Tag Archives: Bihar

Crime News: তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রকে গুলি নার্সারি পড়ুয়ার! স্কুলেই ধুন্ধুমার কাণ্ড, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকেরা

পটনা: বয়স মাত্র ৫ বছর। নার্সারির পড়ুয়া। সেই কিনা গুলি করে দিয়েছে তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রকে! এমনই চমকে দেওয়ার মতো ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের সুপৌল জেলার ত্রিবেণীগঞ্জের লালপট্টিতে অবস্থিত সেন্ট জনস বোর্ডিং স্কুলে।

জানা গিয়েছে, ক্লাস শুরুর আগে প্রতিদিনই প্রার্থনা হয়। বুধবার সেই সময়ই ব্যাগ থেকে বন্দুক বের করে গুলি চালিয়ে দেয় নার্সারির ওই পড়ুয়া। গুলি লাগে আসিফ নামের তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রের বাঁ হাতে। গুরুতর জখম অবস্থায় ত্রিবেণীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে তাকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ছাত্র এবং তাঁর পরিবার পলাতক। স্কুল প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, গুলিকাণ্ডের পর দুই শিশুর পরিবারকে স্কুলে ডাকা হয়েছিল। অভিযুক্ত ছাত্র একলব্য এবং তাঁর বাবা মুকেশ যাদব প্রধান শিক্ষকের ঘরে যান। উপস্থিত ছিলেন আসিফের পরিবারের সদস্যরাও। ঘটনা নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সামনে দু’পক্ষ আলোচনা করছিল।

আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ কাণ্ডে বারবার তলব! মণীশ জৈনকে সরানো হল স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিবের পদ থেকে

আচমকাই মুকেশ এবং একলব্য চেয়ার ছেড়ে দৌড়ে পালান। প্রথমে হতভম্ব হয়ে পড়েন সবাই। সম্বিত ফিরতেই তাঁদের ধরতে ছোটেন আসিফের পরিবারের লোকজন। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। এরপর ক্ষুব্ধ আসিফের পরিবারের লোকজন স্কুল ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ।

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ত্রিবেণীগঞ্জ থানার পুলিশ। এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত শিশু এবং তার পরিবারের কোনও হদিস মেলেনি। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, স্কুল প্রশাসন সময়মতো ব্যবস্থা নিলে এত বড় ঘটনা এড়ানো যেত। ঘটনা নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশও।

আরও পড়ুন: মেট্রো যাত্রীদের জন্য সুখবর! বাড়তে চলেছে মেট্রোর সংখ্যা..বাড়ছে সময়ও

এই ঘটনা স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের কাছেও মর্মান্তিক ও গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে। স্কুলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের ব্যাগ পরীক্ষা করে দেখার দাবিও উঠেছে। সব মিলিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরাও। তাঁদের মতে, স্কুল কর্তৃপক্ষের আরও কঠোর হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি, ছাত্রদের নিরাপত্তায় সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।

Missing Boy: চন্দননগরে পিসির বাড়িতে ঘুরতে এসে নিখোঁজ বিহারের কিশোর

হুগলি: চন্দননগরে পিসির বাড়ি বেড়াতে এসে নিখোঁজ হয়ে গেল বিহারের এক বালক। দুই দিন কেটে গেলেও মেনেনি খোঁজ। নিখোঁজ বালকের নাম রোহন কুমার পাশোয়ান। দাদুর সঙ্গে বায়না করে পিসির বাড়ি এসেছিল সে। মঙ্গলবার পিসির বাড়িতে আসার পরই নিখোঁজ হয়ে যায়। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চন্দনগরের সুরেরপুকুরে বাসিন্দা ঝন্টু পাশোয়ান স্ত্রী সঞ্জু দেবীকে নিয়ে তাঁর শ্বশুর বাড়ি বিহারের বৈশালী জেলার পাতেপুর থানার বওহারা গ্রামে গিয়েছিলেন গত সপ্তাহে। গত রবিবার গঙ্গাসাগর এক্সপ্রেসে চন্দননগর ফেরেন তাঁরা। ঝন্টুর সঙ্গে তাঁর শ্বশুর-শ্বাশুড়ি চন্দননগরে আসেন চোখের ডাক্তার দেখাতে। দাদু-ঠাকুমার সঙ্গে চন্দননগর আসবে বলে বায়না ধরে সাত বছরের রোহন কুমার পাশোয়ান। দাদু মহিন্দর পাশোয়ান নাতিকে নিয়ে আসেন সঙ্গে করে। গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ পিসি সঞ্জু দেবীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে রোহন। এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, সে সুরেরপুকুর রোড দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। তার পর আর কোন‌ও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

