বিদ্যুৎ অপচয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পর এবার অ্যাকশনে স্কুল শিক্ষা দফতর। বিদ্যুৎ অপচয় রুখতে এবার স্কুলে স্কুলে আচমকা পরিদর্শনের নির্দেশ। আচমকা পরিদর্শনের নির্দেশ রাজ্য স্কুল শিক্ষা কমিশনারের। জেলার স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকদের এই নির্দেশ দিল স্কুল শিক্ষা দফতর। “স্কুল ছুটি হওয়ার পরেও একাধিক স্কুলে অকারণে বিদ্যুৎ অপচয় হচ্ছে। এটি দফতরের নজরে এসেছে। তাই এগুলো আপনারা বন্ধ করুন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রধান শিক্ষিকাদের অনুরোধ করুন যাতে অকারণে বিদ্যুৎ অপচয় না করে।” জেলার স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকদের চিঠি স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনারের। কোন কোন স্কুলে সারপ্রাইজ ভিজিট হচ্ছে বিদ্যুৎ অপচয় রুখতে। তার রিপোর্ট দিতে হবে স্কুল শিক্ষা দফতরকে ডি আইদের। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্কুল ও সরকারি দফতরে বিদ্যুৎ অপচয় নিয়ে সরব হয়েছিলেন।
Tag Archives: Govt Schools
WB Schools: আচমকা রাজ্যের যে কোনও স্কুলে পরিদর্শন করবেন শিক্ষা কমিশনার, কেন? কড়া নির্দেশ শিক্ষা দফতরের
কলকাতা: বিদ্যুৎ অপচয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পর এবার অ্যাকশনে স্কুল শিক্ষা দফতর। বিদ্যুৎ অপচয় রুখতে এবার স্কুলে স্কুলে আচমকা পরিদর্শনের নির্দেশ। আচমকা পরিদর্শনের নির্দেশ রাজ্য স্কুল শিক্ষা কমিশনারের।
জেলার স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকদের এই নির্দেশ দিল স্কুল শিক্ষা দফতর। “স্কুল ছুটি হওয়ার পরেও একাধিক স্কুলে অকারণে বিদ্যুৎ অপচয় হচ্ছে। এটি দফতরের নজরে এসেছে। তাই এগুলো আপনারা বন্ধ করুন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রধান শিক্ষিকাদের অনুরোধ করুন যাতে অকারণে বিদ্যুৎ অপচয় না করে।”
আরও পড়ুন: NIRF র্যাঙ্কিং ২০২৪, দেশের সেরা ১০০টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নাম প্রকাশিত, বাংলার কোন কলেজ তালিকায়?
জেলার স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকদের চিঠি স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনারের। কোন কোন স্কুলে সারপ্রাইজ ভিজিট হচ্ছে বিদ্যুৎ অপচয় রুখতে। তার রিপোর্ট দিতে হবে স্কুল শিক্ষা দফতরকে ডি আইদের। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্কুল ও সরকারি দফতরে বিদ্যুৎ অপচয় নিয়ে সরব হয়েছিলেন।
গরমের ছুটি শেষ হওয়ার পর দীর্ঘদিন স্কুলগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ছিলেন। শুক্রবার হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে এ রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ২৭ জুন পর্যন্ত থাকবে। যদিও স্কুলগুলি থেকে জওয়ানদের স্থানান্তরিত করার নির্দেশ আগেই দেওয়া হয়েছিল। জওয়ানরা থাকাকালীনও স্কুলের ইলেকট্রিক বিল বেশি আসার অভিযোগ উঠেছিল। এবার নবান্ন কড়া হাতে সেই সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নিল।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়
School Timing Change: সারা বছরই যদি মর্নিং স্কুল হয়! কী বলছেন অভিভাবকেরা? জোরদার নতুন দাবি
নদিয়া: শুধু প্রাইমারি সেকশন নয় সেকেন্ডারিতেও মর্নিং স্কুল! উঠছে প্রশ্ন শুধু গ্রীষ্মকালেই নয়! সারা বছর সকালে হলেই বা কেমন হয়? উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাত শুরু হলেও দক্ষিণবঙ্গে এখনও মৌসুমী বায়ুর আগমন ঘটেনি ফলে আবহাওয়া দফতর থেকে নিশ্চিত করে বৃষ্টিপাত সম্পর্কে খুশির খবর কিছু জানাতে পারেনি।
