Category Archives: হাওড়া
Diwali 2024: দিওয়ালির মরশুমে ৮০০-১০০০ জনের সাইকেল র্যালি! উদ্দেশ্য জানলে আপনিও ধন্য ধন্য করবেন
হাওড়া: দীপাবলি আলোর উৎসব হোক দূষণমুক্ত! সেই বার্তায় সারা দেশের সঙ্গে সাইকেল র্যালিতে অংশগ্রহণ জেলার সাইকেল আরোহীরা। দীপাবলিতে শব্দদানবের অত্যাচারে কার্যত অতীষ্ট হয়ে ওঠে বঙ্গবাসী| শব্দবাজির দাপট তো রয়েছে তার সঙ্গে ডিজে বক্সের দানবীয় দাপট, এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে দূষণমুক্ত দীপাবলির বার্তা নিয়ে পথে নামলেন সাইকেল আরোহীরা। উৎসব হোক দূষণমুক্ত এই বার্তাতে রাজ্যের সর্বত্র উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, রাজারহাট, সল্টলেক থেকে ৮০০-১০০০ জনের এই সাইকেল র্যালিতে অংশগ্রহণ। একই সঙ্গে এই দিওয়ালি কালীপুজোর উৎসবকে সামনে রেখে দেশের ১৭ টি রাজ্যে এই সচেতনতার র্যালি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
হাওড়ার ইছাপুর থেকে হাওড়া ব্রিজ হয়ে কলকাতায় সমাপ্তি হয় এই সাইকেল র্যালির। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কেউ সরকারি আধিকারিক, শিক্ষক, চিকিৎসক, কলেজ পড়ুয়া সকলেই রয়েছেন। ভিক্টোরিয়ার সামনে মিলিত হয় সারা বাংলা থেকে আসা সাইকেল আরোহীরা। চলার পথে হাতে ফ্লেক্স নিয়ে পথ চলতি মানুষের কাছে বার্তা দেন সাইকেল আরোহীরা। দূষণমুক্ত পৃথিবী চাই, সেই দূষণের বার্তা নিয়ে সাইকেল উইথ লাইটস এই র্যালির আয়োজন। বাজি ফাটানোর নামে প্রাণীকূল আতঙ্কে ভোগে। জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয়, তারই বার্তা নিয়ে হাওড়া থেকে ৫০ জন মিলে এই র্যালিতে অংশগ্রহণ বলে জানালেন। একই সময় ভারতবর্ষের ১৭ টি রাজ্যে সচেতনটা রুখতে সাইকেল র্যালির আয়োজন বলে জানালেন রান এন্ড ফ্যানের অ্যাডমিন এবং কোচ তথা সরকারি অফিসার গৈরিক বসু।
আরও পড়ুন: জমজমাট হাওড়ার বাজিমেলা! স্কাইশর্ট থেকে বাটারফ্লাই করছে বাজিমাত
আরও পড়ুন: রঙিন গামছা দিয়ে তৈরি কালী প্রতিমা! অভিনব ভাবনা এই প্রান্তিক শিল্পীর
হাওড়া সাইকেল আরোহীর অন্যতম সদস্য শিক্ষক রাকেশ দাস জানান, দীপাবলিতে দূষণে ভরে ওঠে আমাদের প্রিয় শহর। দীপাবলি মানে আলোর উৎসব। তাই শব্দ নয়, আলোর উৎসবে মেতে উঠুক সকলে, এই বার্তা দিতেই তাঁদের এই উদ্যোগ।
রাকেশ মাইতি
Diwali 2024 : জমজমাট হাওড়ার বাজিমেলা! স্কাইশর্ট থেকে বাটারফ্লাই করছে বাজিমাত
হাওড়া: এবার আরও জমজমাট হাওড়ার বাজিমেলা! এই মেলায় দারুন চাহিদার সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে NEERI স্বীকৃত বিভিন্ন বাজি। কালীপুজো মানেই যেমন আলো, তেমন বাজিও। নানা ধরণের বাজির আলোয় ভরে উঠবে চারিদিক। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়ে গিয়েছে বাজি বিক্রি। ২০১৮ সাল থেকে সূচনা হয় হাওড়ার বাজিমেলা। এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজি মেলার তকমা পেয়েছিল এই মেলা। এবার ২০০-অধিক বাজি স্টল ছিল। এবার হাওড়া বাজি মেলায় স্কাই শট, বাটারফ্লাই, রঙিন ফুলঝুড়ি বাজির দারুন চাহিদা। শুরু থেকেই মানুষের আকর্ষণে এই বাজি মেলা।
