Tag Archives: Summer Travel
Summer Travel: পাহাড়ের কোলে এক টুকরো স্বর্গ! গরমের ছুটিতে যান এই ৫ অচেনা পাহাড়ি গ্রামে! খুব সস্তা! জানুন
Summer Travel: পকেটে মাত্র ১০০ টাকা থাকলেই হবে! পৌঁছে যাবেন এই পাহাড়ে! গরমে দারুণ সুযোগ
দার্জিলিং : যারা অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস পছন্দ করেন তাদের জন্য দারুণ সুযোগ দার্জিলিংয়ে । পাহাড়ি রক ক্লাইম্বিং এর সুযোগ করে দিচ্ছে হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট। এই জায়গাটি তেনজিং রক বলেই সকলের কাছে পরিচিত।লেবং রোডে নর্থ পয়েন্ট স্কুল পার করলেই তেনজিং রক। সেখানে ভিড় করছেন দেশি বিদেশি পর্যটকেরা। মাত্র ১০০ টাকায় এই রক ক্লাইম্বিং এর সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছেন না কেউই। তাই আপনি যদি অ্যাডভেঞ্চার প্রেমী হন তাহলে আপনার জন্য দারুণ সুযোগ এটি।
পাহাড়ে ট্রেকিংয়ের আগে এ বড় পাথরখণ্ডে চড়ে অভিযাত্রীরা এখানেই অনুশীলন করেন। তবে এখন পর্যটকরাও এখানে উঠতে পারেন। প্রথম এভারেস্টজয়ী তেনজিং নোরগের নামে এ পাথরখণ্ডটির (রকের)নামকরণ করা হয়েছে। এর একটি ইতিহাস আছে। সকলেরই জানা যে তেনজিং এভারেস্ট জয় করেছিলেন ১৯৫৩ সালে। আর এই তেনজিং রক প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৪ সালে। এটি একটি প্রাকৃতিক পাথরখণ্ড। জানা যায়, তেনজিং নোরগে এভারেস্ট জয়ের আগে এতে অনুশীলনও করেছিলেন। পরের বছর পর্বতারোহণে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে তিনি এটি প্রতিষ্ঠা করেন।
আরও পড়ুন: এই সব বিষয় কি আপনাকে যৌন মিলনের সমান আনন্দ দেয়? আপনি স্যাপিওসেক্সুয়াল নয় তো? জানুন চিকিৎসকের মত
কোনও নিরাপত্তা সরঞ্জাম ছাড়াই এই পাথরখণ্ডে ওঠেন তেনজিং। দার্জিলিংয়ে প্রতিষ্ঠিত হিমালয়ান মাউন্টেইনিং ইনস্টিটিউটের প্রথম ডিরেক্টরও হন নোরগে। এই রকটি এখনও পর্বতারোহী ও ভারতীয় সেনাদের মহড়ার জন্য আদর্শ।
বাংলাদেশ থেকে আগত এক পর্যটক মহম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ” আমি এই প্রথম দার্জিলিঙে ঘুরতে এলাম। এখানে এসে খুব সুন্দর ভাবে উপভোগ করছি শহরটাকে। আজ তেনজিং রকে উঠে দারুণ অনুভূতি হল।\” কলকাতা থেকে আগত শুভশ্রী দাদ বলেন, ‘ আমি এর আগে কোনদিনও মাউন্টেন ক্লাইম্বিং করিনি। আজ প্রথম এক্সপেরিয়েন্স করলাম প্রথমে একটু অসুবিধা হচ্ছিল তবে অন্যরকম মজা হল।
দার্জিলিং শহর থেকে গাড়িতে তেনজিং রক যেতে সময় লাগে আধ ঘণ্টার মতো। কোমরে দড়ি বেঁধে দিলে আরেকটি দড়ি ধরে পাথরের শরীর বেয়ে উঠতে হয়। উপরে কোমরের দড়িটি ধরে রাখেন আরেকজন। পাহাড়ি চূড়ায় দাঁড়িয়ে পাহাড় ও দার্জিলিং দেখার আলাদা মজা রয়েছে। শারীরিক ভারসাম্যের অনুভূতির জন্য জায়গাটা চমৎকার।
