Tag Archives: Electricity Service

Load Shedding Problem: বর্ষাকালে বিদ্যুৎ না থাকাটাই যেন এই গ্রামের নিয়ম!

উত্তর দিনাজপুর: এই গ্রামে বিদ্যুৎ থাকা ও না থাকাটা যেন সময় ঘড়ির কাঁটা মেনে চলে। বর্ষাকাল এলেই বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে গোটা ফতেপুর গ্রাম! কখনও ১০ ঘণ্টা আবার কখনও ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না এখানে। ফলে তীব্র তাপদাহের মধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এই গ্রামের বাসিন্দারা।

উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘি ব্লকের ফতেপুর গ্রামে বর্ষাকালে বিদ্যুৎ সঙ্কট অতি পরিচিত ছবি। এই সমস্যার সমাধানে বহুবার স্থানীয় বাসিন্দারা পথ অবরোধ করেছেন, বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুতেই হয়নি। তবে বর্ষাকালে সমস্যা বাড়লেও প্রায় সারা বছরই দিনের অর্ধেক সময় বিদ্যুৎ থাকে না এই গ্রামে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় ছোট থেকে বড় সকলকে। বিদ্যুৎ সঙ্কটের কারণে একদিকে যেমন বাচ্চাদের পড়াশুনোয় ব্যাঘাত ঘটে, অন্যদিকে তেমনই কৃষিকাজ ব্যাহত হয়। বাড়িতে অসুস্থ রোগী থাকলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে ওঠে।

আরও পড়ুন: পথ দেখাচ্ছে কচুরিপানা! উৎকর্ষ বাংলার হাত ধরে রোজগারের নতুন দিশা

রাতে দীর্ঘ সময় লোডশেডিং হওয়ায় নির্ঘুম রাত কাটাতে হয় এই গ্রামের বাসিন্দাদের। এই প্রসঙ্গে দোমোহনা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহম্মদ সেলিম বলেন, বর্ষাকাল এলেই প্রায় দিন ঘনঘন লোডশেডিং হয়। এমন পরিস্থিতিতে ঘরে-বাইরে কোথাও যেন স্বস্তি নেই। বরং দিন দিন লোডশেডিং বাড়ছে। বারবার বিষয়টি বিদ্যুৎ দফতরকে জানিয়েও সমস্যার সুরাহা হয়নি বলে জানান তিনি। এই নিয়ে গ্রামের বাসিন্দারা রীতিমত ক্ষোভে ফুঁসছেন।

পিয়া গুপ্তা

South 24 Parganas: ১২৮ চাকার গাড়ি, ৯৬ চাকার চালকহীন বাহন, ২২ দিনে সুভাষগ্রাম এল বিশাল ট্রান্সফর্মার, কলকাতায় এবার দারুণ বিদ্যুৎ সরবরাহ

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: প্রায় ১৫ ফুট লম্বা ও ৩৬ ফুট চওড়া বিশাল ট্রান্সফর্মার তৈরি করেছে হায়দরাবাদের একটি সংস্থা। এত দিন পশ্চিম বর্ধমানের মাইথনে ছিল সেটি। সেখান থেকে প্রথমে কোলাঘাট, পরে জলপথে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে পৌঁছয়। বজবজ থেকে সড়কপথে পৌঁছয় সুভাষগ্রামে। বজবজ থেকে ১২৮ চাকার গাড়িতে বারুইপুরে আনা হয় ট্রান্সফর্মারটি।

বারুইপুর থেকে ৯৬ চাকার আর একটি বিশেষ চালক-বিহীন স্বয়ংক্রিয় গাড়িতে সেটি নিয়ে যাওয়া হয় সুভাষগ্রামে। গত ২৬ এপ্রিল বজবজ থেকে যাত্রা শুরু করেছিল ট্রান্সফর্মারটি। বারুইপুরে পৌঁছয় তারপর। সেখান থেকে পৌঁছয় সুভাষগ্রামে।

আরও পড়ুন: সোমবার থেকেই আবহাওয়ার ভোলবদল! নিম্নচাপের আগেই ঝড়বৃষ্টির দাপট বঙ্গে, ঘূর্ণিঝড় রেমাল নিয়ে কী জানাচ্ছে হাওয়া অফিস!

বিশাল ট্রান্সফর্মার ঘিরে হইচই পড়ে যায় এলাকায়। রাস্তায় এটি দেখতে ভিড় করেন কাতারে কাতারে মানুষ। পাওয়ার গ্রিডের আধিকারিকেরা জানান, এত বড় গাড়ি নিয়ে দীর্ঘ সড়ক পথ পেরনো সহজ ছিল না। মূলত রাতেই চলত গাড়ি। এক সঙ্গে বেশি দূরত্ব পেরনো যেত না। পরিকাঠামোগত কারণেও বিরতি নিতে হত। যাওয়ার পথে রাস্তায় বড় হোর্ডিং, বিদ্যুতের তার থাকলে, সেই সব সামলে তবেই এগোতে হত। এর জন্য গাড়ির সঙ্গেই কর্মীদের একটা বড় দল ছিল। এলাকার মানুষের ভিড়ও সামাল দিতে হয়েছে। এর জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান আধিকারিকেরা।

খারাপ আবহাওয়ার কারণেও যাত্রা বন্ধ রাখতে হয়েছিল কিছু দিন। ১৫ জুনের মধ্যে নতুন ট্রান্সফর্মারের সুবিধা মিলবে বলে পাওয়ার গ্রিড সূত্রের খবর। পাওয়ার গ্রিডের কলকাতা রিজিওনের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার পার্থ ঘোষ বলেন, “নতুন ট্রান্সফর্মার চালু হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় লক্ষণীয় পরিবর্তন আসবে। চার জেলার মানুষই উপকৃত হবেন। বিশেষ করে কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার মানুষ এর বড় সুফল পাবেন।

৫০০ এমভিএ (মেগা ভোল্ট অ্যাম্পিয়ার) বিদ্যুৎ সরবরাহ ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন ট্রান্সফর্মার বসছে সোনারপুরের সুভাষগ্রামের পাওয়ার গ্রিডে। এর ফলে ওই পাওয়ার গ্রিডের বিদ্যুৎ সরবরাহ ক্ষমতা অনেকটাই বাড়তে চলেছে। সুভাষগ্রামের ওই পাওয়ার গ্রিড থেকে কলকাতা ছাড়াও উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়। নতুন ট্রান্সফর্মার বসার ফলে এই সব এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন বলে দাবি পাওয়ার গ্রিড কর্তৃপক্ষের

সুমন সাহা