Tag Archives: jaundice

Health Tips: ঝোপঝাড়ের আগাছা ভেবে অবহেলা নয়, ছোট্ট ‘এই’ ফল শুষে নেয় শরীরের সব ব্যথা! মাত্র ১ মাস খেলেই জন্ডিস-সহ ৫ জটিল রোগ গোড়া থেকে নির্মূল

বন হোক বা ঝোপঝাড়ে অনেক গাছপালা জন্মায় যা স্বাস্থ্যের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। কিন্তু তাদের সম্পর্কে সঠিক তথ্য না থাকায় অনেকেই এই ফল এড়িয়ে যান৷ তেমনই একটি ফল হল ম্যাকয়৷ যা আয়ুর্বেদে কাকমাচি নামে পরিচিত৷ এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে, যা আপনার শরীরের জন্য বিরাট উপকারী।
বন হোক বা ঝোপঝাড়ে অনেক গাছপালা জন্মায় যা স্বাস্থ্যের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। কিন্তু তাদের সম্পর্কে সঠিক তথ্য না থাকায় অনেকেই এই ফল এড়িয়ে যান৷ তেমনই একটি ফল হল ম্যাকয়৷ যা আয়ুর্বেদে কাকমাচি নামে পরিচিত৷ এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে, যা আপনার শরীরের জন্য বিরাট উপকারী।
 পিরিয়ডের সময়, কিংবা আর্থ্রাইটিস বা ব্যথার সমস্যায় ভুগলে এটি ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। লখনউয়ের সরকারি আয়ুর্বেদ কলেজ ও হাপাতালের ডা. সর্বেশ কুমার এই ফলের কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে বলেছেন৷
পিরিয়ডের সময়, কিংবা আর্থ্রাইটিস বা ব্যথার সমস্যায় ভুগলে এটি ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। লখনউয়ের সরকারি আয়ুর্বেদ কলেজ ও হাপাতালের ডা. সর্বেশ কুমার এই ফলের কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে বলেছেন৷
ডা. সর্বেশ কুমারের মতে, শরীরের ব্যথা, পিরিয়ডের ব্যথা বা যে কোনও সংক্রমণের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ম্যাকয় একটি দুর্দান্ত বিকল্প। আসলে ম্যাকয়ের মধ্যে অ্যান্টি-পাইরেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আপনাকে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।  প্রদাহ, জয়েন্টে ব্যথা হলে এই ফল দারুণ উপকারী।
ডা. সর্বেশ কুমারের মতে, শরীরের ব্যথা, পিরিয়ডের ব্যথা বা যে কোনও সংক্রমণের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ম্যাকয় একটি দুর্দান্ত বিকল্প। আসলে ম্যাকয়ের মধ্যে অ্যান্টি-পাইরেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আপনাকে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। প্রদাহ, জয়েন্টে ব্যথা হলে এই ফল দারুণ উপকারী।
ম্যাকয় পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যে ব্যক্তি নিয়মিত ম্যাকয়ের ক্বাথ সেবন করলে লিভারের জন্য অনেক উপকার পাবেন। এ কারণেই যখন কেউ লিভারের রোগ বা জন্ডিসে আক্রান্ত হন, তখন তাকে ম্যাকয়ের ক্বাথ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ম্যাকয় পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যে ব্যক্তি নিয়মিত ম্যাকয়ের ক্বাথ সেবন করলে লিভারের জন্য অনেক উপকার পাবেন। এ কারণেই যখন কেউ লিভারের রোগ বা জন্ডিসে আক্রান্ত হন, তখন তাকে ম্যাকয়ের ক্বাথ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ম্যাকয়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ম্যাকয়ের মধ্যে থেরাপিউটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা কোষের পুনর্জন্মে সাহায্য করে। এটি আপনার ত্বক সম্পর্কিত বেশিরভাগ সমস্যা দূর করবে। মুখের দাগ-ছোপ দূর করতে ম্যাকয়ের ফেসপ্যাক তৈরি করে লাগাতে পারেন।
ম্যাকয়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ম্যাকয়ের মধ্যে থেরাপিউটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা কোষের পুনর্জন্মে সাহায্য করে। এটি আপনার ত্বক সম্পর্কিত বেশিরভাগ সমস্যা দূর করবে। মুখের দাগ-ছোপ দূর করতে ম্যাকয়ের ফেসপ্যাক তৈরি করে লাগাতে পারেন।
ম্যাকয়ের মধ্যে ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে এবং এছাড়াও অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যার কারণে ইউটিআই বারবার হয় না। এটি শরীরে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে এবং পরবর্তী সময়ে ইউটিআই হওয়ার ঝুঁকিও কমায়।
ম্যাকয়ের মধ্যে ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে এবং এছাড়াও অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যার কারণে ইউটিআই বারবার হয় না। এটি শরীরে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে এবং পরবর্তী সময়ে ইউটিআই হওয়ার ঝুঁকিও কমায়।
ম্যাকয় প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক। আপনি যদি মাঝে মাঝে মনে করেন যে কোনও কারণে আপনি রাতে ঘুমাতে পারেন না বা আপনি খুব ভয় পান, তাহলে নিয়মিত ম্যাকয় খাওয়া শুরু করুন। এটি আপনাকে উদ্বেগ ইত্যাদি কমাতেও স্বস্তি দেয়। এতে অক্সিডেটিভ বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতেও সাহায্য করে।
ম্যাকয় প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক। আপনি যদি মাঝে মাঝে মনে করেন যে কোনও কারণে আপনি রাতে ঘুমাতে পারেন না বা আপনি খুব ভয় পান, তাহলে নিয়মিত ম্যাকয় খাওয়া শুরু করুন। এটি আপনাকে উদ্বেগ ইত্যাদি কমাতেও স্বস্তি দেয়। এতে অক্সিডেটিভ বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতেও সাহায্য করে।