আর‌ও পড়ুন: স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন, ১৩ বছর পর বেনারসে খুরশিদার সন্ধান

রোহন বাংলা জানে না, ভোজপুরি ভাষায় কথা বলে। এদিকে চন্দননগরের পথ ঘাট চেনে না। ফলে কোথায় গেল তা বুঝে উঠতে পারছে না পরিবার। ছেলে নিখোঁজ হয়ে গেছে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিহার থেকে চদননগর এসে পৌঁছন রোহনের বাবা সঞ্জয় পাশোয়ান ও মা রেখা দেবী। দাদুর সঙ্গেই এসেছিল ছোটো নাতি। সেই নাতি হারিয়ে যাওয়ায় হাউ হাউ করে কাঁদছেন দাদু। চন্দননগর থানায় নিখোঁজ ডায়রি হওয়ার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

বিহার থেকে আসা বালকের বাবা, মা ও দাদুর সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারী অফিসার সুবল বিশ্বাস। গ্রামের বাড়িতে খাটালে কাজ করেন রোহনের মা-বাবা। তাঁদের চার সন্তান। রোহন সবচেয়ে ছোটো।দু’দিন হয়ে গেলেও নিখোঁজ বালকের খোঁজ মেলেনি।কাছাকাছি রেল স্টেশন চন্দননগর, চুঁচুড়া, ব্যন্ডেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি রেল পুলিশকেও নিখোঁজ বালকের সম্পর্কে জানানো হয়েছে।

রাহী হালদার

৫৭ বছরের দাম্পত্য, ৫৭ বার কুপিয়ে স্ত্রীকে খুন করলেন স্কুল শিক্ষক

আরওয়াল: স্ত্রীয়ের অবৈধ সম্পর্কের জেরে ৫৭ বার আঘাত করে, দেহ খণ্ড খণ্ড করে হত্যা করলেন বিহারের এক অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক।

ঘটনাটি হল বিহারের আরওয়াল জেলার জামুহারি গ্রামে। ৭৬ বছর বয়সী বীরবল প্রসাদের এই ঘটনায় হতবাক সকলেই। অভিযোগ নিজের স্ত্রীকে হত্যাই করেই ক্ষান্ত হননি বীরবল। হত্যার পর মৃতা সুমতি সিনহার দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলেন তিনি।

আরও পড়ুন: গাড়ির ছাদে স্পাইডারম্যান, ধরা পড়ল পুলিশের হাতে!

কিন্তু, এই আক্রোশের কারণ কী? তদন্তকারীরা জানিয়েছেন প্রায় আট বছর আগে বীরবলের কাকার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন সুমতি দেবী।
সেই কথা জানা মাত্রই রাগে ফেটে পড়েন বীরবল। হাতের সামনে থাকা ধারালো বস্তু দিয়ে একের পর এক মোট ৫৭ বার আঘাত করেন। তদন্তকারীরা মনে করছেন সর্বমোট ৫৭টি আঘাত ইঙ্গিত করে বীরবল এবং সুমতির দাম্পত্য জীবনের একসঙ্গে কাটানো বছরকে।
আঘাত করার পর দেহটিকে টুকরো টুকরো করে কেটেও ফেলেন তিনি।
বীরবলের নাতি স্কুল থেকে ফিরে এসে এই হাড়হিম করা দৃশ্য দেখার পরেই স্থানীয় থানায় খবর পাঠানো হয়।
পুলিশ সুত্রে খবর, বীরবল দুপুর ১’টা নাগাদ পরিবারের সকল সদস্যকে একটি ঘরে বন্দি করে রেখে এই জঘন্য অপরাধ সংগঠিত করেন।
বীরবলের নাতি স্কুল থেকে ফিরে এসে যখন দেখে গোটা বাড়ি রক্তে ভেসে যাচ্ছে। কিছু পরেই বীরবল ওই ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে পুত্রবধূ,নাতি এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামবাসীদের হুমকি দিতে থাকেন।
ইতিমধ্যেই বীরবলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে ফরেনসিক টিম।
যা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে সেই বস্তুটিকেও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

