কারখানার সামনের থেকে ছবি

Labour Unions Unrest: শাসক-বিরোধী তরজায় কাজ বন্ধ কারখানায়

হুগলি: শাসক-বিরোধী তরজায় বন্ধ হল কয়েক হাজার শ্রমিকের কাজ। এদিন দুই পক্ষের ইউনিয়নের ঝামেলায় হুগলিতে কাজ বন্ধ হয়ে গেল একটি অ্যালুমিনিয়াম কারখানার। মগড়ার হোয়েরা এলাকায় জিটি রোডের ধারে ইএসএস অ্যালুমিনিয়াম কারখানায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এই কারখানার আগের নাম ছিল ইন্ডিয়া ফয়েলস। শাসক পক্ষের ইউনিয়নের সঙ্গে বিরোধী ইউনিয়নের ঝামেলায় এদিন কাজেই যোগ দিতে পারেননি শ্রমিকরা।

স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর এই কারখানাটি গত বছর মে মাসে হস্তান্তর হয়। তারপর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হয়েছিল। সবকিছু গুছিয়ে কারখানাটি পূর্ণ উদ্যোমে কাজ করা শুরু করেছিল। এলাকারই প্রায় আড়াইশো জন এখানে শ্রমিকের কাজ করেন। কিন্তু এদিন সকালে শাসকদলের শ্রমিক ইউনিয়ন কয়েকজন শ্রমিককে কাজে যোগ দিতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ সিটুর।

আরও পড়ুন: কেরলে গাড়ি থেকে পড়ে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু

বাম শ্রমিক সংগঠনটির অভিযোগ, আজ সকালে শাসক দলের নেতারা এসে কারখানায় শ্রমিকদেরকে কাজে যোগ দিতে বাধা দেয়। যা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। মগড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। বাইরে অশান্তি হওয়ায় যারা কাজে যোগ দিতে ঢুকেছিলেন তাঁদেরও বের করে দেওয়া হয়।আগামী ২৭ মে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। সিটু নেতা তরুণ ঘোষ বলেন, কারখানায় প্রজেক্টের কাজ চলছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে শ্রমিকরা কাজে আসে। তৃণমূলের লোকজন এসে শ্রমিকদের কাজে ঢুকতে বাধা দিয়েছে। ততক্ষণে বেশকিছু শ্রমিক ভিতরে ঢুকে যায়। বাইরে থাকা শ্রমিকদের আমরা ঢোকানোর ব্যবস্থা করতে গেলে দেখি যারা ভিতরে ঢুকেছিল তাদেরও বের করে দিয়েছে সিকিউরিটি।

কর্তৃপক্ষ মৌখিকভাবে কাজ বন্ধ বলে জানিয়ে দেয়। বাম শ্রমিক সংগঠনের অভিযোগ কারখানার মালিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে শাসকদলের শ্রমিক সংগঠন এই কাজ করেছে। এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে, দিগসুই হোয়েরা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান বীরেন্দু খাঁড়া বলেন, সিটুর কয়েকজন শ্রমিক অন্য শ্রমিকদের ভয় দেখাচ্ছে। সিপিএম না করলে তারা কাজ করতে পারষবে না বলে হুমকি দিয়েছে। এই একই জিনিস তার আগেও করত যখন কংগ্রেস ছিল। শ্রমিকের কোনও দল হয়না। আমরা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে লড়ছি। সিটু সে কথা বলছে না। যে শ্রমিকদের ভয় দেখাচ্ছিল তাকে আমরা আটকেছি। বাকি কাউকে আটকানো হয়নি।সিটু ওখানে শ্রমিকদের থেকে কমিশন তুলছে।

রাহী হালদার