Tag Archives: Akhilesh Yadav

পুরো নামঅখিলেশ যাদব।

জন্ম১৯৭৩ সালের ১ জুলাই, উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়া জেলার সাইফাই গ্রামে।

রাজনৈতিক দলসমাজবাদী পার্টি।

অখিলেশ যাদব পরিবার (Akhilesh Yadav Family)

বাবা – মুলায়ম সিং যাদব।

মা – মালতী দেবী।

ডিম্পল যাদবকে বিয়ে করেছেন অখিলেশ। তাঁদের এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তান।

অখিলেশ যাদব সম্পর্কে

মুলায়ম সিং যাদবের পুত্র অখিলেশ যাদব বর্তমানে সমাজবাদী পার্টির সর্বেসর্বা। তিনিই সমাজবাদী পার্টির জাতীয় সভাপতি। তবে এই নিয়ে পার্টি প্রায় দু’ভাগ হয়ে গিয়েছিল। এই পদের প্রতি শ্যেন দৃষ্টি ছিল কাকা শিবপাল সিংয়ের। পার্টির একাধিক নেতাকে নিয়ে আলাদা লবিও তৈরি করেছিলেন তিনি। কিন্তু অনড় ছিলেন অখিলেশ যাদব। পারিবারিক কোন্দল চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছলে তিনি বাবা মুলায়মকে পদচ্যুত করেন এবং কাকা শিবপালকে সরিয়ে নিজে সমাজবাদী পার্টির রাশ হাতে তুলে নেন।

দলের নেতৃত্ব হাতে পাওয়ার পর তা সুরক্ষিত করতে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধেন অখিলেশ। রাজ্য জুড়ে প্রচার করেন। তুলে ধরেন উন্নয়নের কথা, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাজিত করতে তাঁকে ভোট দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেসের জোট বিজেপির কাছে বিপুল ভোটে হেরে যায়।

২০১২ সালে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে দলের প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন অখিলেশ। পরপর দু’বার সমাজবাদী পার্টিকে ক্ষমতায় আনার পিছনেও তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। গ্রামীণ জীবনের উন্নয়ন এবং দরিদ্র ও কৃষকের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন অখিলেশ। বর্তমানে ভারতীয় রাজনীতির তরুণ মুখদের মধ্যে তিনি অন্যতম।

অখিলেশ যাদব ব্যক্তিগত জীবন (Akhilesh Yadav Personal Life)

১৯৭৩ সালের ১ জুলাই উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়া জেলার সাইফাই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন অখিলেশ। তাঁর বাবা মুলায়ম সিং যাদব উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মা মালতীদেবী গৃহবধূ। রাজস্থানের ঢোলপুর মিলিটারি স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে মাইসোর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকেই বিএ এবং সিভিল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও তিনি এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি অর্জন করেছেন। অখিলেশ পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার, কৃষিবিদ এবং সামাজিক-রাজনৈতিক কর্মী।

১৯৯৯ সালের ২৪ নভেম্বর ডিম্পল যাদবকে বিয়ে করেন অখিলেশ। তাঁদের তিন সন্তান। ফুটবল এবং ক্রিকেট অখিলেশের প্রিয় খেলা। অবসর সময় কাটান বই পড়ে কিংবা গান শুনে। সিনেমা দেখতেও ভালোবাসেন।

অখিলেশ যাদব রাজনৈতিক জীবন (Akhilesh Yadav Political Career)

২০০০ সালে, অখিলেশ যাদব কনৌজ থেকে প্রথমবার লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হন। এর পরের দু’টো মেয়াদেও ওই আসন থেকে লোকসভায় জয়ী হন তিনি।

২০০০ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত, নীতিশাস্ত্র কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০০২ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত, পরিবেশ ও বন কমিটির সদস্য এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।

২০০৪ সালে, দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য লোকসভার সদস্য হিসাবে পুনরায় নির্বাচিত হন।

২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত, নগর উন্নয়ণ কমিটি, প্রাক্কলন কমিটি, বিভিন্ন বিভাগে কম্পিউটার প্রদান সংক্রান্ত কমিটিতে সদস্য ছিলেন।

