Tag Archives: Bihar

পুরসভার ডেপুটি কমিশনার কাকাকে বিয়ে ভাইঝির, তরুণী বললেন, ‘প্রেম করেছি, কোনও অপরাধ করিনি’

Report: Santosh Kumar

বেগুসরাই, বিহার: নিজের ভাইঝিকে বিয়ে! এমনটাই ঘটল বেগুসরাইতে। গত ১৪ অগাস্ট স্থানীয় কাত্যায়নী মন্দিরে ভাইঝি সজল সিন্ধুকে (২৪) বিয়ে করেন বেগুসরাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ডেপুটি কমিশনার শিব শক্তি কুমার (৩১)। বিয়ের পর সজল বলেন, “আমরা প্রেম করেছি। কোনও অপরাধ করিনি।’’

এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ তরুণীর পরিবার। শিব শক্তি কুমারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। দায়ের হয়েছে মামলাও। তবে এসব বিষয়কে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না ওই তরুণী। তিনি বলছেন, “আমাদের সামনে যে সব চ্যালেঞ্জ আসবে, আমরা তার মোকাবিলা করব। পালাব না।’’ একই সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

আরও পড়ুন– বিনা নিমন্ত্রণে বিয়ের ভোজ খেতে হাজির, এরপর খামে ভরে কনেকে টাকা দিলেন সেই অতিথি; উপহারের খাম খুললেই নির্ঘাত ভিরমি খাবেন কনে…

নিজেদের প্রেম এবং বিয়ে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন সজল সিন্ধু নামের ওই তরুণী। সেখানে তিনি বলছেন, “প্রেম একটা মানুষের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। সেখানে কারও হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। বৈশালী প্রশাসনের তরফে আমাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআরে এক বিন্দুও সত্যতা নেই। প্রেম করে বিয়ে বলে পরিবারের লোকজন আমার স্বামীকে হেনস্থা করতে চায়। তাঁর চাকরি খেয়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। আমাদের দাম্পত্য জীবনেও এর প্রভাব পড়ছে।’’

আরও পড়ুন– একটা ভুলেই তছনছ হয়ে যায় সংস্থা ! অন্ধকার নেমে আসে ‘ইনভার্টার ম্যান অফ ইন্ডিয়া’-র জীবনে ! ভয়াবহ সেই ঘটনা

নিজের প্রেমের কথাও খোলাখুলি জানিয়েছেন সজল। তিনি বলেছেন, “আমরা প্রেম করেছি। কোনও অপরাধ করিনি। ২০১৫ সাল থেকে আমাদের সম্পর্ক। দু’জনের পৈতৃক বাড়িও একই এলাকায়। ২০১৫ সালে ইন্টারমিডিয়েট পড়তে আমি বেনারসের হিন্দু গার্লস স্কুলে ভর্তি হই। শিবশক্তিও সেই সময় পিজি করতে বেনারসে গিয়েছিলেন। সেখানেই আমাদের আলাপ এবং বন্ধুত্ব। সম্পর্ক যে কখন প্রেমে পরিণত হল বুঝতেই পারিনি।’’

এত পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু বিয়ের পরই বাঁধে গণ্ডগোল। এমন সিদ্ধান্তে দুই পরিবারই নাখুশ। জানা গিয়েছে, হাজিপুর জেলার সদর থানার মনুয়া গ্রামের বাসিন্দা রমাশঙ্কর রাইয়ের ছেলে শিবশক্তি। আর তাঁর বান্ধবী সজল সিন্ধু হাজিপুরের মনুয়া গ্রামের বাসিন্দা অধ্যাপক বিজয় কুমার রাইয়ের মেয়ে। বিয়ের পর থেকেই লম্বা ছুটিতে রয়েছেন শিবশক্তি। শুক্রবার বেগুসরাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে যান সজল সিন্ধু। তারপর দু’জনে একসঙ্গে বেরিয়ে বিয়ে করেন।

মদের নেশায় চুর, হাতে লোডেড রিভলবার, থানার ভিতরেই নারীকর্মী নিগ্রহ, সাব-ইনস্পেকটরের কীর্তিতে লজ্জায় মুখ ঢেকেছে বিহার

Report: Kesi Kundan

জামুই: সমাজকে নেশামুক্ত করার পথে অনন্য উদ্যোগ নিয়েছিল বিহার। সারা রাজ্যকে করে তুলেছিল মদ্যপান বহির্ভূত এলাকা। জায়গায় জায়গায় বসেছিল মদ নিষেধ থানা। সেই বিহারেরই অন্তর্গত জামুইয়ে এবার এক  থানায় মদ্যপ অবস্থায় হাজির হলেন এক সাব-ইনস্পেকটর।

