আগামী দুই থেকে তিন ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা জারি। দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলায় ঝড়বৃষ্টি আসতে চলেছে। সর্তকতা আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের।হাওড়া, কলকাতা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় বৃষ্টির সতর্কতা জারি করল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে বজ্রপাতের আশঙ্কা।দক্ষিণবঙ্গে বুধবার থেকে শনিবার নিবিড় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। মূলত মেঘলা আকাশ। কোথাও আংশিক মেঘলা আকাশ। সব জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। পাশাপাশি বজ্রপাতের আশঙ্কাও থাকবে।কলকাতায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে কমে গিয়েছে। দিনভর মেঘলা আকাশ ছিল। মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ কয়েক পশলা হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণের একাধিক জেলায়।যদিও এখনই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি। বৃষ্টি না হলে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে।বুধবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রা থেকে ১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। গতকাল, মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম।বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৯২ থেকে ৯৮ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা শহরে তাপমাত্রা থাকবে ২৬ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। বৃষ্টি হয়েছে ৪৩.৯ মিলিমিটার।
IMD Rain Alert: বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি হল পশ্চিমবঙ্গে। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ঝড়বৃষ্টি ধেয়ে আসছে আর ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে। কোন কোন জেলার জন্য সতর্কতা জারি করল আবহাওয়া দফতর?IMD Rain Alert: আগামী দুই থেকে তিন ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা জারি। উত্তরবঙ্গের চার জেলা, দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বৃষ্টির সতর্কতা।IMD Rain Alert: বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা জারি হয়েছে। সতর্কতা রয়েছে বজ্রপাতেরও। এমনটাই জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।IMD Rain Alert: জুনের শেষের মতো জুলাইয়ের শুরুতেও উত্তরবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গে সোমবার ও মঙ্গলবার, আজ ও কাল বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কম থাকলেও আকাশ মেঘলা থাকছে।IMD Rain Alert: সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার মেঘলা আকাশ থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ কয়েক পশলা বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হবে। বৃষ্টি না হলে আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি থাকবে।IMD Rain Alert: শুক্রবার ভারী বৃষ্টি হবে পূর্ব দিক ও উপকূলের জেলাতে। মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস।IMD Rain Alert: কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে দুই-এক পশলা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা।IMD Rain Alert: ওদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা দার্জিলিং ও জলপাইগুড়িতে যেখানে ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।IMD Rain Alert: অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুর জেলায়। ভারী বৃষ্টি হতে পারে মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়।
বর্ষার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। আগামী কয়েকদিন বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। পশ্চিম-মধ্য এবং উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত শক্তিশালী হয়ে শুক্রবারের মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা। দক্ষিণবঙ্গে সক্রিয় হবে মৌসুমী বায়ু। এর ফলে আগামী তিন চার দিনের মধ্যে দক্ষিণের বাকি জেলাগুলিতে ঢুকে পড়বে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। বলছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
বর্ষা এলেও দক্ষিণবঙ্গে এখনও তেমন বৃষ্টি নেই। জুন মাসে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি। কাল থেকে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা। জুনের শেষে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। আজ থেকে উত্তরের ৫ জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা।
অস্বস্তিকর গরমে হাঁসফাঁস দক্ষিণবঙ্গে। আগামিকাল থেকে আরও বাড়বে তাপমাত্রা। তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি পশ্চিমের চার জেলায়। বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান ও পশ্চিম মেদিনীপুরে তাপপ্রবাহ থাকবে রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত।বাকি জেলাতে গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া। গরম এবং অস্বস্তিতে নাজেহাল হতে হবে আগামী পাঁচ দিন। আজ, শনিবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস।তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকবে আগামিকাল, রবিবার। পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়া এই তিন জেলাতে তাপপ্রবাহের সতর্কতা কাল।দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা আগামী কয়েকদিন। তবে বৃহস্পতিবার রাজ্যজুড়ে নিবিড় বৃষ্টির সম্ভাবনা। তার আগে উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হলেও দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। দু’এক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ের সম্ভাবনা।