Tag Archives: Ornaments

North Dinajpur News: জিন্স বা শাড়ি, সব পোশাকের সঙ্গেই মানাবে এই শিফন সুতোর চুড়ি! কত দাম জানেন? 

উত্তর দিনাজপুর: জিন্স হোক কিংবা শাড়ি, যে কোনও পোশাকে মানানসই এই শিফন সুতোর চুড়ি! কত দাম, কোথায় পাবেন জানেন? মেয়েদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির অন্যতম অলঙ্কার হল চুড়ি। বিয়েবাড়ি হোক কিংবা কোনও অনুষ্ঠান, দু’হাত ভরে চুড়ি না পরলে যেন সাজগোজ সম্পূর্ণ হয় না।

একটা সময় ছিল, যখন প্রত্যেক মেয়েই কাচের চুড়ি পরতে ভীষণ পছন্দ করতেন। তবে যতই দিন এগোচ্ছে, ততই চুড়ির মধ্যে এসেছে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন। বর্তমানে তরুণীরা জিন্স, থ্রি পিস কিংবা শাড়ির সঙ্গে ম্যাচ করে এমন চুড়ি পরতে ভীষণ পছন্দ করেন।

আগে কাচের চুড়ির একটা চল থাকলেও বর্তমানে আধুনিকতার সঙ্গে সঙ্গে অনেক নতুন ডিজাইনের রকমারি চুড়ির চাহিদা বাড়ছে। এ সময় সব থেকে বেশি ট্রেণ্ডিং শিফন সুতোর চুড়ি। এই সব চুড়ি সাধারণত শিফন সুতো দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে। আবার অন্য দিকে অবসর কাটানো নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য একটি অন্যতম দিক উন্মোচন করছে এই শিফন সুতোর চুড়ি।

আরও পড়ুন- ৫৬৮ ফুট পটচিত্রে গোটা মহাভারত! মেদিনীপুরের এই পটুয়ার কীর্তি সাড়া ফেলল বিদেশেও

বাড়ি বসে এখন অনেক মেয়েই অনলাইনেও বিক্রি করছেন এই শিফন সুতোর চুড়ি। উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের ১৭ বছরের সানিয়া কুন্ডু পড়াশোনার পাশাপাশি এই শিফন সুতোর চুড়ি বানান। সুতো দিয়ে এই চুড়ি বানিয়ে সানিয়া সৃষ্টিশ্রী স্টলে আবার কখনও অনলাইনেও বিক্রি করেন এই চুড়িগুলো। ১০ টাকা, ১৫ টাকা, আবার ২০ টাকা দামেও বিক্রি করা হয়। নকশার ভিত্তিতে চুড়িগুলোর দাম নির্ধারণ করা হয় । খুব সহজে যে কোনও  পোশাকের সঙ্গে মানানসই হওয়ায় দিন দিন চাহিদা বাড়ছে এই শিফন সুতোর চুড়ির।

পিয়া গুপ্তা

Eco-friendly Ornaments: প্রতিমার অঙ্গে কী সেই বিশেষ সাজ? বিসর্জনের পর ক্ষতি হবে না পরিবেশের

ভেটাগুড়ি: দুর্গাপুজো আসতে আর বেশি দেরি নেই। তোরজোড় শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিমা শিল্পীদের। তবে শুধুই প্রতিমা শিল্পীদের কর্মব্যস্ততা নয়। পাশাপাশি কাজ শুরু হয়েছে প্রতিমার অলংকার শিল্পীদেরও। শিল্পীদের এবার কাজের চাপ এখন থেকেই রয়েছে অনেকটা বেশি। চলতি বছরে অলংকার শিল্পীরা তৈরি করছেন দুর্গা প্রতিমার পরিবেশ বান্ধবগয়না, যা ইতিমধ্যেই নজর আকর্ষণ করতে শুরু করেছে বিভিন্ন পুজো কমিটির।

প্রতিমা বিসর্জনের পর এই পরিবেশবান্ধব গয়নাগুলো পরিবেশের ক্ষতি করবে না, দাবি শিল্পীদের। তাছাড়াও, এই গয়নায় রয়েছে সাবেকিয়ানার ছোঁয়া। শিল্পী অশোক বর্মন জানান, “এই পরিবেশবান্ধব গয়না তৈরি করা হচ্ছে শোলা ও কাগজ দিয়ে। ফলে এই গয়না বেশিদিন পরিবেশে থেকে পরিবেশের ক্ষতি করবে না।” বহু সময় ধরে তিনি দুর্গা প্রতিমার গয়না নির্মাণের কাজ করেন। চলতি বছরে বিগ বাজেটের পুজো থেকে শুরু করে সাধারণ পুজো মিলিয়ে মোট ৫০টি গয়না তৈরির অর্ডার পেয়েছেন তিনি। তাই এখন থেকেই কাজ শুরু করতে হয়েছে তাঁকে।

