Tag Archives: Forest Fire

Forest Fire: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড কাশতোড় জঙ্গলে, আতঙ্কে এলাকাবাসী

পুরুলিয়া: জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জায়গার জঙ্গলগুলিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে চলেছে প্রায়শয়‌ই। যদিও জঙ্গল বাঁচাতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। রয়েছে নজরদারির ব্যবস্থাও। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোনও না কোনওভাবে জঙ্গলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে চলেছে। এই দিনও ঘটে গেল আরও এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। রঘুনাথপুর-বাঁকুড়া রাস্তার পাশে কাশতোড়া জঙ্গলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, যা ঘিরে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়‌। ঘটনাস্থলে দমকলের ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রসঙ্গত , বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর – বাঁকুড়া রাস্তায় রঘুনাথপুর থানার অন্তর্গত কাশতোড়া জঙ্গলে ভয়াবহ আগুন লেগে যায়। ঘটনায় জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। কাশতোড়া জঙ্গলে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো জঙ্গলে। আগুনে পুড়ে বহু গাছ নষ্ট হয়ে যায়। খবর দেওয়া হয় দমকলে। খবর পেয়ে দমকল ও রঘুনাথপুর থানার পুলিশে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দমকলের বেশ কিছুক্ষনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আর‌ও পড়ুন: বরযাত্রী নয়, ব্যান্ড পার্টি বাজিয়ে ভোটের প্রচার করলেন প্রার্থী

এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই জঙ্গলটি বিরাট আকারের হওয়ার কারণে খুব দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। স্থানীয় মানুষদের বিষয়টি নজরে আসতেই খবর দেয় দমকলে। দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন খুব দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে যাওয়ার কারণে অনেক গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ‌

অগ্নিকান্ডের জেরে আশেপাশে এলাকার মানুষদের মধ্যে ভয়ের সৃষ্টি হয়েছিল। তবে বর্তমানে অনেকটাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। যার ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রয়েছেন এলাকার মানুষেরা। যদিও এই অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Bangla Video: গরমে জঙ্গলে আগুন লাগা ঠেকাতে পথে নামল একদল তরুণ

হাওড়া: পরিবেশ বাঁচাতে পথে নামল একদল তরুণ তুর্কি। সারা বছর ধরে পরিবেশ ও বন্যপ্রাণ রক্ষায় নানা কর্মসূচি পালন করছে এরা। এক দিক থেকে স্বস্তির আভাস তো অন্যদিকে হাহাকার, কান্নার সুর ভেসে আসে। বন বিভাগের পাশাপাশি পরিবেশ ও বন্যপ্রাণীদের রক্ষায় প্রতি নিয়ত লেগে রয়েছেন পরিবেশ কর্মীরা।

হাওড়া জেলা নন ফরেস্ট জোন হলেও এখানে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু প্রজাতির বন্যপ্রাণী বসবাস করে। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য প্রাণী বাঘরোল বা ফিশিং ক্যাট, গন্ধগোকুল, ভাম খটাস, শেয়াল, সজারু, সাপ, বেঁজি গোসাপ সহ বিভিন্ন প্রাণে যেগুলি তফসিল-১ অন্তর্ভুক্ত তাদের বাসভূমি এই জেলায়। বর্তমানে পরিবেশ নানা কারণে ধ্বংস হচ্ছে। আর তার অন্যতম কারণ দ্রুত গতিতে নগরায়ণ। তবে এই গরমের সময় অত্যন্ত বিপজ্জনক হল বনে জঙ্গলে আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনা। ইতিমধ্যেই জেলাজুড়ে একাধিক আগুন লাগার ঘটনা সামনে এসেছে। এতে যেমন সবুজ ধ্বংস হয়েছে অন্যদিকে বন্যপ্রাণীরা বিপদে পড়ছে। সেইদিক গুরুত্ব রেখেই বন দফতর এবং পরিবেশ কর্মীদের যৌথ উদ্যোগ নেওয়া হল বিশেষ সচেতনতা কর্মসূচি।

