Report: Santosh Kumar
বেগুসরাই, বিহার: নিজের ভাইঝিকে বিয়ে! এমনটাই ঘটল বেগুসরাইতে। গত ১৪ অগাস্ট স্থানীয় কাত্যায়নী মন্দিরে ভাইঝি সজল সিন্ধুকে (২৪) বিয়ে করেন বেগুসরাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ডেপুটি কমিশনার শিব শক্তি কুমার (৩১)। বিয়ের পর সজল বলেন, “আমরা প্রেম করেছি। কোনও অপরাধ করিনি।’’
এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ তরুণীর পরিবার। শিব শক্তি কুমারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। দায়ের হয়েছে মামলাও। তবে এসব বিষয়কে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না ওই তরুণী। তিনি বলছেন, “আমাদের সামনে যে সব চ্যালেঞ্জ আসবে, আমরা তার মোকাবিলা করব। পালাব না।’’ একই সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
নিজেদের প্রেম এবং বিয়ে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন সজল সিন্ধু নামের ওই তরুণী। সেখানে তিনি বলছেন, “প্রেম একটা মানুষের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। সেখানে কারও হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। বৈশালী প্রশাসনের তরফে আমাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআরে এক বিন্দুও সত্যতা নেই। প্রেম করে বিয়ে বলে পরিবারের লোকজন আমার স্বামীকে হেনস্থা করতে চায়। তাঁর চাকরি খেয়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। আমাদের দাম্পত্য জীবনেও এর প্রভাব পড়ছে।’’
নিজের প্রেমের কথাও খোলাখুলি জানিয়েছেন সজল। তিনি বলেছেন, “আমরা প্রেম করেছি। কোনও অপরাধ করিনি। ২০১৫ সাল থেকে আমাদের সম্পর্ক। দু’জনের পৈতৃক বাড়িও একই এলাকায়। ২০১৫ সালে ইন্টারমিডিয়েট পড়তে আমি বেনারসের হিন্দু গার্লস স্কুলে ভর্তি হই। শিবশক্তিও সেই সময় পিজি করতে বেনারসে গিয়েছিলেন। সেখানেই আমাদের আলাপ এবং বন্ধুত্ব। সম্পর্ক যে কখন প্রেমে পরিণত হল বুঝতেই পারিনি।’’
এত পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু বিয়ের পরই বাঁধে গণ্ডগোল। এমন সিদ্ধান্তে দুই পরিবারই নাখুশ। জানা গিয়েছে, হাজিপুর জেলার সদর থানার মনুয়া গ্রামের বাসিন্দা রমাশঙ্কর রাইয়ের ছেলে শিবশক্তি। আর তাঁর বান্ধবী সজল সিন্ধু হাজিপুরের মনুয়া গ্রামের বাসিন্দা অধ্যাপক বিজয় কুমার রাইয়ের মেয়ে। বিয়ের পর থেকেই লম্বা ছুটিতে রয়েছেন শিবশক্তি। শুক্রবার বেগুসরাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে যান সজল সিন্ধু। তারপর দু’জনে একসঙ্গে বেরিয়ে বিয়ে করেন।