Tag Archives: women empowerment

SheShakti 2024: মহিলারা এখনও নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন, নিউজ 18-এর অনুষ্ঠানে বিশেষ বার্তা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর

নয়াদিল্লি: দিল্লির তাজ হোটেলে আয়োজিত হচ্ছে She-Shakti 2024 অনুষ্ঠানটি । সিএনএন নিউজ 18-এর এই উদ্যোগের প্রশংসা করে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু একটি বিশেষ বার্তা দিয়েছেন। বলেছেন, “ভারতভূমিতে নারীদেরকে সম্মানিত ও শ্রদ্ধা করার ঐতিহ্য রয়েছে। বৈচিত্র্যময় দেশে আমাদের দেবদেবীরাও নানা রূপ ধারণ করেছেন। একদিকে, তারা অসুরদের ধ্বংস করার জন্য কালী এবং দুর্গার উগ্র রূপ ধারণ করেন। অন্যদিকে, এটি লক্ষ্মী এবং সরস্বতীর রূপে আশীর্বাদ দেয়, যারা শান্তি, সমৃদ্ধি এবং জ্ঞান প্রদান করে। আমাদের দেশে নারীকে শক্তির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নারীই  প্রকৃত শক্তি।”

তিনি আরও জানিয়েছেন, ” আমাদের দেশের প্রকৃত শক্তি নারীর ক্ষমতায়নে রয়েছে। আমাদের নারীরা সবসময় দৃঢ়তা, শক্তি ও সাহস দেখিয়েছে। সব বাধা পেরিয়েও তারা এগিয়ে চলেছে। নারীর নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের দেশে অনেক কঠোর আইন করা হয়েছে, তারপরও নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি দুঃখজনক। এখনও কিছু সামাজিক কুসংস্কার গেঁথে আছে, যা নারীর সমতার পথে বাধা সৃষ্টি করে। একটি সমাজ হিসাবে আমাদের সকলকে ভিতরের দিকে তাকাতে হবে এবং নিজেদেরকে কিছু কঠিন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে হবে। আমরা কোথায় ভুল করছি? আমরা আরও উন্নতির জন্য কী কী করতে পারি? যে কোনো দেশের উন্নয়ন ও সাফল্যের জন্য নারীর নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

আরও পড়ুন : লোন নিয়ে ট্র্যাক্টর কিনেছিলেন কৃষক, কিন্তু কিস্তি পরিশোধ না করায় বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন ব্যাঙ্কের অফিসাররা; তারপর যা দেখলেন…

অনুষ্ঠানে তিন STEM লিডারও ব্যাখ্যা করেছেন কেন আরও বেশি নারীদের নেতৃত্বের পদে থাকা উচিত

গণিত নিয়ে মেয়েদের কি সত্যিই বেশি ভয় পায়? এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন ডঃ অন্নপূর্ণি সুব্রামানিয়াম (ডিরেক্টর, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্স), নিগার শাজি, (প্রজেক্ট ডিরেক্টর, ইসরোর আদিত্য এল1 সোলার মিশন) এবং সংঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়, (ডিরেক্টর, ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট)৷ সোমবার নয়াদিল্লিতে CNN-News18 দ্বারা আয়োজিত She Shakti 2024-এ তাঁরা জানিয়েছেন, গণিত এবং পদার্থবিদ্যায় ভয় লিঙ্গ ভিত্তিক নয়৷ সামাজিক কারণেই, অনেক মেয়ে বিষয়গুলি নিতে চায় না৷ দূরে সরে যায়।

আরও পড়ুন : কাল থেকে বন্ধ মদের দোকান, বার! দেশের কোন ৩ শহরে? জেনে নিন!

ISRO-এর আদিত্য L1 সৌর মিশনের প্রকল্প পরিচালক শাজি, জানিয়েছেন, ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দিনগুলিতে কী ভাবে পরিবারের সাহায্য পেয়েছিলন৷ কী ভাবে বাবা-মা তাঁকে সবদিক থেকে সাহায্য করেছিলেন৷ তাঁর কথায়, “তখনকার দিনে মেয়েরা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বে ভাবাই যেত না৷ প্রচলিত ধারণায় গা ভাসিয়ে সবাই তখন ডাক্তার হতে চাইত৷”