আজ, শনিবার জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস বৃষ্টি হতে পারে ৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার। দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়িতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৪০ কিলোমিটার দমকা বাতাসের সম্ভাবনা।আগামিকাল, রবিবার জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। সোমবার ভারী বৃষ্টি হবে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারের সঙ্গে উত্তর দিনাজপুর জেলাতেও।বৃহস্পতিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু। আগামী সপ্তাহের শেষে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর কলকাতায় প্রবেশের সম্ভাবনা বাড়বে। বৃহস্পতিবার বৃষ্টির পর মনোরম পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে।
বর্ষা আসার আগে থেকেই শুরু হয়েছে বজ্রপাত। বিভিন্ন এলাকায় বাজ পড়ে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। গবেষকদের একাংশ মনে করছেন ক্রমাগত বেড়ে চলা দূষণে বাজ পড়ার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলছে। বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ আবার বজ্রপাত প্রবণ এলাকার মধ্যে পড়ে। গত দু’বছরে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই এলাকায়।কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার এজন্য। উঁচু বাড়ি বা অফিসে বজ্রনিরোধক বসানো দরকার। কারণ, এর ফলে বজ্রপাতের প্রভাব ও ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যায়। শুধু মানুষ নয়, বাজ পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পশুপাখি থেকে শুরু করে গাছপালাও। শহরের তুলনায় গ্রামে বাজ পড়ার সংখ্যা অনেক বেশি। কারণ সেখানে উঁচু উঁচু বাড়ির সংখ্যা কম। উঁচু গাছে বাজ বেশি পড়ে।এই সময় নিজের নিরাপত্তার জন্য বাড়িতে একটি বজ্র নিরোধক ইনস্টল করে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি বাড়ি, অফিস, মন্দির—যেকোনও জায়গায় ইনস্টল করে নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু কীভাবে ইনস্টল করা যাবে, খরচই বা কত জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত—‘লাইটনিং কন্ডাক্টর’ বা বজ্র নিরোধক হল এক ধরনের যন্ত্র যা বজ্রপাতকে নিজের ভিতরে শোষণ করে। পরিবাহী পথের মাধ্যমে তাকে ভূগর্ভে পাঠিয়ে দেয়। একে লাইটনিং রড-ও বলা হয়। এটি মূলত তামার তৈরি একটি রড।এর দু’টি ভাগ থাকে। সাধারণত উঁচু বাড়ি নির্মাণের সময় দেয়ালে ইনস্টল করে দেওয়া হয়। এর উপরের অংশটি বাড়ির ছাদে লাগানো থাকে। বাড়ির উপর অনেকটা অংশ মাথা তুলে থাকে।এই রডের উপরে অংশটি সূক্ষ্ম বা ত্রিশূল আকৃতির হয়ে থাকে। নীচের অংশটি পুরু, যা তারের মাধ্যমে মাটিতে মাটির গভীরে পুঁতে রাখা হয়। মনে রাখতে হবে এই জায়গা যেন অবশ্যই আর্দ্র হয়। শুকনো অবস্থায় একটি গর্ত তৈরি করে মাটি এবং একটি রাসায়নিক যৌগ দিয়ে পূরণ করে দিতে হবে।খরচ: বজ্র নিরোধক যন্ত্র ইনস্টল করার জন্য বাড়িতে একজন ইলেকট্রিশিয়ানকে ডাকতে হবে। যেকোনও ভবন নির্মাণের সময়ই এটি ইনস্টল করে নেওয়া ভাল। তাতে নির্মাণাধীন বাড়িটিকেও সম্ভাব্য যেকোনও বিপদ থেকে রক্ষা করা যায়। এটি বসাতে প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ হতে পারে।
জলপাইগুড়ি: এই বাংলার অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল বলা হত চা-কে। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় এবার কি সেই দিন ফুরোল? অতি চাহিদার ফার্স্ট ফ্ল্যাশ এবার কি আদৌ হবে? আকাশের দিকে তাকিয়ে এগুলোরই উত্তর খুঁজছেন চা শ্রমিক থেকে মালিক সকলে।
শীতের রোদ গায়ে মেখে সবুজ রঙের কচি কচি পাতা যেন সদ্য আড়মোড়া ভাঙছে। বসন্তকালের শুরুতে উত্তরের চা বাগানে এতদিন এমনই ছবি দেখে এসেছে সবাই। কিন্তু বিশ্ব উষ্ণায়ণের থাবায় খুব দ্রুত বদলে যাচ্ছে সবকিছু। যথারীতি তার প্রভাব পড়েছে চা চাষে। স্বাদে এবং গন্ধে মরসুমের যে কোনও সময়কে পিছনে ফেলে দেয় শীতঘুম ভাঙা এই সময়ের চা পাতা। চা বাগান পত্তনকারী সাহেবরা যে পাতার নাম রেখেছিলেন ‘ফার্স্ট ফ্ল্যাশ।’
টি বোর্ডের নির্দেশে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ডুয়ার্স এবং তরাইয়ে ফার্স্ট ফ্ল্যাশে’র চা পাতা তোলা শুরু হয়েছে। এই ফার্স্ট ফ্ল্যাশের চা পাতা বলতে বোঝানো হয় দুটি পাতা, একটি কুঁড়ি। ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের কাছে রুটি-রুজির অন্যতম অবলম্বন এই চা চাষ। কিন্তু এবার পরিস্থিতি অনেকটাই ভিন্ন। ভয়াবহ ক্ষতির মুখে ফার্স্ট ফ্ল্যাশের উৎপাদন। এই সময় বৃষ্টি হওয়ার কথা থাকলেও তা না হওয়াতেই মূলত এই অবস্থা। অক্টোবর মাস থেকে সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে চলছে চা গাছে প্রয়োজনীয় জলের জোগান। সময় মত বৃষ্টি না হওয়ায় বাড়ছে পোকার আক্রমণ। চা গাছ বাঁচাতে ব্যবহার বাড়ছে কীটনাশকের ব্যবহার। যার ফলে বাড়ছে উৎপাদন খরচ। আর এতেই সামাল দেওয়া যাচ্ছে না উৎপাদন খরচ।
এই বছর পরিস্থিতি বিশেষ একটা বদলাবে না বলে মন্তব্য চা বাগান মালিক গোষ্ঠীর সংগঠন ডিবিআইটি-এর সচিবের মুখেও। লাভের বদলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ছে উত্তরের চারটি জেলার শিল্প চা। কপালে ভাঁজ পড়েছে জলপাইগুড়ির চা চাষিদেরও।ফেব্রুয়ারি মাস শেষ হতে চলেছে তবুও দেখা নেই বৃষ্টির, ঘন কুয়াশায় ঢেকে রয়েছে চা বাগান। এরফলে আগামী দিনে আরও বেশ কিছু চা বাগান বন্ধ হয়ে গেলে বিশেষ একটা অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না বলে আশঙ্কা শ্রমিকদের।