এই মেলায় পঞ্চাশটি স্টল। এখানে মহিলা বিক্রেতাদের প্রাধান্য দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। এবার মেলায় প্রায় অর্ধেক অংশ মহিলা বিক্রেতা রয়েছেন। অধিকাংশ বাজি স্টলই এমএসএমই রেজিস্টারভুক্ত। এই বাজার মেলায় শহরের মানুষের অন্যতম আকর্ষণের কারণ হল প্রশাসন স্বীকৃত এই মেলায় পরিবেশবান্ধব বাজি। যেখানে কোনরকম ঝামেলা ছাড়া বাজি ক্রয় করতে পারছেন।
আরও পড়ুন: সকলের জীবন ভরে উঠুক আনন্দের আলোয়! প্রিয়জনদের পাঠান দীপাবলির শুভেচ্ছা
রাজ্য সরকারের নির্দেশমতে বাজি বাজারে শুধুমাত্র সবুজ বাজিই বিক্রি হচ্ছে। বাজি বাজার ছাড়াও হাওড়া শহরের অন্যত্র কেউ বাজি বিক্রি করলে তাঁকে প্রশাসনের নির্দিষ্ট অনুমোদন নিয়ে, তবেই শুধুমাত্র সবুজ বাজি বিক্রি করতে হবে। আর কেউ বেআইনিভাবে বাজি বিক্রি করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমনটাই জানালেন এই বাজি মেলার সেক্রেটারি শ্রী সৌমিত্র মণ্ডল।
সারা বাংলা আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায়ের উদ্যোগে শুরু হয়েছে হাওড়া বাজি মেলা। এই মেলার সেক্রেটারি শ্রী সৌমিত্র মণ্ডল। ২৫ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই বাজি মেলা চলবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। এক কালে আকাশ প্রদীপ, তুবড়ি বানানো, ফানুস উড়িয়ে পালিত হত কালীপুজো। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আজ বাজি বাজার সবুজ বাজি, পরিবেশবান্ধব বাজিতে পৌঁছে গিয়েছে আধুনিকতার হাত ধরে।
সৌমিত্র মণ্ডল আরও জানান, মেলায় এখন ফেভারিট ড্রোন বাজি। এই আতসবাজির এমন চাহিদা যে যোগান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দোকানদারদের। প্রতিটি স্টলেই নতুন নতুন বাজি নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। তবে তার মধ্যে সবথেকে বেশি চাহিদা রয়েছে ড্রোন বাজি, বাটারফ্লাই ও স্কাই শট-এর মতো বাজি। নতুন ধরনের আতসবাজি দিয়ে বাজিমেলা, নিজের পছন্দমতো বাজি কিনতে রোজ সেখানে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। ক্রেতাদের পাশাপাশি বিক্রেতাদের মুখেও দারুন হাসি।
রাকেশ মাইতি
Job: চাকরির পরীক্ষার কোচিং কোনও ভর্তি ফি ছাড়াই! দুর্দান্ত সুযোগ উলুবেড়িয়ার জেলা কর্মবিনিয়োগ কেন্দ্রের
হাওড়া: এক অভিনব কোচিং সেন্ট্রারের আয়োজন। উদ্যোক্তা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জেলা কর্মবিনিয়োগ কেন্দ্র উলুবেড়িয়া। ইচ্ছুক ছেলে-মেয়েদের জন্য ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সরকারি চাকরির জন্য স্পেশাল কোচিং সেন্টার। রাজ্যে চাকরির কর্মসংস্থান হলেও পর্যাপ্ত কোচিং-এর অভাবে অনেক সময় ছেলে-মেয়েরা চাকরি পায় না। সরকারি চাকরি না থাকায় চাকরি নিয়ে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে হতাশা ক্রমশই বাড়ছেই।
অন্যদিকে প্রতি বছর শ্রমশক্তিতে যোগ হওয়া নতুন মুখের তুলনায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে অর্ধেক। ফলে বেড়েই চলেছে বেকারের সংখ্যা। ফেসবুক-ইউটিউব চ্যানেল খুলেও আয়ের চেষ্টা করছেন অনেকে। আবার উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন অনেক শিক্ষিত তরুণ-তরুণী। তাদের অধিকাংশই আর ফিরছেন না।
আরও পড়ুন: ঐশ্বর্যকে ছেড়ে তাঁর সঙ্গেই চুটিয়ে প্রেম অভিষেকের? জল্পনার মাঝেই প্রথম মুখ খুললেন নিমরত, যা বললেন…
