বেঙ্গালুরু: গাড়িতে সপরিবারে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। হঠাতই মাতাল বাইক চালকের উৎপাত। গাড়ির উইন্ডশিল্ড ভেঙে অকথ্য গালাগালি। শুধু তাই নয়, গাড়ির কাচ ভাঙার চেষ্টাও করলেন। বেঙ্গালুরুর সরজাপুরের ঘটনা। মাতালের উন্মত্ত আচরণে এখনও আতঙ্কে গোটা পরিবার।
ঘটনার ভিডিও এক্স প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করেছে ইস্ট বেঙ্গালুরুর সিটিজেনস মুভমেন্ট। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, গাড়ির ভিতরে বসে রয়েছেন এক দম্পতি। হঠাত এক মাতাল বাইক চালক এসে হম্বিতম্বি শুরু করলেন। ওই দম্পতি বারবার বলছেন, বাচ্চা আছে, ছেড়ে দাও। কিন্তু কে কার কথা শোনে।
আরও পড়ুনSafe City: এই শহরে মহিলাদের কোনও ভয় নেই, বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ শহরের তালিকা, ভারতের কী হাল? দেখুন
কথা কাটাকাটিতে উত্তেজিত হয়ে গাড়ির উইন্ডশিল্ড ভেঙে দেন বাইক চালক। তারপর সেটা দিয়ে গাড়ির সামনের কাচে এলোপাথাড়ি মারতে শুরু করেন। গাড়ির ভিতরে ছোট শিশুটি তখন আতঙ্কে চিৎকার করছে। এই অবস্থায় আশপাশের লোক জড়ো হয়ে যায়। তাঁরা চেষ্টা করেও মাতালকে থামাতে পারেননি।
ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “সরজাপুর রোডে কী হচ্ছে? গাড়িতে থাকা পরিবারের উপর হামলা করেছে এক বাইক চালক। দয়া করে সাহায্য করুন। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ১৫২২, দোদ্দকান্নেল্লি জংশনের রাস্তায়। এইমাত্র থানায় পৌঁছেছেন দম্পতি।’’
বেঙ্গালুরু সিটি পুলিশ জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পর অন্য একটি ট্যুইটে বেঙ্গালুরু পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত নবীন রেড্ডিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
@BlrCityPolice @CPBlr @bellandurutrfps
What’s happening on Sarjapur Road? A family in car is being attacked by bike brone assailants! Please help!
The incident happened at 10:30pm at street 1522, Doddakannelli Junction! The couple just reached police station! #crime #Bengaluru pic.twitter.com/qjDI51Tqb4— Citizens Movement, East Bengaluru (@east_bengaluru) August 19, 2024
ঘটনার ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়াইয় ভাইরাল। নেটিজেনদের অধিকাংশের দাবি, বেঙ্গালুরুতে প্রায়ই এই ধরণের ঘটনা ঘটছে। সাধারণ মানুষকে প্রাণ হাতে নিয়ে চলাফেরা করতে হয়। একজন ইউজার লিখেছেন, “যদি আমার সন্তান গাড়িতে থাকত আর দেখতাম আততায়ী পাথর হাতে এগিয়ে আসছে, তাহলে অ্যাস্কিলেটরে চাপ দিতাম আর ওখান থেকে বেরিয়ে যেতাম। আততায়ী রাস্তা আটকানোর চেষ্টা করলেও থামতাম না। পরিবারের নিরাপত্তা সবার আগে।’’
আরেকজন ইউজার লিখেছেন, “সরজাপুর এবং আশপাশে এগুলো এখন খুব সাধারণ ঘটনা হয়ে গিয়েছে। আশা করছি, শীঘ্রই এর সমাধান হবে।“ আরেকজন লিখেছেন, “খুব ভয়ঙ্কর সময়ে বাস করছি আমরা। রাস্তা, অবকাঠামো এবং নিরাপত্তা, কিছুই আর সাধারণ মানুষের পক্ষে নেই।’’