Tag Archives: Lakshmi Bhandar Scheme

WB Government Scheme: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-কন্যাশ্রী-যুবশ্রীর মতো রাজ্য সরকারের ৪০ প্রকল্প, কোন প্রকল্পের কী সুবিধা? কারা পাবেন? সহজে জানুন

পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের সুবিধার জন্য নানা রকমের প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। যার মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রকল্প সম্পর্কে বহু মানুষ জানলেও এমন অনেক প্রকল্প রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই অনেকেরই। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, সবুজ সাথী সম্পর্কে সাধারণ মানুষ জানলেও মানুষের সুবিধের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের রয়েছে প্রায় ৪০টি প্রকল্প।
পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের সুবিধার জন্য নানা রকমের প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। যার মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রকল্প সম্পর্কে বহু মানুষ জানলেও এমন অনেক প্রকল্প রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই অনেকেরই। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, সবুজ সাথী সম্পর্কে সাধারণ মানুষ জানলেও মানুষের সুবিধের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের রয়েছে প্রায় ৪০টি প্রকল্প।
অনেক এমন প্রকল্প রয়েছে যা নিয়ে কোনও সঠিক ধারণা নেই সাধারণ মানুষের। এই প্রতিবেদনে রাজ্য সরকারের এমনই কিছু প্রকল্পে কত টাকা দেওয়া হয়? কোন বিষয়ের জন্য কোন প্রকল্প, তা বিস্তারিত রইল।
অনেক এমন প্রকল্প রয়েছে যা নিয়ে কোনও সঠিক ধারণা নেই সাধারণ মানুষের। এই প্রতিবেদনে রাজ্য সরকারের এমনই কিছু প্রকল্পে কত টাকা দেওয়া হয়? কোন বিষয়ের জন্য কোন প্রকল্প, তা বিস্তারিত রইল।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প: এই প্রকল্পে সাধারণ জাতির মহিলাদের ১০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি-উপজাতি মহিলাদের ১২০০টাকা করে প্রতি মাসে দেওয়া হয়। রূপশ্রী প্রকল্প: এই প্রকল্পে কন্যার বিয়ের সময় ২৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়। যদিও এক্ষেত্রে বিশেষ কিছু শর্ত রয়েছে সেগুলো অবশ্যই মানতে হবে।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প: এই প্রকল্পে সাধারণ জাতির মহিলাদের ১০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি-উপজাতি মহিলাদের ১২০০টাকা করে প্রতি মাসে দেওয়া হয়। রূপশ্রী প্রকল্প: এই প্রকল্পে কন্যার বিয়ের সময় ২৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়। যদিও এক্ষেত্রে বিশেষ কিছু শর্ত রয়েছে সেগুলো অবশ্যই মানতে হবে।
কন্যাশ্রী প্রকল্প: উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করলে এখানে ১৮ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছাত্রীদের ২৫ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়। কৃষকবন্ধু প্রকল্প: এই প্রকল্পে যাদের চাষযোগ্য জমির রয়েছে তাদের ১০০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। এছাড়া এক একরের কম চাষযোগ্য জমি থাকলে সেক্ষেত্রে ৪ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।
কন্যাশ্রী প্রকল্প: উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করলে এখানে ১৮ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছাত্রীদের ২৫ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়। কৃষকবন্ধু প্রকল্প: এই প্রকল্পে যাদের চাষযোগ্য জমির রয়েছে তাদের ১০০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। এছাড়া এক একরের কম চাষযোগ্য জমি থাকলে সেক্ষেত্রে ৪ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ প্রকল্প: এখানে মেধাবী পড়ুয়াদের প্রত্যেক বছরে বৃত্তি হিসেবে ১০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প: এই প্রকল্পের আওতায় প্রত্যেক বছর ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা পাওয়া যায়।