 

জন্ডিসের মহাষৌধ, গরমে শরীর রাখে ঠাণ্ডা, রোজ এক গ্লাসেই থাকবেন চাঙ্গা

কলকাতা: হোলির আগে থেকেই শুরু হয়েছে দাবদাহ। একাধিক জেলায় বইছে লু। বাইরে বেরলেই গলা শুকিয়ে কাঠ। আবহাওয়া দফতর বলছে, এ বছর প্রচণ্ড গরম পড়তে পারে। গ্রীষ্মকালে ঘাম হয় বেশি। ফলে অল্পেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন মানুষ। শরীর জল শূণ্য হয়ে যায়। এ থেকে বাঁচতে অনেকেই জুস বা আখের রস পান করেন।

এক গ্লাস আখের রস শরীরকে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায়। এটা প্রকৃতিতে ঠান্ডা। ফলে শরীর ঠান্ডা রাখে। গরমে হিট স্ট্রোকের হাত থেকে বাঁচায়। তাই গ্রীষ্মের মরশুমে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় আখের রস। কিন্তু আখের রস পান করলে কিছু মানুষের ক্ষতি হতে পারে।

আরও পড়ুন- ২৫ কোটির বোলারকে নিয়ে ‘বড়’ সিদ্ধান্ত কেকেআরের! আজই যা হওয়ার হবে আইপিএলে

আখের রসের উপকারিতা: রায়বেরেলির মেডিকেল অফিসার ডাঃ সৌরভ সিং (এমবিবিএস) বলছেন, গরমে আখের রস অত্যন্ত উপকারি। এতে জিঙ্ক, আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম এবং আরও অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে।

পরিপাকতন্ত্র দুর্বল হলে আখের রস পান করা উচিত। এতে উপস্থিত পটাশিয়াম পাকস্থলীর পিএইচ মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে। শরীরকে ডিহাইড্রেটের রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।

তবে আখের রসে উপস্থিত পলিকোসানোল হজম প্রক্রিয়ায় খারাপ প্রভাব ফেলে। এ থেকে পেট ব্যথার পাশাপাশি ডায়রিয়ারও হতে পারে। পরিপাকতন্ত্র দুর্বল হলে আখের রস এড়িয়ে যাওয়াই উচিত বলে জানিয়েছেন ডাঃ সৌরভ সিং।

আরও পড়ুন- ‘চুনোপুঁটি’ পান্ডিয়ার সুখের দিন শেষ! ক্যাপ্টেন রোহিত ফিরছেন! বড় ভবিষ্যদ্বাণী