ডক্টর সুব্রামানিয়াম জানিয়েছেন, তাঁর বড় হওয়ার ক্ষেত্রে সঙ্গীতের কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল৷ অনুষ্ঠানে ডাঃ সুব্রামানিয়াম বলছিলেন, বিজ্ঞানী না হলে তিনি নিশ্চিতভাবে একজন সঙ্গীতশিল্পী হতেন। তাঁর কথায় “আমার বাবা-মা পেশাদার সঙ্গীতশিল্পী। কিন্তু আমি গণিত এবং পদার্থবিদ্যায় আগ্রহী ছিলাম এবং বিশ্বাস করতাম যে এটাকে নিয়েই জীবনে এগিয়ে যেতে পারব৷ সঙ্গীত ছিল আমার প্ল্যান বি। নিজেকে বুঝিয়েছিলাম, আমি গণিত-বিজ্ঞান সঙ্গীতকে একসঙ্গেই এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। বিজ্ঞানের মঞ্চে আমি সফল না হলে, সঙ্গীতকেই পেশা হিসাবে বেছে নিতাম৷”

এখানেই শেষ নয়৷ তিনি বলছিলেন, ব্যাচেলার্স, মাস্টার্স বা পিএইচডির মঞ্চে খেয়াল করবেন মেয়েদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে৷ তবে কোনও সংস্থায় নিয়োগের ব্যাপারটি এলে, সেখানে মেয়েদের কিছু ছেলেদের সঙ্গে প্রায় এক আসনেই বসানো হচ্ছে৷ মেয়েরা নেতৃত্বের জায়গায় পৌঁছালে, তরুণ প্রজন্মকে বোঝানোর দায়িত্ব নিতে হবে৷ তাদের বোঝাতে হবে, ভয় না পেয়ে উপরে ওঠার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে৷ আগামী এক দশকে আশা করি বিজ্ঞান ও গণিতের মঞ্চে মেয়েদের সংখ্যা আরও বাড়বে৷ আমি চাই কর্মসংস্থানগুলি তাদের মহিলা কর্মীদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে আরও বেশি করে দায়িত্ব নিক৷”

ভারতীয় পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউটের পরিচালক সংঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন। তিনি বলছিলেন, গণিত নিয়ে তরুণ মেয়েদের ভীতি যথেষ্ট উদ্বেগের। তবে এখন শুধু মেয়েরা নয়, ছেলেদের মধ্যেও এই ভীতি দেখা যাচ্ছে৷

কেন তিনি তার স্কুলের দিনগুলিতে গণিত এবং পদার্থবিদ্যা নিয়েছিলেন তা ব্যাখ্যা করে বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন “ভূগোল এবং জীববিজ্ঞানে আমি বিশেষ ভালো ছিলাম না৷ কারণ এগুলোর জন্য অনেক বেশি মুখস্থ করার প্রয়োজন ছিল৷ যেখানে গণিত এবং পদার্থবিদ্যা মুখস্থের প্রয়োজন হত না৷ এগুলি অনেক বেশি লজিক্যাল ছিল৷” তাঁর মতে, মেয়েদের মধ্যে যৌক্তিক বোধের ব্যাপারটা খুব অল্প বয়স থেকেই গড়ে উঠলে তখন তারা আর গণিত বা বিজ্ঞানকে আর ভয় পাবে না।

সংঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছিলেন, তরুণ ছেলে-মেয়েদের গণিত এবং পদার্থবিদ্যা পড়ার সময় একটি গল্পও মনে রাখতে বলেছিলেন, যা তাদের বিষয়গুলি বুঝতে সাহায্য করবে। “স্কুলে অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষা” ব্যবস্থাতেও তিনি জোর দিয়েছিন, যা বাচ্চাদের বুঝতে সাহায্য করবে যে তারা কোন বিষয়টিকে পছন্দ করে,এটাই তাদের উন্নতিতে সাহায্য করবে।

দেশে STEM-এ ৪২%-এরও বেশি মহিলা নথিভুক্ত৷ ২৭% মহিলা মাঠে কাজ করছেন। সাজি বলছিলেন, “আমাদের স্টেমের ভয় ভাঙতে হবে। এটি একজনের আবেগ এবং তারা কী করতে চায় তার উপর নির্ভর করে। এটি একজন ব্যক্তির লিঙ্গের উপর নির্ভর করে না। প্রতিষ্ঠানভিত্তিক, আমাদের স্কুলেই সচেতনতা আনতে হবে। বর্তমানে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। অনেক মেয়ে স্টেম গ্রহণ করছে। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে এখন মেয়েদের সংখ্যা ছেলেদের চেয়ে বেশি। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে।”

তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে এটি পরিবার এবং কর্মজীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার প্রশ্ন নয়, তবে প্রত্যেকের উচিত “পরিবার এবং কাজকে একসঙ্গে এগিয়ে নিয়ে চলা এবং যখন প্রয়োজন মতো বিষয়গুলিকে  অগ্রাধিকার দেওয়া।”

নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং সহকর্মী পর্যালোচনার অন্তর্নিহিত পক্ষপাতের বিষয়ে, ডঃ সুব্রামানিয়াম নিশ্চিত করেছেন যে এটি স্নাতক থেকে পিএইচডি পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে বিদ্যমান। “নিয়োগ পর্যায়ে, আপনাকে পরিবার এবং ক্যারিয়ার সামলাতে হবে। সুতরাং, একজন মহিলা প্রার্থীর অর্জন পুরুষের চেয়ে কম হতে পারে। কিন্তু এখন সংস্থাগুলি এই সত্যটি বিবেচনা করছে।” যে মহিলারা নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েছেন তাদের তরুণ মহিলাদের আত্মবিশ্বাস দিতে হবে, তিনি যোগ করেছেন। “আমি চাই কর্তৃপক্ষ এমন একজন মহিলার প্রতি আস্থা রাখুক যিনি পুরুষ প্রার্থীদের সমান। STEM-এ নেতৃত্বের পদ গ্রহণের জন্য আমাদের আরও বেশি নারী দরকার।”

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে লিঙ্গ বেতনের ব্যবধান সম্পর্কে সংঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভূমিকায় আরও বেশি নারীকে নিয়োগ করলে সেই পার্থক্য দূর হবে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রসঙ্গে বলতি গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, “এই মঞ্চে কিন্তু মহিলারা নিজেরে আরও ভালো করে বিকশিত করতে পারে। মঞ্চ তৈরিই আছে৷ শুধু সাহস করে দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে৷ নারীরা এখন আর কোনও কিছুতেই পিছিয়ে নেই।”

তিনি সবশেষে আরও যোগ করেছেন, “পুরুষের সমান হতে হলে নারীদের অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। সংস্থায় অনেক মহিলা পরিচালককে দেখতে পাই যারা  সন্তানের জন্ম দিলেই কাজ ছেড়ে দেয়৷ মাতৃত্বের ব্যাপারটা অস্বীকার করার জায়গা নেই৷ কিন্তু তার জন্য সবকিছু ছেড়ে দেওয়া অপরাধ ছাড়া কিছু নয়৷ নেতৃত্ব পদে আরও বেশি করে নারীরা এলে সেটা আমাদেরই লাভ৷”

Eco Friendly Plate: জঙ্গলকে ভরসা করে স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টায় আদিবাসী মহিলারা, বাড়ছে ব্যবসা