এমত অবস্থায় যারা রাজ্য সরকারি চাকরি পেতে ইচ্ছুক সেই সমস্ত ছেলে-মেয়েরা অনেক সময় টাকার অভাবে উপযুক্ত ট্রেনিং না পেয়ে পরীক্ষায় ক্র্যাক করতে পারে না। এইবার তাঁদের জন্য বিশাল সুযোগ এনেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জেলা কর্মবিনিয়োগ কেন্দ্র, উলুবেড়িয়া।
সরকারি চাকরির প্রস্তুতির জন্য এই স্পেশাল কোচিং-এর আয়োজন করেছে তাঁরা। এই চাকরির স্পেশাল কোচিং ক্লাস অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ২৯ অক্টোবর উলুবেড়িয়া এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ-এ। সমস্ত ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীদের উলুবেড়িয়া এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ-এ যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। যোগাযোগের নং -০৩৩-২৬৬১-০২১২।
ডব্লু.বি.পি, ডব্লু.বি.সি.এস, পি.এস.সি, এস.এস.সি (উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক), রেল, ব্যাঙ্ক ইত্যাদি পরীক্ষার জন্য এই কোচিং সেন্টারে স্পেশাল কোচিং দেওয়া হবে। এই স্পেশাল কোচিং-এর জন্য কোনও ভর্তি-ফি নেই। এমনকি এই স্পেশাল কোচিং-এর কোর্সের কোনও সময়কাল নেই। এমনকি এই কোচিং-এর নাম নথিভুক্তর জন্য একটি কিউআর কোড ও দেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে খুব সহজেই নাম নথিভুক্ত করা যাবে |
রাকেশ মাইতি
Kali Puja 2024: রঙিন গামছা দিয়ে তৈরি কালী প্রতিমা! অভিনব ভাবনা এই প্রান্তিক শিল্পীর
হাওড়া: শিল্পী শ্যাম জানার হাতে তৈরি প্রতিমা মানেই অভিনবত্ব। এবার দুর্গাপুজোয় সুপারির তৈরি প্রতিমা, তারপর লক্ষীপুজোয় কয়েন-এর তৈরি প্রতিমার পর আসন্ন কালী পুজোয় নানা রঙের গামছা দিয়ে তৈরি প্রতিমা গড়ে নজির সৃষ্টি করলেন শিল্পী শ্যাম জানা ।
আরও পড়ুনঃ অমিতাভের সঙ্গে কাজেই রাতারাতি হিট! ২ ছবির পরই উধাও! কোটিপতি বাবার মেয়ের এ কীভাবে দিন কাটছে
উচ্চতায় ১৪ ফুট এবং চওড়ায় প্রায় ৯ ফুট এই কালী ঠাকুর তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে লাল, নীল, সাদা, মেরুন, সবুজ থেকে শুরু করে নানা রং -এর গামছা। শুধু কালী প্রতিমাই নয় শিব থেকে শুরু করে প্রতিমার সম্পূর্ণ সজ্জায় ব্যবহৃত হয়েছে এই গামছা । এই প্রতিমাটি পাড়ি দেবে পার্শ্ববর্তী জেলায় |
শিল্পী শ্যাম জানা হাওড়ার এক বিখ্যাত নাম, গত ১২ বছর ধরে নানা জিনিস দিয়ে থিমের প্রতিমা তৈরি করে হাওড়া সহ গোটা রাজ্যবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন শিল্পী। পেশায় তিনি কারখানার শ্রমিক। ২০১২ সালে প্রথম নিজের ইচ্ছেতে নারকেলের প্রতিমা তৈরি করেন।
তারপর একের পর এক প্রতিমা কখনও সাবু, চিপস, ম্যাগির তৈরি প্রতিমা, কখনও কাঠ কয়লা, সুপারি, সন্দেশ, পাট-সহ বিভিন্ন জিনিস দিয়ে তৈরি প্রতিমা করেছেন তিনি। সারাদিন অন্যান্য কাজে মধ্যে ব্যস্ত থাকলেও আরও নতুন কোন জিনিসে কীভাবে প্রতিমা তৈরি করা যায় তা নিয়ে অনবরত ভাবতে থাকেন শিল্পী।
দুর্গাপুজোর সময় থেকেই দুর্গাপুজোর পাশাপাশি এই কালি প্রতিমা তৈরিতে হাত লাগিয়েছেন শিল্পী শ্যাম জানা | কয়েক বছর ধরে তাঁর প্রতিমা তৈরিতে মেয়ে সাহায্য করছে |ঠাকুরের চোখ আঁকা থেকে প্রতিমা তৈরিতে বাবাকে সাহায্য করে বলে জানাল মেয়ে স্বস্তিকা জানা | প্রতিমা তৈরীতে তাঁর অভিনব চিন্তাভাবনা মানুষকে মুগ্ধ করে, আর তাতেই শিল্পীর তৃপ্তি বলেই জানালেন শ্যাম জানা |