২০০৯ সালে, ফের লোকসভার সদস্য হন; তিনি টানা তৃতীয় মেয়াদে পুনরায় নির্বাচিত হন।

২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত, তিনি পরিবেশ ও বন সংক্রান্ত কমিটি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক কমিটি এবং জেপিসি-র সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

১০ মার্চ ২০১২-তে, অখিলেশ যাদব উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী আইনসভা দলের নেতা নিযুক্ত হন।

১৫ মার্চ ২০১২-তে, ৩৮ বছর বয়সে, তিনি উত্তরপ্রদেশের সর্বকনিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী হন।

২ মে ২০১২-তে উত্তর প্রদেশের আইন পরিষদের সদস্য হওয়ার জন্য লোকসভার সদস্য হিসাবে পদত্যাগ করেন।

Lok Sabha Elections 2024: দেশ জুড়ে নজরে ‘পাওয়ার অফ 66’…! অখিলেশ-অভিষেক বৈঠক নিয়ে জোর জল্পনা

নয়াদিল্লি: অনেক দিন ধরেই বার বার শোনা গিয়েছে, INDIA-র মধ্যে রয়েছে আরও একটা ‘ইন্ডিয়া’। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বেশি ভরসা করে এসেছেন অখিলেশ যাদব, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উদ্ধবের মতো নেতারা। এর আগেও INDIA জোটের বিভিন্ন বৈঠকের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বারবার আলাদা বৈঠক করেছেন অখিলেশ-কেজরিওয়াল-উদ্ধবরা। কার্যত একই ছবি দেখা যাচ্ছে লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশ্যে আসার পরেও। বুধবার INDIA বৈঠকের পরেও তাই আলাদা করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক এক করে বৈঠক সেরে নিলেন বাকি জোট শরিক নেতৃত্ব।

সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র নেতা অখিলেশ সিং যাদবের বাড়িতে গিয়ে বুধবার রাতেই এক প্রস্থ বৈঠক করেন অভিষেক। টানা ৪৫ মিনিট কথা হয় তৃণমূল কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টির দুই শীর্ষ নেতা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফের বৈঠকে বসেন আম আদমি পার্টি (আপ)-র রাঘব চাড্ডাদের সঙ্গে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বেলার দিকে দিল্লিতে অভিষেকের বাড়িতে যান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলের দুই শীর্ষনেতা সঞ্জয় সিংহ এবং রাঘব চড্ডা।

তবে দু’টি বৈঠক প্রসঙ্গে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এগুলি ‘সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ’। তবে ভোটের পর বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র শরিক দলগুলির মধ্যে সমান্তরাল কোনও সমীকরণ তৈরি হচ্ছে কি না, তা নিয়ে একাংশের মধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে।

সূত্রের খবর, জোট শরিকদের মধ্যে কংগ্রেসের পরে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’কে সবচেয়ে বেশি আসন এনে দিয়েছে অখিলেশের দল সমাজবাদী পার্টি। লোকসভায় উত্তরপ্রদেশে ৩৭টি আসন জিতেছে তারা। তার পরেই রয়েছে ২৯টি আসন পাওয়া তৃণমূল। সংখ্যাধিক্যে সমাজবাদী পার্টি ও তৃণমূল কংগ্রেস বাকিদের টেক্কা দিয়েছে। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় এজেন্সির সঙ্গে বারবার লড়াইয়ে এই দুই রাজ্যে বিরোধী শিবির বারবার শিকার হয়েছে। তাই দুই নেতার এদিনের বৈঠককে বলা হচ্ছে ‘পাওয়ার অফ সিক্সটি সিক্স’। দেশের রাজনীতির নজর এখন সেই ‘৬৬-র শক্তি’-র দিকেই। আগামী কয়েকদিনে ইন্ডিয়া জোটের সমীকরণ কিছু বদলায় কিনা তা বলে দেবে সময়।

Abhishek Meets Akhilesh: অখিলেশের বাড়িতে অভিষেক, নাড্ডার বাড়িতে শাহ…! নয়া সমীকরণের ইঙ্গিত? NDA-INDIA তৎপরতা তুঙ্গে

