Tag Archives: Dantan

Amazing Paper Pulp Craft: পুরানো খবরের কাগজ দিয়ে তৈরি হচ্ছে মুর্তি, দেখলে অবাক হবেন

পশ্চিম মেদিনীপুর: প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম। ছোটবেলায় দাদার থেকে মেলে প্রাথমিক শিক্ষা। এরপর নিজের ইচ্ছেতেই চলে ছবি আঁকার কাজ। প্রথাগত ছবি আঁকার বদলে তিনি বরাবরই নিত্য নতুন শিল্পকলার সঙ্গে নিজেকে প্রকাশ করেছেন। ২০০৮ সালে করেছেন ক্র্যাফট ও ছবি আঁকার একটি বিশেষ কোর্স। এরপর নিজের ইচ্ছাতেই বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা ও ক্র্যাফটের এর কাজ করেন তিনি। ফেলে দেওয়া বিভিন্ন জিনিস দিয়ে তিনি বানিয়ে তোলেন সুন্দর সুন্দর ঘর সাজানোর জিনিস। ফুটিয়ে তোলেন নানান শিল্পকে। সম্প্রতি তার হাতে বানানো কিছু কাজ নজর কেড়েছে সকলের। সকলের কাছে মিলেছে প্রশংসাও। বরাবরই তিনি ভিন্নস্বাদের শিল্পকর্ম করতে ভালবাসেন। তার ফলস্বরূপ এই কাজ।

আরও পড়ুন: রাস্তায় কোমর জল, ভাসছে ঘাটাল! বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গেলেন সাংসদ দেব

কথাই বলা হয় সকালের খবরের কাগজ বিকেলের ঠোঙ্গা। তবে সেই প্রচলিত ধারণা তিনি ভাবেননি। পুরানো খবরের কাগজ দিয়ে এত সুন্দর সুন্দর জিনিস তৈরি করেছেন নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। পুরানো খবরের কাগজ দিয়ে বিভিন্ন মানুষের অবয়ব, বিভিন্ন কাজকে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। যেমন একটি মানুষ রিকশায় করে মাল টানছেন অথবা করোনা কালে পায়ে হেঁটে মানুষ বাড়ি ফিরছে, কিংবা আন্দোলনের রেপ্লিকা। এমন সব জিনিস তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন খবরের কাগজ ব্যবহার করে।পুরানো খবরের কাগজকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে এই বিশেষ ক্র্যাফটের জিনিস তৈরি করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন:  খুদে ‘সেলিব্রিটি’ পড়ুয়া, ইউটিউবে মিলেছে প্রতিভার নমুনা, রাতারাতি ভাইরাল রাজদীপের ভিডিও আপনিও দেখুন

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার বলভদ্রপুর এলাকার বাসিন্দা বরুণ সাহু। পেশাগতভাবে তিনি অন্য কাজ করলেও তার নেশা এবং ভালবাসা ছবি আঁকার প্রতি। নিত্য নতুন শিল্পকর্মের উদ্ভাবনী তার শখ। সম্প্রতি ২০০৮ সাল থেকে তিনি পেপার পাল্প ও ফেলে দেওয়া খবরের কাগজ দিয়ে তৈরি করেছেন বিভিন্ন জিনিস। খবরের কাগজকে জলে ভিজিয়ে তাকে একটি মণ্ড করে তার সঙ্গে আঠা মিশিয়ে একটি সরু তারের কাঠামোর উপর তা লাগিয়ে বিশেষ এই শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তুলেছেন। এছাড়াও খবরের কাগজকে মুড়ে বিভিন্নভাবে তিনি তৈরি করেছেন অপর বেশ কিছু জিনিস। স্বাভাবিকভাবে শিল্পীর শিল্পকর্ম এবং তার নিত্যনতুন ভাবনা চিন্তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আগামী যুব প্রজন্মকে দিয়েছেন বিশেষ বার্তা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

