কিডনির সমস্যায় ‘মহৌষধ’ এই গাছ বাড়িতে রাখুন। পৃথিবীতে অনেক ঔষধি ভেষজ রয়েছে যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। বরুণ হল এমনই একটি ভেষজ যার বোটানিক্যাল নাম ক্রাটেভা নুরভালা।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বরুণ গাছ অনেক রোগ নিরাময়ে ব্যবহার হয়। এর মধ্যে অন্যতম কিডনির সমস্যায় ‘মহৌষধ’ হিসাবে ব্যবহার রয়েছে।
এটি মূত্রনালির সংক্রমণ যেমন প্রস্রাবে অসুবিধা, জ্বালাপোড়া এবং চুলকানির জন্য একটি কার্যকর প্রাকৃতিক প্রতিকার। এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলি এই ধরনের সমস্যাগুলি কাটিয়ে উঠতে কাজ করে।
এছাড়াও, বরুণের গুঁড়ো-এর মূত্রবর্ধক বৈশিষ্ট্যের কারণে প্রস্রাবের অসুবিধা দূর করতে সাহায্য করে। বরুণ একটি মাঝারি আকারের উদ্ভিদ। এই গাছে বিস্ময়কর ঔষধি গুণ। বরুণ গাছের ছাল, পাতা ও ফুলের ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই মানবদেহের নানা রোগে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
বসিরহাটের কল বাড়ি এলাকায় এক সময়ের বায়ো সায়েন্সের ছাত্র অরবিন্দ মণ্ডল বাড়িতেই রোপন করেছেন এই গাছ। তাঁর দাবি, কিডনি বা পিত্তথলির পাথর ও মুখের মেচেতায় এ গাছের ছাল ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
এটির ফল মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে সহায়তা করে। এ ছাড়াও মানবদেহের আরও নানা রোগে এই গাছের ছাল, ফুল, ফল ও পাতা ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। (রিপোর্টার– জুলফিকার মোল্যা)
জল কম খাওয়ার কারণে শরীরে নানারকম সমস্যা দেখা দেয়৷ বিশেষত জল কম খেলে কিডনির সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন৷ এছাড়াও গ্যাস-অম্বল-পাথর-কোষ্ঠকাঠিন্যতে আক্রান্ত হন৷
পেটে পাথর জমলে অপারেশনও করতে হয় বেশিরভাগ সময়৷ তবে কখনও আবার ওষুধ খেলেও এই সমস্যা এড়ানো যায়৷ আয়ুর্বেদে পাথরের সমস্যা সমাধানে পাথরকুচি পাতার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
এই বিষয়ে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডাঃ প্রভাত কুমার এটি ব্যবহার করার আরও ভাল উপায় সম্পর্কে তথ্য শেয়ার করেছেন। যাতে মানুষ অল্প সময়ে এই পাতা ব্যবহার করে পাথরের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারে।
ডা. প্রভাত কুমার জানান যে পাথরকুচি আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় দারুণ উপকারি। এই পাতা সহজেই ০.৫ মিলি থেকে ২.৫ মিলি পর্যন্ত পাথর গলিয়ে শরীর থেকে বের করে দিতে পারে। এই পাতা স্বাদে টক। পাকস্থলী থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতেও এই পাতা দারুণ উপকারী৷
পাথরের চিকিৎসায় এর কচি পাতা ওষুধ হিসেবে কাজ করে। পাইলসের সমস্যা দূর করতেও এটি খুবই উপকারী। যদি কোনও ব্যক্তি দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্যের ভোগেন তবেই তার পাইলস হয়।
পাইলসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এই পাতার রস সকালে এক চামচ ও সন্ধ্যায় এক চামচ খেলে খুব উপকার পাওয়া যায়। শিশুদের দুই চামচ এবং বড়দের চা-এর মতো করে খেতে পারেন৷
চিকিৎসক জানিয়েছেন,চার-পাঁচটি পাতা পরিষ্কার করে ধুয়ে এক গ্লাস জলে ভাল করে ফুটিয়ে সকাল-সন্ধ্যায় খেতে হবে। একইসঙ্গে ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের পাথরের সমস্যা থাকলে তাদের সকালে এবংসন্ধ্যায় দুই চামচ এই পাতার রস খেতে হবে।
কিডনিতে কোনও সংক্রমণ হলে তা ধরা পড়ে অনেকটা দেরিতে। অনেক ক্ষেত্রেই একটি কিডনি বিকল হয়ে গেলেও কাজ চলতে থাকে অন্যটি দিয়ে, ফলে ক্ষতির আঁচ করা যায় না। কিডনির অসুখে সারা দিনের ডায়েটের বিষয়ে বেশ সচেতন থাকতে হয়। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