রাকেশ মাইতি
Howrah News: ধামাকা খবর! হাওড়ার ইতিহাসে এই প্রথম আইপিএল-এর ধাঁচে টেনিস ক্রিকেট টুর্নামেন্ট
হাওড়া: টেনিস ক্রিকেট ইতিহাসে হাওড়ায় এই প্রথম আইপিএল-এর ধাঁচে টেনিস ক্রিকেট টুর্নামেন্ট! শুরু হয়েছে জোরদার প্রস্তুতি। সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হল হাওড়া প্রিমিয়ার লিগের অকশন পর্ব। ক্রিকেট নিয়ে চর্চা সারা দেশ জুড়ে। যেখানে সচিন তেন্ডুলকারকে দেখা গেছে ISPL টেনিস ক্রিকেটের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসাবে। ময়দান থেকে অলিগলিতে দারুণ চল রয়েছে টেনিস ক্রিকেট খেলার। কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী জেলা এবং দেশের বড় বড় শহরগুলিতে বড় বড় টুর্নামেন্ট আয়োজিত হচ্ছে। সেই দিক থেকে বর্তমান সময়ে টেনিস ক্রিকেট খেলোয়াড়দের কদরও বেশ। সম্প্রতি আইপিএল-এর অনুকরণের টেনিস ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এই খেলার আয়োজন ও অনুষ্ঠানে ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তণ ক্রিকেটারদেরও দেখা যায়। আগামী দিনে আইপিএলের পথেই এগোতে পারে টেনিস খেলা এমনটাই মনে করছেন অনেকে। ফলে আরও বেশি টেনিস খেলার দিকে ঝুঁকেছে যুব সমাজ। বিশেষ করে টেনিস ক্রিকেট খেলায় আরও বেশি আস্থা পাচ্ছে। যে কারণে যুব সমাজ এই খেলার প্রতি আরও বেশি করে উৎসাহিত।
সারা দেশে টেনিস ক্রিকেট নিয়ে জোরচর্চা। জেলায় টেনিস ক্রিকেট খেলোয়াড়দের প্রতিভা থাকলেও নিজেদের তুলে ধরার সুযোগ মিলছে না। সেইদিকটাই গুরুত্ব রেখেই জেলায় প্রথম অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘হাওড়া প্রিমিয়ার লিগ’। এই টুর্নামেন্টে শুধুমাত্র হাওড়া জেলার খেলোয়াড়ই সুযোগ পাবেন। বর্তমানে টেনিস ক্রিকেট খেলার চল দারুণ রয়েছে হাওড়া জেলায়। খেলোয়াড়দের মান উন্নত করতে এই টুর্নামেন্টে বিশেষ নিয়ম। যেখানে প্রতিটি দলে কমপক্ষে ২ জন ৪০ ঊর্ধ্ব বয়সী খেলোয়াড় ও একজন অনুর্ধ ২০ বছরের খেলোয়াড় খেলানো বাধ্যতামূলক। এতে নতুন প্রজন্মের প্রতিভাবান খেলোয়াড়রা প্রবীণ খেলোয়ারদের থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারবে। যার মাধ্যমে আরও বেশি পরিণত হবে জেলার নতুন টেনিস ক্রিকেট তারকা। হাওড়া প্রিমিয়ার লিগে অংশগ্রহণে খেলোয়ার রেজিস্ট্রেশন এবং ১৬ টি দলের রেজিস্ট্রেশন আগেই সম্পন্ন হয়েছে। এরপর হাওড়া টাউন হলে সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হয় অকশন পর্ব। লিগ শুরু আগেই দারুণভাবে সাড়া ফেলেছে হাওড়া প্রিমিয়ার লিগ।
আরও পড়ুন: ৫ সরকারি স্কুলের বিকাশ মেলা! টেক্কা দিল বেসরকারি স্কুলকে
হাওড়া প্রিমিয়ার লিগের নিয়ম অনুযায়ী নিলামের আগেই প্রতিটি দল একজন করে ব্র্যান্ড খেলোয়াড় রাখতে পারবেন। প্রতিটি দলের হাতে দশ হাজার পয়েন্ট থাকবে। সেখান নিলামে পয়েন্টের মাধ্যমে ১৫ জনের দল তৈরি করতে পারবেন দলের মালিক। প্রতিটি খেলোয়াড় বেস প্রাইস ৩০০ পয়েন্ট রাখা হয়।
আরও পড়ুন: গ্রাম বাংলার পছন্দের টক ঝাল মিষ্টি স্বাদের এই ভর্তা! এক থালা গরম ভাত উঠে যাবে নিমেষে
এ প্রসঙ্গে সিনিয়র টেনিস ক্রিকেট খেলোয়ার পিন্টু জাসওয়াল জানান, এটি জেলার টেনিস খেলোয়াড়দের জন্য সুবর্ণ সুযোগ বলা যেতে পারে। ওখান থেকেই বড় মঞ্চে নিজেদেরকে তুলে ধরার সুযোগ।