আরওয়াল জেলার এসপি রাজেন্দ্র কুমার ভিল ইতিমধ্যেই ওই স্কুল শিক্ষকের গ্রেফতারির কথা স্বীকার করেছেন।
ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে জেল হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
গোটা এলাকায় এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই শিউড়ে ওঠা ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই স্তম্ভিত গোটা এলাকার মানুষ।

Union Budget 2024 Bihar and Andhra Pradesh: বিহার, অন্ধ্রের জন্য বিপুল বরাদ্দ নির্মলার! সমর্থনের পুরস্কার পেলেন নায়ডু-নীতীশ

নয়াদিল্লি: মোদির আমলে প্রথম ‘এনডিএ বাজেট’। এর আগে ২০১৪ থেকে ২০২৪ এর অন্তর্বর্তী বাজেট পর্যন্ত সরকার ছিল একক সংখ্যাগরিষ্ঠ। এই বাজেট থেকে প্রথম জোট সরকারের বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। জোট সরকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি এবং নীতীশ কুমারের ডেডিইউয়ের। তার জন্য এবারের বাজেটে যে বিহার এবং অন্ধ্রপ্রদেশ বিশেষ সুবিধা পাবে তা আশা করাই গিয়েছিল।

আরও পড়ুন: একদিনের ক্রিকেটে কেরিয়ার শেষ সূর্যকুমারের? বড় ইঙ্গিত বোর্ডের নির্বাচক কমিটির প্রধানের

বিহার এবং অন্ধপ্রদেশের জন্য মোট ৪১ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করলেন কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। নীতীশ কুমারের বিহারে বিভিন্ন সড়ক প্রকল্পের জন্য ২৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে, ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী। সেই সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য চলতি অর্থবর্ষে অতিরিক্ত ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। চন্দ্রবাবুর রাজ্য অমরাবতীতে নতুন রাজধানী নির্মাণের জন্য এই টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয় বাজেটে।

আরও পড়ুন: শেষ ৩টি বাজেটে কীভাবে বদলেছে কর ব্যবস্থা? এই বাজেট থেকে কী প্রত্যাশা করদাতাদের?

সেই সঙ্গে বিহারে বন্যা নিয়ন্ত্রণে ১১ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত বরাদ্দের ঘোষণা করেন নির্মলা সীতারমণ। এখানেই শেষ নয়, বিহারে সড়ক নির্মাণ, বিমানবন্দর, মেডিক্যাল কলেজ এবং খেলাধুলার উন্নতির জন্যও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয় বাজেটে।

Viral video: ব্যস্ত রাস্তায় নাচ মহিলার, ভারসাম্য হারিয়ে বাইক থেকে পড়ে গেলেন শিশু-সহ এক ব্যক্তি

পটনা: মাঝ রাস্তায় ভিডিও করে তরুণী নাচছে৷ আর তারই ফলে ভারসম্য হারিয়ে পড়ে যায় এক বাইকআরোহী ও বাইকে থাকা এক শিশু৷

ভার্চুয়াল যুগে সেলফি তোলা, রিল বা ভ্লগ করা অনেকেরই রোজের অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ধরনের ঘটনা তাৎক্ষণিক ভাবে আনন্দ দিলেও তা অনেকেরই সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়৷

আরও পড়ুন: বিনা টিকিটে ট্রেনে যাত্রা করছিলেন ব্যক্তি, টিটি ধরতেই কী বললেন ? জানলে চমকে উঠবেন!

