Tag Archives: Expert Tips

Farming Tips: কয়েকগুণ বেশি ফলন পেতে বীজ শোধন জরুরি, এই পদ্ধতিতে ধান গাছের পরিচর্যা করুন

মালদহ: আমন ধানের মরশুম শুরু। এখন কৃষকেরা বীজতলা তৈরি করছেন। এই সময় কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। তবেই বীজতলা থেকে ভাল চারা তৈরি হবে। আর তার হাত ধরেই আগামীতে ধানের ফলন ভাল পাবেন কৃষকরা।

বীজতলা তৈরি নিয়ে বেশ কিছু পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষিকর্তারা। এই সমস্ত পরামর্শ মেনে বীজতলা তৈরি করতে পারলে কোন‌ও সমস্যা থাকবে না ধান চাষে। এতে ধানগাছে কীট-পতঙ্গের উপদ্রব কম হবে বা রোগ কম হবে। এইজন্য আগে অবশ্যই বীজ শোধন করে বীজতলায় ফেলতে হবে। অধিকাংশ কৃষকেরাই এখনও বীজ শোধন করছেন না। ফলে ধানের ফলন ভাল হচ্ছে না। ফলন ভাল পেতে হলে সবার প্রথমে বীজ শোধন করতে হবে।

আরও পড়ুন: হাসপাতালে আবর্জনার পাহাড়! রোগীকে নিয়ে এসে দূষণের শিকার হচ্ছেন পরিজনরা

উঁচু জায়গায় বীজতলা তৈরি করতে হবে। জল যেন না জমে থাকে। নিকাশি ব্যবস্থা ভাল রাখতে হবে বীজতলার। বীজতলার চওড়া কম রাখতে গেলে সহজেই কৃষকেরা সঠিক পরিচর্যা করতে পারবেন। মাঝেমধ্যে হাত নিড়ানি দিয়ে আগাছা মুক্ত করতে হবে বীজতলার। এইভাবে বীজতলার পরিচর্যা করতে পারলে ভাল চারা গাছ তৈরি হবে। যদি কোনও কারণে চারা লাল হয়ে যায়, সেই সময় সার, কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। মালদহ জেলা কৃষি দফতরের আধিকারিক দিবানাথ মজুমদার বলেন, চারা গাছ বীজতলা থেকে তোলার সাত দিন আগে অবশ্যই দানায় বিষ দিতে হবে। এর ফলে ধান রোপন করার পর রোগ বা পোকার আক্রমণ কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ দানাবিষ চারা গাছের শিকড়ে থেকে যায়। কুড়ি দিন পর্যন্ত এই বিষের জীবাণু ধ্বংস করার ক্ষমতা থাকে।

ধান রোপন করার সময় রোগের আক্রমণের আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই চারা তোলার সাত দিন আগে দানা বিষ প্রয়োগ করলে এই সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।চলতি মরশুমে মালদহ জেলায় ১ লক্ষ ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। গত বছর জেলায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছিল। গত বছর ফলন হয়েছিল ৫ লক্ষ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন। মালদহ জেলায় মূলত হবিবপুর, বামনগোলা, গাজোল ও পুরাতন মালদহ ব্লকে সবচেয়ে বেশি আমন ধান চাষ হয়। এছাড়াও জেলার অন্যান্য ব্লকগুলিতেও ধান চাষ হয়ে থাকে। বর্ষার মরশুমের শুরুতেই ধানের বীজতলা তৈরি হচ্ছে। এই সময়টা ধানের ভাল ফলন পাওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বীজতলা ভাল হলে ভাল ফলন পাওয়ার পথটা অনেকটাই সুগম হয়ে যায়।

হরষিত সিংহ

Minimum Water Farming: বৃষ্টির অভাবে কীভাবে কম জলে চাষ করবেন? এক ঝটকায় জেনে বাজিমাত করুন

দক্ষিণ ২৪পরগনা: এই বছর বর্ষা যথাসময়ে উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করলেও দক্ষিণবঙ্গে ঢুকতে অনেকটাই দেরি করেছে। অবশেষে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকলেও তেমন একটা বৃষ্টি হচ্ছে না। ফলে বৃষ্টির ঘাটতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষিকাজ। এই পরিস্থিতিতে কম জলে চাষাবাদের জনপ্রিয়তা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বৃষ্টির ঘাটতি সত্ত্বেও ইতিমধ্যে অনেক চাষি ধানের বীজ রোপণের পাশাপাশি বিভিন্ন সবজির চাষের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। বিভিন্ন সবজি ও ধানের বীজের জন্য লাগে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে দক্ষিণবঙ্গে কৃষিকাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন চাষিরা। তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী এই নতুন পদ্ধতি মেনে ধানের বীজ রোপণ করলে বেশি জলের প্রয়োজন হবে না। অল্প জলেই ধানের বীজতলা রক্ষা করা যাবে। কিন্তু কীভাবে?

আর‌ও পড়ুন: হাইটেনশন লাইনে হঠাৎ বিদ্যুৎ সরবরাহ! বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই কর্মীর মৃত্যু, জখম আর‌ও তিন

অল্প জলে চাষাবাদ নিয়ে বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন নিমপীঠ কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের কৃষি বিজ্ঞানী। বৃষ্টি না হলে ধান চাষের ক্ষেত্রে জলসেচের দরকার পড়ে। যদি জল সেচের ব্যবস্থা না থাকে সেক্ষেত্রে সুধা পদ্ধতির মাধ্যমে বীজতলা প্রস্তুত করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এই বীজতলা তৈরির পদ্ধতির বিশেষত্ব হল- ১ বিঘা জমিতে ধান চাষের জন্য শুধুমাত্র এক কাঠ জমিতে বীজতলা প্রস্তুত করলেই হবে। আর কম বীজতলা তৈরি করলে জলও লাগবে কম। তবে সেক্ষেত্রে বিশেষ পদ্ধতি মেনে মাটি প্রস্তুত করার আগে গোবর সার, ইউরিয়া, জিঙ্ক সালফেট সহ বেশ কিছু উপাদান মিশিয়ে মাটি প্রস্তুত করে নিতে হবে। যেখানে জল অনেকটাই কম লাগবে। এই পরামর্শ মেনে কৃষিকাজ করে এই বছর বহু চাষি উপকৃত হচ্ছেন।

সুমন সাহা