Tag Archives: Monsoon

Monsoon Rain Update: Cyclone Remal-র লেজ ধরেই কি মৌসুমী বায়ু ঢুকে যাবে বঙ্গে, বর্ষার বৃষ্টি নিয়ে বড় আপডেট IMD

Monsoon Rain Update: IMD Rain Alert  এল মৌসম বিভাগের থেকে৷ ভারতের আবহাওয়া দফতর থেকে জানা গেছে আগামী ৫ দিনের মধ্যে মৌসুমী বায়ু কেরলে প্রবেশ করে যাবে৷ মৌসুমী বায়ু স্থলভাগে প্রবেশ করার জন্য অনুকূল আবহাওয়া তৈরি হয়ে রয়েছে৷
Monsoon Rain Update: IMD Rain Alert  এল মৌসম বিভাগের থেকে৷ ভারতের আবহাওয়া দফতর থেকে জানা গেছে আগামী ৫ দিনের মধ্যে মৌসুমী বায়ু কেরলে প্রবেশ করে যাবে৷ মৌসুমী বায়ু স্থলভাগে প্রবেশ করার জন্য অনুকূল আবহাওয়া তৈরি হয়ে রয়েছে৷
মৌসুমী বায়ুর গতিবৃদ্ধির সম্ভাবনামৌসুমী বায়ুর গতিবেগ নিয়ে আইএমডি জানিয়েছে দেশের বিভিন্ন অংশে মৌসুমী বায়ুর গতি তরান্বিত হচ্ছে৷ পশ্চিমবঙ্গে এবং উত্তর পূর্ব ভারতে মৌসুমী বায়ু দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়ে রয়েছে৷
মৌসুমী বায়ুর গতিবৃদ্ধির সম্ভাবনা
মৌসুমী বায়ুর গতিবেগ নিয়ে আইএমডি জানিয়েছে দেশের বিভিন্ন অংশে মৌসুমী বায়ুর গতি তরান্বিত হচ্ছে৷ পশ্চিমবঙ্গে এবং উত্তর পূর্ব ভারতে মৌসুমী বায়ু দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়ে রয়েছে৷
সাধারণত ১ জুন নাগাদ কেরলে পৌঁছয় মৌসুমী বায়ু৷ এবার তারও আগে কেরলে পৌঁছে যেতে পারে মৌসুমী বায়ু৷ আইএমডি-র পূর্বাভাস অনুসারে ৩০-৩১ মে নাগাদ মৌসুমী বায়ু কেরলে পৌঁছে যাবে৷ কেরলে ইতিমধ্যেই প্রাক মৌসুমী বায়ু বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে৷
সাধারণত ১ জুন নাগাদ কেরলে পৌঁছয় মৌসুমী বায়ু৷ এবার তারও আগে কেরলে পৌঁছে যেতে পারে মৌসুমী বায়ু৷ আইএমডি-র পূর্বাভাস অনুসারে ৩০-৩১ মে নাগাদ মৌসুমী বায়ু কেরলে পৌঁছে যাবে৷ কেরলে ইতিমধ্যেই প্রাক মৌসুমী বায়ু বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে৷
দিল্লি- উত্তরপ্রদেশ -হরিয়ানা-রাজস্থানে কবে থেকে বৃষ্টিকেরলে পৌঁছনোর পরে আগামী ৮-১০ দিনে মৌসুমী বায়ু মুম্বইতে পৌঁছে যেতে পারে৷ ৮-১০ জুন নাগাদ মুম্বইতে মৌসুমী বায়ু পৌঁছয়৷ এবারেও মুম্বইতে সেই সময় নাগাদই পৌঁছবে মৌসুমী বায়ু৷
দিল্লি- উত্তরপ্রদেশ -হরিয়ানা-রাজস্থানে কবে থেকে বৃষ্টি
কেরলে পৌঁছনোর পরে আগামী ৮-১০ দিনে মৌসুমী বায়ু মুম্বইতে পৌঁছে যেতে পারে৷ ৮-১০ জুন নাগাদ মুম্বইতে মৌসুমী বায়ু পৌঁছয়৷ এবারেও মুম্বইতে সেই সময় নাগাদই পৌঁছবে মৌসুমী বায়ু৷
কিন্তু উত্তর ভারত পর্যন্ত মৌসুমী বায়ু পৌঁছতে এখনও সময় লাগবে৷ ১৫ জুন পর্যন্ত গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, বিহারে মৌসুমী বায়ু পৌঁছে যাবে৷ ২০ জুন নাগাদ মৌসুমী বায়ু গুজরাত ও মধ্যপ্রদেশে পৌছবে৷
কিন্তু উত্তর ভারত পর্যন্ত মৌসুমী বায়ু পৌঁছতে এখনও সময় লাগবে৷ ১৫ জুন পর্যন্ত গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, বিহারে মৌসুমী বায়ু পৌঁছে যাবে৷ ২০ জুন নাগাদ মৌসুমী বায়ু গুজরাত ও মধ্যপ্রদেশে পৌছবে৷
উত্তর ভারতে এর ৩০ দিন অর্থাৎ ১ মাসের মধ্যে মৌসুমী বায়ু পৌঁছে যাবে৷ ফলে তারিখ অনুসারে ২৭ জুন নাগাদ মৌসুমী বায়ু উত্তর ভারতে পৌঁছে যাবে৷
উত্তর ভারতে এর ৩০ দিন অর্থাৎ ১ মাসের মধ্যে মৌসুমী বায়ু পৌঁছে যাবে৷ ফলে তারিখ অনুসারে ২৭ জুন নাগাদ মৌসুমী বায়ু উত্তর ভারতে পৌঁছে যাবে৷