জঙ্গল ঘেরা এলাকায় বসবাস। জঙ্গল ওঁদের কাছে সব। সেই জঙ্গলকে কেন্দ্র করেই স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন কাঁকসা জঙ্গলমহলের আদিবাসী মহিলারা।
জঙ্গল ঘেরা এলাকায় বসবাস। জঙ্গল ওঁদের কাছে সব। সেই জঙ্গলকে কেন্দ্র করেই স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন কাঁকসা জঙ্গলমহলের আদিবাসী মহিলারা।
শালপাতার থালা তৈরি করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন জঙ্গলমহলের বিভিন্ন আদিবাসী গ্রামগুলির মহিলারা। কৃষিকাজের সময় বাদ দিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত শালপাতা তৈরির জন্য পরিশ্রম করছেন।
শালপাতার থালা তৈরি করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন জঙ্গলমহলের বিভিন্ন আদিবাসী গ্রামগুলির মহিলারা। কৃষিকাজের সময় বাদ দিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত শালপাতা তৈরির জন্য পরিশ্রম করছেন।
সকাল সকাল গ্রামের মহিলারা চলে যান জঙ্গল থেকে শালপাতা সংগ্রহ করতে। শালপাতা সেলাই করার জন্য বিশেষ ধরনের একটি ঘাসও সংগ্রহ করেন।
সকাল সকাল গ্রামের মহিলারা চলে যান জঙ্গল থেকে শালপাতা সংগ্রহ করতে। শালপাতা সেলাই করার জন্য বিশেষ ধরনের একটি ঘাসও সংগ্রহ করেন।
এরপর বাড়িতে শুরু হয় শালপাতাগুলিকে একসঙ্গে জুড়ে পাতা তৈরির কাজ। সেখানে পরিবারের অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। এরপর কয়েক হাজার পাতা তৈরি হলে সেগুলি চলে যায় বাজারে বিক্রির জন্য।
এরপর বাড়িতে শুরু হয় শালপাতাগুলিকে একসঙ্গে জুড়ে পাতা তৈরির কাজ। সেখানে পরিবারের অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। এরপর কয়েক হাজার পাতা তৈরি হলে সেগুলি চলে যায় বাজারে বিক্রির জন্য।
শালপাতার থালা তৈরির মাধ্যমে স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন সোনামণি হেমব্রম। তিনি বলছেন, হাতে শালপাতার থালা তৈরি করতে সময় বেশি লাগে। যদি শালপাতা তৈরির মেশিন পেতেন তাহলে কাজে আরও সুবিধা হত।
শালপাতার থালা তৈরির মাধ্যমে স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন সোনামণি হেমব্রম। তিনি বলছেন, হাতে শালপাতার থালা তৈরি করতে সময় বেশি লাগে। যদি শালপাতা তৈরির মেশিন পেতেন তাহলে কাজে আরও সুবিধা হত।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে থার্মোকলের পাতার ব্যাপকভাবে চাহিদা বেড়েছিল। কিন্তু সেগুলি পরিবেশের জন্য বেশ ক্ষতিকর। তাই আবার শালপাতার থালা, বাটির চাহিদা বাড়ছে। সেই সুযোগে আদিবাসী মহিলারা চেষ্টা করছেন স্বনির্ভর হওয়ার।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে থার্মোকলের পাতার ব্যাপকভাবে চাহিদা বেড়েছিল। কিন্তু সেগুলি পরিবেশের জন্য বেশ ক্ষতিকর। তাই আবার শালপাতার থালা, বাটির চাহিদা বাড়ছে। সেই সুযোগে আদিবাসী মহিলারা চেষ্টা করছেন স্বনির্ভর হওয়ার।

Jhargram News: নারীকল্যাণে আঁধারে আলো রানি সতী দাদি, এ বার ঝাড়গ্রামেও তিনি পূজিতা

বুদ্ধদেব বেরা, ঝাড়গ্রাম : যে সময় মহিলাদের স্কুল পাঠানো হত না, মহিলাদের পড়াশোনার সুযোগ দেওয়া হত না, সেই সময় সমাজকে সংস্কার করার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন রানী সতী দাদিজী। রানি সতী দাদিজীর বিশেষ পুজো অনুষ্ঠিত হল ঝাড়গ্রামে। সোমবার সকালে মারোয়াড়ি সমাজের মহিলার সমিতির উদ্যোগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গিয়েছে, রাজস্থানের শেখাবতি অঞ্চলে রানি সতী মন্দির ঝুনঝুন রয়েছে। রানি সতী নারায়ণী দেবী নামেও পূজিত হন। রানি সতী দাদিকে ত্রিশূল রূপেও পুজো করা হয়। ঝাড়গ্রাম শহরের জামদায় রানি সতী দাদির পূজা উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু করে ঝাড়গ্রাম শহর পরিক্রমা করে পুনরায় জামদা এলাকায় শেষ হয়। ছোট ছোট শিশুদের রানি সতী দাদি সাজানো হয়, পুরুষ ও মহিলারা ধর্মীয় ঝান্ডা হাতে নিয়ে শোভাযাত্রায় যোগদান করেন।

ঝাড়গ্রাম মারোয়াড়ি মহিলা সমিতির সীমা আগারওয়াল, নেহা গুপ্তারা বলেন, ‘‘রানি সতী দাদির জীবনকাল মহাভারতের সময় থেকে শুরু হয়েছে। আমাদের সমাজে রানি সতী দাদিকে খুবই মান্য করা হয়। রানি সতী দাদি পুরো সমাজকে নতুন পথ দেখিয়ে গিয়েছেন। যে সময় মহিলাদের স্কুল পাঠানো হত না, মহিলাদের পড়াশোনার সুযোগ দেওয়া হত না, সেই সময় তিনি সমাজকে সংস্কার করার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। এই জন্যই আমরা রানি সতী দাদিকে ভক্তি ভরে পূজা করি। রানি সতী দাদি সতীদের কাছে শিলমোহর’’।

