Tag Archives: kapilmuni temple

South 24 Parganas News: সাগরের উত্তাল ঢেউ রুখে কপিলমুনি মন্দির রক্ষার চেষ্টা! উঠল কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রসঙ্গ

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সাগরের উত্তাল ঢেউয়ে বারবার ভাঙছে কপিলমুনি আশ্রমের সামনের সমুদ্রতট। আর এবার সেই উত্তাল ঢেউকে রুখে কপিলমুনি মন্দির রক্ষার মরিয়া চেষ্টা করছে করছে প্রশাসন।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আরও একবার উঠল কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রসঙ্গ।কেন্দ্রীয় বাজেটে ভাঙন ঠেকানোর জন্য কোনও অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা।

বন্যা নিয়ন্ত্রণে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া অন্য রাজ্যকে অর্থ বরাদ্দ করায় বঞ্চনার অভিযোগে তিনি সরব হয়েছেন আরও একবার। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী নিজে কপিলমুনি আশ্রমের সামনে ভাঙা সমুদ্রতট পরিদর্শন করেন। তাঁর সঙ্গে একাধিক আধিকারিক, নদী বিশেষজ্ঞরাও ছিলেন। সমস্ত কিছু পরিদর্শন করার পর তিনি জানিয়েছেন, সমুদ্রের  মধ্যে থাকা বেশ কিছু চর জলের তোড়ে নষ্ট হয়েছে।

আরও পড়ুন – Sawan 2024: মহানন্দার তীরে ইতিহাস মাখা এই শিবমন্দির মহাজাগ্রত, শ্রাবণে লক্ষ-লক্ষ ভক্ত ভিড় জমান এইস্থানে

আর তার ফলে ঢেউ সরাসরি এসে সাগরদ্বীপে লাগছে আর এর ফলেই এই ঘটনা ঘটছে। তবে ভাঙন রোধে রাজ্য সরকার কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ইতিমধ্যে সেচ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও সমুদ্রতীরের মাটি ও বালির চরিত্র বিশ্লেষণ করে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন এই বঞ্চনার জবাব পশ্চিমবঙ্গের মানুষ দেবে।

Nawab Mullick

Kapilmuni Ashram: আবার তলিয়ে যাবে কপিলমুনির আশ্রম! সামনের রাস্তায় ভাঙনে আতঙ্কিত স্থানীয়রা

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আবার‌ও ভাঙনের কবলে কপিলমুনি আশ্রমের সামনের রাস্তা। ফলে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি বেশি খারাপ হওয়ার আগে দ্রুত সমস্যা সমাধানের দাবি তুলেছেন তাঁরা। এই ভাঙন আটকানো না গেলে কপিলমুনি আশ্রম একসময় জলের তলায় তলিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা।

এই পরিস্থিতিতে ভাঙন আটকাতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে প্রশাসন। কখনও ট্রেটাপড ফেলে, কখনও বাঁধ দিয়ে ভাঙন রোখার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু ভাঙন আটকানো যাচ্ছে না। নতুন করে অমাবস্যার কোটালের পর পরই উত্তাল হয়েছে সমুদ্র। সমুদ্রের জলের ধাক্কা সরাসরি লাগছে সমুদ্রের পাশে থাকা কংক্রিটের ঢালাই রাস্তাতে। যর জেরে চার নম্বর স্নান ঘাটের ঢালাই রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে যাওয়া জায়গাটিতে ইতিমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমাবে বায়োফার্টিলাইজার! বাংলার বুকে গবেষণা

এই নিয়ে শেখ সামিউল্লাহ নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, গঙ্গাসাগর মেলার সময় কোটি কোটি টাকা খরচ করা হয়। অস্থায়ীভাবে রাস্তাও তৈরি করা হয়। কিন্তু এই ভাঙন সমস্যার যদি স্থায়ী সমাধান করার হয় তাহলে খুব ভাল হয়। এই নিয়ে জিবিডিএ-র ভাইস চেয়ারম্যান সন্দীপ পাত্র জানান, সমস্যা সমাধানের সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করা যায় সমাধানসূত্র বের হবে। এখন দেখার অদূর ভবিষ্যতে কী হয় সেখানে।

নবাব মল্লিক

Kapilmuni Temple: সাগরে না গিয়েও দর্শন হতে পারে কপিলমুনির মন্দিরের, আসুন ঘরের কাছে এই স্থানে

নবাব মল্লিক, ডায়মন্ডহারবার: কপিল মুনির আশ্রমের নাম শুনলে চোখের সামনে ভেসে ওঠে সাগরসঙ্গমের মহাতীর্থের কথা। কিন্ত এই কপিল মুনি বিরাজমান হুগলি নদী ও বঙ্গোপসাগরের সঙ্গমস্থলের সর্বত্রই। ডায়মন্ড হারবারও তার ব্যতিক্রম নয়। ডায়মন্ডহারবার থেকে শুরু করে সাগরতটের মোহনা পর্যন্ত কপিল মুনির আশীর্বাদধন্য স্থান। ডায়মন্ডহারবার শহর থেকে কিছুটা দূরে রয়েছে হাঁড়া নামক একটি স্থান।

এই হাঁড়ার শূলপানি ঘাটে রয়েছে কপিল কুটির সাংখ্য যোগাশ্রম। এই স্থানটি খুবই প্রাচীন একটি স্থান। এই শূলপানি ঘাটে আগে স্নান করতেন বহু সাধুসন্ত।এখনও এই স্থানটিকে খুবই পবিত্র স্থান হিসাবে গণ্য করা হয়। আশ্রমটিকে ঘিরে রয়েছে প্রাচীন গাছগাছালি। রয়েছে একটি প্রাচীন বটগাছ‌। বহুদিন আগে থেকে এখানে পুজো হলেও আজ থেকে ২০০ বছর আগে ইংরেজ আমলে এই স্থানে নতুন আশ্রম নির্মাণ করা হয়।

আরও পড়ুন : আসছে কঠিন সময়, অশুভ ভাগ্যদোষে পড়তে পারেন এই ৩ রাশির জাতক জাতিকারা

বছরের একটি নির্দিষ্ট দিনে এখানে অনুষ্ঠান হয়। সাগরে যে সময় গঙ্গাস্নানে প্রচুর ভিড় হয়, সে সময় এখানেও আসেন অনেকেই। তবে এই স্থানটি আজও থেকে গিয়েছে লোকচক্ষুর আড়ালে। আপনি চাইলেই কিন্তু ঘুরে আসতেই পারেন এই স্থান থেকে।