এই রকমই একটা ভিডিওতে দেখা যায়, একজন মহিলা রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে নাচের রিল তৈরি করছে৷ সেখানে একজনকে ব্যক্তি বাইকে করে ওই রাস্তা দিয়ে আসতে গিয়ে পড়ে যাচ্ছে।

ঘটনাটি ঘটে বিহারের এক জেলায়৷ রিলসে এই পুরো ঘটনাটিই ক্যামেরা বন্দি হয়৷ ভিডিওতে সেই রাস্তা দিয়ে অনেক স্থানীয় মানুষকেও হেঁটে যেতে দেখা যায়। কিন্তু তার তারপরও রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে তিনি ভোজপুরি গানে নাচতে থাকেন। তখনই পিছন থেকে বাইটিকে আসতে দেখা যায়৷

আরও পড়ুন: লিপস্টিক বা পার্ফিউম নয়, তরুণীর হ্যান্ডব্যাগ থেকে বেরলো এক অদ্ভুত জিনিস

বাইকটিতে একটা ছোট বাচ্চাও ছিল৷ ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মহিলাটি তাদের পথ আটকে দেওয়ায় ভারসাম্য হারিয়ে বাইক রাস্তায় পিছলে যায়। কিন্তু এই দুর্ঘটনার পরও মহিলার নাচ থামেনি৷ সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকেই মহিলার আচরণকে নিন্দা করেছে৷

তবে অনেকে একে সাজানো ভিডিও বলেও দাবি করা হয়েছে৷ সোশ্যাল মিডিয়াতে একজন আবার বলেন “নাচের ভিডিওটা দেখে মনে হচ্ছে বাইক আরোহী আগে থেকেই ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত৷ দেখে মনে হচ্ছে ঘটনাটি যেন পূর্ব পরিকল্পিত।”

গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দাদের অ্যাকাউন্টে কোটি টাকা, ২০ বছর বয়সীদের নতুন গাড়ি-বাড়ি, ব্যবসা শুনলে মাথা ঘুরে যাবে!

Report: Munna Raj

বেত্তিয়া, বিহার: ভারত-নেপাল সীমান্ত এলাকাগুলিতে সাইবার ক্রাইমের ঘটনা দিনদিন বাড়ছে। সাইবার অপরাধীদের আতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে বিহারের পশ্চিম চম্পারণের জাভাকাতিয়া গ্রাম। এখানকার একটি গ্যাংয়ের সঙ্গে পাকিস্তান যোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

জাভাকাতিয়া এক আশ্চর্য গ্রাম। নিউজ 18 টিমের তদন্তে উঠে এসেছে চমকে দেওয়া সব তথ্য। ন্যাশনাল হাইওয়ে ৭২৭-এর কাছে অবস্থিত এই গ্রামের জনসংখ্যা ১৩ হাজার। গ্রামের বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়ায় খাটান। ২০ বছর বয়সী তরুণরা একাধিক গাড়ি, বাড়ির মালিক, সবই কালো টাকায়। জানা গিয়েছে, সাইবার প্রতারণা চক্রে যোগ দিচ্ছেন এখানকার মহিলারাও।

আরও পড়ুন– বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা প্রবল! উইকেন্ডে জমিয়ে বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে

আট বছর আগে সাইবার অপরাধ জগতে হাতেখড়ি হয় গ্রামের এক যুবকের। সেই শুরু। তারপর থেকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে সাইবার জালিয়াতির কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে এই গ্রাম। মাঝোলিয়া থানার জাভাকাতিয়া গ্রামের ৩০০ জনের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইমে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। দলে দলে যোগ দিচ্ছে গ্রামের যুবক-যুবতীরা। সম্প্রতি কাটিহার সাইবার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে নেস্তাক আলম নামের এক যুবক। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই পাকিস্তান যোগের কথা জানতে পারে পুলিশ।

নেস্তাকের সঙ্গে পুলিশের জালে ধরা পড়ে ঈশা কুমারী নামের এক তরুণীও। তাদের কাছ থেকে ১৬টি এটিএম কার্ড, কোটি টাকার ব্যাঙ্ক লেনদেনের প্রমাণ, কয়েকশ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ, প্যান কার্ড, ১০০-এর বেশি ব্যাঙ্কিং কিউআর কোড এবং পাকিস্তানি মোবাইল নম্বর উদ্ধার হয়েছে।

