোমা পড়বে যে তৃণমূল বেসামাল হয়ে পড়বে। নিশ্চিন্তে থাকুন।’’ লোকসভা নির্বাচনের প্রচার সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীর এই দাবিকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কিন্তু কী হবে আগামী সপ্তাহে ? তা অবশ্য খোলসা করেননি শুভেন্দু। মালদহের নির্বাচনী সভামঞ্চ থেকে শনিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আপনারা দেখবেন, আমি বলব না বিস্তারিত। আগামী সপ্তাহের শুরুতে এমন একটা বোমা পড়বে তৃণমূল বেসামাল হয়ে যাবে, কুলকিনারা পাবে না। সেই ব্যবস্থার দিকেই যাচ্ছে। অপেক্ষা করতে থাকুন।’’

আরও পড়ুন– সপ্তাহভর চলবে তাপপ্রবাহ ! দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায় ‘সিভিয়ার হিটওয়েভ অ্যালার্ট’, হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা কবে ও কোথায়? জেনে নিন

শুভেন্দুর এই বক্তব্যকে ঘিরে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহে তাহলে কী হতে চলেছে? শুভেন্দুর দাবিকে কেন্দ্র করে জল্পনা এখন তুঙ্গে। রাজ্য–রাজনীতিতে তারিখের কথা বলে চমকে দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে শুভেন্দু অধিকারী তিনটি তারিখ দিয়েছিলেন। বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক জানিয়েছিলেন, ১২, ১৪ এবং ২১ ডিসেম্বরের কথা। বলেছিলেন, ‘‘এই তিনটে তারিখ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেখতে থাকুন।” ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচের কথাও বলেছিলেন শুভেন্দু।

আরও পড়ুন– গরমে হাঁসফাঁস দশা! বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণ ১০ জায়গার কথা জানলে মাথা ঘুরে যাবে

এরপর শুভেন্দুর ডেডলাইন ছিল ১৩ জানুয়ারি। কলকাতার হাজরার সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইঙ্গিত করে বলেছিলেন, ‘‘ধেড়ে ইঁদুর ধরা পড়বে। ১২ ডিসেম্বরটা ১৩ জানুয়ারি হবে। কিন্তু ১৪ ফেব্রুয়ারি হবে না।’’ কিন্ত এই সময়ও অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। বঙ্গ রাজনীতিতে সেরকম কোনও ‘ধামাকা’ নজরে আসেনি। আর এবার লোকসভা ভোটের দ্বিতীয় দফার আগে ফের আগামী সপ্তাহে তৃণমূল বেসামাল হয়ে পড়বে বলে বড় দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস শুভেন্দু অধিকারীর দাবিকে কোনও গুরুত্বই দিতে রাজি নয়।

Lok Sabha Election 2024: লক্ষ্য চব্বিশ, তৃণমূলের মহিলা ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাতে ময়দানে পদ্মের মহিলা ব্রিগেড

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: টার্গেট চব্বিশ। তৃণমূলের মহিলা ভোটে ভাগ বসাতে মরিয়া বিজেপি। মহিলা মন জয়ে দলের মহিলাদেরই ময়দানে নামিয়েছে বিজেপি। বিধানসভা কেন্দ্র ধরে ধরে প্রচারের স্ট্র্যাটেজি পদ্ম শিবিরের। মহিলাদের মন জয়ে ময়দানে এবার বিজেপির মহিলা ব্রিগেড। সাম্প্রতিক সব ভোটেই মহিলাদের বড় অংশের সমর্থন গিয়েছে তৃণমূলের দিকে। সামনে এবার লোকসভা ভোট। এই ভোটে মহিলাদের মন পেতে মরিয়া বিজেপিও। মহিলা মন পেতে তারা ময়দানে নামাচ্ছে মহিলাদেরই। বিজেপি সূত্রের খবর, এ বিষয়ে নির্দেশ গিয়েছে জেলায় জেলায়। বিজেপি নেতৃত্বের নির্দেশ, বিধানসভা কেন্দ্র ভিত্তিক মহিলা ব্রিগেড তৈরি করে প্রচারে নামতে হবে। এলাকা ভিত্তিক মহিলা সম্মেলন করতে হবে।

আরও পড়ুন– আশঙ্কা সত্যি হল ! ইজরায়েলে মিসাইল ও ড্রোন হামলা শুরু ইরানের

লোকসভা কেন্দ্র ধরে ধরে পাড়া বৈঠক করবেন বিজেপির মহিলা মোর্চার নেতৃত্ব। বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত মহিলাদের কাছে পৌঁছতে হবে। এবং ভোটার তালিকা খতিয়ে দেখে অবশ্যই সব মহিলা ভোটারের কাছে যেতে হবে বলেও নির্দেশ জারি করা হয়েছে। যে সব মহিলারা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন তাঁদের প্রচারে আনার চেষ্টাও করতে হবে। রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই আমরা বেশ কিছু কর্মসূচি হাতে নিয়ে তা রূপায়নে নেমে পড়েছি। বিগত নির্বাচনগুলিতে যে সমস্ত মহিলারা তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন জানিয়েছিল তাদের একটা বড় অংশ এবার বিজেপির প্রতি আস্থা রাখবে।’’ এ রাজ্যে মহিলা ভোট বড় ফ্যাক্টর। মহিলা ভোট যাদের দিকে তাদেরই বাজিমাত। মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের। বাংলায় এবার মোট ভোটার ৭ কোটি ৫৯ লক্ষ ১৯ হাজার ৮৯১ জন। এর মধ্যে মহিলা ভোটার ৩ কোটি ৭৩ লক্ষ ৪৮ হাজার ৫১১ জন।

আরও পড়ুন– JEE-তে প্রথম হন, IIT বম্বে-তে ২ বছর পড়াশোনা করে চলে যান MIT-তে, এখন কী করছেন সত্বত জগওয়ানি?

এই মহিলা ভোট চব্বিশেও ধরে রাখার বিষয়ে আশাবাদী তৃণমূল। মহিলা মন জয়ে তৃণমূল আস্থা রাখছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্পে। পাল্টা বিজেপি সরকারে এলে অন্নপূর্ণা ভান্ডার প্রকল্প তৈরি করে মহিলাদের তিন হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন পদ্ম নেতারা। অন্যদিকে বিজেপি হাতিয়ার করছে সন্দেশখালির মতো ইস্যুকেও। সন্দেশখালির আন্দোলনকারী মহিলা রেখা পাত্রকে তাঁরা প্রার্থীও করেছে। রেখাকে ফোন করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। বার বার এ রাজ্যে প্রচারে এসে সন্দেশখালি নিয়ে সুর চড়িয়ে মহিলা মন ছুঁতে চাইছেন মোদি। বলেছেন, ‘‘চব্বিশের লোকসভা ভোটে’সারা বাংলায় এবার সন্দেশখালির ঝড়় উঠবে।’’

মহিলাদের মন জয়ে এবার মহিলাদের ময়দানে নামাচ্ছে বিজেপি। তবে মহিলাদের সমর্থন আদায়ে রাজনৈতিকভাবে কতটা লাভবান হয় বঙ্গ বিজেপি তার উত্তর দেবে আগামী ৪ জুন।