 

Monsoon in India: তপ্ত মুম্বইয়ে ঢুকছে বর্ষা, জানাল হাওয়া অফিস! কলকাতা-সহ বাংলায় বৃষ্টি কবে থেকে? জানুন পূর্বাভাস

মুম্বইয়ে আসতে চলেছে বর্ষা৷ আগামী ১০ বা ১১ জুন দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু পৌঁছবে বাণিজ্যনগরীতে৷ পূর্বাভাস আবহবিদদের৷
মুম্বইয়ে আসতে চলেছে বর্ষা৷ আগামী ১০ বা ১১ জুন দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু পৌঁছবে বাণিজ্যনগরীতে৷ পূর্বাভাস আবহবিদদের৷

 

মুম্বইয়ে আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা সুনীল কাম্বলি জানিয়েছেন আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছেছে দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমী বায়ু৷ কেরলে পৌঁছে যাবে ৩১ মে-এর মধ্যে৷ মুম্বইয়ে বর্ষা পৌঁছবে ১০ বা ১১ জুন৷
মুম্বইয়ে আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা সুনীল কাম্বলি জানিয়েছেন আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছেছে দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমী বায়ু৷ কেরলে পৌঁছে যাবে ৩১ মে-এর মধ্যে৷ মুম্বইয়ে বর্ষা পৌঁছবে ১০ বা ১১ জুন৷

 

চলতি মাস বা মে মাসের শেষ থেকেই মুম্বইয়ে শুরু হবে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি৷ জুনের প্রথম সপ্তাহে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে মুম্বইয়ের নানা অংশে৷ তার পর সময় এগনোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে বৃষ্টি৷
চলতি মাস বা মে মাসের শেষ থেকেই মুম্বইয়ে শুরু হবে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি৷ জুনের প্রথম সপ্তাহে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে মুম্বইয়ের নানা অংশে৷ তার পর সময় এগনোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে বৃষ্টি৷

 

তবে এখন মুম্বইয়ে তীব্র গরম৷ সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আছে আর্দ্রতাও৷ আগামী ২-৩ দিন মুম্বইয়ে এই গরম ও আর্দ্রতা থাকবে৷ পূর্বাভাস আবহবিদদের৷
তবে এখন মুম্বইয়ে তীব্র গরম৷ সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আছে আর্দ্রতাও৷ আগামী ২-৩ দিন মুম্বইয়ে এই গরম ও আর্দ্রতা থাকবে৷ পূর্বাভাস আবহবিদদের৷