বেশি দামের গয়না যেমন আছে, কম দামের গয়নাও বানিয়েছেন শিল্পীরা। অশোক জানান, এই গয়না মূলত প্রতিমার থিমের ওপর ভিত্তি করেই তৈরি করতে হচ্ছে। না হলে গয়নার সামঞ্জস্যতা থাকবে না। তাই খাটনি হচ্ছে অনেকটাই বেশি। তবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো। এই পুজোকে কেন্দ্র করে বাঙালির উন্মাদনা থাকে অনেকটাই বেশি। তাই কাজের মান ভাল করার চাপও থাকে। নিপুণ হাতে, সময় নিয়ে তৈরি করতে হচ্ছে প্রতিমার অলংকারগুলি। মূলত এই কারণেই রেডিমেড অলংকারের চাইতে এই অলংকারগুলির চাহিদা রয়েছে বেশি। দেখতে সুন্দর মৌলিক ডিজাইনের গয়নার চাহিদাও তাই বেশি।

আরও পড়ুন-কাশ্মীরের জঙ্গি হামলায় নিহত বাংলার যুবক! ২৭ বছর বয়সে প্রাণ দিলেন সেনা

চলতি বছরে কোচবিহারে বিগ বাজেটের পুজো রয়েছে অনেকগুলি। সব পুজোর উদ্যোক্তারা এবার অনেকটাই আগে থেকে পুজো মণ্ডপ দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই প্রতিমা থেকে শুরু করে প্রতিমার অলঙ্কার শিল্পীদের চাপ বেড়েছে অনেকটাই। তবে চাপের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ তাঁরা করছেন রীতিমতো দ্রুত গতিতে। শিল্পীদের আশা, এবার জেলার পুজোয় আকর্ষণ হতে চলেছে প্রতিমার পরিবেশবান্ধব গয়না।

সার্থক পন্ডিত

West Medinipur News: সংসার সামলে যা করেন স্নাতক পাশ এই গৃহবধূ, জানলে অবাক হবেন!

পশ্চিম মেদিনীপুর: ছোট থেকেই শখ তাঁর এটা সেটা বানানোর। কখনও উল দিয়ে কখনও আবার ধাতু। হাতের সামনে যা পান তাই দিয়েই বানিয়ে ফেলেন রকমারি জিনিস। হার,কানের দুল,চুড়ি থেকে শুরু করে মহিলাদের সাজসজ্জার নানা উপকরণ বানিয়ে চলেছেন রীণা ঘোড়াই ঘোষ। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা ব্লকের বালিচক এলাকার বাসিন্দা তিনি। বাড়ির কাজ সামলে যে বাড়তি সময় পান তাতে হাতের কাজ করেই স্বনির্ভর হচ্ছেন রীণা। বাড়িতে বসেই বানান হ্যান্ডমেড অক্সিডাইজ জাঙ্ক জুয়েলারি। সে সব বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়ে বাকিদেরও দিশা দেখাচ্ছেন তিনি।

ইদানীং মেয়েদের সাজসজ্জার নানা জিনিস বাজারে বিক্রি হয়। তবে গয়না সবই চড়া দামে। সোনা রূপোর গয়না ছেড়ে চাহিদা বেড়েছে হাতে বানানো নানা জুয়েলারির। অক্সিডাইজ জাঙ্ক জুয়েলারি কিংবা এমব্রডারি নানান গয়না বানিয়ে অনলাইনে বা বাড়ি থেকে বিক্রি করে মাসে ভালই উপার্জন করছেন রীণা। তাঁর হাতে তৈরি গয়না এখন এলাকার বাইরেও জনপ্রিয়।

শুধু হাতের কাজে দক্ষ এমনই নয়। পড়াশোনায়ও আগ্রহ ছিল রীণার। স্নাতক হওয়ার পর শিক্ষক শিক্ষণের প্রশিক্ষণও নিয়েছেন তিনি। তবে বর্তমানে যৌথ পরিবারে সংসার সামলানোর পাশাপাশি তিনি অর্থ রোজগারের পথ বেছে নিয়েছেন হাতের কাজেই। বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে তাঁর বানানো গয়নার। দামও সাধ্যের মধ্যে। ৪০টাকা থেকে ৪০০, ৫০০ টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি হচ্ছে গয়নাগুলো।

আরও পড়ুন: চা  বাগান জলের তলায়, বন্যার আতঙ্কে মেচপাড়া ও চুয়াপাড়াবাসী

চাকরির আকাল। তাই চাকরির পিছনে না ছুটে বাড়িতেই হাতের নানা জিনিস বানিয়ে স্বনির্ভরতার দিশা দেখাচ্ছেন স্নাতক পাশ এই গৃহবধূ। আগামীতে বৃহৎ আকারে এই ব্যবসার বাড়ানোর চিন্তাভাবনা রয়েছে রীণার। তাঁর স্বনির্ভরতার ভাবনা চিন্তাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন এলাকার সকলে।

রঞ্জন চন্দ