মনোজ টিগ্গা

Lok Sabha Election result 2024: ঘরের মাঠ ‘মাদারিহাট’-এ ধাক্কা খেয়েও জয়ী মনোজ, আলিপুরদুয়ারে ফের উড়ল গেরুয়া আবির

আলিপুরদুয়ার: হাইভোল্টেজ প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষে আলিপুরদুয়ারে শেষ হাসি হেসেছেন বিজেপির মনোজ টিগ্গা। ২০১৯ সালের থেকে এবার ব্যবধান অনেকটা কমলেও পেয়েছেন স্বস্তির জয়। আর তাতেই গেরুয়া আবির উড়ল উত্তরবঙ্গের এই প্রান্তিক জেলায়। গড় ধরে রাখতে পারায় স্বস্তির নিঃশ্বাস গেরুয়া শিবিরে।

রাজ্যের অপেক্ষাকৃত নতুন জেলাগুলির মধ্যে একটি হল আলিপুরদুয়ার। আর সেই জেলায় রয়েছে এই একটিমাত্র লোকসভা কেন্দ্র। তফসিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত এই আসনটি। এই জেলার বেশিরভাগ বাসিন্দা তফসিলি জাতি ও উপজাতির মানুষ। এই কেন্দ্রে রাজনীতির রঙ বদলেছে বারবার। একসময় বামেদের হাতে থাকা আলিপুরদুয়ার কেন্দ্র বর্তমানে বিজেপির ‘ঘাঁটি’-তে পরিণত হয়েছে। এখান থেকেই ২০১৯ সালে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে সাংসদ হয়েছিলেন জন বার্লা। পরবর্তীতে তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়া হয়েছিল। তবে এবার ওই কেন্দ্রে জন বার্লাকে প্রার্থী করেনি বিজেপি। মনোজ টিগ্গার নাম ঘোষণা করা হয় বিজেপি প্রার্থী হিসেবে।

আর‌ও পড়ুন: কাদা বল বাঁচাবে পরিবেশ! এই বিশেষ বলের হাত ধরে বদলে যাচ্ছে অনেক কিছু

আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে আদিবাসী ভোট নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি রয়েছে চা বলয়ের ভোট। সব দলই সেই ভোটব্যাঙ্ককে পাখির চোখ করে লড়াই করে। সেই কারণেই জন বার্লাকে ২০১৯ সালে সামনে এনেছিল বিজেপি। এনআরসি ইস্যুকে সামনে রেখে গত লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে, ২০১৯-এ এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন দশরথ তিরকে।২০১৯-এ এই কেন্দ্রে বিজেপি পেয়েছিল ৭ লক্ষ ৫০ হাজার ৮০৪ টি ভোট, তৃণমূল পেয়েছিল ৫ লক্ষ ৬ হাজার ৮১৫টি ভোট।২০২৪ এর নির্বাচনে এখানে বিজেপির ভোট কমেছে। মনোজ টিগ্গা পেয়েছেন ৬ লক্ষ ৯৫ হাজার ৩১৪ ভোট। অপরদিকে তৃণমূল প্রার্থী প্রকাশ চিক বড়াইক দলের ভোট বাড়াতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬ লক্ষ ১৯ হাজার ৮৭৬ ভোট। ফলে প্রায় সাড়ে ৭৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন মনোজবাবু।

এর মধ্যে ১ লক্ষ ১০ হাজারের মত ভোট তিনি পেয়েছেন কুমারগ্রাম ও কালচিনি বিধানসভা থেকে। ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ভোট পেয়েছেন ফালাকাটা বিধানসভা থেকে এবং আলিপুরদুয়ার বিধানসভা থেকে ৯৬ হাজার ভোট। তবে মনোজবাবুর নিজের গড় মাদারিহাট বিধানসভা থেকে প্রাপ্ত ভোট মোটে ৭৬ হাজার। যা মাথাব্যথা তৈরি করবে গেরুয়া শিবিরে।

অনন্যা দে