 

 বর্ষার অপেক্ষায় দিন গুনছে কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গও। আবহবিদেরা বলছেন, কেরলে বর্ষা ঢোকার পরে তা ধাপে ধাপে উত্তর এবং পূর্ব ভারতের দিকে এগোতে থাকে। সেই হিসাবে ১০ জুন নাগাদ বর্ষার পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার কথা।
বর্ষার অপেক্ষায় দিন গুনছে কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গও। আবহবিদেরা বলছেন, কেরলে বর্ষা ঢোকার পরে তা ধাপে ধাপে উত্তর এবং পূর্ব ভারতের দিকে এগোতে থাকে। সেই হিসাবে ১০ জুন নাগাদ বর্ষার পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার কথা।

 

বর্ষার এই অগ্রগতি অনেকটা জুন মাসের আবহাওয়ার পরিস্থিতির উপরে নির্ভরশীল। তাই কেরলে বর্ষা সময়ে ঢুকলেও পশ্চিমবঙ্গে সময়ে ঢুকবে এমন কথা এখনই নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব নয়। কেরলে বর্ষা ঢোকার পরে কী পরিস্থিতি থাকে, তার উপরে অনেক কিছু নির্ভর করছে।
বর্ষার এই অগ্রগতি অনেকটা জুন মাসের আবহাওয়ার পরিস্থিতির উপরে নির্ভরশীল। তাই কেরলে বর্ষা সময়ে ঢুকলেও পশ্চিমবঙ্গে সময়ে ঢুকবে এমন কথা এখনই নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব নয়। কেরলে বর্ষা ঢোকার পরে কী পরিস্থিতি থাকে, তার উপরে অনেক কিছু নির্ভর করছে।

 

হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কেরলে বর্ষা দেরি করে এলেই যে বাংলাতেও বিলম্ব হবে, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। কেরলে বর্ষা প্রবেশের পরই এই ব্যাপারে স্পষ্ট হওয়া যাবে। মৌসম ভবন আরও জানিয়েছে, চলতি বছরে বর্ষা স্বাভাবিক হবে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কেরলে বর্ষা দেরি করে এলেই যে বাংলাতেও বিলম্ব হবে, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। কেরলে বর্ষা প্রবেশের পরই এই ব্যাপারে স্পষ্ট হওয়া যাবে। মৌসম ভবন আরও জানিয়েছে, চলতি বছরে বর্ষা স্বাভাবিক হবে।

India Monsoon Mega Update: এগিয়ে আসছে বর্ষা, বৃষ্টি নিয়ে বড় খবর, কী জানাল হাওয়া অফিস?

Weather Update Today | এগিয়ে আসছে বর্ষ! বৃষ্টি নিয়ে বড় খবর, কী জানাল হাওয়া অফিস? বর্ষা নিয়ে নতুন আপডেট জানিয়েছে কলকাতা আইএমডি। পূর্বাভাস বলছে এবার আগাম বর্ষা আন্দামানে। বাংলাতেও বর্ষা নির্ধারিত সময়ে। ভারতের মূল ভূখণ্ড কেরলেও বর্ষা ঢুকবে একদিন আগেই। এমনটাই অনুমান আবহাওয়াবিদদের। দেখুন বাংলা নিউজ ভিডিও (Watch bangla news video)৷

Monsoon 2024: আয় বৃষ্টি ঝেঁপে… এবার দেশে আগেই বর্ষা, দেখুন ভিডিও

আয় বৃষ্টি ঝেঁপে… এবার দেশে আগেই বর্ষা। ৩ দিন আগেই ঢুকছে বর্ষা। আন্দামানে বর্ষার ঢোকার সময় ২২ মে, এ’বছর বর্ষা ঢুকছে ১৯মে। এবার কেরলে আগেই বর্ষা। জুনের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে নয়, মে মাসের মাঝামাঝি সময়েই দেশে বর্ষার প্রবেশ ঘটবে! এমনই সুখবর শুনিয়েছে মৌসম ভবন। তাদের তরফে পূর্বাভাস, আগামী সপ্তাহেই দেশে বর্ষা শুরু হয়ে যাবে। বিশেষত আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ঢুকছে। মোটামোটি ১৯ মে নাগাদ তার প্রবেশ ঘটে যাবে। তার পর ধীরে ধীরে কেরল ও পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা (Monsoon) শুরু হবে। তবে রাজ্যে আপাতত স্বস্তির খবর নেই। মঙ্গলবার থেকে চরম গরম শুরু হয়েছে। রয়েছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। সপ্তাহভর মোটের উপর এমনই থাকবে আবহাওয়া