আর এরই ফলে প্রথমে ২১ দিনের টানা গ্রীষ্মের লম্বা ইনিংস তারপরে আবারও প্রায় সপ্তাহ দু’য়েকের ধাক্কা। রাস্তা হোক বা বাজার কিংবা সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দুপুরে শুনশান চেহারা নিচ্ছে, পারদ চড়েছে আবার প্রায় ৪০-এর কাছাকাছি। ঘর থেকে বেরনোর উপক্রম নেই। এই অবস্থায় শিশু এবং বৃদ্ধ বা শ্রমজীবী মানুষের ভয়ানক পরিস্থিতি। শিশুদের পঠন পাঠনের ক্ষেত্রেও ব্যাপক ঘাটতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: দেশের সেরা ১০ মেডিক্যাল কলেজ: প্রথম স্থানে দিল্লির এইমস, তালিকায় ৩ বেসরকারি কলেজও! রইল খুঁটিনাটি
শুধু প্রাথমিক বিদ্যালয় নয় সেকেন্ডারি শিক্ষাক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতির হার একেবারেই কম। আর এই সমস্ত দেখেই শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে গত ২ জুন থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল মর্নিং স্কুলের। আর তাতেই হাফ ছেড়ে বেঁচেছে ক্ষুদে পড়ুয়া থেকে অভিভাবক এমনকী শিক্ষক শিক্ষিকারাও। যদিও সমস্যা দু’টি।
আরও পড়ুন: CAT ছাড়াই MBA! রইল ১৫ পরীক্ষার নাম-পরীক্ষার সময়-কোর্স-কলেজের খোঁজ, জানুন
দূরদূরান্ত থেকে আসা শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি এবং কড়ায়-গন্ডায় পড়াশোনা বুঝে নেওয়া সচেতন অভিভাবকদের কারণ এক্ষেত্রে পঠন পাঠনের সময় প্রায় দু’ঘণ্টা কমেছে। সার্বিকভাবে সকালে বিদ্যালয় মেনে নিচ্ছেন প্রায় সকলেই। অনেকে অতি উৎসাহী হয়ে জানাচ্ছেন গ্রীষ্মকালীন ছুটি না দিয়ে সারা বছর এভাবে চললেই সিলেবাস শেষ করাতে কোন অসুবিধা হবে না।
প্রবীণ নাগরিকরা জানাচ্ছেন, আমরা তো এই ভাবেই লেখা পড়া করেছি, কোনও অসুবিধা হয়নি তো! পুরনো পদ্ধতি অনুসরণ করতে অসুবিধা কোথায়? যেহেতু প্রতি বছর গ্রীষ্মের দাবদাহ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে সেহেতু গ্রীষ্মের ছুটি ক্যালেন্ডারে নির্দিষ্ট না করে পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী ছুটি লোকাল ও স্কুল মর্নিং করে দিলে সবদিক দিয়ে ভাল হবে বলে মনে করছেন অনেকে।
তবে এক্ষেত্রে সকাল ১১ টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত পঠন পাঠনের সময় প্রায় দেড় দু’ঘণ্টা কম হবে। কারণ মর্নিংয়ে স্কুলের সময়সীমা সকাল ৭ টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত মাত্র চার ঘণ্টা। এ প্রসঙ্গে শিক্ষক এবং অভিভাবকদের একাংশের মতো সময় কিছুটা কম হলেও ছাত্র -ছাত্রীদের সকালবেলায় পঠন পাঠনের প্রতি মনোযোগ বেশ খানিকটা হলেও বেশি থাকে, পড়াশোনায় সুবিধা হয়। তাই গ্রীষ্মকালীন ছুটি একদম কমিয়ে এনে বেশিরভাগ সময়টা মর্নিং করলে ভাল হয় বলে দাবি অনেক অভিভাবকের।
অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠানো কিংবা নিয়ে যাওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজটি সেরে ফেলতে পারবেন সকাল সকাল এরপর সারাদিন নিজ নিজ কাজের দিকে মনোযোগ দিতে পারবেন। তবে বর্ধিত ছুটির থেকে সকালে স্কুল অবশ্যই ভাল। তাতে সিলেবাস যেমন শেষ হয় ঠিক তেমনই ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠনে নিরবিচ্ছিন্নতা বজায় থাকে। এবং সিলেবাস শেষ করে অনুশীলন করানোর সময় বেশি পাওয়া যায়। গরমের ছুটি না দিয়ে সকালে স্কুল হলে বিষয়টি আরও ভাল হত।
Mainak Debnath
WB School Timing Change: বদলে গেল সময়, জুন মাসে কখন যেতে হবে স্কুলে? লক্ষ লক্ষ পড়ুয়ার জন্য স্বস্তির খবর
কলকাতা: রাজ্যের ৬০ শতাংশ স্কুলই গরমের জন্য সকালে স্কুল করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্যে জুড়ে প্রায় ৪০ হাজার স্কুলে অন্তত জুন মাসটা সকাল ৭ টা বা সকাল ৭.৩০ থেকে শুরু হবে ক্লাস। বুধবারই স্কুল গুলিকে অত্যধিক গরমের কারণে সময়সীমা বদল করার অনুমতি ছেড়ে দেয় রাজ্য।