আর‌ও পড়ুন: একই টুর্নামেন্টে মাঠে নামল মা ও ছেলে! পায়ের জাদুতে মাত সবাই

কার্বন শোষণকারী খড়ি-হোগলার জমি ধ্বংস করে গড়ে উঠছে কলকারখানা। অন্যদিকে অবশিষ্ট খড়ি হোগলা কাশে উলুবনে জ্বলে উঠছে আগুন। এর প্রভাব যেমন পরিবেশের উপর পড়ছে অন্যদিকে দারুণ ভাবে বিপদের মুখে বন্যপ্রাণীরা। সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে এই ধরনের ঘটনা কম হবে। পরিবেশ এবং বন্যপ্রাণীরা সুরক্ষিত থাকবে। সেইদিক গুরুত্ব রেখে এই সচেতনতার কর্মসূচি।

এই প্রসঙ্গে পরিবেশকর্মী চিত্রক প্রামানিক এবং শুভজিৎ মাইতি জানান, হাওড়া জেলা নন ফরেস্ট জোন হলেও এখানে রাজ্য প্রাণী বাগরোল, ভাম, খটাশ, সজারুর মত গুরুত্বপূর্ণ বন্যপ্রাণী বসবাস করে। এখানের বনে জঙ্গলে আগুন লাগার প্রবণতা মারাত্মক বিপদের। এই ঘটনা কম করতেই সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কর্মসূচি।

রাকেশ মাইতি

Forest Fire: আউশগ্রামের জঙ্গলে ভয়াবহ আগুন, অনেক বুঝিয়েও সম্বল সেই ব্যর্থতা

পূর্ব বর্ধমান: বাংলার শস্যগোলা পূর্ব বর্ধমানের জঙ্গলমহল নামে পরিচিত আউশগ্রাম। সম্পূর্ণ জঙ্গল দিয়ে ঘেরা এই এলাকা। তবে প্রতিবছরই বসন্তকালে এখানকার জঙ্গলের বেশকিছু জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। অনেক সময় প্রাকৃতিক কারণে, আবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃতভাবে জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। জঙ্গলে এই আগুন লাগানো বন্ধ করতে বিভিন্নভাবে উদ্যোগ নিতেও দেখা গিয়েছে পরিবেশপ্রেমী থেকে শুরু করে বন দফতর সকলকেই।সেরকমই আবারও একবার জনসাধারণকে জঙ্গলে আগুন লাগানো নিয়ে সচেতন করতে উদ্যোগ নিতে দেখা গেল লবণধার অন্নপূর্ণা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ও বর্ধমান সোসাইটি ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার নামক সংস্থা দুটিকে। তাঁদের এই উদ্যোগের পাশে দাঁড়িয়েছে বন দফতর।

আর‌ও পড়ুন: সপ্তাহের শেষে ঘুরে আসুন বিদ্যাসাগরের বীরসিংহে, ইতিহাসের হাত ধরে পৌঁছে যাবেন সেই সময়ে

রবিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় বাইক র‍্যালি করে জনসাধারণকে জঙ্গলে আগুন না লাগানোর বিষয়ে সচেতন করা হয়। এই প্রসঙ্গে বর্ধমান সোসাইটি ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার সংস্থার তরফে অর্ণব দাস বলেন, বাইক র‍্যালিতে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন অংশগ্রহণ করেছিল। বাইকে করে প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে সচেতনতার প্রচার চালানো হয়। জঙ্গলে আগুন কম লাগার উদ্দেশ্যে এবং যাতে আগুন না লাগানো হয় সেই লক্ষ্যেই এই প্রচার অভিযান চালানো হয়েছে।

