Tag Archives: West Bengal BJP

Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর মুখে ফের নবান্ন অভিযান, ২১ জুলাই-সহ একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা বিরোধী দলনেতার

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: ফের নবান্ন অভিযান করার পক্ষে জোর সওয়াল করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ‌ তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র ভাষায় নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘গণতন্ত্র রক্ষায় গণ আন্দোলনে পথে থাকলেও বনধ, হরতাল কিংবা ভাঙচুর নয়, কিন্তু রাস্তায় নেমে গণ প্রতিবাদ হবে।’’

কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতিক্রমে রবিবার রাজভবনের সামনে ভোট পরবর্তী অশান্তির অভিযোগে ধর্না অবস্থান কর্মসূচি শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী এও বলেন, ‘‘রাজ্য জুড়ে সর্বস্তরের মানুষকে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ‌ফের নবান্ন অভিযানের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমি মনে করি। আমি আমার দলের সঙ্গেও কথা বলব, আগামী ১৭ জুলাই আমাদের দলের যে বৈঠক রয়েছে সেখানে আমি নবান্ন অভিযান করার বিষয়ে দলীয় নেতৃত্বকে প্রস্তাব দেব।’’

আরও পড়ুন– উল্টোরথে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম, উত্তরবঙ্গে তিন জেলায় ভারী বৃষ্টি হলেও দক্ষিণবঙ্গে ছিটেফোঁটা বৃষ্টিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে

সাম্প্রতিক একাধিক ভোট পরবর্তী অশান্তির ঘটনা তুলে ধরে এদিন শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস‌ ও রাজ্য সরকারকে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারী একের পর এক কর্মসূচি এদিন ঘোষণা করেন। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা, ভোট লুট থেকে লাগাতার সন্ত্রাস, আইন শৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ তুলে এদিন সরব হন বিরোধী দলনেতা। নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রাম‌ থেকে আগামী ১৮ জুলাই রাজনৈতিক কর্মসূচির সূচনা করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে লাগাতার জেলায় জেলায় ঘুরে মূল্যবৃদ্ধি ইস্যু সহ যাদের ভোট দানে ‘বাধা’ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- রাশিফল ১৫ জুলাই; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

ভোট পরবর্তী অশান্তির ঘটনায় যারা ‘আক্রান্ত’-সহ নানান বিষয়কে সামনে রেখে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কথাও নিজে মুখে এদিন ঘোষণা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।‌ এ ছাড়াও একুশে জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ সমাবেশের দিনেই রাজ্যজুড়ে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন করার কথা ঘোষণা করা ছাড়াও ২২ জুলাই সিইএসসি এলাকায় অস্বাভাবিক হারে বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে দাবি করে আগামী ২২ জুলাই সিইএসসি অফিস ঘেরাও অভিযান কর্মসূচির কথাও এদিন ঘোষণা করেন শুভেন্দু।

Suvendu Adhikari: পুলিশের ‘না’, হাইকোর্টের ‘হ্যাঁ’, রবিবার রাজভবনের সামনে ধর্নায় শুভেন্দু অধিকারী

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: আজ, রবিবার রাজভবনের সামনে ধর্না অবস্থানে বসতে চলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। লোকসভা ভোট পরবর্তী অশান্তির অভিযোগকে সামনে রেখে বারবারই সরব হন শুভেন্দু। ভোট পরবর্তী অশান্তির ঘটনায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী। এর আগে আক্রান্ত ও ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েও পুলিশের ‘বাধা’ পান শুভেন্দু অধিকারী।

আরও পড়ুন– উল্টোরথে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম, উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় ভারী বৃষ্টি, দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়া কেমন থাকবে? জেনে নিন

এরপর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে আদালত দলীয় কর্মীদের নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে রাজভবনে যাওয়ার অনুমতি দিলে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রাজভবনের রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শুভেন্দু। ভোটের ফলাফলের পর তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগে নালিশ জানানো হয় রাজ্যপালকে। অন্যদিকে রাজভবনের সামনে ঠিক যে জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে টানা পাঁচ দিন ধর্না অবস্থান করা হয় সেই জায়গাতেই শুভেন্দু অধিকারী ভোট পরবর্তী অশান্তির ঘটনায় তাঁর দলের যাঁরা আক্রান্ত এবং ঘরছাড়াদের নিয়ে ধর্নায় বসার আবেদন জানিয়ে কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্তার কাছ থেকে অনুমতি চাওয়া হয়।

