Tag Archives: 21 July

TMC 21st July: একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ ঘিরে কড়া নিরাপত্তা! ওড়ানো হচ্ছে ড্রোনও…সতর্ক প্রশাসন

ত্রি-স্তরীয় মূল মঞ্চটি মাটি থেকে পর্যায়ক্রমে ১১, ১২ ও ১৩ ফুট উঁচু। দৈর্ঘ্য-প্রস্থ যথাক্রমে ৮০ ও ৪২ ফুট। ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও খোলা মঞ্চেই হচ্ছে সমাবেশ। মঞ্চ ঘেরা হবে দলীয় পতাকা তেরঙ্গার রঙে। এসপ্ল্যানেড ও পার্ক স্ট্রিট চত্বরে থাকছে প্রায় ১৩টি জায়ান্ট স্ক্রিন। এছাড়া শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থাকছে জায়ান্ট স্ক্রিনে অনুষ্ঠান দেখার সুবিধা। প্রায় ৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন।

তিনটি মঞ্চের একটিতে থাকবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা দলের প্রথম সারির শীর্ষ নেতৃত্ব। দ্বিতীয় মঞ্চে থাকবেন শহিদ পরিবারের সদস্যরা। তৃতীয় মঞ্চে থাকবেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। সোশ্যাল মিডিয়া পেজে লাইভ দেখানো হবে সমাবেশ। সূত্রের খবর, মঞ্চে দিল্লির মসনদকে উদ্দেশ্য করে বিশেষ বার্তা থাকবে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরসারি ধন্যবাদ জানাতে একুশে জুলাইয়ের সভায় হাজির হচ্ছেন দেউচা-পাচামি কয়লা শিল্পাঞ্চলের আদিবাসী শিল্পীরা।

TMC 21st July Video: সকালেই এত ভিড়! ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ স্থলে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উৎসাহ, দেখুন লাইভ ভিডিও

লোকসভায় বিপুল জয় তৃণমূলের। সেই আবহেই আজ একুশে জুলাই। এবাররের শহিদ স্মরণে রেকর্ড ভিড়ের লক্ষ্যে শাসক দল। ইতিমধ্যই দূরের জেলা থেকে কর্মীরা কলকাতায় এসে গিয়েছেন। একুশের মঞ্চ থেকে দলের নেতাকর্মীদের জন্য জরুরি বার্তা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুঝিয়ে দেবেন, দলে আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। লোকসভা ভোটে জয়ের পরে ঢিলেঢালা মনোভাব কাম্য নয়। সময় এখন সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করে তোলার। জয় অবশ্যই উপভোগ করার। কিন্তু একটা ভোটে জিতে সব পেয়ে গেছি মনোভাব নিয়ে বসে থাকলে ভুল হবে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বর বার্তা থাকতে চলেছে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে। ২৪ এর ২১ জুলাই থেকে ২৬ লড়ার প্রস্তুতি শুরু হবে।

TMC 21 July : ২১-এ রেকর্ড ভিড়! তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ধর্মতলা চত্বরে জনবিস্ফোরণ

কলকাতা: ২৪ এর ২১ জুলাই থেকে ২৬ লড়ার প্রস্তুতি শুরু। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ঝেড়ে ফেলে সাংগঠনিক কাঠামো আরও শক্তিশালী করার বার্তা দেবেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলকে আরও বেশি করে জনমুখী করার বার্তা। পারফরম্যান্স দেখেই পদ। পুরানো-নতুন ভারসাম্য রেখেই চলতে হবে। জাতীয় রাজনীতিতে আরও বেশি করে তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রাসঙ্গিক করার বার্তাও দেওয়া হবে।

21 July Rally: গন্তব‍্য একটাই, ধর্মতলা! কাতারে কাতারে মানুষ আসছে, এবারই হবে ২১ জুলাইয়ের ভিড়ের রেকর্ড?

কলকাতা: রবিবার ২১শে জুলাই। শহিদ স্মরণে ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে অমর একুশে জুলাইয়ের ঐতিহাসিক জনসভা। বিগত কয়েকদিন ধরেই সারা রাজ্য জুড়ে এর প্রস্তুতি সভা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার বেলা ১২:০০ টায় শুরু হবে ঐতিহাসিক জনসভা। আজকে এই জনসভার প্রধান বক্তা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই রাজ‍্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধর্মতলার পথে রওনা দিয়েছেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা।

দূর দূরান্ত থেকে আসা সমর্থকেরা ইতিমধ্যেই জনসভায় যোগদান করার জন্য পৌঁছে গিয়েছেন কলকাতায়। আজকের এই জনসভাকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বিপুল সংখ্যক কর্মী সমর্থকদের নিয়ে নবদ্বীপ স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে একুশে জুলাইয়ের জনসভায় যোগদানের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

আরও পড়ুন: শনিবারও চলল গুলি! বিদেশ সফর বাতিল হাসিনার, বাংলাদেশের এখন কী পরিস্থিতি?