আরও পড়ুন : ভোরে দেবীর রাজরাজেশ্বরী বেশে মঙ্গলারতি থেকে সন্ধ্যায় লুচির ভোগ, কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠের দিনভর

সীমা আগরওয়াল, নেহা গুপ্তারা আরও বলেন, ‘‘ঝাড়গ্রাম মারোয়াড়ি মহিলা সমিতি সমাজের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রকার কাজ করে চলেছে । শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করা হয় এবং বিশেষ পুজোরআয়োজন করা হয়েছে। সকলের এখানে ভোজনেরও ব্যবস্থা রয়েছে”।

Hooghly News: দেশ স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু নারী? স্বাধীনতা দিবস নিয়ে মুখ খুললেন বাংলার মেয়েরা

হুগলি: ১৯৪৭ সালের পর ৭৭ বছর পেরিয়েছে। দেশ স্বাধীন হয়েছে। তবে ৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস এর আগের রাত থেকে একটাই কথা বার বার শোনা যাচ্ছে, আমাদের স্বাধীন দেশে কি মহিলারা আদৌ স্বাধীন?

আরজি করে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার ভয়াবহতায় তাজ্জব দেশবাসী। প্রশ্ন জাগছে অনেকের মনেই, মহিলারা চিরকালই কি নির্যাতনের শিকার হবেন? তাঁরা কি চির পরাধীন! ১৪ অগাস্ট ‘রাত দখল’-এর লড়াইয়ে এগিয়ে এসেছেন দেশ বিদেশের মহিলারা। প্রতিবাদী স্বর তুলেছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন- বাসের মধ্যে নাবালিকাকে গণধর্ষণ! আরজি কর কাণ্ডের মাঝে আর এক ভয়াবহতার নজির

দিন কয়েক আগে হুগলি সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন, সেখানেও তাঁকে বলতে শোনা যায়, “মেয়েরা কি স্বাধীন ?”  রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “দেশ স্বাধীন হলেও মেয়েরা কি এখনও স্বাধীন হতে পেরেছে ! নির্ভাবনায় নির্বিঘ্নে মহিলা নাকি চলাচল করতে পারে। রাত বিরেতে কোন মহিলা একা কী বাড়ি ফিরতে পারে ! যদি এগুলো না হয় তাহলে মহিলাদের স্বাধীনতা কোথায় !” শুধুমাত্র কলকাতা নয়, দিল্লি হাথরস সহ একাধিক জায়গায় যে ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে তাতে বলা চলে স্বাধীন দেশে মহিলারা এখনো স্বাধীন নয়।

একই রকম ভাবে, হাজারো মহিলা রাস্তায় নেমেছিল এক তিলোত্তমার শাস্তির দাবি চেয়ে। রাত দখলের লড়াইটা শুধুই ধর্ষকের শাস্তি নয় তার সঙ্গে ছিল নারী স্বাধীনতার প্রথমপর্যায়। অসংখ্য মহিলাদের মুখে একটাই প্রশ্ন তারা কি স্বাধীন ! ঠিক কিভাবে দেখলে বোঝা যাবে নারী স্বাধীনতা ?

এ বিষয়ে এক মহিলা জানান, মেয়েরা স্বাধীন হবে সেই দিনই, যখন নারী ও পুরুষের অধিকার খাতায়-কলমে নয় বরং বাস্তবে সমান হবে। এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন পরিবারে বাড়ির মেয়েদের ঘরে ফেরার সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। বলে দেওয়া হয়, কোন পোশাক তাঁরা পরবেন আর কোনগুলো পরবেন না। এক জন ছেলেকে কোনও কিছুর জবাবদিহি করতে হয় না, আক্ষেপ সেই মহিলার।

আর একজন মহিলার দাবি, তিনি রাতে বাইরে বেরোলেই সমস্যা হয় তাঁর পরিবারের।  তিনি বলেন, “এতে পরিবারের লোকের কোন দোষ নেই আসলে। দোষ পুরুষতান্ত্রিক সমাজের।” পুরুষরা নারীদের ভোগপণ্য হিসাবে ভাবা বন্ধ করবে যে দিন, সে দিনই স্বাভাবিক হবে চারপাশ, দাবি নারীদের। যে দিন সঠিক শিক্ষা পৌঁছাবে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে, যে দিন সমাজে একজন মহিলা ও একজন পুরুষের সমান অধিকার হবে সেই দিনই হবে মহিলাদের স্বাধীনতা, জানালেন নারীরা।