আরও পড়ুন– রাশিফল ১৪ জুলাই; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে অনুমতি না দেওয়ায় ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের আপত্তি উড়িয়ে দীর্ঘ সওয়াল জবাবের পর শর্তসাপেক্ষে‌ শুভেন্দুকে রাজভবনের সামনে ধর্না অবস্থানে বসার অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ‌এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই আজ, রবিবার সকাল ১০ টা থেকে বেলা ২ টো পর্যন্ত ভোট পরবর্তী অশান্তির ঘটনায় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা যাঁরা আক্রান্ত তাঁদের নিয়েই ধর্নায় বসতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তি ও প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবিতেই রবিবার ভোট পরবর্তী অশান্তির ঘটনায় দলের ‘আক্রান্ত’-দের সঙ্গে নিয়ে ধর্নায় বসতে চলেছেন শুভেন্দু।

নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে বিরোধী দলনেতা শনিবার রাতে লিখেছেন, ‘‘মহামান্য কলকাতা উচ্চ আদালতের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত পরিবারের ৩০০ জনকে সঙ্গে নিয়ে রাজভবনের বাইরে সকাল ১০ টায় ধর্নায় বসতে চলেছি। পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের শুভেচ্ছা ও আশীর্বাদ প্রার্থনা করছি।’’ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে আগেই বলেছিলেম, ‘‘আমার নীতিগত লড়াই ছিল, উনি ( অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) যদি ১৪৪ ধারা অমান্য করে পুলিশের অনুমতিক্রমে পাঁচ দিন ধরে রাজভবনের সামনে অবস্থানে বসতে পারেন তাহলে অন্য কেউ নয় কেন? আমার লড়াইটা ছিল এটাই। আদালতের কাছে আমি কৃতজ্ঞ এই কারণেই যে, আমার লড়াইয়ের সিলমোহর দিয়েছে আদালত।’’

West Bengal BJP: পদ্মে ফের আদি-নব্য দ্বন্দ্ব, একই দিনে বৈঠক বিক্ষোভে বঙ্গ বিজেপির দুই শিবির, ঘরোয়া কোন্দলে অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: বঙ্গ বিজেপিতে ফের আদি- নব্য দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। দু’ভাগ বঙ্গ বিজেপি! লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পর প্রথম ১৭ জুলাই কলকাতায় কর্মসমিতির বৈঠকে বসছে বঙ্গ বিজেপি। আর এদিনই বিজেপির কার্যালয় মুরলীধর সেন লেনের সামনে লাগাতার সত্যাগ্রহ ও অবস্থান বিক্ষোভে নামতে চলেছে ‘আদি’ বিজেপি শিবিরের একাংশ।

আরও পড়ুন– রাশিফল ১২ জুলাই; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্যান্য পদ্ম নেতৃত্বকে নিশানা করে আদি বিজেপি পরিবার, বিজেপি বাঁচাও মঞ্চের নামে পোস্টারও প্রকাশ করা হল। রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক কয়েকজন নেতার অপসারণ-সহ নানান দাবি নিয়ে ঠিক যেদিন বিজেপি রাজ্য কমিটি বিপর্যয়ের কারণ পর্যালোচনা ও আগামী দিনে কোন পথে চলবে বিজেপি, সে ব্যাপারে রাজ্য নেতৃত্বের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে সাংগঠনিক বৈঠকে বসতে চলেছে সেই দিনটাকেই বিজেপিরই ‘অন্য’ শিবির খাস কলকাতায় বিজেপি দফতরের সামনেই আন্দোলনের পথ হিসেবে বেছে নেওয়ায় বিজেপির ঘরোয়া কোন্দল আরও বাড়ল বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের।

আরও পড়ুন– বরের অপেক্ষায় বিয়ের মণ্ডপেই ঘুমিয়ে পড়ল কনে, ভোর হতেই থানায় গিয়ে নালিশ, হুলস্থূল বদায়ুঁতে!