নয়াদিল্লি: তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ একরকম চূড়ান্ত। ইতিমধ্যেই শনিবারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য শ্রীলঙ্কা, নেপাল, বাংলাদেশ-সহ একাধিক প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, আগামী শুক্রবারই দেশে আসছেন শেখ হাসিনা।

এরইমধ্যে ইন্ডিয়া ও এনডিএ জোটের শরিকদের মধ্যে চলছে চরম তৎপরতা। বুধবার ইন্ডিয়ার বৈঠকের পরে রাতেই সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদবের বাড়ি যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪৫ মিনিট বৈঠক হয়েছে অভিষেক এবং অখিলেশের। আর তাতেই জল্পনা বাড়ছে। যদিও এই সাক্ষাৎ নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে জানা যাচ্ছে তৃণমূলের দলীয় সূত্রে।

আরও পড়ুন: শনিবারই শপথ গ্রহণ মোদির? বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, ভুটানের রাজা, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ

সূত্রের খবর, বুধবার অখিলেশ, অভিষেকের বৈঠকের পরই শিবসেনার সঞ্জয় রাউতের বাড়িতে হাজির হন আপ রাজ্যসভার সাংসদ রাঘব চড্ডা। অন্যদিকে জেপি নাড্ডার বাড়িতে বৃহস্পতিবার সকালেই শুরু হয়েছে বিজেপি শীর্ষকর্তাদের বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত হয়েছেন খোদ অমিত শাহ। সব মিলিয়ে চরম তৎপরতা রাজধানীর অলিন্দে।

আরও পড়ুন: ‘আজ থেকেই আমি এই কাজ শুরু করছি…’, ভোটের ফলাফল সামনে আসতেই বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ!

প্রসঙ্গত, বুধবারই দিল্লিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে একপ্রস্থ আলোচনায় বসেছিলেন NDA-র শরিক দলগুলির প্রধানরা। উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জোটের অন্যতম প্রধান দুই শরিক চন্দ্রবাবু নাইডু এবং নীতীশ কুমার। সূত্রের খবর, নরেন্দ্র মোদিকেই NDA সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয় সেই বৈঠকে। কোনও সময় নষ্ট না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরকার গঠন করা উচিত বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বৈঠকে। জানা যাচ্ছে ৭ জুন আরও একবার আলোচনায় বসবেন এনডিএ জোট। তাতেই নেওয়া হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

অন্যদিকে বুধবার ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের মধ্যেও একপ্রস্থ বৈঠক হয়। জোটের আগাম স্ট্র্যাটেজি-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় ওই বৈঠকে। সূত্রের খবর ইন্ডিয়া জোটের শরিক দলগুলি মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা সরকার গঠনের কোনও চেষ্টা করবে না, বিরোধী আসনেই বসবে। যদিও শেষমেশ সমীকরণ কী দাঁড়ায়, দুই শিবিরের জোট শরিকগুলি চূড়ান্ত কী সিদ্ধান্ত নেয় সেদিনকেই তাকিয়ে গোটা দেশ।

Lok Sabha elections 2024: লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী অখিলেশ, লড়বেন কনৌজ থেকে! শেষ মুহূর্তে চমক সপা-র

লখনউ: এবারের লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন অখিলেশ যাদব৷ উত্তর প্রদেশের কনৌজ কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হচ্ছেন তিনি৷ আজ, বুধবার সমাজবাদী পার্টির পক্ষ থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে৷

পশ্চিমবঙ্গ লোকসভা নির্বাচন ২০২৪

সমাজবাদী পার্টির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, আগামিকাল দুপুরেই মনোনয়নপত্র জমা দেবেন অখিলেশ৷ এর আগে ওই কনৌজ কেন্দ্র থেকে তেজপ্রতাপ যাদবের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিল সমাজবাদী পার্টি৷ বৃহস্পতিবারই তাঁর মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু শেষ মুহূর্তে তেজপ্রতাপের বদলে ওই কেন্দ্র থেকে অখিলেশকে প্রার্থী করল সপা৷

আরও পড়ুন: সংজ্ঞাহীন গড়কড়ি! সুস্থতা কামনা করে মমতার প্রশ্ন, ‘গরমে বাকি দফার ভোটে কী হবে?’