অনির্বাণ রায়
Summer Travel: গরমে একটু শান্তি চাইছেন? তাহলে চলে আসুন এখানে! অবাক হবেন
পশ্চিম মেদিনীপুর:গরমের সারাদিন অফিস কিংবা বাড়ির কাজ করে ক্লান্ত? ধারে-পাশে পরিবার-পরিজন কিংবা প্রিয়জনদের নিয়ে ঘুরে আসতে চাইছেন? তবে গরম গড়ালে একটু বিকেল করেই ঘুরে আসতে পারেন ইতিহাসের দুই নিদর্শন থেকে। একদিকে শান্ত শীতল গ্রামীণ পরিবেশে সময় কাটবে, অন্যদিকে জানতে পারবেন আজ থেকে কয়েকশো বছর আগের নানা ইতিহাস। আপনার ধারে পাশেই রয়েছে এমনই কিছু ইতিহাসের নিদর্শন যা বিকেলের আউটিংয়ের জন্য একদম পারফেক্ট জায়গা।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বাংলা ওড়িশা সীমান্ত এলাকার দাঁতনে রয়েছে এমনই বেশ কিছু ইতিহাসের নিদর্শন। যার মধ্যে অন্যতম মোগলমারী এবং মোগলমারী থেকে অনতি দূরেই রয়েছে মনোহরপুর রাজবাড়ি। যা ঘুরে দেখলে আপনার মন ভরবে। বাড়ির কাজের পর কিংবা অফিসে ছুটির পর সূর্য পশ্চিমে গড়ালে পরিবার পরিজন বন্ধুকে বা প্রিয়জনদের নিয়ে অবশ্যই ঘুরে দেখতে পারেন।
আরও পড়ুন: ঘুমোনোর সময় এই ভুল করছেন না তো? সব শেষ হয়ে যাবে! রোগে ধরবে! চরম অভাবে পড়বেন! জানুন
বেশ কয়েকশো বছরের পুরানো মোগলমারী বৌদ্ধ বিহার। যার বেশ কিছুটা অংশ খননে উদঘাটিত হয়েছে। এখনও হয়ত মাটির নীচে এই স্থাপত্যের অনেকাংশই থাকলেও বাইরে পর্যটকদের জন্য সাজানো হয়েছে বৌদ্ধ বিহারটিকে। এছাড়াও এই বৌদ্ধ বিহার খননে প্রাপ্ত বিভিন্ন ধরনের মাটির জিনিসপত্র, পাথর সহ একাধিক জিনিস সাজানো রয়েছে সুসজ্জিত মিউজিয়ামে। শুধু তাই নয়, এখানে এলে দেখতে পাবেন প্রাচীন কালের দেওয়ালে তৈরি বিভিন্ন স্ট্রাকো মূর্তি, চুন সুরকির দেওয়ালে নানান কারুকার্য সহ ইতিহাসের নানা নিদর্শন।
মোগলমারী ঘোরা শেষ করে অনতি দূরে রয়েছে মনোহরপুর রাজবাড়ি। যেখানে গেলেই আপনি প্রত্যক্ষ করতে পারবেন রাজাদের জীবন যাত্রার নানা দিক। শুধু তাই নয়, বর্তমান ঘরের তুলনায় রাজবাড়ির অন্দরমহল, তাদের রাজবাড়ির দেওয়াল কিংবা বারান্দার নানা কারুকার্য সহ রাজাদের সময়ে ব্যবহৃত ধ্বংসপ্রাপ্ত নাট্যশালাও। এখানে এলে প্রত্যক্ষ করতে পারবেন আজ থেকে কয়েকশো বছর পুরানো রাজাদের জীবনশৈলী, তাদের পারিবারিক প্রথা এবং তাদের জীবনযাত্রার নানা ছবি।
তবে এই গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে অফিসের কাজ, পরিবার সামলে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন? তাই অবশ্যই নিজের মনকে একটু শান্তি দিতে বিকেলে ঘুরে দেখতে পারেন ইতিহাসে নানা দিক। শুধু আপনার মন ভরবে তা নয়, ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চারাও জানতে পারবে ইতিহাসকে।
রঞ্জন চন্দ