সাম্প্রতিক সময়ে এর আগেও মুরলীধর সেন লেনের সামনেই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে নিশানা করে আন্দোলনে নামতে দেখা গিয়েছে এই মঞ্চকে। যাতে বিজেপির অস্বস্তি বেড়েছিল। এবার ফের আদি বিজেপির একাংশ রীতিমতো ১৭ জুলাই আন্দোলনে নামার পোস্টার প্রকাশ করে দলের নেতৃত্বের নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা নিয়েই কার্যত প্রশ্ন তুলে সরব হতে চলেছেন। বলা বাহুল্য, রাজ্য বিজেপিতে আদি- নব্য দ্বন্দ্বের ছবি এর আগেও প্রকাশ্যে এসেছে।

বাংলায় লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পর বিপর্যয়ের দায় কার? এই প্রশ্ন নিয়ে যখন চর্চা শুরু হয়েছে ঠিক তখনই দলের ধারাবাহিক বিপর্যয়ে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বকেই কাঠগড়ায় তুলে রাজ্য বিজেপির কলকাতায় বৈঠকের দিনেই বিজেপির আদি শিবিরের একাংশ বিজেপি দফতরের সামনেই লাগাতার সত্যাগ্রহ ও অবস্থান আন্দোলনে নামার ঘোষণায় পদ্মের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও প্রকট হল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।

Samik Bhattacharya: ‘তৃণমূলের হয়ে ভোট করাল পুলিশ…!’ ভোট মিটতেই বিস্ফোরক বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন মিটতেই শাসক দলকে নিশানা করল বঙ্গ পদ্ম শিবির। বিজেপির এ রাজ্যের প্রধান মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে চার নির্বাচন কেন্দ্রে তৃণমূলের হয়ে নির্বাচন পরিচালনা করল পুলিশ। চার কেন্দ্রেই তৃণমূল প্রার্থীদের জেতাতে পুলিশ যে ভূমিকা পালন করল তা শুধু নিন্দনীয়ই নয়, লজ্জার। নির্বাচনের আগের দিন থেকেই বিজেপি নেতা, কর্মী- সমর্থকদের বুথে না যাওয়ার ব্যাপারে ‘ভয়’ দেখানো হয়েছে।’’

আরও পড়ুন– মাত্র কয়েক বছরেই বেড়ে উঠবে এই গাছ; আর এর কাঠ বিক্রি করে হয়ে উঠতে পারেন কোটিপতি!

তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বাগদার বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর ও তাঁকে মারধর করাই শুধু নয়, মানিকতলা থেকে শুরু করে রানাঘাট-সহ অন্যান্য জায়গাতেও শাসক দলের হামলার মুখে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ শমীকের। প্রাথমিকভাবে বাগদার বেশ কয়েকটি বুথে রিপোল দাবির পাশাপাশি মানিকতলাতে নতুনভাবে ভোটের দাবিও নির্বাচন কমিশনারের কাছে জানাল বিজেপি। তবে প্রাথমিকভাবে মানিকতলা কেন্দ্রে কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত বিভিন্ন ওয়ার্ডের ৮৯ টি বুথে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানানো হয় কমিশনের কাছে।‌

আরও পড়ুন– সাউথগেটের চালেই বাজিমাত, ডাচদের ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরোর ফাইনালে ইংল্যান্ড

ভোট পরিচালনার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁদের সঙ্গে কথা বলে আগামী সময়ে কোন কোন বুথে রিপোল এবং অন্যান্য দাবি-সহ কমিশনের দ্বারস্থ হবে তাঁদের দল বলেও জানান শমীক ভট্টাচার্য। রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, ‘‘লোকসভায় ২৯টা সিট পেয়ে চার উপ নির্বাচনে আরও ‘আক্রমণাত্মক’ তৃণমূল।’’ এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করেও অবাধ ভোট করা সম্ভব নয়। প্রার্থীকে দেখলে গো ব্যাক স্লোগান, প্রার্থীর ওপর হামলা এটা কোন রাজনৈতিক সংস্কৃতি? এই প্রশ্নও তোলেন রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। যদিও শাসক দল বিজেপির অভিযোগ বা দাবিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। চার কেন্দ্রেই ভোটে পরাজিত হবে জেনে‌ বিজেপি তৃণমূলের উপর দোষ চাপাচ্ছে বলে মন্তব্য শাসক শিবিরের।

Suvendu Adhikari: সর্বকালীন রেকর্ড! দাবি করলেও শুভেন্দু অধিকারীর মতে লোকসভা ভোটে বঙ্গে বিজেপির খারাপ ফলের কারণ কী? জানুন