এ প্রসঙ্গে উদ্যোক্তারা পার্থ জিৎ পাঁজা ও অরিজিৎ দাস জানান, জেলার টেনিস ক্রিকেট খেলোয়াড়দের মান উন্নত করতে এই লীগের আয়োজন। নতুন প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের পরিণত করতে লিগে বিশেষ নিয়ম রাখা হয়েছে। যেখানে সিনিয়র খেলোয়াড়রা মাঠে যুব সমাজের সাথে থাকবে। সিনিয়র খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতা আর যুব খেলোয়াদের পরিশ্রম মাঠে অন্য মাত্র পাবে প্রতিযোগিতা। আগামী ১৯ নভেম্বর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবো এই খেলা। প্রথমে লীগ ও পরে নক আউট পদ্ধতিতে খেলা অনুষ্ঠিত হবে। খেলোয়াড়রা প্রত্যেকেই তাঁদের অকশন মূল্যও পাবেন খেলা চলাকালীন। ফলে বলা যেতেই পারে, টেনিস ক্রিকেটারও এবার পেশাদার মর্যাদা পেতে চলছে। ১৯ শে নভেম্বর থেকে ২৪ শেনভেম্বর পর্যন্ত এই খেলা অনুষ্ঠিত বা হাওড়ার আন্দুল রাজ মাঠে।
রাকেশ মাইতি
Howrah News: ৫ সরকারি স্কুলের বিকাশ মেলা! টেক্কা দিল বেসরকারি স্কুলকে
হাওড়া: হাওড়া শহরে পাঁচটি সরকারি স্কুল একসঙ্গে বিকাশ মেলার আয়োজন। ছাত্রছাত্রীদের স্কুলমুখী করতে এবং হাতে কলমে শিক্ষা দিতে মেলা। মূলত বিদ্যালয়ে সাধারণ নিয়মে পঠন পাঠনের পাশাপাশি এমন উদ্যোগে জ্ঞান সঞ্চয়ে দারুণ উৎসাহী উৎসাহিত ছাত্র ছাত্রী। সরকারি স্কুলে মনোযোগ বাড়াতে দুদিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান| “খেলবো, জিতবো আর মজা করবো ” এই ট্যাগ লাইন অনুষ্ঠিত হল বিকাশ মেলা | জ্ঞান জ্যোতি বিদ্যা মন্দিরের উদ্যোগে এই বিকাশ মেলা এই বছর দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ করল কম্পিউটার, নাচ, আঁকা, যোগা হস্তশিল্প, মানবজীবনকে যে সমস্ত জিনিষ সচেতন করে সে সমস্ত বিষয়ক সচেতনমূলক বিষয় যেমন শিশু নির্যাতন থেকে শুরু করে সাইবার ক্রাইম, ডেঙ্গি, জল অপচয় বন্ধ,প্লাস্টিক দূষণ রোধ,স্বাস্থ্যকর, অস্বাস্থ্যকর খাবার সহ একাধিক বিষয়ে লেখা, ছবির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে এই বিকাশ মেলায়| সাঁতরাগাছি ভানুমতী গার্লস স্কুল, শিবপুর হিন্দু গার্লস প্রাইমারি স্কুল, জ্ঞান জ্যোতি বিদ্যামন্ডির সহ ৫ টি বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিভাগ এই বিকাশ মেলায় অংশগ্রহণ করে|
আরও পড়ুন: ধনতেরাস থেকে কালীপুজো, তলানিতে চিনা বাতির দাপট, ফুলেফেঁপে উঠছে মাটির প্রদীপ শিল্প
সাধারণত জেলায় বেসরকারি স্কুলগুলিকে পাল্লা দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের নানা কৌশলে পঠন পাঠনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে জেলার সরকারি স্কুলগুলিতে। সরকারি স্কুল যেখানে আধুনিক ব্যবস্থায় পঠন-পাঠন শুরু হয়েছে। স্মার্ট ক্লাসরুম, সরকারি স্কুলেও কম্পিউটার শিক্ষার মত একাধিক ব্যবস্থাও রয়েছে। এর পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি ছবি আঁকা বা হাতের নাচ গান শরীরচর্চা সহ অতিরিক্ত জ্ঞান অর্জনে নানা প্রশিক্ষণ। সেই সমস্ত শিক্ষাকে সামনে রেখেই স্কুলে প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হতে দেখা যায়। এবার সরকারি স্কুলে একত্রিতভাবে পাঁচটি স্কুলের প্রদর্শনী। এর মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে পঠন-পাঠনের পাশাপাশি সৃজনশীল সৃষ্টিতে আরও বেশি মনোযোগী করবে। এবং সরকারি স্কুলের প্রতি আস্থা বাড়বে অভিভাবকদের। এমনটাই মনে করছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা।