রঞ্জন চন্দ

Lok Sabha Election 2024: সম্ভাবনা থেকেও পর্যটন মানচিত্রে নেই দাঁতন, ভোটের আগে বাংলা-ওড়িশা সীমান্তবাসীর নতুন দাবি

পশ্চিম মেদিনীপুর: ভোটের সময় সর্বত্র জোরকদমে প্রচার চলছে। এই সময় রাজনৈতিক দলগুলো আমজনতা কী চাইছে সেই দিকে নজর দেয়। কিন্তু বাংলা-ওড়িশা সীমান্তের এই বাসিন্দারা কী চাইছে সেদিকে সকলের নজর আছে কি? আসুন এই প্রতিবেদনে প্রতিবেশীর রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসরত বাংলার নাগরিকদের দাবিদাওয়ার দিকে নজর দেওয়া যাক।

বাংলা-ওড়িশা সীমান্তবর্তী এলাকা দাঁতন। এখানকার অলিতে গলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নানান ঐতিহাসিক নিদর্শন। দাঁতনে রয়েছে ঐতিহাসিক মোগলমারি বৌদ্ধবিহার, রয়েছে প্রাচীনতম শ্যামলেশ্বর মন্দির, রয়েছে দাঁতনের প্রাচীন মুনসেফ কোর্ট সহ নানান প্রাচীন স্থাপত্য। কিন্তু ক্রমে তা ধ্বংসাবশেষে পরিণত হচ্ছে। বাংলা-ওড়িশা সীমান্ত এলাকা পর্যটন মানচিত্রে এক অন্যতম দিশা, লোকসভা নির্বাচনের আগে সাধারণ মানুষের দাবি দ্রুত দাঁতনকে আনতে হবে পর্যটন মানচিত্রে। যেখানে পশ্চিমবঙ্গের শুধু নয়, ভারতবর্ষের পর্যটনে নতুন দিশা দেখাবে।

আর‌ও পড়ুন: শিক্ষকদের নিয়ে প্রচারে ঝড় তুললেন শান্তিরাম

পশ্চিম মেদিনীপুরের শেষ প্রান্ত বাংলা-ওড়িশা সীমান্ত এলাকায় রয়েছে দাঁতন। দাঁতন শুধু একটি প্রান্তিক এলাকার শহর নয়, বিখ্যাত প্রাচীন ইতিহাস কেন্দ্র হিসেবেও। রয়েছে বেশ কয়েকশো বছরের পুরানো ঐতিহাসিক মোগলমারী বৌদ্ধবিহার। তার পাশেই অবস্থিত প্রাচীন রাজবাড়ি। রয়েছে মানব সৃষ্ট বিশালাকার শরশঙ্কা দিঘি। স্বাভাবিকভাবে পর্যটনের এক নতুন ডেস্টিনেশন হওয়ার যাবতীয় উপাদান নিয়ে অবস্থান করছে দাঁতন।

বেশ কয়েকবার দাঁতনকে কেন্দ্র করে সার্কিট টুরিজমের চিন্তা ভাবনা নিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। লোকসভা নির্বাচনের আগে এলাকাবাসীদের দাবি দাঁতনকে কেন্দ্র করে গড়ে তুলতে হবে পর্যটনের নতুন ক্ষেত্র। যেখানে দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসবেন জানতে পারবেন দাঁতনের ইতিহাস। শুধু তাই নয়, বাড়বে কর্মসংস্থানও। প্রসঙ্গত বছরখানেক আগেই এলাকার বেকার যুবক-যুবতীদের টুরিস্ট গাইডের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বাকি পরিকাঠামো গড়ে না ওঠায় বিশেষ একটা লাভ হয়নি।