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, বাগদা: লোকসভা ভোটে বাংলায় কত ভোট পেয়েছে বিজেপি? পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে শনিবার সিন্দ্রাণী বাজারে নির্বাচনী সভামঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় শুভেন্দু জানান, ‘‘চব্বিশে আমরা বাইশ আসনের স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু আমরা সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারিনি। কিন্তু বিজেপি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর এই প্রথম ২৪-এর লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে।’’

আরও পড়ুন– রথযাত্রার দিনে রাজ্য জুড়েই বৃষ্টির সম্ভাবনা, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া কেমন থাকবে? জেনে নিন

সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপি ভোট পেয়েছে ২ কোটি ৩৩ লক্ষ ২৭ হাজার বলে দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। ‌শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘পুলিশের মদতে গণনায় কারচুপিও করেছে তৃণমূল।‌ ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের লড়াই হয়নি। লড়াই হয়েছে বিজেপির সঙ্গে পুলিশের। পঞ্চম, ষষ্ঠ এবং সপ্তম দফার ভোটে পুলিশ কী কী করেছে তা আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না।’’ পাশাপাশি শুভেন্দুর মতে, ‘‘সংখ্যালঘুদের একটা বড় অংশ তৃণমূলকে ঢেলে ভোট দিয়েছে। সংখ্যালঘুদের ভোট কার্যত না পাওয়ার জন্যই লোকসভা ভোটে বিজেপির ফল খারাপ হয়েছে।’’

আরও পড়ুন– রাশিফল ৭ জুলাই: দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

‌আগামী‌ ১০ জুলাই যে উপনির্বাচন রয়েছে সেখানেও ভোট লুঠ-সহ নানান বিষয় করার চেষ্টা হবে‌ বলে পুলিশকে রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে শুভেন্দু বলেন, ‘‘এবার সেই চেষ্টা করা হলে প্রতিবাদ প্রতিরোধ তো হবেই, এমনকী, বিধায়কদের নিয়ে আমি থানায় ভোট মিটতেই অবস্থানে বসব।’’

এদিনের জনসভায় চাঞ্চল্যকর দাবি করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘রানাঘাট এবং বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে রিগিং ছাপ্পা-সহ যে কোনও মূল্যে নবান্ন থেকে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দুটি আসন জেতানোর ব্যাপারে। এর জন্য বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পার্থ ভৌমিক এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আগামী দিনে মোদিজির হাত শক্ত করতে দেশবিরোধী এবং কুচক্রীদের পরাস্ত করতে জোট বাঁধুন।’’

Suvendu Adhikari: শপথ বিতর্ক; ‘আমারও কিছু কাজ আছে, সেটা করব…’ বেআইনি ও অসাংবিধানিক বলে কাকে নিশানা শুভেন্দু অধিকারীর?

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: বিধানসভায় দুই নবনির্বাচিত তৃণমূল বিধায়কের শপথ নেওয়াকে বেআইনি বলে দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ‌ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ বেআইনি শপথ। সংবিধান বহির্ভূত কাজ করেছেন অধ্যক্ষ। রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতির নজরে এনেছেন বিষয়টি। এর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না হলে বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমারও কিছু কাজ আছে, সেটা আমি করব।’’

শুভেন্দু অধিকারী এদিন আরও বলেন, ‘‘এত ইগোর কি ছিল, রাজভবনে গিয়ে শপথ নিতে ক্ষতি কি ছিল?’’ এই প্রশ্ন তুলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, ‘‘রাজ্যপাল বলেছিলেন ডেপুটি স্পিকারকে দিয়ে শপথ বাক্য পাঠ করাতে। কেন তা করালেন না? এত দম্ভ কিসের। সংবিধান কেউ নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলে দিয়েছেন সেটাই শেষ কথা। এটা চলতে পারে না।’’

আরও পড়ুন– ‘আর কদিন দেখব…’ অভিমানী দিলীপ! রাজনীতিকে ‘আলবিদা’ জানাতে পারেন দিলীপ ঘোষ! তুমুল শোরগোল