জানা গিয়েছে, ওই সাব-ইনস্পেকটরের নাম কেদার ওঁরাও। মদের নেশায় চুর হয়ে সার্ভিস রিভলবার হাতে তিনি পৌঁছে যান থানায়। সেই রিভলবারও আবার লোডেড ছিল। নেশা এবং পদাধিকারের গর্বে আইডি কার্ড দেখিয়ে পার পেতে চেয়েছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন, কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাবে না। থানার এক নারীকর্মীর শ্লীলতাহানির মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে এই ঘটনার সূত্রে তাঁর নামে। শুধু তা-ই নয়, সহকর্মী এএসআই-কে রীতিমতো শারীরি লাঞ্ছনাও করেছেন তিনি। ওই এএসআই-এর নাম রাকেশ কুমার সিং। তিনি বাধা দিলে তাঁর গায়ে হাত তোলেন সাব-ইনস্পেকটর কেদার ওঁরাও। মারামারিতে রীতিমতো জখম হয়েছেন রাকেশ, বর্তমানে তিনি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

আরও পড়ুন– একটানা অবিরাম বৃষ্টি ! ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আরও কতদিন পর্যন্ত? দেখে নিন

সাব-ইনস্পেকটর কেদার ওঁরাও প্রতিনিধি রূপে ওই থানায় প্রবেশ করেন। তাঁর রিভলবারে দশটি গুলি ছিল বলে জানা গিয়েছে। এখানেই তিনি নারীকর্মীদের অশ্লীল ভাষায় সম্বেধন করেন এবং গালাগালি দেন। আবগারি দফতরের ডিএম এবং এসপি-কে এই ঘটনার কথা জানানো হয় তৎক্ষণাৎ। পুলিশ এসে সাব-ইনস্পেকটর কেদার ওঁরাওকে হেফাজতে নেয় এবং তাকে হাজতে পাঠায়। ধটনায় সাব-ইনস্পেকটর কেদার ওঁরাওকে সাময়িক বরখাস্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন– রাশিফল ১৯ অগাস্ট – ২৫ অগাস্ট; দেখে নিন এই সপ্তাহ নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

জামুই পুলিশ জানিয়েছে যে সিটি পুলিশ স্টেশনে নিযুক্ত সাব-ইনস্পেকটর কেদার ওঁরাওয়ের মদ খেয়ে থানায় ঢোকা, নারীকর্মীদের গালাগালি দেওয়া, এএসআই-কে মারধরের অভিযোগ তাঁরা পেয়েছেন। ঘটনার তদন্তের স্বার্থে সাব-ইনস্পেকটর কেদার এঁরাওকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ব্রেথ অ্যানালাইজারের সহায়তায় এটি প্রমাণিত হয়েছে যে তিনি মদ খেয়ে এসেছিলেন। বাকি এখনও তদন্তসাপেক্ষ, তবে মদ্যপানবিরোধী জামুই পুলিশ তাঁকে বরখাস্ত করতে দেরি করেনি।

Offbeat Wedding: বেনজির! ৩ বছর প্রেমের পর স্বামীসংসার ফেলে ভাগ্নিকে বিয়ে মামির! তাজ্জব সোশ্যাল মিডিয়া

পটনা: বেনজির ঘটনা বিহারের গোপালগঞ্জ জেলায়৷ তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর বিয়ে করলেন মামি-ভাগ্নি৷ ছক ভাঙা এই সম্পর্কের খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং৷ বিতর্কিত এই ঘটনায় দ্বিমত ইন্টারনেট৷ কারওর কাছে তাঁরা প্রশংসিত৷ আবার অনেকের কাছেই তাঁদের এই বিয়ে চরম নিন্দিত৷

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা সুমন সম্প্রতি তাঁর স্বামীকে ছেড়ে পালিয়ে যান ভাগ্নি শোভার সঙ্গে৷ তাঁদের প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল ৩ বছরের৷ বেলওয়া গ্রামের মন্দিরে তাঁরা বিয়ে করেন৷ সেই বিয়ের ভিডিও এখন ভাইরাল৷ সেখানে দেখা যাচ্ছে এই মামি ভাগ্নি জুটি মালাবদল করেন৷ তার পর শোভার গলায় মঙ্গলসূত্র পরিয়ে দেন সুমন৷ তাঁরা সাতপাকে ঘুরে বিয়ের অঙ্গীকার করেন৷

আরও পড়ুন : যৌন লাঞ্ছনা থেকে নৃশংস নারীঘাতক–বার বার মেয়েদের উপর হওয়া অপরাধের প্রতিবাদের হাতিয়ার ‘রিক্লেম দ্য নাইট’

ভাগ্নিকে বিয়ে করার বিষয়ে সুমন জানান,‘‘শোভা আমার জীবনের প্রেম৷ আমি ভাবতেও পারি না অন্য কাউকে বিয়ে করে সে চলে যাবে৷ আর আমি তাকে হারাব৷ একে অন্যকে হারিয়ে ফেলার ভয় থেকেই সবকিছু পিছনে ফেলে আমরা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিই৷ বাকি পৃথিবী কী ভাবল আমাদের নিয়ে, চিন্তা করিনি৷’’