এ বিষয়ে সিপিআইএমের সর্বভারতীয় সম্পাদক দিপ্সিতা ধর বলেন, “এ সমাজ মেয়েদের বার বার পিছিয়ে দিয়েছে। এই সমাজে মেয়েরা এখনও স্বাধীন নয়। শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশ জুড়ে যে ঘটনা ঘটে চলেছে তাতে বলা যায় না নারী বা পুরুষ সমান ভাবে রয়েছে। যে দিন দাঁড়িপাল্লায় নারী ও পুরুষের সমান মর্যাদা আসবে সেই দিনই হবে স্বাধীনতা।”

রাহী হালদার 

Bangla Video: রাখি তৈরি করে হাল ফিরেছে এই গ্রামের মহিলাদের

পূর্ব বর্ধমান: রাখি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থেকেই হাল ফিরেছে পূর্ব বর্ধমানের এই গ্রামের মহিলাদের। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া-২ ব্লকের অন্তর্গত গৌড়ডাঙা গ্রাম। এই গ্রামের বেশ কিছু মহিলা রয়েছেন যাঁরা বহুদিন ধরে রাখি তৈরি করেন। গৌরডাঙা গ্রামের পাল পাড়া, সদগোপ পাড়া মিলিয়ে প্রায় ৫০ জনেরও বেশি মহিলা এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। সংসার সামলানোর পরেও তাঁরা প্রত্যেকেই রাখি তৈরি করেন। এখানে বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে গৃহবধূদের রাখি তৈরির দৃশ্য।

গৌড়ডাঙা গ্রামের মহিলারা প্রায় ১৫ বছর ধরে এই শিল্পের সঙ্গেই যুক্ত রয়েছেন। এই বিষয়ে গ্রামের রাখি শিল্পী রাসমণি পাল বলেন, বাড়িতে বসে থাকার থেকে এই কাজ অনেক ভাল। এতে আমাদের বেশ কিছু টাকা উপার্জনও হয়। আমরা কালনা থেকে উপকরণ নিয়ে আসি। আবার তৈরি হয়ে গেলে কালনাতেই দিয়ে আসি।

আর‌ও পড়ুন: নারী শক্তির জাগরণ! আত্মরক্ষার কৌশল শিখল ওরা

গ্রামে রাখি শিল্প প্রবেশ করার আগে এই সকল মহিলারা শুধু সংসারের কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন। তবে রাখি আসার পর থেকে সংসার সামলানোর পরেও তাঁরা এগুলো তৈরি করেন। অবসর সময়ে এই কাজ করে তাঁদের আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন। এই উপার্জন থেকে অল্প অল্প করে তাঁরা সাজিয়ে তুলেছেন তাঁদের সংসার।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Women Empowerment: কন্যাসন্তানই একমাত্র রোজগেরে! পেট্রল পাম্পে চাকরি করে বাবা মায়ের সংসারের হাল ধরেছেন বিবাহিতা তরুণী

মৈনাক দেবনাথ, নদিয়া: কথায় বলে যে রাধে, সে চুলও বাঁধে। বর্ধমানের বাসিন্দা মায়া অধিকারী, ছোটবেলা থেকেই অনেক কষ্টে মানুষ করে তুলেছেন তাদের তিন বোনকে৷ তাদের বাবা-মায়ের কোনো পুত্র সন্তান নেই । মায়াদেবীর বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরেও পেট্রোল পাম্পের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন দশভুজা হয়ে।

পার্শ্ববর্তী জেলা নদিয়াতে এসে পেট্রোল পাম্পে কাজ করে এখন নিজেই তাঁর বাবা-মায়ের দেখভাল করছেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই তিনি অতি কষ্টে মানুষ হয়েছেন। দুই বোনের এর আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে অনেক দূরে। তাঁর নিজেরও বিয়ে হয়েছে প্রায় ১৫ বছর আগে। তার স্বামী দুর্গাপুরে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কর্মরত। শ্বশুর শাশুড়ি বছরখানেক আগেই গত হয়েছেন। মায়াদেবীর কোনও দাদা কিংবা ভাই নেই৷ তাই বাবা মাকে দেখারও কেউ ছিলনা। আর সেই কারণেই বিয়ের প্রায় ১২ বছর পরে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ এর একটি পেট্রোল পাম্পে চাকরি নেন।