উল্লেখ্য প্রতিবছরই তিনি তার অনুরাগীদের নিয়ে ট্রেনে করেই ধর্মতলার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। আজও তার অন্যথা হয়নি। আজ তিনি নবদ্বীপ স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠেন। এবং তিনি জানান এর পরবর্তী স্টেশন যেমন সমুদ্রগড় ধাত্রীগ্রাম বাঘনাপাড়া কালনা থেকেও অসংখ্য মানুষজন তাঁর সঙ্গে ট্রেনে করে যাবেন জনসভায় যোগ দিতে।

সকাল থেকে ভিড়ে ঠাসা খড়্গপুর রেল স্টেশনও। ধর্মতলার উদ্দেশ্যে কয়েকশো তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা খড়গপুর স্টেশনে ট্রেনের জন্য দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তৃণমূল নেতা ছোটকা পালের নেতৃত্বে তারা সকলে মিলে রওনা দিলেন খড়্গপুর স্টেশন থেকে।

আরও পড়ুন: এসি থেকে জলের ছিটে? আসল সমস‍্যা কোথায়? এখনই সাবধান হন, নাহলেই বিরাট টাকার ধাক্কা

একই ছবি কাটোয়াতেও। কাটোয়া স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে হাজারে হাজারে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা শহিদ দিবস মঞ্চে যোগ দিতে কলকাতার পথে। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া কেতুগ্রাম মঙ্গলকোটের কর্মীরা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী জেলা থেকেও প্রচুর তৃণমূল সমর্থক হাওড়াগামী ট্রেন ধরছেন। মুর্শিদাবাদের ভরতপুর এলাকার তৃণমূলের কয়েকশো কর্মী শহিদ দিবসের ছবি আঁকা কালো টিশার্ট পরে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে শহীদ দিবসে যোগ দিতে কলকাতার পথে রওনা দিলেন।

বাগদা বিধানসভা পুনরুদ্ধারের পর ২১ শে জুলাই-এর সমাবেশে বাড়তি উন্মাদনা তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। বনগাঁ স্টেশন থেকে একাধিক ট্রেন ও গাড়িতে ধর্মতলা মুখী তৃণমূল কর্মীরা। বনগাঁ থেকে সকাল ৮:৮-এর শিয়ালদহ লোকালে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের নেতৃত্বে ধর্মতলা মুখী তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা।

আরও পড়ুন: হ‍্যান্ডসাম অভিনেতা থেকে আইএএস অফিসার! সাফল‍্য সত‍্যিই ‘হাতের মুঠোয়’ আইআইটি খড়্গপুরের এই ছাত্রের, র‍্যাঙ্ক জানলে ছিটকে যাবেন

বিশ্বজিৎ দাস জানান, প্রতিবছরই বনগাঁ থেকে মানুষ নতুন রেকর্ড গড়ে। এবছর কুড়ি হাজার কর্মী সমর্থক ধর্মতলা সমাবেশে যোগ দিতে বনগাঁ থেকে যাবেন। তারা ট্রেন এবং বিভিন্ন গাড়ি করে কলকাতা মুখে হয়েছেন। জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন তা শুনতেই হাজার হাজার তৃণমূল কর্মী সমর্থক রবিবার সকাল থেকে ধর্মতলার পথে।

Mamata Banerjee 21 july: সব প্রস্তুতি ঠিকঠাক তো? ধর্মতলায় হাজির হয়ে দেখে নিলেন মমতা

কলকাতা: রাত পোহালেই ২১শে জুলাইয়ের মেগা সমাবেশ। লোকসভা ভোটে তৃণমূলের বিপুল জয় ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চকে যেন আরও বেশি রাঙিয়ে তুলেছে। ২০২১ সালের বিধানসভার পরে চলতি বছরের লোকসভায় ঘাসফুল ম্যাজিক দেখেছে রাজ্য। মাত্র দু’বছর পরেই রাজ্যে আবার বিধানসভা নির্বাচন, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই সেই নির্বাচনের সুর বেঁধে দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: ২১শে জুলাই দুর্যোগের সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়, কবে কোথায় ভারী বৃষ্টি?