 

একই সুর শোভার কণ্ঠেও৷ বলেছেন, একসঙ্গে থাকার জন্য সামাজিক বিদ্রূপ উপেক্ষা করতে তাঁরা বদ্ধপরিকর৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিয়ের ভিডিও শেয়ার করেন তাঁরা৷ তাঁদের সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন অনেক নেটিজেন৷ তবে আছে দ্বিমতও৷ তাঁদের মতে এটা আইনবিরোধী কাজ৷ কারওর মত এই ‘অনাচার’ আসলে কলিযুগের প্রতীক৷

Amazing: বিহারে রয়েছে আজব পাহাড়, বৃষ্টি হলেও বের হয় মূল্যবান রত্ন! ভিড় করে খুঁজতে আসেন গ্রামবাসীরা

বৃষ্টি হচ্ছে। আর টুপটাপ ঝরে পড়ছে মূল্যবান রত্ন। বিশ্বাস হচ্ছে না? বিহারের গয়াতেই রয়েছে এমন পাহাড়। নাম ‘মুক্তো পর্বত’। বৃষ্টির সময় এই পাহাড় থেকে মুক্তো, প্রবাল বের হয়। সেই সব রত্ন খুঁজতে ভিড় জমান স্থানীয়রা। পাশের রাজ্য থেকে অনেকেই এখানে মুক্তো কিনতে আসেন। একটা খুঁজে পেলেই কেল্লা ফতে।
বৃষ্টি হচ্ছে। আর টুপটাপ ঝরে পড়ছে মূল্যবান রত্ন। বিশ্বাস হচ্ছে না? বিহারের গয়াতেই রয়েছে এমন পাহাড়। নাম ‘মুক্তো পর্বত’। বৃষ্টির সময় এই পাহাড় থেকে মুক্তো, প্রবাল বের হয়। সেই সব রত্ন খুঁজতে ভিড় জমান স্থানীয়রা। পাশের রাজ্য থেকে অনেকেই এখানে মুক্তো কিনতে আসেন। একটা খুঁজে পেলেই কেল্লা ফতে।
এই পাহাড়ের মুক্তো আকারে ছোট। ৫ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। গয়া জেলার উজিরগঞ্জ ব্লকে একদম পাশাপাশি দাঁড়িয়ে রয়েছে দুটো পাহাড়। আদত নাম ‘হংসরাজ’ এবং ‘সোমনাথ’। উভয় পাহাড় একে অপরের সংলগ্ন। দেখলে মনে হবে যেন, হাত ধরাধরি করে দাঁড়িয়ে। এই পাহাড়ের নিচে খাসরা গ্রাম। মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলেই পাহাড়ের পাদদেশ থেকে মুক্তো গড়িয়ে চলে আসে গ্রামের মধ্যে।
এই পাহাড়ের মুক্তো আকারে ছোট। ৫ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। গয়া জেলার উজিরগঞ্জ ব্লকে একদম পাশাপাশি দাঁড়িয়ে রয়েছে দুটো পাহাড়। আদত নাম ‘হংসরাজ’ এবং ‘সোমনাথ’। উভয় পাহাড় একে অপরের সংলগ্ন। দেখলে মনে হবে যেন, হাত ধরাধরি করে দাঁড়িয়ে। এই পাহাড়ের নিচে খাসরা গ্রাম। মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলেই পাহাড়ের পাদদেশ থেকে মুক্তো গড়িয়ে চলে আসে গ্রামের মধ্যে।
বর্ষাকালের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন খাসরা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা। যে যেখানেই থাকুন না কেন, বৃষ্টি শুরু হওয়া মাত্র তাঁরা দাঁড়িয়ে পড়বেন। আর সেখান থেকে নড়বেন না।
বর্ষাকালের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন খাসরা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা। যে যেখানেই থাকুন না কেন, বৃষ্টি শুরু হওয়া মাত্র তাঁরা দাঁড়িয়ে পড়বেন। আর সেখান থেকে নড়বেন না।
কে জানে, এখান দিয়েই হয়ত মুক্তো গড়িয়ে যাবে! মুক্তো পাওয়া সহজ নয় মোটেই। তবে বিস্তর খোঁজাখুঁজির পর মিলেও যায়। কষ্ট না করলে কী আর কেষ্ট মেলে! তবে শিশু ও যুবকদের ভাগ্যেই শিকে ছেঁড়ে সবচেয়ে বেশি।
কে জানে, এখান দিয়েই হয়ত মুক্তো গড়িয়ে যাবে! মুক্তো পাওয়া সহজ নয় মোটেই। তবে বিস্তর খোঁজাখুঁজির পর মিলেও যায়। কষ্ট না করলে কী আর কেষ্ট মেলে! তবে শিশু ও যুবকদের ভাগ্যেই শিকে ছেঁড়ে সবচেয়ে বেশি।
হংসরাজ পাহাড়ে এক সময় কোনও রাজার প্রসাদ ছিল। আজও তার ধ্বংসস্তূপ রয়েছে। অনেকে বলেন, বৃষ্টির সময় রাজার রত্নভাণ্ডারের পাথরই গড়িয়ে গ্রামে চলে আসে। আবার অনেকে বলেন, পাহাড়ে অষ্টধাতুর জাগ্রত মূর্তি রয়েছে। বৃষ্টিতে সন্তুষ্ট হয়ে তিনিই গ্রামবাসীকে মুক্তো উপহার দেন। তবে সবটাই কল্পনা। স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পাহাড়ের গর্ভে মূল্যবান রত্নের ভাণ্ডার থাকতে পারে।
হংসরাজ পাহাড়ে এক সময় কোনও রাজার প্রসাদ ছিল। আজও তার ধ্বংসস্তূপ রয়েছে। অনেকে বলেন, বৃষ্টির সময় রাজার রত্নভাণ্ডারের পাথরই গড়িয়ে গ্রামে চলে আসে। আবার অনেকে বলেন, পাহাড়ে অষ্টধাতুর জাগ্রত মূর্তি রয়েছে। বৃষ্টিতে সন্তুষ্ট হয়ে তিনিই গ্রামবাসীকে মুক্তো উপহার দেন। তবে সবটাই কল্পনা। স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পাহাড়ের গর্ভে মূল্যবান রত্নের ভাণ্ডার থাকতে পারে।
এই গ্রামে জুয়েলার্সদের আনাগোনা লেগেই থাকে। কম দামে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে মুক্তো বা প্রবাল কেনেন তাঁরা। অনেকে আবার সরাসরি শহরে যান। বেশি দামে মূল্যবান পাথর বিক্রি করেন। গ্রামের অনেকের গলাতেই লকেটের মতো মুক্তো ঝুলছে। জিজ্ঞেস করলে তাঁরা হাসিমুখে বলেন, ‘কুড়িয়ে পেয়েছি।’’
এই গ্রামে জুয়েলার্সদের আনাগোনা লেগেই থাকে। কম দামে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে মুক্তো বা প্রবাল কেনেন তাঁরা। অনেকে আবার সরাসরি শহরে যান। বেশি দামে মূল্যবান পাথর বিক্রি করেন। গ্রামের অনেকের গলাতেই লকেটের মতো মুক্তো ঝুলছে। জিজ্ঞেস করলে তাঁরা হাসিমুখে বলেন, ‘কুড়িয়ে পেয়েছি।’’