আরও পড়ুন: তেল বা ইলেক্ট্রিক ছাড়াই জ্বলবে দীপ! এবারের দীপাবলিতে ট্রেন্ডিং এই আলো
বিগত ৫ মাস ধরে বিভিন্ন প্রজেক্ট,মডেল,আঁকা সব মিলিয়ে পড়ুয়ারা খুবই আনন্দিত বলে জানালেন শিক্ষিকা সুপর্ণা দে | ইংরেজি মাধ্যমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলা মাধ্যমের বিদ্যালয় যাতে এগিয়ে যেতে পারে তাই এই বিকাশ মেলার প্রচেষ্টা বলে জানালেন জ্ঞান জ্যোতি বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষিকা সুপর্ণা দে | প্রায় দেড় হাজার পড়ুয়াদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে দুদিন ব্যাপী বিকাশ মেলা এত সুন্দর করে আয়োজনের জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশাপাশি ছাত্র -ছাত্রীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন শিবপুর হিন্দু গার্লস প্রাইমারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মালা মুখার্জী |এই বিকাশ মেলা ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক বৃদ্ধির পাশাপাশি সৃজনশীলতা প্রকাশের সুযোগ বলে জানালেন বিধান চন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত কুমার মাইতি | পড়াশুনার পাশাপাশি নাচ, গান, আঁকা এই সমস্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাচ্চারা অংশগ্রহণ করলে পড়াশুনার পাশাপাশি তাঁদের ইচ্ছাগুলো আরও প্রকাশ পাওয়ার সুযোগ পাবে বলে জানালেন অভিভাবকরা |
রাকেশ মাইতি
Village Recipe: গ্রাম বাংলার পছন্দের টক ঝাল মিষ্টি স্বাদের এই ভর্তা! এক থালা গরম ভাত উঠে যাবে নিমেষে
হাওড়া: সুস্বাদু সরষে-মানকচু! গ্রামের মানুষদের অতি পছন্দের সবজির তালিকায় কচু, ওল ও মানকচু। সাধারণত গ্রামের মানুষের কাছে কচু, ওল এর থেকে বেশি আকর্ষণীয় মানকচু। গ্রামের টাটকা তাজা মানকচু এই সহজ রেসিপি জানা থাকলেই চুটকিতে বাজিমাত। উবে যাবে এক থালা ভাত।
পরিচিত মানকচুর ভর্তার থেকে এই রেসিপি একটু অন্যরকম। সাধারণত মানকচু ভর্তা বলতে, সিদ্ধ মানকচু তাতে সরষের তেল ও কাঁচা লঙ্কা মেখে দিলেই তৈরি মানকচু ভর্তা। এই ভর্তা অধিকাংশ মানুষের পরিচিত। তবে সরষে- মানকচুর ভর্তা, এতে সামান্য কয়েকটা উপকরণ দিয়ে আরও কয়েক গুণ স্বাদ বাড়িয়ে নেওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন: কালীপুজোতে ঝড়বৃষ্টি? দানার প্রভাব কাটতেই আবহাওয়ার বিরাট আপডেট আলিপুরের
সরষে মানকচুর ভর্তা তৈরিতে প্রয়োজনীয় উপকরণ মানকচু, নারকেল, সাদা সরষে, কাঁচা লঙ্কা, পাতিলেবু, স্বাদমতো লবণ। প্রথমে ছোট করে কেটে মানকচু সিদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর নারকেল কেটে বেটে নেওয়া। অন্য দিকে, সাদা সরষে এবং কাঁচা লঙ্কা একসঙ্গে বেটে নিতে হবে। মানকচু সিদ্ধ হলে, তা বেটে তার সঙ্গে নারকেল এবং সরষে কাঁচালঙ্কা দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। তাতে এক থেকে দেড় চামচ সরষের তেল এবং কয়েক ফোঁটা পাতিলেবুর রস ও পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিলে তৈরি সরষে- মানকচু। গরম ভাতের সঙ্গে এই মানকচুর ভর্তার স্বাদের জুড়ি মেলা ভার।