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ প্রকল্প: এখানে মেধাবী পড়ুয়াদের প্রত্যেক বছরে বৃত্তি হিসেবে ১০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প: এই প্রকল্পের আওতায় প্রত্যেক বছর ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা পাওয়া যায়।
সবুজ সাথী প্রকল্প: এই প্রকল্পের আওতায় নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের বিনামূল্যে সাইকেল দেওয়া হয়। বাংলা শস্য বীমা প্রকল্প: এখানে ফসলের ক্ষতি হলে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
সবুজ সাথী প্রকল্প: এই প্রকল্পের আওতায় নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের বিনামূল্যে সাইকেল দেওয়া হয়। বাংলা শস্য বীমা প্রকল্প: এখানে ফসলের ক্ষতি হলে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
পশ্চিমবঙ্গ স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প: এই প্রকল্পে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ ধার্য করা হয়। চা সুন্দরী প্রকল্প: এই প্রকল্পে চা বাগানের শ্রমিকদের বিনা খরচে বাড়ী নির্মাণের জন্য অর্থ প্রদান করা হয়।
পশ্চিমবঙ্গ স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প: এই প্রকল্পে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ ধার্য করা হয়। চা সুন্দরী প্রকল্প: এই প্রকল্পে চা বাগানের শ্রমিকদের বিনা খরচে বাড়ী নির্মাণের জন্য অর্থ প্রদান করা হয়।
পেনশন প্রকল্প: বয়স্ক মানুষ, বিধবা মহিলা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, বৃদ্ধ কৃষক, এছাড়া SC/ST শ্রেণি, লোকশিল্পীদের মাসিক ১০০০ টাকা দেওয়া হয়। আমার ফসল আমার গোলা স্কিম: এখানে ফসল সঞ্চয় ঘর নির্মাণের জন্য ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়।
পেনশন প্রকল্প: বয়স্ক মানুষ, বিধবা মহিলা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, বৃদ্ধ কৃষক, এছাড়া SC/ST শ্রেণি, লোকশিল্পীদের মাসিক ১০০০ টাকা দেওয়া হয়। আমার ফসল আমার গোলা স্কিম: এখানে ফসল সঞ্চয় ঘর নির্মাণের জন্য ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়।
বিধবা পেনশন প্রকল্প: এই প্রকল্পে যোগ্য বিধবার সুবিধাভোগীদের প্রত্যেক মাসে পেনশন হিসেবে ১০০০ টাকা দেওয়া হয়। প্রতিবন্ধী পেনশন প্রকল্প: এই প্রকল্প যোগ্য প্রতিবন্ধীদের প্রত্যেক মাসে পেনশন হিসেবে ১০০০ টাকা দেওয়া হয়।
বিধবা পেনশন প্রকল্প: এই প্রকল্পে যোগ্য বিধবার সুবিধাভোগীদের প্রত্যেক মাসে পেনশন হিসেবে ১০০০ টাকা দেওয়া হয়। প্রতিবন্ধী পেনশন প্রকল্প: এই প্রকল্প যোগ্য প্রতিবন্ধীদের প্রত্যেক মাসে পেনশন হিসেবে ১০০০ টাকা দেওয়া হয়।
এই প্রকল্পগুলি ছাড়াও আরও বেশ কিছু প্রকল্প রয়েছে যেমন পশ্চিমবঙ্গ ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প, পশ্চিমবঙ্গ সামাজিক মুক্তি প্রকল্প, পশ্চিমবঙ্গ মৎস্যজীবী বন্ধু প্রকল্প, পশ্চিমবঙ্গ সাথী প্রকল্প।
এই প্রকল্পগুলি ছাড়াও আরও বেশ কিছু প্রকল্প রয়েছে যেমন পশ্চিমবঙ্গ ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প, পশ্চিমবঙ্গ সামাজিক মুক্তি প্রকল্প, পশ্চিমবঙ্গ মৎস্যজীবী বন্ধু প্রকল্প, পশ্চিমবঙ্গ সাথী প্রকল্প।
সমাজের প্রত্যেকটি স্তরের মানুষের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে প্রকল্পের কথা ভাবা হয়েছে। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের মাধ্যমে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় প্রকল্প সম্পর্কে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ ও আবেদন করতে পারবেন।
সমাজের প্রত্যেকটি স্তরের মানুষের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে প্রকল্পের কথা ভাবা হয়েছে। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের মাধ্যমে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় প্রকল্প সম্পর্কে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ ও আবেদন করতে পারবেন।

