Tag Archives: Chess Game

Chess Competition: পড়ুয়াদের একাগ্রতা বাড়াতে দাবা প্রতিযোগিতার উদ্যোগ জেলায়!

দক্ষিণ দিনাজপুর: ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল ফর স্কুল এবং দাবাচিয়া সংস্থার পক্ষ থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় দাবা প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। বালুরঘাটে অবস্থিত জেলা প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন বালুছায়াতে এই দাবা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন: নিরাপত্তায় জোরদার মালদহের সোনার মার্কেট চত্বর! ২৪ ঘণ্টা মোতায়েন পুলিশ

এই প্রতিযোগিতাকে সবরকম ভাবে সহযোগিতা করেছেন জেলা দাবা সংস্থা। যেখানে জেলার প্রায় কয়েকশো পড়ুয়ারা এই দাবা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে। মূলত ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়ারা অংশগ্রহণ করবে বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমান প্রজন্ম দিন দিন মোবাইলে গেমস খেলায় আসক্ত। মাঠে খেলতে যাওয়ার যে প্রবণতা তাও কমে যাচ্ছে দিনের পর দিন। চার দেওয়ালে বন্দী হয়ে বেছে নিয়েছে মোবাইল কিংবা কম্পিউটার গেম। এই সব গেম তাদের বিপদগামী করে তুলছে। আর এই গেমের প্রতি আসক্তি টেনে আনছে ঘোর বিপদ। সেই সমস্ত ছেলেমেয়েদেরকে চিহ্নিত করে দাবা খেলার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে মাস্টারমশাইরা। এতে তাদের একাগ্রতাও এবং পড়াশোনায় মনঃসংযোগ বাড়বে বলে তারা আশা করছেন।

সুস্মিতা গোস্বামী

Chess: দাবার চালে বার্ধক্যেও সচল মগজ! সন্তানকে শেখানো নিয়ে চিকিৎসকরা কী বলছেন?

মুর্শিদাবাদ: মুঠোফোনের নেশা থেকে আপনার শিশুকে মুক্ত করতে কাজে লাগতে পারে দাবার চাল। বহরমপুর শহরের কৃষ্ণনাথ কলেজিয়েট স্কুলে অনুষ্ঠিত হল দুই দিনব্যাপী স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে দাবা প্রতিযোগিতা। সেখানে হাজির হয়ে দাবা খেললে কীভাবে বুদ্ধির বিকাশ ঘটবে জানালেন চিকিৎসকরা।

চিকিৎসকদের কথায়, দাবা খেলায় শরীরের পরিশ্রম না হলেও এতে মাথা খাটাতে হয় বিস্তর। তার প্রভাবে অল্প বয়সে মস্তিষ্কের বিকাশ অনেক দ্রুতগামী হয়ে থাকে। বয়স বাড়লে মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমতে শুরু করে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই অ্যালজাইমার্সের মত সমস্যায় ভুগতে পারেন। এই ধরনের সমস্যা ঠেকিয়ে রাখতে দাবা কিছুটা সাহায্য করতে পারে। এ কথা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত।

আর‌ও পড়ুন: হরিণের মাংস দিয়ে চলছিল পার্টি! শেষ রক্ষা হল না

চিকিৎসকেরা বলছেন, দাবা খেললে মস্তিস্কের চাপ সহ্য করার ক্ষমতা বাড়ে। অনেকেই নানা কারণে মানসিক চাপের মধ্যে পড়েন। আজকালকার দিনে স্ট্রেসের বিষয়টি অনেকের জন্যই রোজকার জিনিসে পরিণত হয়েছে। এই চাপ সহ্য করার ক্ষমতা দাবা অনেকটাই বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে স্ট্রেস কীভাবে কাটিয়ে উঠতে হবে, সেটাও অনেকেই শিখে ফেলেন দাবা খেলতে খেলতে। দাবা খেলার সময়ে নানা ধরনের মানসিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে খেলোয়াড়দের যেতে হয়। আর সেই কারণেই আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা তৈরি হয়ে যায় নিজের মধ্যে‌। এছাড়াও একাগ্রতা বা কনসেনট্রেশনের ক্ষমতা বেড়ে যেতে পারে দাবা খেললে। ফলে কর্মক্ষেত্রে বা পড়াশোনার ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও সুবিধা পাওয়া যায়। আর এই কারণেই অল্প বয়সে দাবা খেললে পড়াশোনার ক্ষেত্রে তা কাজে লাগতে পারে।

বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ চেস এসোসিয়েশনের উদ্যোগে প্রায় ১০৪ জন স্কুল পড়ুয়াকে নিয়ে বসে দু’দিনব্যাপী এই দাবা প্রতিযোগিতার আসর। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী খুদে স্কুল পড়ুয়াদের উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মত। অভিভাবকরাও আগ্রহের সঙ্গে নিজেদের সন্তানদের এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করান।

কৌশিক অধিকারী

Chess Game at Wedding: বিয়েবাড়িতে আমন্ত্রিতদের দাবা খেলিয়ে অসহায়দের সাহায্য নবদম্পতির

নিঃস্বার্থভাবে কাউকে কিছু দেওয়ার মধ্যে আমাদের উদযাপন হয়ে ওঠে আনন্দময়। সেই ভাবনা থেকেই এক দম্পতি তাঁদের বিয়েতে দাবাখেলার আয়োজন করলেন। ওই চ্যারিটি দাবাখেলার উদ্যোগ ছিল মূলত এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে সাহায্য করার জন্য। বিয়ের আসরের সেই ‘শতরঞ্জ কে খিলাড়ী’-দের ছবি পোস্ট করেছেন নতুন বর শিখর সাক্সেনা।

শিখর জানিয়েছেন তিনি তাঁর বিয়েতে কিছু অন্যরকম করতে চেয়েছিলেন। যাতে সদিচ্ছার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে কিছুটা পাগলামিও। তাই শিখর ও তাঁর তখনকার হবু তথা বর্তমান স্ত্রী মিলে ঠিক করেন যে তাঁদের বিয়েতে বসবে দাবাখেলার আসর। হবে ‘ওপেন ফায়ার চেজ’ বিয়ের মাঝেই। এর মাধ্যমে সাহায্য করা হবে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে। ওই সংস্থা তরফে সাহায্য করা হয় অনগ্রসর দাবা খেলোয়াড়দের। যাতে তাঁরা দাবাখেলা চালিয়ে যেতে পারেন।

আরও পড়ুন :  তাজ হোটেলে খানাপিনার পর বিল মেটালেন খুচরো পয়সায়! ওয়েটারদের প্রতিক্রিয়া দেখুন ভাইরাল ভিডিওয়

তাই বিয়ের খরচ কাটছাঁট করে দাবাখেলার আসর আয়োজন করা হয়। বরপক্ষ ও কন্যাপক্ষ থেকে ৭ জন করে মোট ১৪ জনকে বেছে নেওয়া হয়। ওপেন ফায়ার চেজ-এর সঙ্গে সাধারণ দাবাখেলার প্রতিযোগিতার সামান্য পার্থক্য আছে। ওপেন ফায়ারে যখনই কিস্তিমাত হয়, তখনই ১০০০ টাকা করে দান করেন উদ্যোক্তারা। প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ যিনি নির্বাচিত হন, তাঁর জন্য ছিল বিস্ময়-উপহার। তিনি পান গ্র্যান্ডমাস্টার বিশ্বনাথন আনন্দের সই করা টিশার্ট।

 

অভিনব এই উদ্যোগে বিয়ে, দাবাখেলা ও ভোজপুরী গান-সব হল একসঙ্গেই। অন্যরকম ভাবনায় বিশ্বাসী শিখর সামাজিক মাধ্যমে লেখেন “এই ছোট্ট উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করেছি সকলে মিলে নিঃস্বার্থভাবে দান করার আনন্দ উপভোগ করতে।” তাঁদের ডোনেশনে শামিল হন আত্মীয় পরিজনরাও। এই অভিনব উদ্যোগে অভিভূত সকলেই। একইসঙ্গে বিয়ের আসর উপভোগ এবং নিঃস্বার্থভাবে দান করার আনন্দে ভেসে যাওয়ার এই উপায়কে বাহবা জানিয়েছেন সকলে।