Two Ladies Got Married In Bihar: ‘রং নাম্বার’ থেকে শুরু, ৭ বছরের গোপন প্রেম! সংসার ছেড়ে পালিয়ে বিয়ে করেছেন দুই নারী, তার পর?

বিহার: ঠিক যেন এক রূপকথা। শুধু শেষটা মধুর হওয়ার অপেক্ষায়। ৭ বছর আগের ঘটনা। বিহারের জামুইয়ের কন্যা কোমল কুমারী ভুল করে কল করে ফেলেছিলেন চাপরা জেলার বাভঙ্গমার কন্যা সোনি কুমারীকে। সেই ‘রং নাম্বার’ দিয়েই শুরুয়াত। পরস্পরের টানে সংসার ছেড়ে তাঁরা গাঁটছড়া বাঁধলেন ২০২৩ সালে। তার পরেই সমস্যা। সমপ্রেম মানতে নারাজ পরিবারের সদস্যরা। কী ভাবে হল সব কিছু। শোনা যাক সেই গল্প। গল্প নয় যদিও, খাঁটি বাস্তব।

সূত্রের খবর, জামুই সদর থানা এলাকার লাখাপুর গ্রামের বাসিন্দা ভগীরথ সিংয়ের মেয়ে কোমল। অন্য দিকে সোনি কুমারী চাপরা জেলার বাভঙ্গমার বাসিন্দা জগন্নাথ পান্ডের মেয়ে। কোমল এবং সোনি উভয়েই একে অপরের সঙ্গে কথোপকথন শুরু করেছিলেন এবং ধীরে ধীরে তা প্রেমে পরিণত হয়েছিল। ৭ বছর ধরে একে অপরকে জানার পরে, তাঁরা গাঁটছড়া বাঁধার সিদ্ধান্ত নেন। ২০২৩ সালে পরিবারকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করে নেন দুই নারী। দু’জনেই যখন বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলেন তখন জানাজানি হয়ে যায়। পরিবার হস্তক্ষেপ করে। দুই নারীর দেখা সাক্ষাৎ বন্ধ হয়ে যায়।