২১শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে এদিন ধর্মতলায় আসেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে তিনি বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সঙ্গে। এদিন মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, সায়নী ঘোষ, সুব্রত বক্সী, অরূপ বিশ্বাস-সহ দলের একাধিক শীর্ষ নেতা।

২১ জুলাই যেসব সমর্থকেরা আসবেন তাঁদের সতর্ক করে মমতা বলেন, “শান্তিপূর্ণ ভাবে আসবেন। বাসকে আসতে চালাতে বলবেন।” শুক্রবার প্রস্তুতি দেখতে এসে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অখিলেশ আবহাওয়া ঠিক থাকলে আসবে। এখানে নেতা কেউ নয়। এখানে সবাই সহকর্মী। বাংলাকে অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এই সভা।”

রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ নেতা-সহ সমর্থকেরা ২১শে জুলাইয়ের জন্য এসে পৌঁছেছেন কলকাতায়। তাঁদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত এবং শেষ মুহূর্তে প্রস্তুতি খুঁটিয়ে দেখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি দেবাংশু ভট্টাচার্য, সায়নী ঘোষ-সহ একাধিক নেতানেত্রীর সঙ্গে রবিবারের সমাবেশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: কনফার্মড টিকিট পাচ্ছেন না? কোন ওয়েটিং লিস্টের টিকিট কনফার্ম হওয়ার সম্ভাবনা কেমন?

অন্য বারের তুলনায় এবারের সমাবেশ কিছুটা হলেও আলাদা। লোকসভা নির্বাচন এবং বিধানসভা উপনির্বাচনে রাজ্য জুড়ে ফুটেছে ঘাসফুল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে ২১-এর মঞ্চে যোগ দিতে রাজ্য়ে আসতে পারেন সমাজবাদী পার্টির প্রেসিডেন্ট অখিলেশ যাদব। রবিবারের ঐতিহাসিক শহিদ সমাবেশের মঞ্চে ইন্ডিয়া জোটের আরও একাধিক নেতার উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

Mamata Banerjee: ‘২১ জুলাই আমার কাছে, আমাদের কাছে একটা আবেগ…’ শহিদ দিবসের আগে বার্তা মমতার

কলকাতা: হাতে আর মাত্র একদিন। তারপরেই ২১ জুলাই। কলকাতা থেকে জেলা, সর্বত্র প্রস্তুতি তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই শহরে আসতে শুরু করেছেন কর্মী-সমর্থকেরা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে মঞ্চ বাঁধার কাজ। কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, উত্তীর্ণ, সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্ক, নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র ও বড় বাজারের গেস্ট হাউসগুলিতে ইতিমধ্যেই সমস্ত প্রস্তুতি সেরে ফেলা হয়েছে। জেলা থেকে কর্মী-সমর্থকেরা এসে এই জায়গাগুলিতে থাকবেন। শীর্ষ নেতৃত্বের নজরদারিতে চলছে গোটা প্রস্তুতি প্রক্রিয়া।

২১ জুলাই নিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,  ‘২১ জুলাই বাংলার ইতিহাসে রক্তঝরা এক দিন। অত্যাচারী সিপিআইএম-এর নির্দেশে সেদিন চলে গিয়েছিল তরতাজা ১৩টি প্রাণ। আমি হারিয়েছিলাম আমার ১৩ জন সহযোদ্ধাকে। তাই ২১ জুলাই আমার কাছে, আমাদের কাছে একটা আবেগ। ২১ জুলাই আজ বাংলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতির অন্তরঙ্গ অংশ।’

‘প্রতি বছর এই ঐতিহাসিক দিনে শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায় আমরা বীর সেই শহিদদের তর্পণ করি। শুধু তাঁরাই নন, দেশ ও দশের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন, তাঁদের সবাইকেই এই দিনে আমরা স্মরণ করি। সেই সঙ্গেই আমরা এ দিনটিকে মা-মাটি-মানুষ দিবস হিসেবে পালন করি; নির্বাচনে আমাদের যে গণতান্ত্রিক জয় তাকে মানুষের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করি। সেজন্যও এদিন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।’

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নিহতের সংখ‍্যা বেড়ে ১০৫! কারফিউর মাঝেই দলে দলে দেশে ফিরছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা

তিনি আরও বলেন,  ‘ধর্মতলায় এবারের শহীদ স্মরণ তথা মা-মাটি-মানুষ দিবস অনুষ্ঠানে আমি বাংলার সকল মানুষকে আমন্ত্রণ জানাই। আপনাদের সবার সাগ্রহ উপস্থিতিতে এবারের সমাবেশও অন্যবারের মতো সাফল্যমণ্ডিত হবে, এই বিশ্বাস আমি রাখি। ২১শে জুলাই অশ্রু সজল রক্তে লেখা নাম, শহীদ স্মরণে রইলো মোদের হাজার হাজার সেলাম।।’

এবারের ২১-এ জুলাইয়ের মঞ্চে বড়ো চমক। থাকছেন অখিলেশ যাদব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে রবিবারই কলকাতায় আসবেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো।

Exclusive: রাত পোহালেই ২১-এর সমাবেশ…! মমতার ডাকে সাড়া দিয়ে কলকাতা আসছেন অখিলেশ যাদব

কলকাতা: এবারের ২১-এ জুলাইয়ের মঞ্চে বড়ো চমক। থাকছেন অখিলেশ যাদব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে রবিবারই কলকাতায় আসবেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো।

হাতে আর মাত্র একদিন। তারপরেই ২১ জুলাই। কলকাতা থেকে জেলা, সর্বত্র প্রস্তুতি তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই শহরে আসতে শুরু করেছেন কর্মী-সমর্থকেরা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে মঞ্চ বাঁধার কাজ। কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, উত্তীর্ণ, সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্ক, নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র ও বড় বাজারের গেস্ট হাউসগুলিতে ইতিমধ্যেই সমস্ত প্রস্তুতি সেরে ফেলা হয়েছে। জেলা থেকে কর্মী-সমর্থকেরা এসে এই জায়গাগুলিতে থাকবেন। শীর্ষ নেতৃত্বের নজরদারিতে চলছে গোটা প্রস্তুতি প্রক্রিয়া।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নিহতের সংখ‍্যা বেড়ে ১০৫! কারফিউর মাঝেই দলে দলে দেশে ফিরছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা

লোকসভা ভোটে ভাল ফলের পরে এবারের একুশে জুলাই। তৃণমূল আশাবাদী, অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে যাবে এবার। উত্তরের জেলাগুলি থেকেও নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা ইতিমধ্যেই রওনা দিতে শুরু করেছেন। সব মিলিয়ে একুশের কাউন্ট ডাউন চলছে দ্রুতগতিতে। আগামী রবিবার একুশের মঞ্চ থেকে দলের নেতা-কর্মীদের  দিশা দেবেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।

সমাজবাদী পার্টির মুখপাত্র ফখরুল চাঁদ নিউজ ১৮ বাংলাকে বলেন, “যখনই দিদি আমন্ত্রণ জানান, অখিলেশজি তখনই  আসেন। দিদি যেতে বলেছেন তাই অখিলেশজি যাচ্ছেন। রবিবারই তিনি কলকাতায় যাবেন দিদির র‍্যালিতে যোগ দিতে।” অখিলেশকে আহবান কি তাহলে ২১ এ জুলাই এর মঞ্চ থেকে ইন্ডিয়া জোটকে শক্তিশালী করার ডাক? প্রশ্ন রাজনীতির কারবারিদের।

TMC-21 July: একুশে জুলাই আবহাওয়ার চোখরাঙানি! মঞ্চসজ্জায় সামান‍্য বদল, মমতা থাকবেন কোথায়? জানুন খুঁটিনাটি

কলকাতা: হাতে সময় মাত্র একদিন। আগামিকাল রবিবারই ২১ জুলাই। তৃণমূলের শহিদ দিবস। প্রতি বছরের মতো এবছরও ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে। সভার জন‍্য তৈরি হচ্ছে মঞ্চ। সেইসঙ্গে আবহাওয়ার চোখ রাঙানি এড়াতে থাকছে বিশেষ প্রস্তুতি।

মঞ্চের সামনের ভাগ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। তার মাপ ৫২ ফুট বাই ২৮, উচ্চতা ১০ ফুট। এই মঞ্চ আগে ৪৮ ফুট হতো। ‘L’ আকৃতির মঞ্চ এবার চওড়ায় আরও ৪ ফুট বাড়ছে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নিহতের সংখ‍্যা বেড়ে ১০৫! কার্ফুর মাঝেই দলে দলে দেশে ফিরছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা

দ্বিতীয় ভাগ ৪৮ ফুট বাই ২৪ ফুট, উচ্চতা ১১ ফুট।আর তৃতীয় ভাগ হবে ৪৮ ফুট বাই ২০ ফুট, উচ্চতা ১২ ফুট। এই বছরের মঞ্চসজ্জাতেও একটু বদল আসছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, একুশের মঞ্চে সামনের ভাগের স্টেজ চওড়ায় খানিকটা বাড়ানো হচ্ছে। থাকছে দলনেত্রীর জন্য আলাদা র‍্যাম্প।

আরও পড়ুন: হ‍্যান্ডসাম অভিনেতা থেকে আইএএস অফিসার! সাফল‍্য সত‍্যিই ‘হাতের মুঠোয়’ আইআইটি খড়্গপুরের এই ছাত্রের, র‍্যাঙ্ক জানলে ছিটকে যাবেন

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, সপ্তাহান্তে ঝড়বৃষ্টিতে ভাসবে কলকাতা অর্থাৎ একুশে জুলাইও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, সেকথা মাথায় রেখেই এবার একুশের মঞ্চ আরও শক্তপোক্ত করা হয়েছে। ব্যাকড্রপ অনেকটা মোটা করা হচ্ছে। ৪০ ফুট বাই ৩০ ফুট।

21 july rally 2024 TMC: ২১ জুলাইয়ে তৃণমূলের পাখির চোখ উত্তরবঙ্গ! অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা থেকেও আসছেন নেতারা

কলকাতা: রবিবার ২১ জুলাই ধর্মতলার সমাবেশে উত্তরবঙ্গ থেকে রেকর্ড জমায়েত চায় তৃণমূল। লোকসভা ভোটের ফলে উত্তরের জমি শক্ত হয়েছে। কোচবিহার আসন জয় করেছে শাসকদল। বাকি একাধিক আসনেও ব্যবধান অনেক কমিয়েছে তারা। ৩১ বছরে পদার্পণ করছে ২১ জুলাইয়ের শহিদ তর্পন অনুষ্ঠান। রাজ্যে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরে চলতি বছর ২১ জুলাই নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ লোকসভা ভোটের পরে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম ঘোষিত কর্মসূচী এটি।

২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে শাসক শিবিরের পাখির চোখ কোচবিহার থেকে মালদহ পর্যন্ত একাধিক বিধানসভা আসন৷  তাই চা বলয়, রাজবংশী এলাকা থেকে ব্লক ভিত্তিক জমায়েতে জোর দিয়েছে শাসক দল। উত্তরবঙ্গ থেকে ট্রেনে আসছেন শাসকদলের নেতা-কর্মীরা। এছাড়া সড়কপথেও আসছেন তারা। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে দাবি, অন্যান্যবারের তুলনায় এবার বেশি জমায়েত হবে উত্তরের জেলা থেকে। এর আগে পঞ্চায়েত ভোটে পাহাড়ে তৃণমূলের বন্ধুদল প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা হইহই করে জিতেছে।

অনীত থাপার দলের অনেকেই সমাবেশে হাজির থাকবেন। উত্তরের চা বলয় থেকে রাজ্যসভার সাংসদ পাঠিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এবারের ২১ জুলাই সমাবেশে আগামীর বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে লক্ষ্য উত্তরের বিধানসভা আসন। করোনা পরিস্থিতির জেরে ২০২০-২১ সালে সমাবেশ হয়েছিল ভার্চুয়াল। তবে সেই ভার্চুয়াল সমাবেশ ঘিরেই ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছিল এই রাজ্যের পাশাপাশি ভিন রাজ্যেও। এবার অবশ্য মূল সমাবেশ অফলাইন। ধর্মতলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাষণ দেবেন দুপুর ১টা নাগাদ। সেখানে থাকবেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, ফিরহাদ হাকিম, অরুপ বিশ্বাস সহ একাধিক নেতা।

আরও পড়ুন- ১০০ বন্দিকে মুক্তি দিয়ে জেলে আগুন প্রতিবাদীদের! জ্বলছে বাংলাদেশ, কার্ফু জারি