Special Trains for Festival: সপ্তাহব্যাপী স্পেশাল ট্রেন, আরও একগুচ্ছ সুবিধা! দীপাবলির মরশুমে রেলের বড় ঘোষণা
হাওড়া: দিওয়ালি এবং ছট উৎসবের জন্য বিশেষ ট্রেন। এই উৎসবের মরশুমে ভ্রমণকারীদের জন্য বড় সুখবর। ভারতীয় রেলওয়ে বিশেষ ট্রেন। প্রতিবছর পুজোর মরশুমে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত রেল পরিষেবা দিয়ে থাকে ভারতীয় রেল। বিশেষ করে এই সমস্ত স্পেশাল ট্রেনগুলি চলবে দুর্গাপুজোর শুরু থেকে শীতের মরশুম পর্যন্ত।
সেই দিক থেকে দীপাবলি এবং ছটের উৎসবে ছুটিতে ভ্রমণের সুবিধার্থে, রেলওয়ে ৩০ অক্টোবর ২০২৫ থেকে ৬ নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত চাহিদার উপর বিশেষ ট্রেন (TOD) চালাবে। বিশেষ ট্রেনের জন্য পরিকল্পনা এবং বিশেষব্যবস্থা, অপারেটিং, কমার্শিয়াল, মেকানিক্যাল, এবং রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স (RPF) বিভাগের অফিসার এবং সুপারভাইজারদের কাজগুলি পর্যবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য পিক ডেতে স্টেশন এবং কন্ট্রোল রুমে মোতায়েন করা হবে।
আরও পড়ুন: বলুন তো বাথরুম এবং ওয়াশরুমের মধ্যে পার্থক্য কী? এক নয় কিন্ত মোটেই…৯৯%ই ভুল উত্তর দিয়েছেন
অভিযোগ পর্যবেক্ষণ: RAIL MADAD (ভ্রমণের সময় কাঙ্খিত সহায়তার জন্য মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন) এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলিতে নিবন্ধিত অভিযোগগুলি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। জল দেওয়া, চার্জিং, প্রি-কুলিং এবং অন্যান্য রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কিত সমস্যাগুলি সমাধানে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
স্টেশন ঘোষণা এবং প্ল্যাটফর্ম ব্যবস্থাপনা: সমস্ত স্টেশনে পাবলিক অ্যাড্রেস (পিএ) সিস্টেমের মাধ্যমে যথাযথ ঘোষণা নিশ্চিত করা হবে। বিভ্রান্তি এড়াতে প্ল্যাটফর্মের মনোনয়ন আগেই নিশ্চিত করা হবে। ঘোষণার পরে যে কোনো প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তন শুধুমাত্র জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে করা হবে।যাত্রীর চাহিদা মেটাতে সম্ভাব্যতা অনুযায়ী অতিরিক্ত কোচ যুক্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: কেটে রাখলেই কালো হয়ে যায় আপেল! ছোট্ট টিপস মানলেই কেল্লাফতে, ধবধবে সাদা থাকবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা
সমস্ত স্টেশনে অসংরক্ষিত টিকিট সিস্টেম (ইউটিএস), যাত্রী সংরক্ষণ ব্যবস্থা (পিআরএস), স্বয়ংক্রিয় টিকিট ভেন্ডিং মেশিন (এটিভিএম) এবং মোবাইল আনরিজার্ভড টিকেটিং সিস্টেম (এমইউটিএস) এর সুষ্ঠু কার্যকারিতা নিশ্চিত করা হবে। সমস্ত ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে কার্যকরী ক্লোজড-সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরা থাকবে, কন্ট্রোল রুমে লাইভ ফিডগুলি পর্যবেক্ষণ করা হবে। প্রধান স্টেশনগুলিতে প্রবেশ এবং বহির্গমন গেটগুলির ম্যানিং নিশ্চিত করা হবে।
