Tag Archives: Gardener

Fruit Garden: অবাক কাণ্ড! সরকারের পরিত্যক্ত জমি এখন ফলের বাগান

কোচবিহার: তুফানগঞ্জ সদর মহকুমাশাসকের দফতর চত্বরে থাকা পতিত জমিকে বাগানে রূপান্তর করা হল। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ লাগানো হয়েজে এই পতিত জমিতে। তবে এই কাজ কিন্তু আজকে শুরু করা হয়নি। অনেকটা সময়ে কেটে গিয়েছে কাজ শুরু করার পরে। গত বছরের অগস্ট মাসের সময় থেকে এই বাগান তৈরির কাজ শুরু করা হয়।

তুফানগঞ্জ মহকুমা শাসকের দফতরের নাজির বাবু সুকিল চন্দ্র রাভা জানান, বর্তমান সদর মহকুমাশাসক বাগান অত্যন্ত পছন্দ করেন। গাছপালার প্রতি তাঁর প্রেম অনেকটাই বেশি। এখানে আসার পর থেকেই তিনি দেখছিলেন দফতরের পেছনের একটি জমি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। একেবারে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকার কারণে জঙ্গল ও ঝোপঝাড় হয়ে রয়েছে সেখানে। তাই তাঁর উদ্যোগে এবং দফতরের কর্মীদের সহায়তায় এখানে বাগান গড়ে তোলা হয়। বাগানের বিষয়ে একজন গাছপ্রেমী ব্যক্তি অনেকটাই সহায়তা করেছেন।

আর‌ও পড়ুন: হর-গৌরীর পুজোয় ভক্তের ঢল

গত বছরের অগস্ট মাস থেকে এই বাগান তৈরির কাজ শুরু করা হয়। তারপর গাছগুলিও নিজেদের মতন বাড়তে শুরু করেছে। বাগানের বেশিরভাগ গাছে ফলও এসেছে। আর বাগানের গাছের এই ফলগুলি এটাই নিশ্চিত করে যে পরিত্যক্ত জমিকে বাগানে রূপান্তরিত করার সরকারি উদ্যোগ সফল হয়েছে। এখানকার গাছের ফল দেখে খুশি সদর মহকুমাশাসক থেকে শুরু করে দফতরের প্রত্যেক কর্মী।

বর্তমানে তুফানগঞ্জ মহকুমা এলাকায় এই বাগান ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বহু গাছপ্রেমী মানুষ এই বাগান দেখে অনুপ্রেরণা নিচ্ছেন নিজেদেরও বাগান তৈরি করার। এছাড়াও অন্যান্য মহকুমা শহরের সরকারি দফতর গুলিও নিজেদের মতন প্রচেষ্টা শুরু করেছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে হয়তো তাঁরাও এই ধরনের বাগান তৈরি করতে সফল হবেন।

সার্থক পণ্ডিত

Bengali News: স্কুলে এসেও সর্বক্ষণ নেশার পিছনে ছোটা, এই শিক্ষকের কথা শুনলে অবাক হবেন

বাঁকুড়া: আদিবাসী আবাসিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের অদ্ভুত নেশার জন্য স্কুলের আমূল পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে। স্কুল চত্বরের ৯-১০ কাঠা জায়গা পুরো বদলে দিয়েছেন এই শিক্ষক। তার এই পরিবর্তনের কাণ্ডারী হলেন বাঁকুড়ার যোগেশ পল্লীর বাসিন্দা নির্মাল্য ঘোষ।

আরও পড়ুন: বর্জ্য প্লাস্টিক থেকে তৈরি হচ্ছে চেয়ার, টেবিল! কারা করছে জানলে আরও চমকাবেন

পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তিনি। ঠাকুরদার আমল থেকেই ঘোষ পরিবারের বিশেষ ভালোবাসা গাছের প্রতি। এই পরিবারের প্রত্যেকেই কমবেশি গাছ লাগানো থেকে পরিচর্যা করতে ভালোবাসেন। তবে শিক্ষক নির্মাল্য ঘোষের নেশাটা একেবারে অন্য রকমের। তাঁর বাড়িতেই ছাদ এবং উঠোন জুড়ে আছে শতাধিক গাছ। পেশায় শিক্ষক কিন্তু নেশায় গাছ পাগল নির্মাল্য ঘোষ অবশ্য একা কৃতিত্ব নিতে রাজি নন। তিনি বলেন, এটা একটা টিম ওয়ার্ক।

বাড়িতে মোট কতগুলি গাছ রয়েছে জানতে চাওয়ায় নিজেই ঠাহর করে বলতে পারেননি নির্মাল্যবাবু। অর্কিড, ক্যাকটাস, বিদেশি ফুল এবং দেশি গাছ গাছালি ছাড়াও উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বনসাইয়ের সংগ্রহ। একজন বিশেষজ্ঞ গার্ডেনার হিসেবে বনসাই তৈরি করে আসছেন বহুদিন ধরে। তিনি জানান বট, ছাতিম, চাইনিজ বট, পাকুর ইত্যাদি গাছকে বনসাই করেছেন তিনি। বনসাই অর্থাৎ একটি বিরাট বৃক্ষকে বামন করে রাখা। তিনি আরও বলেন যে বড় উদ্ভিদকে কম পরিমাণ খাবার এবং কম পরিমাণ পুষ্টি দিয়ে উদ্ভিদটির বাড় বাড়ন্ত কমানো যায়। সঙ্গে যেকোনও ধরনের তারের ব্যবহার করে গাছের ডালপালার বিস্তৃতি নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। গাছের গুড়ি যত মোটা হবে ততই বয়স্ক হবে বনসাই উদ্ভিদটি।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক বিদ্যালয়ে প্রায় নয় থেকে দশ কাঠা জায়গা জুড়ে নির্মাল্য ঘোষ বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগিয়েছেন। পাহাড়ের কোলে তাঁর এই প্রচেষ্টায় এক অপরূপ দৃশ্যের সাক্ষী থাকছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এদিকে নির্মাল্যবাবুর কাছে আছে ‘সেমি সেড’ উদ্ভিদ। অর্থাৎ কম আলোতে যে গাছগুলি ভালভাবে বেড়ে উঠতে পারে। ফ্লাটে অথবা একান্ত যারা থাকতে পছন্দ করেন তাঁরা চাইলেই নিজের ঘরের মধ্যেই এই গাছ রাখতে পারেন।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জি