কোমল কুমারী ৪ বছর আগে লক্ষীসরাই জেলার একটি গ্রামের এক ব্যক্তিকে বিয়ে করতে বাধ্য হন। তাঁদের একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে রয়েছে। অন্য দিকে, সোনি কুমারী ২০২০ সালে পাটনার একজন ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কোমল এবং সোনি উভয়েই একে অপরের বৈবাহিক অবস্থা সম্পর্কে জানতেন, কিন্তু তবুও একটি সম্পর্ক শুরু করেন। এর পর তাঁরা বাড়ি থেকে পালানোর পরিকল্পনা করেন। পরিবার ছেড়ে নতুন করে তাদের জীবন শুরু করতে চেয়েছিলেন। সোনি চাপড়ায় ছিলেন, আর কোমল তাঁকে ডাকলেন জামুই আসতে। দু’জনেরই পালিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তাঁদের স্বজনরা ধরে ফেলেন এবং পুলিশকে জানান।

পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই নারীকে থানায় নিয়ে আসে। তারা কোমল ও সোনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। দুই মহিলাই জানিয়েছিলেন তাঁরা একে অপরের সঙ্গে জীবন কাটাতে চান। কিন্তু, দুর্ভাগ্য হল, তাঁদের স্বামীরা এখনও তাঁদের ডিভোর্স দেননি। ঘটনার আকস্মিক পরিণতিতে উভয় মহিলাই যন্ত্রণায় দিন কাটাচ্ছেন।

আরও পড়ুন- বলুন তো দেখি, কোন প্রাণীর রক্তের রং হলুদ? উত্তর দিতে পারবেন না ৯৯ শতাংশ…

সেই একই ধরনের ঘটনা ঘটল বিহারের গোপালগঞ্জ জেলায়। এ ক্ষেত্রে সম্পর্কে তাঁরা পিসি এবং ভাইঝি। তিন বছর একসঙ্গে থাকার পর একে অপরকে বিয়ে করেছেন তাঁরা। বেলওয়া গ্রামের একটি মন্দিরে রেকর্ড করা দম্পতির ভিডিওতে দম্পতিকে মালা বদল এবং ঐতিহ্যবাহী হিন্দু আচার পালন করতে দেখা গিয়েছে। গলায় মঙ্গলসূত্র পরে আগুন সাক্ষী রেখে সাত পাক ঘুরেছেন তাঁরা।

Stampede: বিহারের সিদ্ধনাথ মন্দিরে বিপুল পুণ্যার্থী সমাগম, পদপিষ্ট হয়ে কমপক্ষে ৭ জনের মৃত্যু, জখম বহু মানুষ

পটনা: বিহারের জেহানাবাদ জেলার মখদুমপুরে বাবা সিদ্ধনাথ মন্দিরে রবিবার রাতে পদপিষ্ট হয়ে হয়ে কমপক্ষে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন বহু পূর্ণার্থী। জানা যাচ্ছে, রাতে পুজো উপলক্ষে ওই মন্দিরে বহু মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। তখনই আচমকা হুড়োহুড়ি পড়ে যায় তাঁদের মধ্যে। সকলেই পুজো দিয়ে দ্রুত মন্দির থেকে বেরোনোর চেষ্টা করছিলেন। সেইসময় ধাক্কাধাক্কি হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। এইসময় অনেকে ভিড়ের ধাক্কায় পড়ে যান।

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সোমবার সকালে জেহানাবাদের জেলাশাসক অলংকৃতা পাণ্ডে জানিয়েছেন, আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তাঁর কথায়, “আমরা সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছি এবং এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। জেহানাবাদের এসডিও বিকাশ কুমার বলেন, “সমস্ত ব্যবস্থা কঠোর ছিল তা সত্ত্বেও এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি…”।

বিহারের জেহনাবাদ জেলার বাবা সিদ্ধনাথ মন্দির রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় শিবমন্দির। শ্রাবণ মাসে সেখানে বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে ভিড় বেশি থাকে। রবিবার রাতে শিবপুজো উপলক্ষেই অনেক ভক্তের সমাগম হয়েছিল মন্দিরটিতে। আর সেখানেই ঘটে যায় এই দুর্ঘটনা।

যদিও প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, মন্দিরে ভিড় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ভাল ছিল না। অনেকে ভলান্টিয়ার হিসাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিলেন। একসময় ভিড় বেড়ে যাওয়ায় তাঁরা পুণ্যার্থীদের তাড়া দেন। এমনকি অভিযোগ, লাঠিও চালানো হয় ভিড়ের উপর। তার পরেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায় মন্দির থেকে বেরোনোর জন্য। এখনও পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে প্রশাসন। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই গত ২ জুলাই, হাতরাসের সিকান্দারারু এলাকায় ভোলে বাবা ওরফে নারায়ণ সাকার হরির ‘সৎসঙ্গ’ চলাকালীনও পদদলিত হয়ে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়।

কুড়ি বছর ধরে ছিল না কোনও খোঁজ, আশা ছেড়ে দিয়েছিল পরিবারও; অবশেষে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরতেই উৎসবে মেতে উঠল গোটা গ্রাম