গত তিনদিনে রাজ্যে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব স্কুলই সকালে স্কুল করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনই রিপোর্ট রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে জমা পড়েছে। সকালে সময়সীমা বদল করলেও স্কুলগুলি ফাঁকি দিচ্ছে না তো? তার জন্য স্কুলে স্কুলে পরির্দশনের নির্দেশ স্কুল শিক্ষা দফতরের জেলা স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকদের।
আরও পড়ুন: তীব্র গরমে আর স্কুল নয়, বিরাট সিদ্ধান্ত সরকারের! লাখ-লাখ পড়ুয়ার জন্য বড় স্বস্তির খবর
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলগুলিতে পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। রাজ্যে বর্তমানে ৬৪ হাজার স্কুল। তার মধ্য প্রাথমিক স্কুল ৫০ হাজার, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ অনুমোদিত স্কুল ১৪ হাজার। দেড় মাস পর গত সোমবার স্কুল খুলেছে গরমের ছুটির পর। কিন্তু গরম কমেনি এক ফোঁটাও। উত্তরবঙ্গে বর্ষা এলেও, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে তীব্র গরমে ফুটছে। এরই মধ্যে গরমে স্কুলের সময় বদলানোর অনুমতি দেয় স্কুল শিক্ষা দফতর।
আরও পড়ুন: দেশের সেরা ১০ মেডিক্যাল কলেজ: প্রথম স্থানে দিল্লির এইমস, তালিকায় ৩ বেসরকারি কলেজও! রইল খুঁটিনাটি
আচমকা আবার গরম পড়ায় নয়া সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের। গোটা জুন মাস স্কুলের সময় পরিবর্তন করতে পারবে স্কুলগুলি। প্রয়োজনে স্কুলের সময় সকালে করতে পারবে স্কুলগুলি। রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের নির্দেশ মধ্যশিক্ষা ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলির ক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত হবে তা ঠিক করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। স্থানীয় আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে স্কুলের সময় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কোনও ভাবেই যাতে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা ও সিলেবাস শেষ করতে অসুবিধে না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে বলে মধ্যশিক্ষা ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়
Summer Vacation School Time: তীব্র গরমে আর স্কুল নয়, বিরাট সিদ্ধান্ত সরকারের! লাখ-লাখ পড়ুয়ার জন্য বড় স্বস্তির খবর
Summer Vacation School Reopening: গরমের জন্যেই দেড় মাস পর খুলল স্কুল, তবু গরম কমল না! ঘেমেনেয়ে অস্থির পড়ুয়ারা; কী হবে এবার?
কলকাতা: তীব্র গরমের জন্যেই ছুটি এগিয়ে নিয়ে গরমের ছুটি ঘোষণা করেছিল শিক্ষা দফতর। প্রায় দেড় মাস পর ১০ জুন, সোমবার পড়ুয়ায়া স্কুলে গেল। কিন্তু এতদিন পরেও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে তীব্র গরম, তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হওয়ায় আবহাওয়া সামান্য উন্নত। তবে তীব্র গরমে গলদঘর্ম হয়েই এদিন স্কুলে গেল ছাত্রছাত্রীরা।
গত ৩ জুন থেকে খুলে গিয়ে রাজ্যে সমস্ত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। তবে ছাত্রছাত্রীদের জন্যে ১০ জুন খুলল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরা স্কুল-কলেজে কাজ শুরু করলেও পড়ুয়াদের গরমের ছুটি শেষ হল রবিবার ৯ জুন। স্কুলে সোমবার থেকে গরমের ছুটি শেষে শুরু হল পড়াশোনা, সিলেবাস শেষ করার কাজ।
আরও পড়ুন: ভিড়ে ঠাসা-সতর্ক প্রশাসন, দিঘার সমুদ্র সৈকতে রবিবার জনপ্লাবন! কেন জানেন?