আরও পড়ুন– নিজের প্রাক্তন প্রেমিকের নামে সন্তানের নামকরণ করেছিলেন স্ত্রী, জানতেন না স্বামী; ছোটবেলার বন্ধুই করলেন আসল রহস্য ফাঁস

মাঝোলিয়া শাখায় জাভাকাতিয়ার ১১৭টি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক। সন্দেহজনক লেনদেনের ঘটনা সামনে আসার পরই এই পদক্ষেপ করে দেশের বৃহত্তম সরকারি ব্যাঙ্ক। গ্রামের অন্যান্য বাসিন্দাদের অ্যাকাউন্টেও নজর রাখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, জালিয়াতি করে হাতানো অর্থ নেপালি মুদ্রায় রূপান্তরিত করে পাকিস্তানে পাঠানো হত। এমনকী, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বদলে নেওয়া হয়েছে বড় অঙ্কের টাকা।

২০১৯ সালে শাহিদ নামের এক যুবকের অ্যাকাউন্টে কোটি টাকা লেনদেন হয়। তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তখনই প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে আসে সাইবার অপরাধের গল্প। সামনে আসে আরেক জালিয়াত জিয়াউল হকের নাম। সরাসরি পাকিস্তানের সঙ্গে তার যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়। পরিচয় লুকনোর জন্য নেপালি সিম দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুলে পুলিশের সঙ্গেই প্রতারণা করেছিল জিয়াউল। জামতাড়ার পর জাভাকাতিয়া গ্রাম হয়ে উঠেছে সাইবার ক্রাইমের হাব।

মাত্র কয়েক বছরেই বেড়ে উঠবে এই গাছ; আর এর কাঠ বিক্রি করে হয়ে উঠতে পারেন কোটিপতি!

আশিস কুমার, পশ্চিম চম্পারণ: দেশের অধিকাংশ মানুষই যুগের পর যুগ ধরে কাষ্ঠল গাছ রোপণ করে থাকেন। এর মধ্যে অন্যতম হল সেগুন, শিশু, মেহগনি ইত্যাদি। তবে এইসব গাছ থেকে কাঠ পাওয়ার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়। অনেক সময় তো কাঙ্ক্ষিত ফলাফলই মেলে না। ফলে এই পরিস্থিতিতে কাষ্ঠল গাছের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন মানুষ। আজ আমরা এমন একটা গাছের বিষয়ে আলোচনা করব, যা মাত্র ৬ থেকে ১০ বছরের মধ্যে বড় হয়ে যাবে। আর তা থেকে শুধু লক্ষ লক্ষ নয়, বরং আসবে কোটি কোটি টাকা!

আরও পড়ুন– শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমানের স্ত্রীকে অশালীন মন্তব্য! সোশ্যাল মিডিয়ায় ছিছিক্কার, যুবকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করল পুলিশ

বিহারের পশ্চিম চম্পারণ জেলায় অনুর্বর জমিতে কৃষকরা সাধারণত সাদা সিডার এবং পপলার গাছ লাগান। এর মধ্যে সাদা সিডার জমি থেকে জল ও আর্দ্রতা শোষণ করে। অন্যদিকে আবার পপলার গাছের পাতা জমিতে পড়ার ফলে ফসল ভাল ভাবে ফলছে না। এই পরিস্থিতিতে ওই জেলার কিছু কৃষক মালাবার নিম নামে কাষ্ঠল গাছ রোপণ করছেন।

মজার বিষয় হল, মাত্র ৬ বছরেই বেড়ে ওঠে এই গাছ। এর থেকে কৃষকরা ২০ লক্ষ টাকারও বেশি অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। এই কৃষকদের মধ্যে একজন হলেন রবিকান্ত পাণ্ডে। তিনি বলেন, মালাবার নিম গাছের চারার দাম মাত্র ৩০ টাকা। এক একর জমিতে যদি কোনও কৃষক ১০ ফুট অন্তর মালাবার নিমের গাছ রোপণ করেন, তাহলে মোট ৩৫০টি গাছ রোপণ করা সম্ভব। ফলে এই গাছ লাগাতে মোট খরচ হবে ১০৫০০ টাকা।