Monsoon update: চলতি মাসেই কেরালা হয়ে দেশে ঢুকছে বর্ষা, দিনক্ষণ জানিয়ে বড় আপডেট দিল মৌসম ভবন

দেশের মূল ভূখণ্ডে কবে প্রবেশ করতে পারে বর্ষা তা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই জল্পনা চলছিল। বুধবার বর্ষা নিয়ে বড় আপডেট দিল মৌসম ভবন।

চলতি মাসের শেষ দিন, অর্থাৎ ৩১ মে থেকে দেশের মূল ভূখণ্ডে ঢুকতে শুরু করছে বর্ষা। প্রতি বারের মতোই এ বারও কেরালা দিয়ে দেশে বর্ষা প্রবেশ করবে বলে বুধবার জানিয়েছে মৌসম ভবন।

আরও পড়ুন: রবিবার থেকেই আসছে বর্ষা! নির্ধারিত সময়ের তিনদিন আগেই দেশে ঢুকছে বর্ষা

দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর কেরালায় প্রবেশ করা কথা ছিল ১ জুন, তার পর ক্রমশ উত্তরের দিকে অগ্রসর হবে। সাধারণত ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে গোটা দেশেই বর্ষা নামার কথা। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী ৩১ মে কেরালায় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করবে, যদি ৪ দিনের এদিক ওদিক হতে পারে। বর্ষা প্রবেশ করলে গরম থেকে রেহাই মিলবে এবং কেরালা হয়ে ক্রমশ উত্তরের দিকে অগ্রসর হবে বর্ষা।

প্রসঙ্গত, গত বছর ৮ জুন কেরালায় প্রবেশ করেছিল বর্ষা, এ বার তার থেকে আগেই প্রবেশ করতে পারে। পাশাপাশি মৌসম ভবন আরও জানিয়েছে যে স্বাভাবিকের থেকে এ বার বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হবে দেশে। আগেই আইএমডি জানিয়েছিল, ১৯ মে আন্দামান এবং নিকোবরে বর্ষা প্রবেশ করবে, যা নির্ধারিত সময়ের কয়েক দিন আগে। একইভাবে কেরলে পয়লা জুন নির্ধারিত সময়ের এক দিন আগেই দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ভারতের মূল ভূখণ্ডে ঢুকে পড়বে বলে অনুমান আবহাওয়া দপ্তরের। এবার দেশের মূল ভূখণ্ডে কবে প্রবেশ করবে তা-ও জানা গেল।

Monsoon in India: রবিবার থেকেই আসছে বর্ষা! নির্ধারিত সময়ের তিনদিন আগেই দেশে ঢুকছে বর্ষা

আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে নির্ধারিত সময়ের আগেই হাজির হবে বর্ষা! এমনটাই অনুমান মৌসম ভবনের। ১৯ মে রবিবার দক্ষিণ পশ্চিমি মৌসুমী বায়ু নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রবেশ করবে। আন্দামানে এলেও ভারতে কবে বর্ষা আসবে তা নিশ্চিত করে বলেনি মৌসম ভবনের। গত বছরের তুলনায় দ্বীপপুঞ্জে তিন দিন আগে বর্ষা এলেও ভারতের মূল ভূখণ্ড কেরলে বর্ষা এসেছিল ৭ দিন বাদে। আর কলকাতায় বর্ষা প্রবেশ করেছিল ৯ দিন পরে।

