নয়াদিল্লি: কোভিডের পর থেকে ইনহেলারের বিক্রি ব্যাপক বেড়েছে। এরসঙ্গে যোগ হয়েছে বায়ুদূষণ। দুয়ে মিলে ওষুধের বাজারে বিকোচ্ছে হু-হু করে। সাধারণত অ্যান্টি ডায়াবেটিক, কার্ডিওভাসকুলার এবং দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের রোগেই ইনহেলার ব্যবহার হয়। গবেষণা সংস্থা IQVIA-এর সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ভারতের ওষুধের বাজারে সেরা ৪০টি ব্র্যান্ডের মধ্যে সিপলার ফোরাকর্টের বিক্রিই সবচেয়ে বেশি।
জানুয়ারিতে প্রকাশিত IQVIA-এর মাসিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেরা ১০টি ব্র্যান্ডের মধ্যে ফোরাকর্টের বিক্রি সর্বাধিক। বুডাকর্টের পরেই। পরিসংখ্যান বলছে, বিক্রি ইতিমধ্যে ৮৩ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রতি মাসে ২০ শতাংশ হারে বিক্রি বাড়ছে।
ফোরাকর্ট মূলত ইনহেলার যা শ্বাসযন্ত্রের অসুখ অর্থাৎ হাঁপানি এবং দীর্ঘস্থায়ী অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজের (সিওপিডি) চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। একটা সময় ইনহেলার নেওয়ার কথা বললেই আতঙ্ক দেখা দিত। কিন্তু ফোরাকর্টের বিক্রি সব হিসেবনিকেশ উল্টে দিয়েছে। অন্য দিকে, বুডাকোর্ট এক ধরনের স্টেরয়েড যা হাঁপানির উপসর্গ যেমন শ্বাসকষ্ট, শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা এবং প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়।
IQVIA-এর মুখপাত্র স্বাতী চৌধুরি নিউজ ১৮-কে বলেন, ‘কোভিড পরবর্তী সময়ে শ্বাসযন্ত্রের ওষুধ বিক্রির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিবেশগত পরিবর্তন এবং দূষণের মাত্রা বৃদ্ধিই এর সম্ভাব্য কারণ বলে মনে হচ্ছে’। নভেম্বর থেকে ফোরাকর্টের বিক্রি ঊর্ধ্বমুখী। শীতকালে এবং বায়ু দূষণের কারণে শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা বাড়ে। বছরের অন্য সময় ইনহেলার বিক্রির পরিমাণ কখনও বাড়ে, কখনও কমে। তবে বেশি বিক্রি হওয়া ১০টি ওষুধের তালিকায় সবসময়ই থাকে।
যেমন অক্টোবরে এই তালিকায় সবার উপরে ছিল ব্রড-স্পেকট্রাম অ্যান্টিবায়োটিক মনোসেফ। তারপরই ছিল অ্যান্টিবায়োটিক অগমেন্টিন। ফোরাকর্ট ছিল তৃতীয় স্থানে। পরিসংখ্যান বলছে, সাধারণত ৪০টি ব্র্যান্ডের ডায়াবেটিস, অ্যান্টি-ইনফেকটিভস, প্রোটন পাম্প ইনহিবিটরস (পিপিআই), ব্যথা এবং শ্বাসযন্ত্রের ওষুধ এই তালিকায় থাকে। আরও জানা যাচ্ছে, শ্বাসযন্ত্রের অসুখের মধ্যে ৪৪ শতাংশ অ্যাজমা এবং সিওপিডি-র, কাশি এবং সর্দি এবং অ্যান্টি-হিস্টামিন ওষুধের মতো অন্যান্য বিভাগের তুলনায় সর্বোচ্চ। অ্যাজমা এবং সিওপিডি-র ওষুধ হিসেবেই ইনহেলার সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়।