Report: Aarya Jha

মধুবনী: সেই ২০০৪ সালে রোজগারের আশায় ঘর ছেড়েছিলেন। তারপর আচমকাই যেন উবে গিয়েছিলেন। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরবে, এই আশায় থানা-পুলিশ থেকে ধর্মস্থান কিছুই বাদ রাখেননি পরিবারের সদস্যরা। গ্রামবাসীরাও এই ঘটনায় তাজ্জব হয়েছিলেন। তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি। কোনও খোঁজই মেলেনি ছেলের। তবে আচমকাই বছর কুড়ি বাদে ঘরে ফিরলেন হারিয়ে যাওয়া সেই ছেলে। হাতে যেন চাঁদ পেলেন পরিবারের সদস্যরাও! এ যেন কোনও ফিল্মি দৃশ্যের থেকে কম কিছু নয়।

আরও পড়ুন– বারবার আবেদন করেও মিলছে না? জেনে নিন শেনজেন ভিসা বাতিলের ৬টি প্রধান কারণ

বিহারের মধুবনী থেকে বাবুবরহী, তারপর খুতৌনা এবং সিদ্ধাপা নামে ছোট্ট একটি গ্রাম হয়ে জীবচ মণ্ডল পৌঁছেছেন নিজের গ্রামে। কিন্তু ২০ বছর ধরে কোথায় ছিলেন তিনি? আর এত দিন কী-ই বা করতেন তিনি? সমস্ত প্রশ্নের জবাব দেন জীবচ। তাঁর বক্তব্য, শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি। জীবচের কথায়, “২০০৪ সালে যখন ঘর ছেড়েছিলাম, তখন আমার বয়স মাত্র ১৫ বছর। বাড়িতে অভাবের কারণে পড়াশোনা সম্পূর্ণ করা যায়নি। এই সঙ্কট কাটাতে প্রথম অমৃতসর গিয়ে পৌঁছই। আসলে আমি শুনেছিলাম – ওটা খুবই ভাল জায়গা। কিন্তু কাজ খোঁজার পরেও কাজ পাইনি। এরপর চণ্ডীগড়ে পৌঁছই। সেখানে এক দোলনার মালিকের সঙ্গে আলাপ হয়। সেখানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতাম। তবে টাকা নয়, বরং শুধু খাবার পেতাম। এই সময় একবার আমার হাত ভেঙে যায়। আর মালিক চিকিৎসা করিয়ে দিয়েছিলেন।”

আরও পড়ুন– অতিরিক্ত সৌন্দর্যের কারণে অন্য খেলোয়াড়রা মন বসাতে পারছেন না? অলিম্পিক্স ছাড়তে বাধ্য হলেন ২০ বছর বয়সী প্যারাগুয়ের সাঁতারু

তবে জীবচের দাবি, তিনি বাড়ির লোকেদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও টাকার অভাবে তা করতে পারেননি। আর যেহেতু টাকা রোজগারের আশায় বাড়ি ছেড়েছিলেন, তাই সেটা ছাড়া বাড়ি যাওয়ায় ঠিক বলে মনে হয়নি তাঁর। তাই পঞ্জাবে কাজ সফল না হওয়ায় হিমাচলে পৌঁছে যান তিনি। সেখানেই হোটেলে কাজ পান। জীবচের কথায়, “সেটা লকডাউনের সময়কার কথা। সকলে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। অথচ আমার কাছে কোনও নথি না থাকায় ইচ্ছা থাকলেও বাড়ি ফেরা হয়নি।”

ছেলে ঘরে ফেরায় মায়ের আনন্দ বাঁধভাঙা! ছেলেকে কাছছাড়া করতে চাইছেন না। বিয়ে দিয়ে তবেই ছেলেকে ভিন রাজ্যে পাঠাবেন। আর তাঁর প্রার্থনায় সাড়া দিয়েছেন বলে মাতা রানির উদ্দেশ্যে তিনি সোনার নাকছাবি নিবেদন করবেন বলেও জানান জীবচের মা। পরিবারের পাশাপাশি খুশি গ্রামবাসীরাও।

এদিকে ওই গ্রামে রয়েছে বাল্যবিবাহের চল। ফলে ছোটবেলাতেই জীবচের বিয়ের সম্বন্ধ পাকা করা ছিল গ্রামেরই একটি মেয়ের সঙ্গে। কিন্তু জীবচের সন্ধান না মেলায় ওই মেয়েটির পরিবার সেই সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছে। তবে সেই সময় বদলে গিয়েছে। গত সপ্তাহে হিমাচলের বন্ধু সতপালের সঙ্গে বাড়ি ফিরে সবটা শুনেছেন জীবচ। বর্তমানে তাঁর বয়স ৩৫ বছর। তিনি জানান, সমস্ত কিছু বদলে গিয়েছে। আপাতত বিয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন জীবচ। তারপরে আবার ফিরে যাবেন হিমাচলে।