তবে রবিবার মানুষকে সচেতন করা হলেও ওইদিন‌ই রাতে আগুন লাগানো হয় জঙ্গলে। রবিবার বাইক র‍্যালি যখন শেষ পর্যায়ে ঠিক তখনই লবণধার গ্রামের দুই কিলোমিটার আগে জঙ্গলে আগুন দেখতে পান পরিবেশপ্রেমীরা। সেখানে উপস্থিত মোট ছয় জন পরিবেশপ্রেমী মিলে দ্রুত আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান।

আর‌ও পড়ুন: বৃষ্টির রাতে গোটা গ্রাম তছনছ করে দিল বুনো হাতি

মানুষ সচেতন হচ্ছে না বলেই বারবার জঙ্গলে আগুন লেগে বন্যপ্রাণী এবং গাছপালার মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে বলে পরিবেশকর্মীরা জানিয়েছেন। তাঁদের এই অভিমতের সঙ্গে সহমত বন বিভাগের আধিকারিকরাও। এই অবস্থায় পরিবেশপ্রেমীরা আগুন নেভাতে এগিয়ে না এলে হয়ত আউশগ্রামের গোটা জঙ্গলটাই পুড়ে যেত।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Forest Fire: দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল রাজ্য সড়কের দুই পাশের বন! ভয়ঙ্কর দৃশ্যে হতভম্ব সকলে

পশ্চিম মেদিনীপুর: সবে বঙ্গ থেকে বিদায় নিচ্ছে শীত। বসন্তের শুরুতে বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গলে শুকনো পাতার ছড়াছড়ি থাকে। প্রাকৃতিক নিয়মেই শাল জঙ্গল, বসন্তে শুকনো পাতায় ভরে থাকে। তবে প্রতিবছর একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতেই থাকে। কেউবা কারা মনের সুখে জঙ্গলে লাগিয়ে দেয় আগুন কিংবা অসাবধানতাবশত কোনও আগুন থেকে জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যায় কিলোমিটারের পর কিলোমিটার শাল-সেগুনের জঙ্গল। তবে এই ঘটনার নিস্পত্তি কোথায়? জানে না কেউই।

আরও পড়ুন: জলের ট্যাঙ্কের উপর উঠতে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু দুই শ্রমিকের, লোহার নড়বড়ে সিঁড়ি ডেকে আনল বিপদ

সবে বসন্তের শুরু। মঙ্গলবার সন্ধেয় দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকল বুড়িশোলের জঙ্গল। পশ্চিম মেদিনীপুরের ভাদুতলা থেকে লালগড় যাওয়ার রাজ্য সড়কের দুই পাশে শাল জঙ্গলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। গোটা রাস্তা ঢেকে যায় কালো ধোঁয়ায়। সন্ধের পরে ঘটনাটি ঘটায় বিপদ সে অর্থে না হলেও পুড়ে গিয়েছে বেশ কয়েক মিটার ঘন অরণ্য। আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে একাধিক প্রাণ। প্রাণ গিয়েছে একাধিক সবুজ গাছের। তবে এই অগ্নিকান্তের নেপথ্যে মূল ঘটনা কী? তার খোঁজ চালাচ্ছে বন বিভাগ। পাশাপাশি আগুন নেভানোর উদ্যোগ নেওয়া হয় বনবিভাগের পক্ষ থেকে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

প্রসঙ্গত, পাতা ঝরার এই মরশুমে বহু মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে আনন্দ উদযাপনের কারণে জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে দেয়। কোথাও আবার ফেলে দেওয়া জ্বলন্ত সিগারেট থেকে পুড়ে ছাই হয়ে যায় বিঘার পর বিঘা সবুজ গাছের জঙ্গল। বারংবার বন দফতরের তরফে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়েছে এই বিষয়ে। তবুও বছরের পর বছর সেই একই চিত্রের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। এর ফলে দূষণ যেমন বাড়ছে তেমনই নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। যা নিয়ে চিন্তায় পরিবেশবিদ থেকে শুরু করে বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ সকলেই।

রঞ্জন চন্দ