জল কতটা খাবেন, সেই বিষয়েও চলে আসে নিয়মবিধি। কিন্তু মুশকিল হল, অনেক ক্ষেত্রেই কিডনির সমস্যার উপসর্গগুলি এতটাই মৃদু হয় যে, বুঝে ওঠা সম্ভব হয় না। জানুন কী কী লক্ষণ দেখলে আগেভাগেই হতে হবে সতর্ক।
কিডনিতে পাথর হতে পারে যে কোনও বয়সেই। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, জল কম খাওয়া, এমন কিছু কারণে পাথর হয় কিডনিতে। মানবদেহের অন্যতম অঙ্গ কিডনি। দেহের বর্জ্য পদার্থ পরিশুদ্ধ করার পাশাপাশি, শরীরে খনিজ লবণের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সহায়তা করে।
চিকিৎসকদের মতে, কিডনিতে পাথর বা অন্য কোনও সমস্যা তৈরি হয়েছে কি না, বাইরে থেকে সব সময় তা বোঝা যায় না। তবে কিডনি রোগের কিছু লক্ষণ ফুটে উঠতে পারে ত্বকে।
বাতাসে অত্যধিক আর্দ্রতা শুষ্ক ত্বকের এক মাত্র কারণ নয়। শুষ্ক এবং রুক্ষ ত্বক কিডনির সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। কিডনি সঠিক ভাবে কাজ না করার ফলে ত্বকের ঘাম নির্গত হওয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ফলে টক্সিন জমে থেকে ত্বক শুকিয়ে যায়।
ত্বকের অতিরিক্ত দাগছোপ কিডনির সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। কিডনি ঠিক ভাবে কাজ না করলে, রক্ত পরিষ্কার হয় না। সঠিক ভাবে রক্ত পরিশ্রুত না হলে, ত্বকে দাগছোপের পরিমাণ বাড়তে থাকে।
কিডনির সমস্যা থাকলে ত্বকে ফুসকুড়ি, র্যাশ, চুলকানির মতো সমস্যা হতে পারে। ত্বকে এমন কিছু উপসর্গ দেখা দিলে ফেলে না রেখে দ্রুত এক জন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। ঘন ঘন প্রস্রাব হচ্ছে? এই লক্ষণ কেবল ডায়াবিটিসের নয়, কিডনির অসুস্থতারও লক্ষণ হতে পারে।
বিশেষত রাতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বার মূত্রত্যাগ করতে হলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া প্রসাবের সঙ্গে যদি রক্তপাত হয়, তা হলেও কিন্তু সতর্ক হতে হবে। সমস্যা মনে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
কাকদ্বীপ: কাকদ্বীপ হাসপাতালে এবার সর্বক্ষণ মিলছে ডায়ালিসিস পরিষেবা। হাসপাতালের নতুন ভবনে পাঁচ শয্যা বিশিষ্ট ডায়ালিসিস ইউনিটে দিনে ২০ থেকে ২৫ জন পরিষেবা পাচ্ছেন। গতবছরের শেষের দিকে এ নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। এবার সেই কাজ শেষ হয়েছে। কাজ শেষের পর কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা এই ডায়ালিসিস ইউনিট ঘুরে দেখেছেন।
এই ডায়ালিসিস ইউনিটে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়াও থাকছে ৩ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মী। মূলত পিপিপি মডেলে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নতুন ভবনে পাঁচ সজ্জা বিশিষ্ট ডায়ালিসিস ইউনিট গড়ে তোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘অরবিন্দকে আটকে রাখা যাবে না’, দিল্লিতে গর্জন কেজরিওয়ালের স্ত্রীর! মোদিকে ‘ম্যাচ ফিক্সার’ খোঁচা রাহুলের?
এতদিন ডায়ালিসিসিসের জন্য ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ বা কলকাতার হাসপাতালে যেতে হত প্রত্যন্ত দ্বীপাঞ্চলের বাসিন্দাদের। রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরাও এবিষয়ে জানিয়েছেন, ‘‘ডায়ালিসিস চালু করার জন্য অনেকদিন ধরে চেষ্টা হচ্ছিল।এবার তা পূরণ হয়েছে। গরিব মানুষরাও উপকৃত হবে এর ফলে।’’
এর সঙ্গে সিটি স্ক্যান, এইচডিইউ-১৮ বেডের পরিমাণ বাড়ানো, রাত্রি যাপনের জন্য স্থান এবং সৌন্দর্যায়নের পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়াও হাসপাতাল চত্বরে পরিশুদ্ধ পানীয় জলের বন্দোবস্ত থাকছে। সব মিলিয়ে নতুন বছরে কাকদ্বীপ হাসপাতালে আরও অনেক নতুন পরিষেবা মিলবে। ফলে খুশি সকলেই।
নবাব মল্লিক
Just another WordPress site