প্রথম সারির অন্যান্য নেতাদেরও উপস্থিতি থাকবে। ভিন রাজ্যের দলীয় কার্যালয়েও সভা লাইভ দেখানো হবে একটি কেন্দ্রীয় জায়গায়। সেখানেই মঞ্চ থাকবে। সেই রাজ্যের নেতারা থাকবেন। জায়েন্ট স্ক্রিন থাকবে। দুপুর ১২টা থেকে হবে সমাবেশ। দুপুর ১২টা থেকে অন্যান্য নেতাদের -সহ মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বক্তব্য লাইভ দেখানো ও শোনানো হবে। কলকাতায় আসতে না পারলে এভাবেই দেখা যাবে অনুষ্ঠান।

ধর্মতলায় থাকবে শহিদ তর্পণের ব্যবস্থা। সকাল ৬টা থেকেই সেখানে হাজির থাকবেন দলের প্রথম সারির নেতারা। শ্যামবাজার, গিরিশ পার্ক, লেকটাউন, পার্ক স্ট্রিট, এসপ্ল্যানেড, চেতলা, টালিগঞ্জ, হাজরা-সহ একাধিক জায়গায় থাকছে জায়ান্ট স্ক্রিন। বাংলার পাশাপাশি ত্রিপুরা, অসম, মেঘালয়, গোয়ায় যেখানে তৃণমূলের অফিস আছে সেখানেও শোনানো হতে পারে বক্তৃতা। ধর্মতলায় হাজির থাকবেন সাংসদরা। তাঁরাও বক্তব্য রাখবেন। দুপুর ১টায় জায়ান্ট স্ক্রিনে শোনানো হবে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বক্তৃতা। এছাড়াও যে সব রাজ্যে ইউনিট আছে সেখানেও অনুষ্ঠান সম্প্রচারের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

 

21 July Martyrs’ Day: সব রেকর্ড ছাপিয়ে যাবে এ বছর! মঞ্চ বাঁধার কাজ প্রায় শেষ, ২১-এর সমাবেশ ঘিরে ব্যস্ততা তুঙ্গে

কলকাতা: হাতে আর মাত্র দুই দিন। তারপরেই ২১ জুলাই। কলকাতা থেকে জেলা, সর্বত্র প্রস্তুতি তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই শহরে আসতে শুরু করেছেন কর্মী-সমর্থকেরা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে মঞ্চ বাঁধার কাজ। কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, উত্তীর্ণ, সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্ক, নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র ও বড় বাজারের গেস্ট হাউসগুলিতে ইতিমধ্যেই সমস্ত প্রস্তুতি সেরে ফেলা হয়েছে। জেলা থেকে কর্মী-সমর্থকেরা এসে এই জায়গাগুলিতে থাকবেন। শীর্ষ নেতৃত্বের নজরদারিতে চলছে গোটা প্রস্তুতি প্রক্রিয়া।

লোকসভা ভোটে ভাল ফলের পরে এবারের একুশে জুলাই। তৃণমূল আশাবাদী, অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে যাবে এবার। উত্তরের জেলাগুলি থেকেও নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা ইতিমধ্যেই রওনা দিতে শুরু করেছেন। সব মিলিয়ে একুশের কাউন্ট ডাউন চলছে দ্রুতগতিতে। আগামী রবিবার একুশের মঞ্চ থেকে দলের নেতা-কর্মীদের  দিশা দেবেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।

বৃহস্পতিবার সকালে অনেকে এসে গিয়েছেন আলিপুরদুয়ার-কোচবিহার থেকে। এবারের মঞ্চ -মূল মঞ্চ আয়তন ৫২/২৪ ফুট। এখানে থাকবেন শীর্ষ নেতারা, সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী ও আমন্ত্রিতরা।এছাড়া থাকছে আর একটি মঞ্চ যেখানে বসবেন কাউন্সিলররা। এই মঞ্চের আয়তন হচ্ছে ৪৮/২৪ ফুট। আরেকটা মঞ্চ হবে শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য, যা হবে ৪০/২৪ ফুট।মূল মঞ্চতে ওঠার জন্য সিঁড়ি নয়৷ থাকতে চলেছে র‍্যাম্প। যার উচ্চতা হবে ১০,১১,১২ ফুট। এবারেও থাকছে ১৩ জায়ান্ট স্ক্রিন৷ থাকছে প্রায় ৪০০০ স্বেচ্ছাসেবক।

লোকসভা ভোট ও বিধানসভা উপনির্বাচনের  সমাবেশ পালন হবে এবার। উত্তরের জেলাগুলি থেকে বেশি কর্মী-সমর্থক আনাই এবার লক্ষ্যমাত্রা।