আরও পড়ুন– পৃথিবীর সঙ্গেই ঘুরছে গাছ, পাহাড় আর আকাশও; ভাইরাল ভিডিও-য় মিলল পৃথিবীর আবর্তনের প্রমাণ

রবিকান্ত বলেন যে, মাত্র ৬ বছরে মালাবার নিম গাছের কাঠ প্রস্তুত হয়ে যায়। প্রতি কিলোগ্রাম হিসেবে অনায়াসে বিক্রি করা যাবে এই কাঠ। এই সময়ের মধ্যে একটা গাছ থেকে প্রায় ১০ কুইন্টাল কাঠ মেলে। যা কুইন্টাল প্রতি ৬০০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব। ফলে এক-একটা গাছ থেকে ৬০০০ টাকা আয় করা সম্ভব। আর এক একর জমিতে রোপণ করা ৩৫০টি গাছ থেকে আয় করা যাবে ২১ লক্ষ টাকা।

যদি গাছগুলিকে ১০ বছর ধরে রাখা হয়, তাহলে এই সময়ের মধ্যে এর মূল্য আরও বেড়ে যাবে। আসলে ১০ বছর সময়ের মধ্যে মালাবার নিমের কাঠের গুণমান অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই তা কিলোগ্রাম হিসেবে বিক্রি না করে সরাসরি আসবাব নির্মাণ সংস্থাগুলির কাছে বিক্রি করা যেতে পারে। যার ফলে এর মূল্য হয়ে যায় প্রতি বর্গফুটে ১০০০ টাকা। আর এক-একটি মালাবার নিম গাছ থেকে ১০ বছরে ২০ থেকে ৫০ বর্গফুট কাঠ পাওয়া সম্ভব। এই পরিস্থিতিতে ১ একর জমিতে রোপণ করা ৩৫০টি মালাবার নিম গাছ থেকে আয় করা যাবে ১ কোটি টাকা।

পরিবারে নতুন অতিথির আগমন উদযাপনের জন্য চলছিল মিষ্টি ও টাকা বিতরণ; তারপর রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হাসপাতাল…! ভিডিও দেখে হাসি থামছে না নেটিজেনদের

Report- Gulshan Kashyap

জামুই, বিহার: বাড়িতে একটা শিশুর জন্ম হলে পরিবারে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। সেরকমই ঘটেছিল এক ব্যক্তির পরিবারে। আসলে ওই ব্যক্তির নাতির জন্ম হয়েছিল। তিনি এতটাই আনন্দিত হয়েছিলেন যে, এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করতে শুরু করে দিয়েছিলেন। আর মিষ্টির পাশাপাশি আনন্দের চোটে টাকা-পয়সাও বিতরণ করেন তিনি। কিন্তু এরপর যা ঘটল.. শুনলে হাসি আর থামাতেই পারবেন না। সম্প্রতি বিহারের জামুই জেলার ঝাঝা রেফারেল হাসপাতালের এই ঘটনা সামনে এসেছে।

আরও পড়ুন– কুম্ভ থেকে হাথরস, তীর্থস্থানে বারবার পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুমিছিল, দেখে নিন এক নজরে

সূত্রের খবর, পাইরাগড়ের বাসিন্দা সরিতা দেবী নামে এক মহিলাকে ঝাঝা রেফারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে তাঁর পরিবারে খুশির ঢেউ বয়ে যায়। এরপরেই সদ্যোজাত শিশুটির ঠাকুর্দা গোবিন্দ যাদব আনন্দের চোটে মিষ্টি বিতরণ করতে শুরু করেন। সেখানে উপস্থিত সকলকে মিষ্টির পাশাপাশি টাকাও দিচ্ছিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই সেখানে আসেন তাঁর পুত্রবধূও। তিনিও টাকা দিতে থাকেন সকলকে। এই ঘটনা রীতিমতো বিবাদের আকার নেয়। আর তা কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই চরমে পৌঁছয়। ফলে গোটা রেফারেল হাসপাতাল রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সেখানকার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ইতিমধ্যেই।

আরও পড়ুন- বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১০ দেশের নাম জানেন? জিডিপি পার ক্যাপিটা অনুযায়ী রইল তালিকা