প্রসঙ্গত, শপথ-জট তো কাটল ৷ কিন্তু, তার পাশাপাশি তৈরি হল আরেক জট৷ শপথগ্রহণ করানো ঘিরে আইনি জট৷ বরানগরের উপ নির্বাচনে নির্বাচিত তৃণমূলপ্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভগবানগোলার জয়ী তৃণমূলপ্রার্থী রেয়াত হোসেন সরকারকে বিধায়ক পদে শপথ করানোর বিষয়টিকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে দাবি করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস৷ গোটা বিষয়টি জানিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূর কাছে তিনি চিঠি পাঠাচ্ছেন বলেও জানা গিয়েছে৷‌‌ শুক্রবার রাজ্যপালের তরফে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে জানানো হয়, ‘‘দুই বিধায়কের শপথ নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে। অসংবিধানিক শপথ।’’

আরও পড়ুন– উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, দক্ষিণবঙ্গে আগামী ক’দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে? জেনে নিন

গত বৃহস্পতিবার ডেপুটি স্পিকারকে শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য অনুমতি দেন রাজ্যপাল। তারপরেও কীভাবে স্পিকার শপথ বাক্য পাঠ করালেন।  তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে ওই পোস্টে ৷ যদিও নব নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন না বলে গত বৃহস্পতিবারই জানিয়ে দিয়েছিলেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ শুক্রবার বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন শুরু হওয়ার পরে ডেপুটি স্পিকার শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য স্পিকারের নাম প্রস্তাব করেন ৷ তারপরেই তৃণমূলের দুই জয়ী প্রতিনিধিকে বিধায়ক হিসাবে শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার তথা অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবারের বিশেষ অধিবেশন বয়কট করে বিজেপি। যদিও শপথ বাক্য পাঠ হয়ে যাওয়ার পর এদিন বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন বিরোধী শিবিরের একমাত্র আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী।

Dilip Ghosh: ‘আর কদিন দেখব…’ অভিমানী দিলীপ! রাজনীতিকে ‘আলবিদা’ জানাতে পারেন দিলীপ ঘোষ! তুমুল শোরগোল

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: ‘‘দল ছাড়লে তো রাজনীতিই ছাড়ব। দেখেনি ক’টা দিন পার্টির যদি আমাকে প্রয়োজন থাকে, না হলে সময় নষ্ট করে কি লাভ আছে। দলে কোনও কাজ না থাকলে দলে থেকে লাভ কি?’’ বক্তা দিলীপ ঘোষ।

তাহলে কি ফের RSS এই ফিরে যাবেন? ‘‘সমাজে অনেক ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত থেকেছি। রাজনীতি আমার পেশা নয়, আমি এসেছিলাম একটা মিশন নিয়ে। দলের যদি আমাকে প্রয়োজন থাকে আমি কাজ করব কিন্তু প্রয়োজন না থাকলে আর ফালতু ঝগড়াঝাঁটির মধ্যে থেকে কি লাভ!’’

আরও পড়ুন– উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, দক্ষিণবঙ্গে আগামী ক’দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে? জেনে নিন

সংবাদমাধ্যমে দিলীপের এই বক্তব্যে চূড়ান্ত হতাশার সুর নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কেন আপনার মনে হচ্ছে রাজনীতি থেকে আপনি অবসর নেবেন? নিউজ এইট্টিন বাংলার তরফে ফোনে এই প্রশ্নের উত্তরে কিছুটা হতাশ, দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিলীপ ঘোষ শুধু বললেন, ‘‘ঠিক সময়ে বলব। হয়ে যাক সব। এখন নয়, সময় হলে সবই বলব।‌’’ আপনি কি অভিমানী? এই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘‘অভিমানী হলে তো আমি বাড়িতে বসে থাকতাম। আমি তো সব থেকে বেশি একটিভ আছি। প্রতিদিনই কর্মীদের সাথে দেখা করছি।’’

আরও পড়ুন- সবকিছুই ছবির মতো সাজানো, নিখুঁত ঝকঝকে; বিশ্বের সেরা ১০ পরিচ্ছন্ন দেশের তালিকা রইল এখানে

দিলীপ এও বলেন, ‘‘পার্টির মধ্যে পরিবর্তন হচ্ছে। পরিবর্তন পুরো হয়ে যাক তখন চিন্তা ভাবনা করব কী করব আর কী না। পার্টি আমায় বড় বড় দায়িত্ব দিয়েছিল, সেই দায়িত্ব আমি পালন করেছি। আমি সাংসদ ছিলাম। এখন আমার ওপর কোনও দায়িত্ব নেই। পার্টি আমায় কিভাবে কাজে লাগাবে বা লাগাবে কিনা সেটা উপর নেতৃত্ব ঠিক করবে।’’

