দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে পুঁইশাক খাওয়ার চল আছে। এই পুঁইশাক একটি লতা জাতীয় গাছ। পুঁই শাক গাছের পাতা ও ডাঁটা শাক হিসেবেই মূলত খাওয়া হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় বাড়ির উঠানে বা ঘরের টালি চালের উপরে পুঁইশাক ফলানো হয়েছে। সাধারণত গ্রামের বাড়িগুলোতে ঘরোয়া খাওয়া-দাওয়ার জন্য পুঁইশাক ফালানো হয়। তবে এখন এই পুঁইশাকের হাত ধরেই ঘুরে যেতে পারে আপনার ভাগ্যের চাকা।
আরও পড়ুন: ভোট নিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষকরা কী বলছেন?
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কিছু এলাকায় চাষের জমিতে সবজি ফলানোর পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে পুঁইশাকের চাষ শুরু হয়েছে। সঠিক পদ্ধতিতে পুঁইশাক চাষ করলে কৃষক অধিক লাভ পেতে পারে। মূলত গরম আবহাওয়ার পুঁইশাক খুব ভাল জন্মায়। কারণ কম তাপমাত্রা এই গাছের ফলনের জন্য খুব একটা কার্যকরী নয়। সব ধরনের মাটিতেই পুঁইশাক গাছ হওয়া সম্ভব।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের বিল নিয়ে বিভ্রাট, টাকা দিয়েও অতান্তরে কৃষকরা! ব্যাঘাত চাষের কাজে
খুব অল্প খরচে পুঁইশাক জমিতে চাষ করে অধিক লাভবান হওয়া যায়। চারা উৎপাদন করে ১০-১৫ দিনের মধ্যে চারা লাগানো যায় এবং ৪০ থেকে ৫০ দিনের মধ্যেই ফলন তোলা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে পুঁইশাক গাছের ডাঁটা এবং পাতা যেমন খাওয়া যায়, তারই সঙ্গে পুঁইশাকের ফলেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ভিটামিন। যা আমাদের শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি শরীরকে ভাল রাখতে সাহায্য করে।
সুমন সাহা