আসলে গোবিন্দ যাদব যখন মিষ্টি এবং টাকা বিতরণ করছিলেন, সেই সময় সেখানে এসে পৌঁছেছিলেন সরিতা দেবীও। তিনিও সকলের হাতে টাকা তুলে দিতে থাকেন। অথচ বিতরণ করার জন্য সরিতা দেবী নিজের শ্বশুরমশাইয়ের থেকে টাকা নেওয়ার পরিবর্তে বাবার থেকে টাকা নিয়েছিলেন। বিষয়টি ভাল ভাবে নেননি সরিতা দেবীর শ্বশুর গোবিন্দ যাদব। তিনি রেগে যান। ইতিমধ্যেই সেখানে আসেন সরিতা দেবীর ভাই। ফলে বিবাদ শুরু হয়ে যায়। আর দুপক্ষের মধ্যেও গোলমাল চরমে পৌঁছয়।
এদিকে বৃষ্টির কারণে হাসপাতাল চত্বর পিছল ছিল। ফলে গোলমাল চলাকালীনই সেখানে এ-দিক সে-দিক পা পিছলে পড়ে যেতে থাকেন বিবাদ সৃষ্টিকারীরা। আর সেই মুহূর্তের ভিডিওই আপাতত ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখে হাসি যেন থামছেই না নেটিজেনদের।

Bridge Collapse: বিহারে ফের ভেঙে পড়ল সেতু! ১৫ দিনে সাতবার ঘটল একই ঘটনা

বিহার: ফের সেতুভঙ্গের খবর বিহারে৷ যদিও বিহারে সেতু ভেঙে পড়ার খবর এই প্রথম নয়৷ ২২শে জুন বিহারের দারুন্দা এলাকায়  সেতুর একটা অংশ ধসে পড়ে৷ তার ঠিক এগারো দিনের মাথায় আরও একটা সেতু ধসে পড়ল৷ ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের সিওয়ান জেলায়৷ এই নিয়ে প্রায় বিহারে সাতটি সেতু ভেঙে পড়েছে৷ সম্প্রতি মধুবনী, আরারিয়া, পূর্ব চম্পারন, কিষাণগঞ্জের মতো জায়গাতেও একের পর এক সেতু ভেঙে পড়েছিল৷

আরও পড়ুন– রাশিফল ৮ জুলাই – ১৪ জুলাই; দেখে নিন এই সপ্তাহ নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

সিওয়ান জেলার গন্ডাকি নদীর উপর একটি সেতুর অংশ বুধবার সকালে ধসে পড়ে। এই ব্রিজটি মহারাজগঞ্জের সঙ্গে বেশ কয়েকটা গ্রামকে একসঙ্গে সংযুক্ত করেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গত ১১ দিনে সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনা এই নিয়ে দ্বিতীয়বার। ঘটনাটি ঘটে ভোর পাঁচটার দিকে৷ প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, সেতুটি ১৯৮২-৮৩ সালে নির্মিত হয়েছিল৷ গত কয়েকদিন ধরেই সেতু মেরামতের কাজ চলছিল৷

আরও পড়ুন: বিজেপিকে ‘হারানোর অস্ত্র’ হাতে এসে গেছে! বিস্ফোরক প্রশান্ত কিশোর! যা বললেন, তোলপাড় দেশ

গ্রামবাসীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সেতুর কাঠামো আগে থেকেই দূর্বল হয়ে গিয়েছিল, তার জন্যই এই দূর্ঘটনা৷ ডেপুটি ডেভেলপমেন্ট কমিশনার মুকেশ কুমার জানান এই বিষয়ে সঠিক তদন্ত চলছে৷ তিনি আরও জানিয়েছেন,“ব্লকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন এবং আমিও সেখানে যাচ্ছি”

যদিও পর পর সেতুভঙ্গের ঘটনায় বিহার সরকারের টনক নড়ছে৷ যে সকল অঞ্চলে সেতু ভেঙে পড়েছে, সেখান থেকে রিপোর্ট জমা পড়েছে৷ মনে করা হচ্ছে, সেই অনুযায়ী বিহারে একটা উচ্চ-পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে৷

সবজির বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছিল টাটকা-তাজা শসা, কিন্তু কাছে যেতেই চক্ষু চড়কগাছ; ভাইরাল ভিডিও দেখে ঘুম উড়েছে জনসাধারণের!