প্রতিদিন বর্ধমানে নিজের বাড়ি থেকে ভোর পাঁচটায় বেরিয়ে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের পেট্রোল পাম্পে এসে নিজের ডিউটি সামলে এর পর আবার বাড়ি গিয়ে ঘরের কাজ করেন তিনি। পেট্রোল পাম্পের মালিক থেকে শুরু করে কর্মচারী প্রত্যেকেই তাঁকে যথেষ্ট এই বিষয়ে উৎসাহ দেন ও সাধ্যমতো সাহায্য করেন বলে জানা যায়।

আরও পড়ুন : বর্ষায় ফুচকা খাচ্ছেন? সর্বনাশ! নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনছেন না তো! জানুন

তিনি বলেন, ‘‘যেহেতু আমার মা-বাবার কোন ছেলে নেই তাই এই বয়সে তাদের দেখাশোনা করার কেউ নেই। আমার স্বামী বাইরে কর্মরত৷ দুই বোনের বিয়ে হয়েছে অনেক দূরে৷ সেই কারণে আমি মা বাবার দেখভালের জন্য এই কাজ করছি বর্তমানে। মাসের শেষে যে ক’টা টাকা পাই পুরোটাই তুলে দিই বাবার হাতে৷ বাবাই নিজের ইচ্ছেমতো খরচ করে সংসার চালান। স্বাভাবিকভাবেই মায়া দেবীর এই জীবন সংগ্রামের লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছেন পেট্রোল পাম্পের মালিক কর্মচারীরা থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারাও।’’

Handicraft Fair: মহিলাদের নিয়ে বহরমপুরে বিরাট কাণ্ড! জানলে আপনিও…

মুর্শিদাবাদ: নিজেদের উদ্ভাবনী শক্তিকে পাথেয় করে যাতে ওরা আগামীদিনে সাবলম্বী হতে পারে তার‌ই চেষ্টা। আর তাই স্কুল ও কলেজের ছাত্রীদের নিয়ে বহরমপুর গার্লস কলেজে আয়োজিত হল উদ্ভাবনী হস্তশিল্প ও প্রদর্শনী মেলা।

বহরমপুর গার্লস কলেজের উদ্যোগে ও বহরমপুর মহারানি কাশীশ্বরী গার্লস হাই স্কুল, গোরাবাজার শিল্পমন্দির গার্লস হাই স্কুল ও মহিলাদের নিয়ে কাজ করা দুই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগিতায় এই মেলার আয়োজন করা হয়। মেলার উদ্বোধন করেন বহরমপুর গার্লস কলেজের অধ্যক্ষা হেনা সিনহা। নিজেদের হাতে তৈরি সুন্দর সুন্দর জিনিস, সেইসঙ্গে হাতে তৈরি নানারকম খাবারের পসরা সাজিয়ে ১৬ টি স্টল দেয় ছাত্রীরা। বিকিকিনিও হচ্ছে খুব ভাল। নিজেদের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে সকল ছাত্রীরা যাতে নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারে সেই বিষয়ে তাদের উৎসাহিত করতেই মূলত এই হস্তশিল্প ও প্রদর্শনী মেলার আয়োজন করা হয়।

আর‌ও পড়ুন: কেমন আছে জাতীয় সড়ক? নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা করল আইআইটি খড়গপুর

উদ্যোক্তাদের কথায়, আগামী দিনে ছাত্রীদের আরও কর্মদ্যোগী করতে হবে। তাই এই হস্তশিল্প মেলার আয়োজন। নিজেদের হাতে তৈরি বিভিন্ন পশরা সাজিয়ে বসেছিলেন ছাত্রীরা। প্রায় ৫০০-এর বেশি ছাত্রী অংশগ্রহণ করেছিলেন এই প্রতিযোগিতায়। কেউ হাতে আঁকা ছবি, কেও বা হাতের তৈরি গয়না, এমনকি ফুচকা, ঘুগনি, পাঁপড় ও পাপরি চাটের স্টল দেয়।