Bihar: ধু ধু মাঠের মাঝখানে ৩ কোটির সেতু! বিহারের কাণ্ড দেখলে হাঁ হয়ে যাবেন

পাটনা: ব্রিজ তো হল কিন্তু যেখানে হল সেখানেই বিপত্তি। মস্ত বড় মাঠের মাঝে ব্রিজ নির্মাণ, কার্যত অবাক করে দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই ব্রিজ বানাতেই আবার খরচ হয়েছে তিন কোটি টাকা। এই ঘটনাটি বিহারের।
বিহারের আরারিয়া জেলার এই ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মূলত ব্রিজ বানানোই হয় যাতে সাধারণ মানুষের মুশকিল আসান হয়। কিন্তু, মাঠের মাঝে এমন ব্রিজে আদতে কী হল তা ভেবে কূল কিনারা পাচ্ছেন না কেউই।
প্রায় ৩ কিলোমিটার লম্বা রাস্তা এবং এই ব্রিজ মূলত পরমানন্দপুর গ্রামের সরকারের গ্রামীণ সড়ক যোজনার অন্তর্গত ছিল। সবাই ভেবেছিল এই রাস্তা এবং ব্রিজ হলে হয়ত তাঁদের দুর্দশা কাটবে কিন্তু হল উল্টো।

আরও পড়ুন: আবগারি কাণ্ডে টানা ১৭ মাস বন্দি! অবশেষে তিহাড় জেলের বাইরে পা রাখলেন সিসোদিয়া
এই বিষয়ে এক ব্যক্তি বলেন, “যখন ব্রিজ আর রাস্তার কাজ শুরু হল তখন ভাবলাম আমাদের দুর্দশা শেষ হল। কিন্তু কোথায় কী! কোথায় ব্রিজ বানিয়েছে!”
এই বিষয়ে আরারিয়া জেলার জেলা শাসক ইনায়ত খান বলেন, “আমার এই বিষয়টি নজরে এসেছে। ইতিমধ্যেই আমি প্রধান ইঞ্জিনিয়ারকে জানিয়েছি। আমিও শীঘ্রই ওই এলাকায় যাব।”

‘এ আমার কেউ নয়, জোর করে নিয়ে যাচ্ছে’, ফুঁপিয়ে কান্না চার বছরের শিশুর, মিথিলা এক্সপ্রেসে হইচই

মতিহারি, বিহার: ভরদুপুরে মিথিলা এক্সপ্রেসে ধুন্ধুমার। বছর চারেকের একটি মেয়ে খুব কাঁদছে আর চিৎকার করে বলছে, “এ আমার কেউ নয়, জোর করে নিয়ে যাচ্ছে।’’ ঘটনার কথা ঝড়ের গতিতে চাউর হয়ে যায়। পরের স্টেশনেই ধরা পড়ে ছেলেধরা। মতিহারি জিআরপি ও আরপিএফ গ্রেফতার করেছে এক যুবককে। জানা গিয়েছে, ওই শিশু বানজারিয়া থানা এলাকার সিসওয়া পশ্চিম গ্রামের বাসিন্দা। তাকেও পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

ঠিক কী ঘটেছিল? পুলিশ জানিয়েছে, সিসওয়া পশ্চিম গ্রামের নিজের বাড়িতে ঘুমোচ্ছিল ওই শিশু। গভীর রাতে তার ঘরে ঢোকে এক যুবক। তার নাম লক্ষ্মী প্রসাদ ওরফে ভিকি। যুবক বাড়ির গেট খুলে ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত শিশুকে তুলে নিয়ে পালায়। সকালে হইচই পড়ে যায়। বাড়ির মেয়ের খোঁজ না পেয়ে বানজারিয়া থানায় নিখোঁজ ডায়রি করেন পরিবারের সদস্যরা।

আরও পড়ুন– ছুটিতে নিজের গ্রামে এসেছিলেন সেনা জওয়ান, বাড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে বেরোতেই পুলিশ ঘিরে ধরল ! তারপর ?

শিশুর খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। দুপুর নাগাদ মতিহারি রেল স্টেশন থেকে বানজারিয়া থানায় খবর দেওয়া হয়, মিথিলা এক্সপ্রেসে একটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই খবর শুনে হতবাক হয়ে যান সকলেই। খবরে বলা হয়, রাক্সৌল থেকে কলকাতাগামী মিথিলা এক্সপ্রেসে একজন যুবক একটি মেয়েকে নিয়ে যাচ্ছে। মেয়েটি খুব কাঁদছে আর বলছে, “এ আমার কেউ নয়, আমাকে জোর করে নিয়ে যাচ্ছে।’’

আরও পড়ুন- সাপ্তাহিক রাশিফল ৫ অগাস্ট – ১১ অগাস্ট: দেখে নিন এই সপ্তাহ নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