দলের কর্মীদের চাপেই তিনি কনৌজ থেকে প্রার্থী হচ্ছেন কি না প্রশ্ন করা হলে অখিলেশ বলেন, প্রশ্ন হল এই আসন থেকে ঐতিহাসিক জয় পাওয়া নিয়ে৷ কারণ এই নির্বাচনের পর বিজেপি-ই ইতিহাস হয়ে যাবে, কারণ মানুষ ইন্ডিয়া জোটের পক্ষেই রায় দেওয়ার সিদ্ধান্ত মনে মনে নিয়ে ফেলেছেন৷ মানুষ এনডিএ-এর বিরুদ্ধে ভোট দেবেন৷ পিছিয়ে পড়া, দলিত, সংখ্যালঘুরাই এবার এনডিএ-কে পরাজিত করবে৷

২০০০ সালে এই কনৌজ কেন্দ্র থেকেই জয়ী হয়েছিলেন অখিলেশ৷ পরবর্তী সময়ে ২০০৪, ২০০৯ সালেও ওই কেন্দ্র থেকেই জয়ী হন অখিলেশ৷ ২০১২ সালে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর কনৌজের সাংসদের পদ থেকে ইস্তফা দেন অখিলেশ৷ পরে উপনির্বাচনে ওই কেন্দ্র থেকে জয়ী হন অখিলেশের স্ত্রী ডিম্পল৷ কিন্তু ২০১৯ সালে বিজেপির সুব্রত পাঠকের কাছে পরাজিত হন তিনি৷ আগামী ১৩ মে কনৌজ কেন্দ্রে নির্বাচন৷

Trinamool Congress: লোকসভায় এবার উত্তর প্রদেশ থেকেও লড়বে তৃণমূল কংগ্রেস, পূর্ণ সমর্থন সপা-র

আবীর ঘোষাল, কলকাতা: এই প্রথম দেশের সর্ববৃহৎ রাজ্য উত্তর প্রদেশ থেকে লোকসভার একটি আসনে লড়তে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। গত ডিসেম্বর মাসেই সমাজবাদী পার্টির কোর কমিটির বৈঠকে বিষয়টিতে চূড়ান্ত সিলমোহর পড়েছে। সমাজবাদী পার্টির কোর কমিটির বৈঠক হয়। সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেসকে একটি আসন ছাড়ার সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়া হয়। এনিয়ে দলের সহ-সভাপতি কিরণময় নন্দ বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি আসনে লড়তে চেয়েছিলেন। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে তৃণমূলকে একটি আসন ছাড়া হবে। আমাদের নেতা অখিলেশ যাদবের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা হয়েছে।” সূত্রের খবর, প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা কমলাপতি ত্রিপাঠীর নাতি রাজেশ ত্রিপাঠী ঘাসফুলের হয়ে ময়দানে নামতে চলেছেন। বাবার মতোই চান্দোলি আসন থেকেই লড়তে চাইছেন রাজেশ। তাঁকে পূর্ণ সমর্থন দেবে সমাজবাদী পার্টি।

আরও পড়ুন– আংশিক মেঘলা আকাশ, বুধবার থেকে তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়বে, বৃষ্টির সম্ভাবনা কোন কোন দিন? দেখে নিন

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইন্ডিয়া জোটের অন্দরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে একটি অংশ বিশেষভাবে সক্রিয়। সেই গোষ্ঠীতে রয়েছেন অখিলেশ যাদব, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উদ্ধব ঠাকরের মতো নেতারা। মূলত, কংগ্রেসের সঙ্গে টানাপোড়েনই এই নেতাদের একসাথে আসা। কংগ্রেসের ‘জমিদারি’ মেজাজ নিয়েও সুর চড়িয়েছেন অনেকেই। বিশেষ করে, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর সেই আওয়াজ আরও জোরাল হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের অনেকের প্রশ্ন হচ্ছে, তৃণমূলকে আসন ছাড়ার বিনিময়ে কী পাবে অখিলেশের দল? আপাতত এসপির বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধাবশত এই সিদ্ধান্ত।