পলিকোসানল শরীরে রক্ত ​​জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। কখনও কখনও এটি খুব ক্ষতিকারক হতে পারে। কারণ আঘাতের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের আশঙ্কা বেড়ে যায়।

বিলিরুবিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে: যারা জন্ডিসে ভুগছেন তাঁদের জন্য আখের রস মহাষৌধ। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা লিভারকে সংক্রমিত হওয়া থেকে রক্ষা করে।

পাশাপাশি বিলিরুবিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। জন্ডিসের কারণে শরীর প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ভেঙে দেয় এবং রক্তে বিলিরুবিন বাড়ায়। আখের রস হারানো প্রোটিনের পরিমাণ দ্রুত প্রতিস্থাপন করতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিপজ্জনক: আখের রসে প্রায় ২৭০ ক্যালোরি অর্থাৎ ১০০ গ্রাম চিনি থাকে ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। গ্লাইসেমিক লোডও বেশি থাকে। যার কারণে রক্তে শর্করার মাত্রাকে প্রভাবিত করে।

Jaundice in Newborn Babies: সদ্যোজাতর জন্ডিসে ভয় পাবেন না, মেনে চলুন ডাক্তারের এই পরামর্শ, রইল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য টিপসও

সার্থক পণ্ডিত, কোচবিহার: সারা বিশ্বে প্রতিবছর জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। লিভারের যে সমস্ত রোগ দেখা যায়, সেগুলির মধ্যে খুব চেনা রোগ  জন্ডিস। লিভারের সমস্যা কোনও রোগ নয়, রোগের লক্ষণ মাত্র। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার কারণে লিভারের সমস্যা বেশি মাত্রায় দেখা যায়। অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়া, মদ্যপান করা, জাঙ্ক ফুডের প্রতি অতিরিক্ত ঝোঁক, তৈলাক্ত ও মশলাদার খাবার সেবনের পাশাপাশি অনিদ্রা, আতঙ্ক, মাত্রারিক্ত স্ট্রেস, উদ্বেগের কারণে লিভারের হেপাটাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তবে শুধু প্রাপ্তবয়স্কদেরই নয়, সদ্যোজাতদের মধ্যেও জন্ডিসের প্রবণতা দেখা যায়। শিশুদের ক্ষেত্রে শরীরে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে জন্ডিস দেখা যায় ।

চিকিৎসক অর্ণব নিয়োগী জানান, “জন্ডিস হলে রক্ত ও লিভারের পেশির টিস্যুগুলির উপর দারুণ প্রভাব পড়ে। ফলস্বরূপ, রক্তের মধ্য বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে চোখ ও ত্বক হলুদ বর্ণের আকার ধারণ করে। তবে ঘরোয়া টোটকায় এই মারাত্মক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। শিশুর রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে বার বার স্তন্যপান করানো ভাল। সদ্যোজাতের ক্ষেত্রে এটাই মোক্ষম দাওয়াই। আর যদি ব্রেস্টফিড না করানো যায়। তবে ২ চামচ দুধ গুলে সময়মতো  খাওয়ানো উচিত।”

আরও পড়ুন : মায়ের নামে করছেন বৃদ্ধাবাস! ফের সমাজকল্যাণে উজ্জ্বল জনদরদী সোনু সুদ

তিনি আরও জানান, “প্রাকৃতিক সূ্র্যের আলোয় কিছুক্ষণ থাকলে জন্ডিস রোগ অনেকটা নিরাময় হয়। একে সাধারণত বিলি-ব্ল্যাঙ্কেট বলে। চড়া রোদে নয়, সকালের দিকে মিঠের রোদ অনেক উপকারী। প্রাপ্তবয়স্করা অবশ্যই সানস্ত্রিন ক্রিম মেখেই রোদের মধ্যে থাকতে পারেন। আখের রস জন্ডিসের একটি বহুল প্রচলিত ওষুধ। তবে বাড়িতেই আখের রস বানান, বাইরে থেকে কিনে খাবেন না। টমেটোর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপেন, যা রক্তের মান ও বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে। সকালে উঠে এক গ্লাস টমেটোর জুস খাওয়ার অভ্যেস হলে লিভারের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।”

এই সমস্ত বিষয় মেনে চললেই জন্ডিসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে যদি সমস্যা মনে হয় তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।