আবহাওয়া দপ্তর ২৫ বছরের গড় করে একটি নির্ধারিত দিন ঠিক করে বিভিন্ন জায়গায় মৌসুমী বায়ু পৌঁছনোর। সেই হিসেব অনুযায়ী আবহাওয়া দপ্তরের ক্যালেন্ডারে আন্দামানে মৌসুমী বায়ু প্রবেশের দ্বারা নির্ধারিত দিন ২২শে মে। এর পর ভারতের মূল ভূখণ্ড কেরলে বর্ষা অর্থাৎ মৌসুমী বায়ু পৌঁছনোর নির্ধারিত দিন ১ জুন। সারা ভারতে ৮ জুলাইয়ের মধ্যে মৌসুমী বায়ু পৌঁছে যাওয়ার কথা।

আরও পড়ুন: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি এলে আদিবাসীদের জঙ্গলের অধিকার চলে যাবে, পুরুলিয়ায় বললেন অভিষেক

বাংলায় উত্তরবঙ্গে আগে বর্ষা প্রবেশ করবে। ৭ জুন প্রথমে জলপাইগুড়ি জেলাতে প্রবেশ করার কথা। উত্তরবঙ্গের প্রাণকেন্দ্র শিলিগুড়িতে ৮ জুনের মধ্যে বর্ষা প্রবেশের কথা। মৌসুমী বায়ু সাধারণত দ্বিতীয় সপ্তাহেই প্রবেশ করার কথা দক্ষিণবঙ্গে। কলকাতায় বর্ষা প্রবেশের নির্ধারিত দিনক্ষণ ১১ জুন। তবে অনেক মরসুমেই একই সঙ্গে উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করে মৌসুমী বায়ু। আন্দামানে আগে এলে ও এবার ঠিক কবে বঙ্গে প্রবেশ করবে বর্ষা সে দিকেই নজর আবহাওয়াবিদদের।

আরও পড়ুন: এনজেপি থেকে ছাড়বে ট্রেন, এক ট্রেনেই ঘোরা যাবে বৈষ্ণো দেবী, হরিদ্বার থেকে মথুরা, বৃন্দাবন, অযোধ্যা- খরচ কত?

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস গত পাঁচ বছরে কতটা মিলেছে। অন্তত কেরলে বর্ষা আসার ক্ষেত্রে। আবহাওয়া দফতর যে পূর্বাভাস দেয় সেই দিনের চার দিন আগে বা পরে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ঢুকলে সেটাকে স্বাভাবিক বলে ধরে নেওয়া হয়। কেরলে বর্ষা প্রবেশের নির্ধারিত তারিখ ১ জুন। ২০১৭ সালে আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস দিয়েছিল ৩০শে মে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বা বর্ষা ভারতের মূল ভূখণ্ডে অর্থাৎ কেরলে প্রবেশ করবে। সেবছর একেবারে ৩০শে মে-ই বর্ষা ঢুকেছিল কেরলে। ২০১৮ সালেও আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মেনে ২৯ শে মে কেরলে প্রবেশ করে বর্ষা। কিন্তু ২০১৯ সালে আবহাওয়া দফতর ৮ই জুন বর্ষা ঢুকবে বলে জানালেও মৌসুমী বায়ু তার দু’দিন আগে ৬ জুন ঢুকে পড়ে কেরলে। একই ভাবে ২০২০ সালে আবহাওয়া দফতর ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল ১ জুন নির্ধারিত সময়ে বর্ষা ঢুকবে; কিন্তু বর্ষা অনেকটা দেরি করে ৫ জুন কেরলে ঢোকে। ২০২১ সালেও ভবিষ্যদ্বাণী মেলেনি আবহাওয়া দপ্তরের। সেই বার ৩ জুন ভারতের মূল ভূখণ্ড কেরলে বর্ষা ঢুকবে বলে জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। কিন্তু দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু আগেভাগেই ৩১ মে ঢুকে পড়ে কেরলে।

Local News: এবারের বর্ষায় ভাসবে না ঘাটাল! কারণ জানলে অবাক হবেন

পশ্চিম মেদিনীপুর: ঘাটাল এবং বন্যা পারস্পরিক সমার্থক। প্রতিবছর বর্ষার সময় এলেই দুশ্চিন্তার কালো মেঘ জমে থাকে এখানকার বাসিন্দাদের মনে।প্রতিবছর নদীগর্ভে চলে যেত বসতবাড়ি। বাঁধের ধস ধীরে ধীরে আতঙ্কিত করত এলাকার মানুষকে। এবার স্বস্তির খবর দিল প্রশাসন।