এক সময় বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি ছিলেন দিলীপ ঘোষ।‌ তাঁর পরিবর্তে সেই জায়গায় আসেন সুকান্ত মজুমদার। বেশ কয়েক মাস আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদ থেকেও দিলীপ ঘোষকে ছেঁটে ফেলা হয়। ছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ।‌ আর রাজ্য বিজেপির কোর কমিটির সদস্য। ‌কিন্তু ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে সরিয়ে তাঁকে প্রার্থী করা হয় বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রে। সেখানে পরাজিত হন দিলীপ ঘোষ।‌ এরপর দলীয় নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে লাগাতার চক্রান্ত এবং ‘কাঠিবাজি’-র বিস্ফোরক অভিযোগে‌ প্রকাশ্যে সরব হন দিলীপ। যাতে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে গেরুয়া শিবির।‌ এরপর থেকে আচমকা টানা বেশ কিছুদিন ধরে দিলীপ ঘোষ ‘চুপ’।‌ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বেড়ালেও সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও মন্তব্য করছেন না দিলীপ ঘোষ।‌

এরই মাঝে হঠাৎ করে সংবাদমাধ্যমের একাংশের সঙ্গে কথোপকথনে উঠে আসে দিলীপ ঘোষের রাজনীতি ছাড়ার প্রসঙ্গও। লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পর বিজেপির অন্দরেই কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, রাজ্য বিজেপিতে বেশ কিছু সাংগঠনিক স্তরে শীঘ্রই রদবদল হতে পারে।‌ কিন্তু অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠছে যে, দিলীপ ঘোষকে কি ফের সাংগঠনিক কোনও পদে ফিরিয়ে আনা হতে পারে? তারই কি অপেক্ষা করছেন খোদ দিলীপ ঘোষ। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে রাজ্য বিজেপিতে সাংগঠনিক রদবদলের পরও যদি দেখা যায় দিলীপ ঘোষ ‘ব্রাত্য’ তারপরেই কি রাজনীতি‌ থেকে ‘আলবিদা ‘ নেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দিলীপ ঘোষ? এই নিয়েই এখন জল্পনা তুঙ্গে।

Suvendu Adhikari: রাজভবনের সামনে ধর্না ইস্যু, ‘কৃতজ্ঞ, আমার লড়াইয়ে সিলমোহর দিল আদালত…’ প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: ‘‘আমার লড়াইকে সিলমোহর দিল আদালত। আমি কৃতজ্ঞ।’’ নাম না করে তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়ে রাজভবনের সামনে ধর্না অবস্থান ইস্যুতে আদালতের অনুমতি প্রসঙ্গে ঠিক এই ভাষাতেই প্রতিক্রিয়া দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

আরও পড়ুন– ‘যমরাজ বাইরে অপেক্ষা করছেন’, মেসেজ পড়ে বুক কেঁপে গেল যুবকের, তৎক্ষণাৎ বাতিল করলেন ক্যাব

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘আমার নীতিগত লড়াই ছিল, উনি যদি ১৪৪ ধারা অমান্য করে পুলিশের অনুমতিক্রমে পাঁচ দিন ধরে রাজভবনের সামনে বসতে পারেন তাহলে অন্য কেউ নয় কেন? আমার লড়াইটা ছিল এটাই। আদালতের কাছে আমি কৃতজ্ঞ এই কারণেই যে, আজ আমার লড়াইয়ের সিলমোহর দিয়েছে আদালত। আদালতের নির্দেশ মেনে আগামী ১৪ জুলাই ভোট পরবর্তী অশান্তির ঘটনায় অত্যাচারিত এবং শহিদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আমি রাজভবনের সামনে নির্দিষ্ট স্থানে ধর্না অবস্থানে বসব।’’

আরও পড়ুন- ফুচকায় ক্যানসার! মিলল মারণ রোগ সৃষ্টিকারী রাসায়নিক, এই ৫ খাবার থেকেও সাবধানে থাকুন

