বহরমপুরে চলছে দাবা খেলা

Chess: দাবার চালে বার্ধক্যেও সচল মগজ! সন্তানকে শেখানো নিয়ে চিকিৎসকরা কী বলছেন?

মুর্শিদাবাদ: মুঠোফোনের নেশা থেকে আপনার শিশুকে মুক্ত করতে কাজে লাগতে পারে দাবার চাল। বহরমপুর শহরের কৃষ্ণনাথ কলেজিয়েট স্কুলে অনুষ্ঠিত হল দুই দিনব্যাপী স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে দাবা প্রতিযোগিতা। সেখানে হাজির হয়ে দাবা খেললে কীভাবে বুদ্ধির বিকাশ ঘটবে জানালেন চিকিৎসকরা।

চিকিৎসকদের কথায়, দাবা খেলায় শরীরের পরিশ্রম না হলেও এতে মাথা খাটাতে হয় বিস্তর। তার প্রভাবে অল্প বয়সে মস্তিষ্কের বিকাশ অনেক দ্রুতগামী হয়ে থাকে। বয়স বাড়লে মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমতে শুরু করে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই অ্যালজাইমার্সের মত সমস্যায় ভুগতে পারেন। এই ধরনের সমস্যা ঠেকিয়ে রাখতে দাবা কিছুটা সাহায্য করতে পারে। এ কথা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত।

আর‌ও পড়ুন: হরিণের মাংস দিয়ে চলছিল পার্টি! শেষ রক্ষা হল না

চিকিৎসকেরা বলছেন, দাবা খেললে মস্তিস্কের চাপ সহ্য করার ক্ষমতা বাড়ে। অনেকেই নানা কারণে মানসিক চাপের মধ্যে পড়েন। আজকালকার দিনে স্ট্রেসের বিষয়টি অনেকের জন্যই রোজকার জিনিসে পরিণত হয়েছে। এই চাপ সহ্য করার ক্ষমতা দাবা অনেকটাই বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে স্ট্রেস কীভাবে কাটিয়ে উঠতে হবে, সেটাও অনেকেই শিখে ফেলেন দাবা খেলতে খেলতে। দাবা খেলার সময়ে নানা ধরনের মানসিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে খেলোয়াড়দের যেতে হয়। আর সেই কারণেই আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা তৈরি হয়ে যায় নিজের মধ্যে‌। এছাড়াও একাগ্রতা বা কনসেনট্রেশনের ক্ষমতা বেড়ে যেতে পারে দাবা খেললে। ফলে কর্মক্ষেত্রে বা পড়াশোনার ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও সুবিধা পাওয়া যায়। আর এই কারণেই অল্প বয়সে দাবা খেললে পড়াশোনার ক্ষেত্রে তা কাজে লাগতে পারে।

বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ চেস এসোসিয়েশনের উদ্যোগে প্রায় ১০৪ জন স্কুল পড়ুয়াকে নিয়ে বসে দু’দিনব্যাপী এই দাবা প্রতিযোগিতার আসর। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী খুদে স্কুল পড়ুয়াদের উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মত। অভিভাবকরাও আগ্রহের সঙ্গে নিজেদের সন্তানদের এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করান।

কৌশিক অধিকারী