স্কাউট, গাইড এবং সিভিল ডিফেন্সের স্বেচ্ছাসেবকরা ব্যস্ত স্থানে যাত্রীদের সহায়তা করবে। জনতা খানা (সাশ্রয়ী খাবার)-সহ প্রধান স্টেশনগুলিতে পর্যাপ্ত ক্যাটারিং পরিষেবা পাওয়া যাবে। বয়স্ক এবং ভিন্নভাবে অক্ষম যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক হুইলচেয়ার উপলব্ধ করা হবে। লাইসেন্সধারী পোর্টার (কুলি) পাওয়া যাবে এবং অতিরিক্ত চার্জের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।RPF কর্মীরা এবং টিকিট-চেকিং কর্মীরা নিশ্চিত করবে যে ট্রেনে কোনও দাহ্য পদার্থ বহন করা না হয়।
প্ল্যাটফর্মগুলি উপচে পড়লে যাত্রীদের এলাকা ধরে রাখার নির্দেশ দেওয়া হবে। ছাদে যাতায়াত কঠোরভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। একটি অতিরিক্ত রেক একটি উপযুক্ত স্থানে স্থাপন করা হবে যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য। ভারতীয় রেলওয়ে উৎসবের মরসুমে নিরাপদ এবং আরামদায়ক যাত্রা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
রাকেশ মাইতি
Diwali 2024: ধনতেরাস থেকে কালীপুজো, তলানিতে চিনা বাতির দাপট, ফুলেফেঁপে উঠছে মাটির প্রদীপ শিল্প
হাওড়া: ধনতেরাস ও কালিপুজোর বাজার আশা যোগাচ্ছে মৃৎশিল্পীদের! ইলেকট্রিক আলোর দাপটে কোন ঠাসা মাটির প্রদীপ এমনটা মনে হলেও, একশ্রেণীর মৃৎ শিল্পীদের কথায় মাটির প্রদীপের ভাল চাহিদা হবে এবারও। আসলে কালীপুজোর কয়েক মাস আগে থেকে ইলেকট্রিক আলোর রমরমা থাকে। তবে পুজোর দুই তিনটে দিন আগে থেকে দারুণ চাহিদা বাড়ে মাটির প্রদীপ। তাই প্রতিবছর ১৫-২০ দিন আগে থেকে প্রদীপের পসরা দেখা যায় হাটে বাজারে। যদিও বর্তমান সময়ে সাবেকি প্রদীপের চাহিদা একেবারে কম। মানুষের চাহিদা মত, বাজার ধরতে রঙবেরঙের নানা নকশায় সজ্জিত বিভিন্ন প্রদীপ বাজার ছেয়েছে। ধনতেরাস বা কালি পুজোর দু-একদিন আগে থেকে দারুণ চাহিদা বারে প্রদীপের। সেই বাজারের আশায় এবারও বুক বেঁধে পসরা দিয়েছে ব্যবসায়ী।
আর কদিন পরেই দীপান্বিতা অমাবস্যা। এই আমাবস্যাকে আলোকের উৎসব বলা হয়। কিন্তু এই উৎসবে আলো, গত কয়েক বছর ধরে পাওয়া যাচ্ছিল চীনা ইলেকট্রিক বাতির মাধ্যমে। বলা ভাল চিনা বাতির দাপটে কৌলিন্য হারাতে বসেছিল ভারতীয় সংস্কৃতির অন্যতম প্রদীপ শিল্প। এক সময় চিনা আলোর দাপটে কোন ঠাসা হয়ে পড়েছিল বাংলার প্রদীপ। তবে বর্তমান সময়ে বাংলার ঐতিহ্য এবং পূর্ণ ছন্দ বজায় রয়েছে আলোর উৎসবে। কালিপুজোর বহু আগে থেকে ইলেকট্রিক আলোর রমরমা হলেও প্রদীপের দারুন চাহিদা হয় পুজোর দু’দিন। চিনা ইলেকট্রিক আলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রদীপ। সাবেকি প্রদীপের পরিবর্তে রঙবেরঙের নানা কারুকার্যময় প্রদীপ।
আরও পড়ুন: তেল বা ইলেক্ট্রিক ছাড়াই জ্বলবে দীপ! এবারের দীপাবলিতে ট্রেন্ডিং এই আলো
আরও পড়ুন: কখনও কি ভেবে দেখেছেন চকলেট বোম,পটকা বাজির নাম কেন হল বুড়ীমা! এই ‘বুড়ীমা’ আসলে কে? জানলে অবাক হবেন
কয়েক বছর দেখা দিয়েছিল প্রদীপের বাজার মন্দা। প্রদীপ বিক্রি কমে হয়ে যাওয়ায়, হতাশ হয়ে প্রদীপ গড়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন মৃৎ শিল্পীরা। কিন্তু গত দু-তিন বছর ধরে প্রদীপের চাহিদা ধীরে ধীরে বেড়েছে। এখন মাটির প্রদীপের চাহিদা তুঙ্গে বলে জানান প্রদীপ শিল্পী এবং প্রদীপ ব্যবসায়ী।পুরনো ঐতিহ্যু মেনে মানুষ মাটির প্রদীপ জ্বালাচ্ছে ঘরে ঘরে। ফলে প্রতিবছর কালীপুজোর দু একদিন আগে থেকে দারুণ চাহিদা হয় মাটির প্রদীপের।
রাকেশ মাইতি