আদালতের নির্দেশ প্রসঙ্গে শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘আদালত যদি আমার আবেদন মেনে এক মিনিট বসার অনুমতি দিতেন তাহলেও জয় হত। কিন্তু আদালত তো আমার প্রতিবাদ জানানোর সময় তার থেকে অনেকক্ষণ বেশি সময় দিয়েছেন। এর জন্য বিচার ব্যবস্থাকে ধন্যবাদ।’’ প্রসঙ্গত, রাজভবনের সামনে শুভেন্দু অধিকারীকে বুধবার ধরনা কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হয় কলকাতা হাইকোর্টের তরফে। শুভেন্দু অধিকারীর একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজভবনের সামনে ধর্না অবস্থান কর্মসূচিতে শেষ পর্যন্ত সবুজ সঙ্কেত মিলল। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা বিরোধী দলনেতাকে শর্ত সাপেক্ষে রাজভবনের সামনে ধর্না আন্দোলন কর্মসূচি পালন করার অনুমতি দেন।

‘আমাদের কোনও অনুমতি লাগবে না, আন্দোলন আরও তীব্র হবে…’ বিধানসভার অধ্যক্ষকে ‘জবাব’ শুভেন্দু অধিকারীর

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: বিধানসভার অধ্যক্ষকে ‘জবাব’ দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রশ্ন তুললেন, তৃণমূলের নবনির্বাচিত দুই বিধায়ক বিধানসভায় ধর্না দেওয়ার অনুমতি স্পিকার দিলেও কোচবিহার ও চোপড়া ইস্যুতে বিজেপির মহিলা বিধায়কদের ক্ষেত্রে কেন অনুমতি মিলবে না? এক যাত্রায় পৃথক ফল হতে পারে না বলে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে স্পষ্ট জানিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আমাদের কোনও অনুমতি লাগবে না। আন্দোলন আরও তীব্র হবে।’’

আরও পড়ুন- ‘শাবাস সাউথ আফ্রিকা, শাবাস’, ম্যাচ শেষে হতাশ মার্করামদের উৎসাহ দিলেন ভারতীয় সমর্থকরা, ভাইরাল ভিডিও

পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী এও বলেন, ‘‘বিজেপি অধ্যক্ষের কাছে ধর্নায় বসার অনুমতি চাইলেও তা দেননি অধ্যক্ষ। অথচ তৃণমূলের ধরনায় অনুমতি দিয়েছেন অধ্যক্ষ। বিধানসভাটা কি তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় নাকি অধ্যক্ষের নিজস্ব সম্পত্তি?’’ এই প্রশ্ন তুলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দুই বিধায়কের বিধানসভায় ধরনায় বসা নিয়ে চড়া সুরে বলেন, ‘‘তাঁদের যেহেতু রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ তাই বিধানসভায় কেন, দম থাকলে রাজভবনের গেটের সামনে ধর্না দিন।’’

তৃণমূলের দুই নবনির্বাচিত বিধায়কের শপথ জট এখনও অব্যাহত। বিধানসভায় শপথের আবেদন জানিয়ে রাজ্যপালকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছেন দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রায়াত হোসেন সরকার। কিন্তু রাজভবনের তরফে কোনও বার্তা না আসায় বিধানসভাতেই ধরনায় বসেন দুই জয়ী তৃণমূল বিধায়ক। তাঁদের একটাই বক্তব্য, রাজভবন নয়, বিধানসভাতেই শপথ বাক্য পাঠ করাতে হবে। অন্যদিকে, সোমবার কোচবিহার ও চোপড়া কাণ্ড নিয়ে বিধানসভা চত্বরে অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে বিক্ষোভ ও ধর্না প্রদর্শন করেন বিজেপির মহিলা বিধায়কেদের একাংশ।

আরও পড়ুন- উত্তরবঙ্গে ফের প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা! দক্ষিণবঙ্গে কবে থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে? জেনে নিন

স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল বলেছিলেন, ‘‘অনুমতি ছাড়া বিজেপি বিধায়করা বিক্ষোভে করছেন। আমি ওদের অনুমতি দিইনি, কেন বসেছে জানি না। ব্যবস্থা নেওয়া যায় কীভাবে দেখছি। মার্শালকে বলব বিষয়টি দেখতে।’’

স্পিকার আরও বলেন, ‘‘তৃণমূল আগে অনুমতি চেয়েছিল তাই ওদের দিয়েছি। বিজেপি বিধায়করা যদি আগে অনুমতি চাইতেন তাহলে ওদেরটাও বিবেচনা করে দেখতাম।’’ আর স্পিকারের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কার্যত স্পিকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বললেন, ‘‘আমাদের কোনও অনুমতি লাগবে না। রাজ্য মহিলা কমিশনের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের মদতে কোচবিহার চোপড়া-সহ একের পর এক অমানবিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির আন্দোলন বিধানসভার ভেতরে ও বাইরে আগামী দিনে আরও তীব্র হবে।’’

