দক্ষিণ ২৪ পরগনা: টর্ণেডোর কবলে পড়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় উদ্ধার হল শেষ মৎস্যজীবীর নিথর দেহ। মৃত মৎস্যজীবীর নাম পাদুরি দাস। বকখালি থেকে আরও গভীরে সমুদ্রে ওই মৎস্যজীবীর দেহ ভাসছিল।
ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার পুলিশ সেই দেহ উদ্ধার করে নামখানা ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। বুধবার মৃতদেহেহের ময়নাতদন্ত করা হবে কাকদ্বীপ মহাকুমা হাসপাতালের মর্গে। এদিকে ট্রলারডুবির ঘটনায় ৮ মৎস্যজীবীর দেহ মিললেও পাদুরি দাসের দেহ পাওয়া যাচ্ছিল না। ধারণা করা হচ্ছিল ঘুমন্ত অবস্থায় ট্রলারের মধ্যে থেকে ছিটকে বেরিয়ে যায় ওই মৎস্যজীবী। তারপর ওই মৎস্যজীবীর সলিল সমাধি ঘটে।
ফলে এক এক করে যখন দেহগুলি আসছিল। তখন পাদুরি দাসের দেহ না আসায় কান্নায় ভেঙে পড়েছিল ওই মৎস্যজীবীর পরিবারের লোকজন। বর্তমানে দেহ মিলতেই খবর দেওয়া হয়েছে নিখোঁজ মৎস্যজীবীর পরিবারের সদস্যদের।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার ভোর রাতে সামুদ্রিক ঝড়ের মধ্যে পড়ে এফবি বি গোবিন্দ ট্রলার উল্টে যায়। সেই ঘটনায় ৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয় ট্রলারের কেবিন থেকে। মোট ১৭ জন মৎস্যজীবী ছিলেন ওই ট্রলারে। বাকি ৬ জনকে অবশ্য জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তাঁরাও আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নামখানা: রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র বকখালি। সেখানের হোটেলেই লুকিয়ে চলছে কুকর্ম। এমন খবর পেয়েই সেখানে হানা দেয় সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ।
এরপর হাতেনাতে মধুচক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে অন্যতম দুই ব্যক্তি হলেন মদন পাত্র ও ভৃগুরাম রানা। এরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিয়ে মধুচক্র চালানোর উৎসাহ জোগাতো। আগেও এই কাজ করেছে তারা, সেই পদ্ধতিতেই অরূপ দাস ও কৌশিক প্রধানকে নিয়ে হোটেল নীল আকাশে যায় মধুচক্রের দালালরা। সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশও খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে যায়।
মধুচক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে হোটেলের মালিক বিকাশ মল্লিককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ৫ ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের কাকদ্বীপ মহাকুমা আদালতে পাঠিয়ে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ।
শুক্রবার এই নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন সুন্দরবন পুলিশ জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৌস্তুভদ্বীপ্ত আচার্য। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তার খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বকখালির এই ঘটনায় হতবাক সকলে।
বকখালি: বকখালিতে শুটিংয়ে এসে মেকআপ আর্টিস্ট এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ। বকখালির আবাসিক হোটেলে এক মহিলা মেক-আপ আর্টিস্টকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রোডাকশান ম্যানেজারকে গ্রেফতার করল ফ্রেজারগঞ্জ থানার পুলিশ।
ধৃত রাহুল ঘোষকে আজ কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার বকখালিতে মিউজিক ভিডিওর শুটিং করার জন্য আসে একটি প্রোডাকশান টিম।