Lok Sabha Election 2024: ভাণ্ডার নিয়ে পা মেলালেন মা লক্ষ্মী! সে কী উৎসাহ

বাঁকুড়া: অভিনব কায়দায় ভোটের প্রচারে সাড়া ফেলল ইন্দাস। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য সরকারের সমাজিক প্রকল্পগুলিকে হাতিয়ার করে প্রতিকী প্রচার করল তৃণমূল কংগ্রেস। বাঁকুড়া জেলার সব ব্লককেই ভোট প্রচারের অভিনবত্বে টেক্কা দিল ইন্দাস ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস। মা লক্ষ্মীর সাজে হাতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে হাঁটলেন মহিলারা।

মা লক্ষ্মী সেজে গৃহকর্ত্রীর দরজায় গিয়ে রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুফল বোঝালেন মহিলা তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। শুক্রবার বাঁকুড়ার ইন্দাসের ভোট প্রচারে করিশুন্ডা অঞ্চলে একটি মহামিছিল ছিল। সেখানে এমন অভিনব দৃশ্য দেখা গেল। এছাড়াও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে অনেক মিছিলে পা মেলান।

আর‌ও পড়ুন: প্রার্থীকে দেখেই জল, মিষ্টি নিয়ে হাজির সবাই! ব্যাপারটা কী

ভোট যেন সত্যিকারের একটি উৎসব। এই মহামিছিল দেখলে সে কথা স্পষ্ট হয়ে যায়। দিনের বেলা গনগনে রোদ্দুর, তাই বিকেলের দিকে মিছিলের আয়োজন করা হয়। মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার জন্য প্রতিটি দল বিভিন্ন পন্থা নিচ্ছে। কেউ বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে করছেন জনসংযোগ। আবার কেউ প্রতীকী সাজ সেজে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। তবে সবকিছুকে টেক্কা দিয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের প্রচার।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Lakshmir Bhandar Scheme: ‘লক্ষীর ভাণ্ডারের টাকা দিয়ে সংসার চলছে…’, এঁরা কারা জানেন? দেখুন

“লক্ষী ভান্ডারের টাকা দিয়ে সংসার চলছে” বললেন মহিলা পটচিত্রশিল্পী | বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার লোকসভা কেন্দ্রের ছাতনা ব্লকের শুশুনিয়া পাহাড় সংলগ্ন গ্রাম ভরতপুর। এই ভরতপুরে বাস পটচিত্র শিল্পীদের। পটচিত্রের সঙ্গে তাদের জড়িয়ে রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস। পটচিত্র অঙ্কনে তারা সিদ্ধ হস্ত হলেও এই গ্রামের জীবন জীবিকার সঙ্গে তার সম্পর্ক ভিন্ন। লোকসভা ভোটের আগে গ্রামের ১৯ টি পরিবার নিজেদের চাওয়া পাওয়া নিয়ে সরব হলেন। বেশি শোনা গেল মহিলাদের আওয়াজ। এই মহিলাদের মধ্যে ছিলেন পট চিত্র শিল্পীরাও। মহিলাদের বক্তব্যের মধ্যে সব রকম আলোচনা উঠে এসেছে।

Lakshmi Bhandar: ভোট প্রচারে হাতিয়ার লক্ষ্মীর ভান্ডার! দেখুন ভিডিও

North Dinajpur News: সবার হাতে নানা ডিজাইনের লক্ষ্মীর ভান্ডার, মহিলাদের মন জয় করতে অভিনব ভোট প্রচার তৃণমূলের | উত্তর দিনাজপুর:মহিলা ভোট টানতে ভরসা সেই লক্ষ্মীর ভান্ডার! বাড়ি বাড়ি ‌যাচ্ছেন তৃণমূল মহিলা কর্মীরা। চৈত্রের দাবদহে পারদ যত বাড়ছে সেই সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট বেজে যাওয়ায় নির্বাচনী ভোট প্রচারেও পারদের উর্ধ্বমুখী দেখা গেল উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের বরুণা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ।

Mamata Banerjee: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মাসিক অর্থসাহায্য বৃদ্ধিতে আনন্দে উচ্ছ্বসিত বাংলার মহিলারা!

কলকাতাঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়ে কথা রাখেন। তিনি কথা দিয়েছিলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আওতায় অর্থসাহায্য বাড়ানো হবে। সেটা তিনি করে দেখিয়েছেন। সেই কারণেই তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রীকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানালেন বাংলার মহিলারা। ইতিমধ্যেই বাংলার ১.৯৯ কোটিরও বেশি উপভোক্তা বর্ধিত হারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মাসিক অর্থসাহায্য পেয়েছেন। এই ইস্যুতে জোরদার প্রচারে তৃণমূল কংগ্রেস।

চন্দননগরের বাসিন্দা সঞ্চিতা রায় বলেন, ‘‘আজ আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১,০০০ টাকা ঢুকেছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই আমি এই টাকা পেয়েছি। এর জন্য আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাতে চাই। জয় বাংলা।’’

আরও পড়ুনঃ ২ঘণ্টায় শুরু বৃষ্টি! দক্ষিণের কোন কোন জেলায় ঝড়বৃষ্টি? বড় আপডেট আবহাওয়ার

হুগলির বাসিন্দা এক বৃদ্ধা বলেন, ‘‘আজ ঘুম থেকে ওঠার পরই আমার মোবাইলে মেসেজ ঢোকে। আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১,০০০ টাকা ঢুকেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে ধন্যবাদ। তাঁকে আগামীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।’’