ছাত্রীদের কথায়, যে উপার্জন হবে সেটা দিয়ে আগামী দিনে আরও ভাল করে হস্তশিল্পের কাজ করা যাবে। এমনকি আগামী দিনে বাবা-মার কাছ থেকে টাকা না নিয়েই নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়ে এই হস্তশিল্প করতে পারবেন বলেই দাবি ছাত্রীদের। অন্যদিকে, এই উদ্যোগে খুশি শিক্ষিকারাও। তাঁরা জানান, এই উদ্ভাবনী উদ্যোগ আগামী দিনে ছাত্রীদের আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

কৌশিক অধিকারী

Bridal Makeup: ব্রাইডাল মেকআপ শিখে ভাল আয়ের হাতছানি! কীভাবে শিখবেন দেখুন

শিলিগুড়ি: এখনকার সময়ে পেশাদার মেকআপ আর্টিস্টদের চাহিদা তুঙ্গে। তার মধ্যে আবার ব্রাইডাল মেকআপ এক্সপার্টদের কদর সবচেয়ে বেশি। কারণ বিয়ের দিনে কনেকে মোহময়ী সাজে সাজিয়ে তুলতে এদের জুড়ি নেই। কার্যত এঁদের জন্যই বিয়ে বা রিসেপশনে বিশেষ করে কনেকে আকর্ষণীয় দেখায়। আর তাই বহু ছেলে-মেয়ে আজকাল প্রফেশনাল মেকআপ আর্টিস্ট হওয়াকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এতে আয়ও হয় যথেষ্ট।

নতুন যারা পেশাদার মেকআপ আর্টিস্ট হতে চান তাঁদের জন্য শিলিগুড়ির পারমিতা দাশগুপ্ত বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। মেকআপ কোর্সের সঙ্গে স্কিন ট্রিটমেন্টের কোর্স একেবারে বিনামূল্যে করার সুযোগ এনে দিয়েছেন তিনি। এখানে প্রফেশনাল মেকআপ বা ব্রাইডাল মেকআপ কোর্সের মধ্যে স্কিন কেয়ার রুটিন, মেকআপ অ্যাপ্লিকেশন ও রিমুভাল, হেয়ার স্টাইলিং, স্পেশাল এফেক্ট, এয়ারব্রাশ মেথড ইত্যাদি বিষয় শেখানো হয়। তাও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে!

আর‌ও পড়ুন: সাঁকো পার হতে গিয়ে নদীতে পড়ে গেল যুবক-যুবতী! একজন উদ্ধার হলেও ভেসে গেল অন্যজন

উৎকর্ষ বাংলার হাত ধরে তাঁর উবাচ ট্রেনিং সেন্টারে গত চার মাস ধরে এই প্রফেশনাল মেকআপ শেখানোর এই কর্মশালা চলছে। শিলিগুড়ি শহরের ২৮ জন মেয়ে, মহিলা, গৃহবধূরা এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছেন। প্রশিক্ষক পারমিতা দাশগুপ্ত বলেন, যে সমস্ত মহিলা, মেয়েরা তথা গৃহবধূরা বাড়িতে বসে কাজ খুঁজছেন বা কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁদের জন্য এই ধরনের কর্মশালা শুরু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বেকার মহিলারা সহজেই স্বনির্ভর হয়ে উঠতে পারবেন। অভিজ্ঞতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে থাকছে বিপুল অর্থ আয়ের হাতছানি।

আর‌ও পড়ুন: শিল্পের দুরন্ত বাণিজ্যিকরণ, হাতে আঁকা জামা নতুন ট্রেন্ড নববর্ষে

চার মাস ধরে দক্ষ মেকআপ আর্টিস্টদের সহযোগিতায় এই ক্লাস করানো হয়েছে। শুধু শেখানো নয়। কীভাবে তাঁরা গ্রাউটদের সঙ্গে ডিল করবেন, কীভাবে জনসংযোগ বাড়াবেন তা নিয়েও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এমনকি প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসে শিলিগুড়ির নামি সেলুন গুলিতে নিয়ে ট্রেনিং করানো হয়েছে। বিনামূল্যে মেকআপের কোর্স শেখার এই সুযোগ পেয়ে অত্যন্ত খুশি ছাত্র-ছাত্রীরা। সাধারণত প্রফেশনাল মেকাপ শেখার কোর্স ফি অনেক বেশি হয়। সেখানে কোন‌ও টাকা খরচ না করেই পেশাদার জীবনে প্রবেশ করার এই হাতছানি সাড়া ফেলেছে।

অনির্বাণ রায়