এপ্রিলে তীব্র গরমে পড়ুয়াদের হাঁসফাঁস অবস্থার কথা ভেবেই ছুটি এগিয়ে ঘোষণা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে গরম-লু পরিস্থিতিতে ছুটি বাড়ানো হয়। গত ২২ এপ্রিল থেকে বাড়িতেই ছিল পড়ুয়ারা। এরই মধ্যে ১৯ এপ্রিল শুরু হয় লোকসভা ভোট ২০২৪। তারপর স্কুলগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাখার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: পড়াশোনায় আর বাধা নয়, মেধাশ্রী প্রকল্পে টাকা পাবেন পড়ুয়ারা! কত টাকা-কীভাবে আবেদন? জানুন
ফলে সব মিলিয়ে প্রায় দেড় মাস গরমের ছুটি শেষে খুলল স্কুল। কিন্তু গরমের হাত থেকে এখনও রেহাই পায়নি বাংলা। ছাত্রছাত্রীরা এদিন ঘেমেনেয়েই স্কুলে পৌঁছয়। কারণ প্রত্যেকেরই পরীক্ষার সিলেবাস শেষ করার চাহিদা রয়েছে। জুনেও এমন তীব্র গরমে ফের কি স্কুল ছুটি ঘোষণা হতে পারে? শিক্ষা দফতর থেকে এখনও এমন কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়
Summer Vacation School Opening Date: গরমের ছুটির পালা শেষ! স্কুল-কলেজ খুলছে কবে? জানিয়ে দিল শিক্ষা দফতর
কলকাতা: ছুটির দিন এবার শেষের পথে। গরমের ছুটি কাটিয়ে কবে খুলবে রাজ্যের স্কুল-কলেজ? মঙ্গলবারই নয়া আপডেট দিল স্কুল শিক্ষা দফতর। জানা গিয়েছে, ৩ জুন থেকেই স্কুল খুলতে চলেছে। পরিস্থিতি না বদল হলে ৩ জুন থেকেই রাজ্যের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে। স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে আগেই নির্দেশিকা দিয়ে জানানো হয়েছিল ২ রা জুন থেকে স্কুল খুলবে। তবে এদিন একদিন পর ধরে চলতে বলা হয়েছে।
৩ জুনই স্কুল খোলার প্রস্তুতি নিতে চলেছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর বলেই সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত ১ জুন শেষ হচ্ছে সাত দফার লোকসভা নির্বাচন ২০২৪। স্কুল খোলার পর গরমের ছুটির কারণে অতিরিক্ত ক্লাস করাতে হবে স্কুলে স্কুলে। ইতিমধ্যেই তা নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। ভোটের কাজে স্কুলগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার পর বিভিন্ন স্কুলে স্কুলে কী অবস্থা? বিভিন্ন জেলার স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকের থেকে জানতে চেয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর।
গরম বাড়তে দেখে গত ২২ এপ্রিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে আগাম গরমের ছুটি ঘোষণা করেছিল রাজ্য। গরমের জেরে যাতে ছাত্রছাত্রীরা অসুস্থ না হয়ে পড়ে সেই কারণেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ নেওয়া হয়। আগামী ২ জুন পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ৩ তারিখ থেকেই সম্ভবত খুলে যাবে স্কুল, এমন ভাবেই কাজ করতে চায় শিক্ষা দফতর।
আরও পড়ুন: সন্তানকে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ভর্তি করতে চান? KVS-এ পড়ানোর খরচ কত-কীভাবে আবেদন করবেন জানুন
আগে ছুটির তালিকা অনুযায়ী স্কুল শিক্ষা দফতর জানিয়েছিল, চলতি বছর ৬ মে থেকে গরমের ছুটি পড়বে রাজ্য সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে। শেষ হবে ২ জুন। তবে হঠাৎ ভয়াবহ তাপপ্রবাহের জেরে এপ্রিলের শেষ থেকেই সরকারি স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি শুরু হয়ে গিয়েছে। টানা স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার ফলে সিলেবাস শেষ করা যাবে কি না তা নিয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তায় ছাত্রছাত্রী-অভিভাবক থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ফলে স্কুল খুললেই বাড়তি ক্লাস করানোর পরিকল্পনাও করা হয়েছে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়
Best Government Schools in India: বিশ্বের সেরা স্কুলের তালিকায় রয়েছে ভারতের এই স্কুল, পড়লেই কেউ IPS-কেউ IAS অফিসার! কোন স্কুল এটি জানেন?
Summer Vacation: গরমের ছুটি পড়ে গেলেও এই স্কুলে আসবে পড়ুয়ারা! কেন জানেন?