আরও পড়ুন: খেলার মাঠ দখল করে পার্কিং জোন! তারপর যা হল…

শিলাবতী নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে নদী বাঁধ। কয়েকদশক ধরে এই নদী বাঁধ মেরামতের দাবি জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন থেকে জেলা, এমনকি রাজ্যস্তরেও বিভিন্ন দফতরে ভাঙন রোধে আবেদন করা হয়। তবে সম্প্রতি লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে চন্দ্রকোনার রাধানগরে শিলাবতী নদীর ভাঙন রোধে কাজ শুরু করেছে সেচ দফতর। কয়েকদশক পর নদী ভাঙন রোধে কাজ শুরু হওয়ায় বর্ষায় ভাঙনের আশঙ্কা ও দুঃশ্চিন্তা থেকে রেহাই পেতে চলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। আর এতেই খুশি ছড়িয়েছে এলাকায়।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধানগর গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে শিলাবতী নদী। তিন দশকেরও উপর এই শিলাবতী নদীর বাঁধের ভাঙন দেখে আসছেন রাধানগর গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, দশকের পর দশক ধরে রাধানগর গ্রামে শিলাবতী নদীর পাড় বন্যার সময়ে ধসে যায়। বর্তমানে বসতবাড়ির দোরগোড়ায় এসে পৌঁছেছে নদী। বাসিন্দাদের দাবি, আগে নদীর ধারে রায়ত জায়গা ছিল। তাতে বসতবাড়ি থেকে কৃষি জমিও ছিল। কিন্তু প্রতিবছর বন্যায় নদীর পাড় ধসে গিয়ে নদী গর্ভে চলে গিয়েছে। গিয়েছে বসতবাড়ি থেকে কৃষি জমি।রাধানগর এলাকার বিপজ্জনক এই নদীর বাঁধ বাঁধার জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা স্থানীয় প্রশাসন থেকে জেলা, এমনকি রাজ্য প্রশাসন পর্যন্ত জানিয়েছিলেন। তবে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে একশো দিনের কাজে মাঝে মধ্যে নদী বাঁধে মাটি ফেলে সাময়িক মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা টেকেনি। অবশেষে রাধানগর গ্রামে শিলাবতী নদীর ভাঙন ঠেকাতে উদ্যোগী হল সেচ দফতর। ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্যের অনুমোদন পাওয়ার পর গড়বেতা, আমলাগোড়া সেচ দফতর, চন্দ্রকোনার রাধানগর গ্রামে শিলাবতী নদীর ভাঙন রোধে কাজ শুরু করেছে। ১৫০ মিটার বাঁধ বাঁধার জন্য প্রায় ৫৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কাজ শুরু করেছে সেচ দফতর।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

নদী বাঁধ বাঁধার কাজ আগে হয়নি কখনও। বহু বছর পর সরকার নদী ভাঙন রোধে উদ্যোগী হওয়ায় খুশি বাসিন্দারা। তবে বোল্ডার, মোরাম ব্যবহার করে এই বাঁধ মেরামত করা হলে তাতে মেরামতের কাজ আরও পাকাপোক্ত হত বলে জানাচ্ছেন বাসিন্দারা। এলাকাবাসীর দাবি, বহু বছর ধরে এই নদীর পাড় ধসে গভীর খাদে পরিণত হয়েছে। তার উপরে রয়েছে কয়েকটি বসতবাড়ি ও কৃষি জমি। এই বাঁধ মেরামতের কাজ সম্পন্ন হলে তারা রেহাই পাবেন।আর সামান্য কয়েক মাস পরেই শুরু হবে বর্ষাকাল। স্বাভাবিকভাবে এর আগে কিছুটা স্বস্তি নদীর পাড়ের মানুষজনের।

রঞ্জন চন্দ