আরও পড়ুন– দীক্ষার পর থেকে জৈন সন্ন্যাসীরা স্নান করেন না, তারপরেও এত তরতাজা থাকেন কী করে? জানুন সেই রহস্য

সমাজবাদী পার্টির এক নেতা বলেন, “উত্তর প্রদেশে গত বিধানসভা নির্বাচনে ৪০০টি আসনে কংগ্রেস লড়ে মাত্র ২টি পেয়েছিল। বহু আসনে তাদের জমানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়। অমেঠী এবং রায়বরেলীতে কংগ্রেসের তুলনায় এসপি-র শক্তি অনেক বেশি থাকা সত্ত্বেও ঐতিহ্য মেনে এই দু’টি আসন সনিয়া এবং রাহুল গান্ধিকে ছেড়ে থাকে এসপি।” প্রসঙ্গত এবার রায়বেরেলী থেকে লড়বেন না সনিয়া গান্ধি। অযোধ্যার রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্যেই হিন্দুত্বের প্রচারে নেমে পড়তে চাইছে বিজেপি। লোকসভার প্রচারে কোন অস্ত্রে তার মোকাবিলা করবে দল? এসপি সূত্রে বলা হচ্ছে, জাতভিত্তিক জনগণনা, গণনার ভিত্তিতে জনসংখ্যা অনুযায়ী ওবিসি-দের ভাগীদারি, কিছু কর্পোরেটের হাতে দেশের অর্থব্যবস্থাকে তুলে দেওয়া, কৃষকের দুরবস্থা, বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধির মতো সাধারণ মানুষের সমস্যার বিষয়গুলিকে আনা হবে প্রচারে। গত পাঁচ বছরে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে অনুন্নয়নের অভিযোগকেও সামনে আনা হবে।

Akhilesh Yadav: বারাণসীতে মোদির বিরুদ্ধে লড়বে কে? জানিয়ে দিলেন অখিলেশ! আসন সমঝোতাও পাকা

লখনউ: শেষমেশ বরফ গলল। স্বস্তি ফিরল ইন্ডিয়া জোটে। বুধবার সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব জানিয়ে দিলেন, শেষ ভাল যার-সব ভাল তাঁর। উত্তর প্রদেশে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে তাঁদের কোনও সমস্যা নেই।

অখিলেশ যাদব জানান, রাহুল গান্ধির সঙ্গেও আসন রফা নিয়ে কথা হয়েছে। ফলে উত্তর প্রদেশে লোকসভা নির্বাচনে জোট বেঁধেই লড়বে কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টি।

আরও পড়ুন: বলুন তো, ভারত-বাংলাদেশ ছাড়া আর কোন দেশের সরকারি ভাষা বাংলা? নাম শুনে মাথায় হাত পড়বে আপনার

প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশে কংগ্রেস ১৭ টি থেকে ১৯ টি আসনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সূত্রের খবর। উত্তর প্রদেশ লোকসভায় মোট ৮০টি আসন রয়েছে। আমেঠী এবং রায়বেরেলিতে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় অনুপস্থিত ছিলেন অখিলেশ যাদব। তা নিয়ে প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয় সমাজবাদী পার্টির নেতাকে।

আরও পড়ুন: বলুন তো, ভারতের সবচেয়ে দূষিত শহর কোনটি? আপনি থাকেন নাকি? নাম শুনেই আঁতকে উঠবেন

উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের শুরুতেই অখিলেশ যাদব জানিয়েছিলেন যদি আসনরফা নিয়ে সিদ্ধান্ত শেষ হয়, তবেই তিনি রাহুলের যাত্রায় যোগ দেবেন। সেই আশঙ্কা কাটিয়ে অবশেষে অখিলেশ জানিয়ে দিলেন, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট কার্যত পাকা। শুধু তাই নয়, অখিলেশ জানিয়ে দেন, বারাণসী থেকে নরেন্দ্র মোদির বিপক্ষে লড়াই করবে কংগ্রেস, আর হাথরসে লড়বে সমাজবাদী পার্টি। এবং অখিলেশ জানিয়ে দেন, বুধবার সন্ধ্যাতেই কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টি তাদের আসন নিয়ে বক্তব্য স্পষ্ট করে দেবে।