পূর্ব বর্ধমান: ভয়ঙ্কর গরমে নাজেহাল সকলে। ক্রমশ তাপমাত্রাও যেন বেড়েই চলেছে। বেশ কিছু জেলাতে সতর্কতাও জারি করা হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। এককথায় গরমের দাপটে প্রাণ ওষ্ঠাগত। এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার এক মাসেরও বেশি সময়ের জন্য স্কুলগুলোয় ছুটি দিয়ে দিয়েছে। তবে এই গরমের সময় বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে একটা বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় পশুপাখিদেরও। কারণ বিদ্যালয় খোলা থাকলে পড়ুয়াদের খাবারের উচ্ছিষ্ট অংশ খেয়ে জীবনধারণ করে অনেক পশুপাখি।
এই পরিস্থিতিতে পশুপাখিদের কথা ভেবে অভিনব উদ্যোগ নিল পূর্ব বর্ধমানের একটি স্কুল। পূর্বস্থলী-১ ব্লকের মিনাপুর নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও শিক্ষকরা মিলে ঠিক করেছেন, স্কুল বন্ধ থাকলেও প্রত্যেকদিন নিজেদের বাড়ি থেকে খাবার এনে বিদ্যালয় চত্বরে থাকা পশুপাখিদের দিয়ে যাবে কয়েকজন পূর্ব। এই প্রসঙ্গে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া তামান্না মল্লিক বলছিল, আমাদের মত পশু-পাখিদেরও খিদে পায়। গরমের ছুটিতে স্কুল বন্ধ থাকায় ওদের সমস্যা হবে। তাই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই ফলের চাহিদা ও দাম
এই প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রসেনজিৎ সরকার বলেন, এই প্রখর দাবদাহে আমাদের প্রত্যেকের কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আমরা সবাই কখনও শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে যাচ্ছি, গাছের ছায়ায় বসছি, ফ্যানের তলায় বসছি। কিন্তু জীবজন্তুরা সেই সুযোগটাও পাচ্ছে না। তারা খাবার-জল পায় না। তাদের কথা চিন্তা করে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, এই বিশ্বকে বাঁচাতে হলে শুধু মানুষ নয়, বাকি জীবজন্তুকেও রক্ষা করতে হবে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী
Bengali News: স্বনির্ভর গোষ্ঠীর থেকে মিড-ডে মিলের কাঁচামাল কিনবে স্কুল
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এবার স্ব-নির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের উৎপাদিত সামগ্রী কিনবে বিদ্যালয়গুলি। কাকদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির এলাকার মধ্যে এই কাজ শুরু হচ্ছে। উৎপাদিত পণ্য সরাসরি কিনে নেবে পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে থাকা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়গুলি।
আরও পড়ুন: পরিবেশ বাঁচাতে ৫০ বছরেও সাইকেলে চেপে বেরিয়ে পড়েন, কে এই ব্যক্তি?
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে প্রায় তিন হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। প্রায় ৩৫ হাজার মহিলা যুক্ত আছেন এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে। মহিলারা এতদিন নিজেদের উদ্যোগে হাঁস, মুরগি পালন করতেন। কোনও কোনও স্ব-নির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা সবজি ও মাশরুম চাষও করেন। কিন্তু তাঁদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে বিক্রি করতে পারছিলেন না। এটা নিয়ে সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছিল স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের। সেই সমস্যা দূর করতেই এগিয়ে এসেছে কাকদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতি। এবার থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উৎপাদিত পণ্য সরাসরি কিনে নেবে ৪০০ টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ১৫২ টি প্রাথমিক ও ৪৫ টি জুনিয়র ও উচ্চ বিদ্যালয়গুলি।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
কাকদ্বীপের স্কুলগুলি নিজেদের মিড-ডে মিলের জন্য প্রতিদিনই বাজার থেকে বিভিন্ন মশলা, সবজি, ডিম, মাংস কিনে থাকে। এবার বাজার থেকে না কিনে সরাসরি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাছ থেকে পণ্য কিনবে তারা। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা আবার কাগজের প্লেট, পরিবেশবান্ধব ক্যারি ব্যাগ, সরিষার তেলের প্যাকেট, গুঁড়ো মসলার প্যাকেট তৈরি করার কাজ করবে। এইগুলি তৈরি করার জন্য মেশিন কিনতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির লোনের ব্যবস্থা করা হবে। ফলে লাভবান হবেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।
নবাব মল্লিক