Tag Archives: iskon temple
ISKCON Jagannath Dev Bhog: পিৎজা, বার্গার, কেক, মালপোয়া…! মায়াপুর ইসকন মন্দিরে জগন্নাথ দেবের ৫৬ ভোগ
মায়াপুর: দিন কয়েক আগেই হয়ে গেল রথযাত্রা উৎসব। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মহাসমারোহে পালিত হল এই উৎসব। ঠিক তেমনই নদিয়ার মন্দিরনগরী মায়াপুর ইসকন মন্দিরে পাঁচ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে রাজাপুর থেকে নিয়ে আসা হয়েছে জগন্নাথ, বলদেব ও সুভদ্রা দেবীকে। মায়াপুরের ইসকন মন্দিরকে জগন্নাথ দেবের অস্থায়ী মাসি বাড়ি হিসেবে ধরা হয়। উল্টো রথের আগে পর্যন্ত দেবতাদের স্থাপন করে পুজো করা হয় মায়াপুর ইসকন মন্দিরে।
ইসকন মন্দিরের ভেতরেই সাজানো হয়েছে জগন্নাথ দেবের মন্ডপ। প্রতিদিন ভক্তের ঢল দেখা যাচ্ছে চোখে পড়ার মত। ভোর সাড়ে চারটের সময় শুরু হয় মঙ্গল আরতি। এরপর প্রতিদিন দুপুর আনুমানিক সাড়ে বারোটার সময় ৫৬ ভোগ দেওয়া হয় জগন্নাথ দেবের সামনে। জানা গিয়েছে, ৫৬ ভোগে থাকে শতাধিক খাবার, যা রাখা হয় বিগ্রহের সামনে।
আরও পড়ুনঃ এসি ক্যাবে ২০০ টাকায় শিলিগুড়ি-দার্জিলিং! রাজ্যের বিরাট উদ্যোগ! কোথা থেকে মিলবে গাড়ি? জানুন
ভোগে থাকে পাস্তা, বার্গার, ক্রিমরোল, ডোনাট-সহ আরও রকমারি খাদ্য। দেশ বিদেশের বহু ভক্তরা প্রতিনিয়ত আসছেন জগন্নাথ দেবকে দর্শন করতে। প্রত্যেকদিন ভোর চারটে থেকে বারোটা পর্যন্ত একাধিক রাঁধুনি এবং তার সহযোগী মিলে জগন্নাথ দেবের ভোগ রান্না করেন। দেশ-বিদেশের মেনুতে মহা আনন্দে মাসির বাড়িতে এই ক’দিন কাটান জগন্নাথ দেব।
জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা সোনার আবরণে সজ্জিত করা হয় এই দিন। উল্টোরথের আগে পর্যন্ত প্রতিদিনই চলবে মঙ্গল আরতি ও ৫৬ ভোগ আরতি। প্রতিদিন জগন্নাথ দেবের আটটি শ্লোকে আরতি হয় মায়াপুর ইসকন মন্দিরে। আগামী ১৫ তারিখ উল্টোরথের দিন পুণরায় অস্থায়ী মাসির বাড়ি থেকে রাজাপুর মন্দিরে ফিরে যাবেন জগন্নাথ বলরাম এবং সুভদ্রাদেবী, এমনটাই জানিয়েছেন মায়াপুর ইসকন মন্দিরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস।
Mainak Debnath
Jagannath Snana Yatra: প্রভু জগন্নাথের স্নানযাত্রায় ইসকনে উপচে পড়ল ভিড়
নদিয়া: প্রভু জগন্নাথের স্নানযাত্রা ধুমধামের সঙ্গে পালিত হল। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের পাশাপাশি এই বাংলার মন্দির নগরী মায়াপুরের রাজাপুর মন্দিরে মহা সমারোহে পালিত হল জগন্নাথ, বলরাম ও বোন সুভদ্রার স্নানযাত্রা উৎসব। এই উপলক্ষে ভক্তদের আগমন ছিল চোখে পড়ার মতো।
নদিয়া জেলার মায়াপুরের সবথেকে বড় উৎসব জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব। তার আগে আয়োজিত হয় এই স্নানযাত্রা। এই স্নানযাত্রা উৎসবে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার বিগ্রহকে ডাবের জল, গঙ্গা জল, দুধ ও দই দিয়ে স্নান করানো হয় ভক্তি সহকারে। এই উপলক্ষে অসংখ্য ভক্তের সমাগম হয়েছিল মায়াপুর রাজাপুর জগন্নাথ দেবের মন্দিরে।
আরও পড়ুন: চাকরির পরীক্ষায় পাশ করেও মেলেনি সুযোগ, মাদুর বুনে টিকে আছেন প্রতিবন্ধী গণেশ
কথিত আছে, এই স্নানযাত্রার পরই জগন্নাথদেব জ্বরে ক্রান্ত হন। ফলে তিনি বিশ্রামে চলে যান। পুনরায় রথযাত্রার দিন জ্বর থেকে সুস্থ হয়ে উঠে তিনি স্বমহিমায় আবির্ভূত হবেন এবং পুনরায় ভক্তদের দর্শন দেবেন। মায়াপুরের শাখা রাজাপুর জগন্নাথ দেবের মন্দির থেকে সুসজ্জিত রথে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা দেবীর আগমন ঘটে পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইসকন চন্দ্রোদয় মন্দিরে।
শনিবার ভোর সাড়ে চারটে থেকে মায়াপুরের শাখা কেন্দ্র মায়াপুর জগন্নাথ মন্দিরে মঙ্গল আরতি দিয়ে নান যাত্রা উৎসবের সূচনা করা হয়েছে। সারাদিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান চলতে থাকবে। এই মহা অভিষেকে উপস্থিত থাকতে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে দেশ বিদেশের হাজার হাজার ভক্ত বৃন্দ এখানে হাজির হয়েছেন।
মৈনাক দেবনাথ