হুগলির বাসিন্দা আর এক মহিলার গলাতেও একই সুর শোনা যায়। তিনি বলেন, ‘‘আগে আমি ৫০০ টাকা পেতাম। কিন্তু, আজ আমি ১,০০০ টাকা পেয়েছি। আমি প্রতিমাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাই। কোনও মাসেই এই টাকা পেতে কোনও সমস্যা হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকারের আমলে বাংলার অনেক উন্নতি হয়েছে। তিনি একজন অসামান্যা নারী এবং আমাদের কল্যাণে তিনি অসংখ্য পদক্ষেপ করেছেন।’’

উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা এক উপভোক্তা বলেন, ‘‘দিদির ৬৪টি প্রকল্পের মধ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্পটি বিশ্বব্যাপী সম্মানিত হয়েছে। স্কুল পড়ুয়ারা সবকিছু পাচ্ছে – মিড ডে মিল থেকে শুরু করে বই, সবকিছু। দিদির জন্যই বাংলার মা-বোনেরা সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারছেন। তাঁদের ভারতের বাকি অংশের পরিবারগুলির মতো যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে না। এখানে কোনও স্ত্রীকে তাঁর হাত খরচের টাকা স্বামীর কাছ থেকে চাইতে হয় না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আর্থিক সহযোগিতার জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে।’’

ব্যারাকপুরের এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘আমরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আওতায় আর্থিক সহযোগিতা পাই। কন্যাশ্রী এবং স্বাস্থ্য সাথীর মতো প্রকল্পগুলি মানুষের ভীষণ উপকার করেছে।’’

এক বৃদ্ধা এরই সঙ্গে বলেন, ‘‘গত ৬-৭ বছর ধরে আমি বিধবা ভাতা পাচ্ছি। আমার পুত্রবধূ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পায়। মমতা দিদি আমাদের খুব ভালভাবেই রেখেছেন। আমাদের প্রার্থনা, আমরা যেন চিরকাল মমতা দিদির সরকারের দেখভালেই থাকতে পারি।’’

উত্তরবঙ্গের রায়গঞ্জের মহিলারা বর্ধিত হারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাওয়ার পর আনন্দে সকলকে মিষ্টিমুখ করান। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের প্রতি সমর্থন প্রদর্শন করে, তপশিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত এই মহিলারা কার্যত উৎসবে মেতে ওঠেন। তাঁদেরই মধ্য়ে একজন বলেন, ‘‘আমরা আগে মাসে ১,০০০ টাকা করে পেতাম। এখন ১,২০০ টাকা পাচ্ছি। এই কারণেই আমরা দিদিকে সমর্থন করি। আগামী দিনেও করব।’’

আর একজন মহিলা বলেন, ‘‘আমাদের যখন যা প্রয়োজন হয়েছে, দিদি তখনই সেই বিষয়ে আমাদের সাহায্য করেছেন। আমরা কেবলমাত্র দিদির সরকারই চাই, মোদীর সরকার চাই না। তিনি শুধু মিথ্য়াচার করেন। আমরা যতদি বাঁচব, চাইব, দিদিই ক্ষমতায় থাকুন।’’

প্রতিশ্রুতি পালন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আর্থিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করার জন্য জঙ্গলমহলের মহিলারাও তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকারকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন। জঙ্গলমহলের বাসিন্দা কবিতা মোদী বলেন, রাজ্যের বাকি প্রায় ২ কোটি মহিলার মতো তিনিও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আওতায় বর্ধিত আর্থিক সাহায্য পেয়েছেন। আর এক উপভোক্তা লিলি কয়াল বলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেওয়ার জন্য দিদিকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’’ এই সমস্ত মন্তব্যগুলি থেকেই স্পষ্ট, বাংলাজুড়ে সকলেই দিদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ এবং সর্বত্রই তৃণমূল কংগ্রেসের জয়জয়কার চলছে। এটা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে যে আগামী ৪ জুন বাংলা থেকে বিজেপির চিরতরে বিসর্জন হবে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্য বাজেট পেশের সময়েই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন এবং জানান, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আওতায় আর্থিক সাহায্য বাড়ানো হবে। এখনও পর্যন্ত ২.১২ কোটিরও বেশি মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা লাভ করেছেন।

বর্তমানে এই প্রকল্পের আওতায় সাধারণ শ্রেণির মহিলারা মাসে ৫০০ টাকার বদলে ১,০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত মহিলারা মাসে ১,০০০ টাকার বদলে ১,২০০ টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা পাচ্ছেন। এই সহযোগিতা পেতে উপভোক্তাদের যাতে কোনও সমস্য়া না হয়, তা নিশ্চিত করতে সরাসরি তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।