পটনা: আচমকাই সবজির দাম বেড়ে গিয়েছে। পিঁয়াজের দাম পঞ্চাশ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে, টম্যাটোর দরও আশি ছাড়িয়েছে। বর্ষার আগেই সবজির বাজারের এই অবস্থা দেখে নাভিশ্বাস উঠছে জনসাধারণের। এমন পরিস্থিতিতে আগামী সময়ে সবজির দাম কতটা বাড়বে, তা অনুমান করাই যাচ্ছে। আসলে ব্যবসায়ীদের দাবি, সবজির মূল্যবৃদ্ধির কারণ হল প্রবল গরম। আর গরমের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবজির ফলন। ফলে বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গেই চড়চড় করে বেড়েছে সবজির দাম। এদিকে বিহারের পটনার সবজি বাজারের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন– সারাদিন ঘরে চলত রহস্যজনক কাজ, খবর পেয়ে হানা পুলিশের; জালে পড়ল ৪ মহিলা-সহ ১১ জন

কিন্তু এত মূল্যবৃদ্ধির মধ্যেও সবজি তো খেতেই হবে! এদিকে গ্রীষ্মের মরশুমে শসার চাহিদাও বেড়ে যায়। কারণ শসা খেলে গরমে শরীর ঠান্ডা হয় এবং হিট স্ট্রোকও প্রতিরোধ হয়। কিন্তু পটনার এক সবজি বাজারে সবজি কিনতে গিয়ে এক ব্যক্তি যা দেখলেন, তাতে রীতিমতো চমকে উঠেছেন। তবে যা দেখলেন, সেই ঘটনাটিকে ক্যামেরাবন্দি করতে ভোলেননি তিনি! আর তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন ভিডিওটি, যা হু-হু করে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।

কিন্তু কী দেখা যাচ্ছে ওই ভিডিও-য়? আসলে বাজারে অনেক বিক্রেতাই বেশ চড়া দামে শসা বিক্রি করছিলেন। আর দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে শসাগুলিকে তাঁরা সবুজ ও সতেজ বলেও দাবি করছিলেন। এদিকে ওই বাজারের এক জায়গায় বেশ কিছু মহিলা বড় বড় পাত্রে জল নিয়ে বসে ছিলেন। আর সেখানেই চলছিল এই শসাগুলোকে সবুজ করার প্রক্রিয়া। কিন্তু কীভাবে? আসলে বড় বড় পাত্রে সবুজ রঙ মিশিয়ে তাতে শসাগুলিকে আরও সবুজ রঙ করার কাজ চলছিল। আর শসাগুলি সবুজ হয়ে গেলে সেগুলিকে একদম টাটকা বলে দাবি করছিলেন বিক্রেতারা।

আরও পড়ুন– রাশিফল ২৪ জুন-৩০ জুন: দেখে নিন এই সপ্তাহ নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

বাজারে সবজি কিনতে এসে এক ব্যক্তি এই দৃশ্য দেখে রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন। আসলে যে রাসায়নিক দিয়ে সবজি রঙ করা হচ্ছে, তা স্বাস্থ্যের জন্য তো একেবারেই ভাল নয়। এগুলি সেবন করলে ক্যানসারের মতো মারাত্মক রোগ হতে পারে। অথচ এই কথা জেনেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সবজিগুলিকে তাজা প্রমাণ করতে রাসায়নিকে ডুবিয়ে রাখছে। আর পরে তা চড়া দরে বিক্রিও করছে। পটনার ওই বাজারের ভাইরাল ভিডিওটি দেখার পরে হতবাক নেটিজেনরাও। একজন মন্তব্য করেছেন যে, “এ তো সমস্ত সীমা পার করে গিয়েছে! এখন আর লোকচক্ষুর আড়ালে নয়, বরং একেবারে প্রকাশ্যেই বিষে ডোবানো হচ্ছে সবজিগুলিকে।”