যাত্রী মারফত এই খবর পেয়ে ফাঁদ পাতে জিআরপি। আরপিএফের সহায়তায় মেহসি স্টেশনে পাকড়াও করা হয় যুবককে। উদ্ধার করা হয় শিশুটিকেও। এরপর দু’জনকেই নিয়ে যাওয়া হয় মতিহারিতে। জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি জানিয়েছে, তার বাড়ি বানজারিয়ায়। এরপরই জিআরপি বানজারিয়া থানায়ব খবর দেয়। পরে জানা যায়, ওই যুবক পাশের গ্রামের বাসিন্দা। সে মেয়েটিকে চুরি করে সুগৌল স্টেশন থেকে কলকাতাগামী মিথিলা এক্সপ্রেসে উঠেছিল। কলকাতায় এনে মেয়েটিকে বিক্রি করে দেওয়ার ধান্দা ছিল তার।

বর্তমানে মতিহারি থানার পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে। পাশপাশি শিশু চুরির অভিযোগে ধৃতের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যুবককে বানজারিয়া থানায় হস্তান্তর করেছে জিআরপি।

Bihar Shooting: “বড় হয়ে পুলিশ হব”- কেন এমন বলল? বিহারে গুলি চালনায় আটক বালক, কারণ জানলে চমকে যাবেন!

বিহার: বিহারে স্কুলে বন্দুক থেকে গুলি চালানোর ঘটনায় ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়েছে। ত্রিভেনিগঞ্জে বিহারের সেন্ট বোর্ডিং স্কুলে বুধবার একটি পাঁচ বছরের নার্সারি পড়ুয়া ভুল করে বন্দুক থেকে স্কুল চত্বরেই গুলি চালিয়ে ফেলে। এরপরেই গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বালককে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রটিও।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার নিজের ব্যাগে ভরে ওই অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রটি সঙ্গে করে আনে ওই বালক। এরপরেই তা নাড়াচাড়া করার সময়েই হঠাৎ গুলি চলে যায়। তা গিয়ে লাগে তৃতীয় শ্রেণীর এক পড়ুয়ার গায়ে। সেই পড়ুয়া জখম হলেও মারাত্মক আঘাত লাগেনি বলে জানানো হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। আপাতত সেই পড়ুয়া স্থিতিশীল আছে বলেই জানান ওই স্কুলের অধ্যক্ষ।

আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে অচল দিল্লি, ডুবল বাড়ি, বন্ধ স্কুল, জল-যন্ত্রণার ভিডিও ভাইরাল
অন্যদিকে, ওই বালককে নিজেদের হেফাজতে রেখেছে পুলিশ। পুলিশ আধিকারিকদের অভিমত ঘটনার অভিঘাত সম্পর্কে একদমই ওয়াকিবহাল নয় ওই খুদে পড়ুয়া। তাই এটা নিছকই দুর্ঘটনার বসে ঘটে যাওয়া ঘটনা বলেই মনে করছে পুলিশ।
এরপরেই তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে নামে স্কুল কর্তৃপক্ষও। উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের খোঁজে ডেকে পাঠানো হয় বালকের বাবাকে। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই বালকের বাবা মুকেশ যাদব বেপাত্তা হয়ে যান। ইতিমধ্যেই পুলিশ তাঁর মোটরসাইকেল এবং আরও একটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে।
ঘটনা ঘটার পর থেকে হেফাজতে থাকা বালকের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, যেহেতু সে নিতান্তই শিশু তাই ঘটনার গুরুত্ব তা সে বুঝে উঠতে পারছে না। সে চেয়ারে বসে পা দুলিয়ে বেশ খোশ মেজাজে আছে বলেই জানান পুলিশ আধিকারিকরা। এই বালককে এরপর জুভেনাইল কোর্টে পেশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
ওই বালকটির সঙ্গে কথোপকথনের মাঝে এক পুলিশ আধিকারিক জিজ্ঞেস করেন সে বড় হয়ে কী হতে চায়? জবাবে ওই বালক জানায়, সে বড় হয়ে “ইনস্পেকটর” হতে চায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে বহুক্ষেত্রে খুব ছোট বয়স থেকে এই নানা ধরনের টিভি শো, কিংবা ভিডিও গেমস খুদেদের মনে প্রভাব ফেলে। হয়ত কিছু ক্ষেত্রে ওই বাচ্চাটিও ওইরকমই নায়কোচিত কিছু করতে চেয়েছিল। সিনেমা বা ভিডিও গেমে যেমন দেখায়।
কিন্তু, পুলিশ সূত্রে খবর বালকের বাবা মুকেশের পূর্বে কোনও অপরাধের ইতিহাস না থাকলেও এই ধরনের আচরণ পুলিশের মনে সন্দেহের উদ্রেক ঘটিয়েছে। পুলিশ মনে করছে তাঁর অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের জন্য গ্রেফতারি এড়াতেই বারংবার পালিয়ে বেড়াচ্ছেন মুকেশ। ইতিমধ্যেই ওই স্কুলের ডিরেক্টর সন্তোষ কুমার ঝা কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।