রঞ্জন চন্দ

Summer Travel: গরমে একটু শান্তি চাইছেন? তাহলে চলে আসুন এখানে! অবাক হবেন

পশ্চিম মেদিনীপুর:গরমের সারাদিন অফিস কিংবা বাড়ির কাজ করে ক্লান্ত? ধারে-পাশে পরিবার-পরিজন কিংবা প্রিয়জনদের নিয়ে ঘুরে আসতে চাইছেন? তবে গরম গড়ালে একটু বিকেল করেই ঘুরে আসতে পারেন ইতিহাসের দুই নিদর্শন থেকে। একদিকে শান্ত শীতল গ্রামীণ পরিবেশে সময় কাটবে, অন্যদিকে জানতে পারবেন আজ থেকে কয়েকশো বছর আগের নানা ইতিহাস। আপনার ধারে পাশেই রয়েছে এমনই কিছু ইতিহাসের নিদর্শন যা বিকেলের আউটিংয়ের জন্য একদম পারফেক্ট জায়গা।

পশ্চিম মেদিনীপুরের বাংলা ওড়িশা সীমান্ত এলাকার দাঁতনে রয়েছে এমনই বেশ কিছু ইতিহাসের নিদর্শন। যার মধ্যে অন্যতম মোগলমারী এবং মোগলমারী থেকে অনতি দূরেই রয়েছে মনোহরপুর রাজবাড়ি। যা ঘুরে দেখলে আপনার মন ভরবে। বাড়ির কাজের পর কিংবা অফিসে ছুটির পর সূর্য পশ্চিমে গড়ালে পরিবার পরিজন বন্ধুকে বা প্রিয়জনদের নিয়ে অবশ্যই ঘুরে দেখতে পারেন।

আরও পড়ুন: ঘুমোনোর সময় এই ভুল করছেন না তো? সব শেষ হয়ে যাবে! রোগে ধরবে! চরম অভাবে পড়বেন! জানুন

বেশ কয়েকশো বছরের পুরানো মোগলমারী বৌদ্ধ বিহার। যার বেশ কিছুটা অংশ খননে উদঘাটিত হয়েছে। এখনও হয়ত মাটির নীচে এই স্থাপত্যের অনেকাংশই থাকলেও বাইরে পর্যটকদের জন্য সাজানো হয়েছে বৌদ্ধ বিহারটিকে। এছাড়াও এই বৌদ্ধ বিহার খননে প্রাপ্ত বিভিন্ন ধরনের মাটির জিনিসপত্র, পাথর সহ একাধিক জিনিস সাজানো রয়েছে সুসজ্জিত মিউজিয়ামে। শুধু তাই নয়, এখানে এলে দেখতে পাবেন প্রাচীন কালের দেওয়ালে তৈরি বিভিন্ন স্ট্রাকো মূর্তি, চুন সুরকির দেওয়ালে নানান কারুকার্য সহ ইতিহাসের নানা নিদর্শন।

মোগলমারী ঘোরা শেষ করে অনতি দূরে রয়েছে মনোহরপুর রাজবাড়ি। যেখানে গেলেই আপনি প্রত্যক্ষ করতে পারবেন রাজাদের জীবন যাত্রার নানা দিক। শুধু তাই নয়, বর্তমান ঘরের তুলনায় রাজবাড়ির অন্দরমহল, তাদের রাজবাড়ির দেওয়াল কিংবা বারান্দার নানা কারুকার্য সহ রাজাদের সময়ে ব্যবহৃত ধ্বংসপ্রাপ্ত নাট্যশালাও। এখানে এলে প্রত্যক্ষ করতে পারবেন আজ থেকে কয়েকশো বছর পুরানো রাজাদের জীবনশৈলী, তাদের পারিবারিক প্রথা এবং তাদের জীবনযাত্রার নানা ছবি।

তবে এই গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে অফিসের কাজ, পরিবার সামলে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন? তাই অবশ্যই নিজের মনকে একটু শান্তি দিতে বিকেলে ঘুরে দেখতে পারেন ইতিহাসে নানা দিক। শুধু আপনার মন ভরবে তা নয়, ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চারাও জানতে পারবে ইতিহাসকে।

রঞ্জন চন্দ