উওর ২৪ পরগনা: অমৃত ভারত প্রকল্পে অত্যাধুনিক রূপ পাওয়ার পথে সীমান্ত শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন বনগাঁ। সেই কাজ চলছে। কিন্তু অত্যাধুনিক স্টেশন তৈরির সেই পরিকল্পনাই এবার বাঁধার মুখে। স্টেশনের হকার ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের জেরে জটিল হয়ে উঠল পরিস্থিতি।
রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি’র বনগাঁ সংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে এদিন বনগাঁ স্টেশনে মিছিল করে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। মিছিলের নেতৃত্ব দেন শ্রমিক সংগঠনটির জেলা সভাপতি নারায়ণ ঘোষ। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বনগাঁ স্টেশনে হকারি করে আসাদের আধুনিকীকরণের নামে উচ্ছেদ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, স্টেশন এলাকার বাইরে টোটো-অটোর স্ট্যান্ড’ও সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ রেলের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে বলে জানান। কোনওরকম আগাম আলোচনা ছাড়াই হঠাৎ করে রেলের এমন সিদ্ধান্তেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে স্টেশন এলাকার যাত্রী, পরিবহণ ব্যবসায়ী ও হকারদের মধ্যে।
আরও পড়ুন: কবি কুমুদ রঞ্জন মল্লিকের জন্মভিটেতে আসতে পারেন আপনিও, রয়েছে থাকার জায়গা
এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে এতদিনের ব্যবসায় এভাবে আঘাত নেমে আসায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কয়েকশো স্থানীয় ব্যবসায়ী। এখন কীভাবে সংসার চলবে সেটা বুঝে পাচ্ছেন না তাঁরা। এরই প্রতিবাদে আইএনটিটিইউসি’র পক্ষ থেকে রেলের আধিকারিকদের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। রেল এই হকার ও প্রান্তিক পরিবহণ ব্যবসায়ীদের কথা না ভাবলে আগামী দিনে ১০ হাজার লোক নিয়ে আন্দোলনের হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। রেল লাইনে শুয়ে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখানোর কথাও বলা হয়।
বনগাঁ স্টেশনে হকার উচ্ছেদ প্রসঙ্গে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতা নারায়ণ ঘোষ বলেন, রেলের এই দ্বিচারিতা আমরা মানব না। স্টেশন এলাকার হকার ভাইদের কোনও নোটিশ ছাড়াই উচ্ছেদ করে দেওয়া হয়েছে, কোনরকম আলোচনা ছাড়াই। এর তীব্র প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে আমাদের তরফে। রেলকে অবিলম্বে বিষয়টি দেখারও অনুরোধ জানানো হয়েছে। নাহলে আগামীতে বড় আন্দোলন গড়ে উঠবে বলে তিনি জানান। এই বিষয়ে রেলের সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার এম কে বসাক জানান, রেলের উন্নয়নের স্বার্থে অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় বনগাঁ স্টেশন আধুনিকীকরণের কাজ চলছে। তাই প্রথম পর্যায়ে স্টেশন লাগোয়া যে সমস্ত দোকান ছিল তাদের তুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যে সমস্ত টোটো-অটো স্ট্যান্ড ছিল স্টেশনের বাইরে তাদেরকেও আপাত সরে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তীকালে বনগাঁ স্টেশন আধুনিকীকরণের কাজ শেষ হলে তাঁদেরকে আবারও পুরনো জায়গায় ফিরিয়ে আনা হবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন। এই আশ্বাস বাণী শোনার পর কিছুটা হলেও নরম হয়েছে বিক্ষোভকারীদের সুর।
রুদ্রনারায়ণ রায়