Jute Cultivation: তিতকুটে পাট পাতায় হাতির অরুচি, তাতেই আশা দেখছেন কৃষকরা

আলিপুরদুয়ার: পাট‌ পাতার স্বাদ খুব‌ই তিতকুটে। মানুষ তো কোন ছাড়, তৃণভোজী অন্যান্য প্রাণীরাও এই পাতা পছন্দ করে না। সবসময়ই পাট পাতা এড়িয়ে চলে তারা। সেই দলে আছে ডুয়ার্সের জংলি হাতিরাও। আর তাই জমির ফসল বাঁচাতে এবার পাট চাষের দিকে ঝুঁকছেন ডুয়ার্সের জঙ্গল লাগোয়া এলাকার কৃষকরা।

হাতির চরিত্রের এই বৈশিষ্ট্য কাজে লাগিয়ে তাই এখন নিশ্চিন্তে পাট চাষ করছেন মেন্দাবাড়ি এলাকার কৃষকরা। এই এলাকার ৬০ বিঘা জমিতে নতুন করে পাট চাষ করা হয়েছে। এলাকার কৃষকদের কেউ ২ বিঘা, আবার কেউ ৫ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন।ধীরে ধীরে গাছগুলি বেড়ে উঠছে। যা দেখে খুশি স্থানীয় চাষিরা।

আরও পড়ুন: শেষ রক্ষা হল না! চিতাবাঘের চামড়া সহ ধৃত দুই

পাট উষ্ণ ও আদ্র আবহাওয়ার ফসল। পাট উৎপাদনের অনুকূল তাপমাত্রা ২৫-৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে ৯০% আদ্রতার প্রয়োজন হয়। পাট বর্ষজীবি, দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ। মাঝারি বৃষ্টিপাত পাট চাষের জন্য অনুকূল। বৃষ্টিপাত ফসলের প্রাথমিক অবস্থায় অর্থাৎ এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে হলে ফলন বৃদ্ধি পায়। চারা বৃদ্ধির প্রাথমিক অবস্থায় আবার অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত পাট চাষের জন্য ক্ষতিকারক। কারণ চারা অবস্থায় পাট গাছের গোড়ায় জল দাঁড়ালে গাছ নষ্ট হয়ে যায়।

প্রথম অবস্থায় পাট গাছ রোপণের পর ভয় পেয়েছিলেন এখানকার কৃষকরা। কারণ তাপপ্রবাহ চলায় ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় পেয়েছিলেন তাঁরা। তবে মাঝে মধ্যে হালকা বৃষ্টিপাত পরিস্থিতির উন্নতি ঘটিয়েছে। এই বিষয়ে কৃষক চন্দন কার্জি জানান, পাট চাষ করেই লাভ হচ্ছে। এই এলাকার আবহাওয়া চাষের পক্ষে উপযোগী। তাছাড়া এই চাষ করলে হাতি আসে না। ফলে লাভের মুখ দেখা যায়।

ঘটনা হল এইসব এলাকায় অন্যান্য ফসল যেমন- ধান, ভুট্টা, সুপরি চাষ করলেই চলে আসে হাতি। খাবারের লোভে চাষের জমি তছনছ করে দেয়। ফলে চাষ করেও ক্ষতির মুখে পড়েন কৃষকরা। কিন্তু পাট গাছের পাতা তিতকুটে হওয়ায় তার স্বাদে অরুচি হয় হাতির‌। তাই তারা জমিতে পাট চাষ করলে সেই জায়গা সযত্নে এড়িয়ে চলে।

অনন্যা দে