‘I am sorry to say…..।‌’ মনের ‘ব্যথা’ উল্লেখ করে রাজ্যপালকে ৩৫৫ লাগুর বার্তা শুভেন্দুর

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: রাজ্যে ৩৫৫ ধারা লাগুর প্রশ্নে ফের জোর সওয়াল করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।‌ কোচবিহার এবং চোপড়ার ঘটনাকে সামনে রেখে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘শুধু কোচবিহার বা চোপড়ার ঘটনাই নয়, শাসকের মদতে প্রায় প্রতিদিনই একটার পর একটা ঘটনা ঘটেই চলেছে।‌ রাজ্যে কোনও আইনের শাসন নেই। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপালের উচিত অবিলম্বে কেন্দ্রের কাছে এ ব্যাপারে লিখিতভাবে জানানো।’’

আরও পড়ুন– চলতি বছরের সেরা ইকোনমি ক্লাস এয়ারলাইনসের র‍্যাঙ্ক তালিকায় স্থান পেয়েছে কোন কোন বিমান সংস্থা? রইল সেই তালিকা

শুভেন্দু অধিকারী এও বলেন, ‘‘যে কোনও রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ার ভুক্ত। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্র সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তারা শুধু রিপোর্ট চাইতে পারে। আমরা বলছি না যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের অর্থনৈতিক কিংবা প্রশাসনিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হোক। নির্বাচিত সরকার ২০২৬ সাল পর্যন্তই থাকুক। ‌ মুখ্যমন্ত্রীও নির্দিষ্ট সময় পর্যন্তই থাকুন। কিন্তু রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার যা পরিস্থিতি তাতে অবিলম্বে সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপালের উচিত কেন্দ্রকে অবিলম্বে ৩৫৫ ধারার মাধ্যমে পুলিশি ব্যবস্থা যাতে কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রণ করে সে ব্যাপারে কেন্দ্রকে আর দেরি না করে এবার লিখিতভাবে সুপারিশ করা।’’

আরও পড়ুন– হাতে কাগজ নিয়ে জেলাশাসকের অফিসে গিয়ে নালিশ দুই শিশুর ! ওদের কথা শুনে প্রত্যেকেই অবাক

বাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিচার ব্যবস্থার প্রতি বিরোধী দলনেতার পূর্ণ আস্থা থাকলেও রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে কিছুটা ক্ষোভ ধরা‌ পড়ল শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যে। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে বিচার ব্যবস্থা যেভাবে রাজ্যের গণতন্ত্র রক্ষায় পদক্ষেপ নিচ্ছে তা প্রশংসনীয়। ‌ কিন্তু আজ আমি মনের অত্যন্ত দুঃখের জায়গা থেকে বলছি যে, রাজ্যপালের উদ্যোগ ভাল, কিন্তু I am sorry to say , সাংবিধানিক পদে থেকে অনেকেরই যে ভাবে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত তা কেউ কেউ নিচ্ছেন না। বর্তমানে রাজ্যের বেহাল আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি যা তাতে রাজ্যপালের উচিত বাংলায় ৩৫৫ কার্যকর করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের কাছে দরবার করার সময় এসেছে।’’

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ‌ বোসকে বার্তা দিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এদিন আরও বলেন, ‘‘রাজ্যের ৪০ থেকে ৫০ টি থানা এলাকার আইন-শৃঙ্খলা অত্যন্ত শোচনীয়। আমার কাছে রাজ্যপাল যদি জানতে চান আমি সেই সমস্ত থানার নামের তালিকা ওনাকে দিতেও প্রস্তুত আছি।’’ প্রসঙ্গত, এর আগেও রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দ্বারস্থ হন কেন্দ্রের। ‌চিঠি লেখেন রাজ্যপালকেও। তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে ৩৫৫ লাগুর দাবিও করেন। এবার কোচবিহার, চোপড়া-সহ ক্রমাগত ঘটে যাওয়া ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ফের রাজ্যে ৩৫৫ কার্যকর করা নিয়ে রাজ্যপালের উপর চাপ বাড়ালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।