উত্তর দিনাজপুর: নিকাশি নালায় মশার চাষ! ক্ষোভে গ্রামবাসীরা! এই ঘটনাটি হয়েছে ইটাহার থানার পতিরাজপুর অঞ্চলের হেমতপুর গ্রামে। সামান্য বৃষ্টি এবং প্রতিদিনের নিত্য প্রয়োজনীয় জল যাওয়ার কোন ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধ হয়ে নালায় পরিণত হয়েছে । ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সেই জমা জলেই হচ্ছে মশার জন্ম। সেই মশা থেকে অবাধে ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু।
আরও পড়ুন: বিকল্প আয়ের দিশা দেখাতে স্কুলেই পদ্মচাষ, প্রশিক্ষণ নিচ্ছে পড়ুয়ারা
এতে করেই উত্তর দিনাজপুর জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছে এক ব্যক্তি। অভিযোগ গ্রামবাসীদের । উল্লেখ্য গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে নেই কোন জল নিকাশি নালা। জানা যায় গত দুবছর আগে গ্রামে জল নিকাশি নর্দমারকাজ করার জন্য রাস্তা জুড়ে গর্ত করা হয় পঞ্চায়েত দফতরের উদ্যোগে। কিন্তু গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ নর্দমা আর তৈরি হয়নি।
গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ, বর্তমানে রাস্তা জুড়ে গর্তের জমা জলে মশার উৎপাতে গ্রামের এক ব্যক্তি ডেঙ্গুর জ্বরে চিকিৎসাধীন, মনে করা হচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। তাই স্থানীয়দের একটাই দাবি তৎপরতার সাথে দ্রুত নর্দমার ব্যবস্থা করা হোক।
পিয়া গুপ্তা
বর্ষায় বেড়েছে মশার উপদ্রব। একইসঙ্গে বেড়েছে ডেঙ্গির আতঙ্ক। ঘরোয়া কিছু উপায় জেনে রাখুন যা মশা থেকে আপনার পরিবারকে রক্ষা করবে। জানিয়েছেন পতঙ্গবিদ রিম্পা ভট্টাচার্য।
বর্ষাকালে অবশ্যই জানালার কাছে তবে একটি তুলসী গাছ রেখে দিন। তুলসীর গন্ধ মশার চরম অপছন্দের। ফলে তুলসীর সাহায্য সহজেই মশা তাড়াতে পারবেন।
এই পতঙ্গবিদ বলছেন, কর্পূর মশা তাড়াতে দারুণভাবে উপকারী। বর্ষাকালে একটি বাটিতে ৫০ গ্রাম মতো কর্পূর রেখে, তাতে জল দিয়ে দিন। তারপর রেখে দিন ঘরের কোণে। দেখবেন মশা উধাও।
তিনি বলছেন, বর্ষাকালে অবশ্যই রুম স্প্রে ব্যবহার করুন। কারণ সুগন্ধ একেবারেই অপছন্দ মশাদের। তাই ঘরে সুগন্ধ থাকলে মশার উৎপাত থাকবে না। কমবে ডেঙ্গির আতঙ্ক।
পতঙ্গবিদ রিম্পা দেবী বলছেন, নিম তেল আর রসুন মশাদের যম। তাই জলে কয়েক কোয়া থেঁতো করার রসুন সেদ্ধ করে সেই জল ঘরে স্প্রে করুন। মশা থাকবে না। নিম তেল ঘরে স্প্রে করলেও মশারা ঘরে ঢুকতে সাহস করবে না।
তারা আপনার রক্ত চুষে নেয়, কানের পাশে বিরক্তিকর আওয়াজ করে। তাদের কামড় আপনার বারবিকিউ পার্টিকে করে তুলতে পারে দুর্বিষহ কিংবা জঙ্গলে হাঁটাচলায় ঘটাতে পারে বিঘ্ন। সবচেয়ে বড় কথা তাদের কামড়ে নানা রোগ ছড়ায়, এগুলোর কিছু প্রাণঘাতীও।
যাদের কথা বলা হচ্ছে তাদের সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী এই পতঙ্গের নাম মশা। বিশ্বের সব জায়গায় দাপিয়ে বেড়ায় এরা, কেবল একটি অঞ্চল ছাড়া। জানেন কি, কোন জায়গা বা দেশ সেটি?
সেই জায়গাটি হল নর্ডিক অঞ্চলের দেশ আইসল্যান্ড। কিন্তু কেন এই অঞ্চলে মশার তাণ্ডব নেই। এর উত্তর, দেশটির আবহাওয়া। আইসল্যান্ডের আবহাওয়া এত বেশি প্রতিকূল যে মশার টিকে থাকার কোনও সম্ভাবনা নেই সেখানে।
সাধারণত ডিম ফুটে একটি পূর্ণাঙ্গ মশা হতে সময় লাগে ৪০ দিন। কিছু মশা অবশ্য ব্যতিক্রম আছে। পাঁচ দিনেই পূর্ণাঙ্গ মশায় পরিণত হয়। ব্যতিক্রম তো ব্যতিক্রমেই। ও কথা বলে লাভ নেই। যাহোক, মশার পূর্ণাঙ্গ হতে ৪০ দিন সময় লাগলেও আইসল্যান্ডের তাপমাত্রা পরিবর্তন হতে কিন্তু এত সময় লাগে না।
মানে দেশটিতে একবার শীত শেষ হয়ে আবার শীত শুরু হয় ৪০ দিনের আগেই। ফলে কিছুটা বরফ গলে যা-ও একটু জলে পরিণত হয়, তা আবার বরফই হয়ে যায়। এতে মশা আর বংশবৃদ্ধি করতে পারে না। তা ছাড়া তীব্র শীতে মশার বেঁচে থাকাও মুশকিল।
আবার অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন, আইসল্যান্ডের জলাশয়ে রাসায়নিক পদার্থের যে অনুপাত রয়েছে, তা মশার বংশবৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত নয়। ফলে সব মিলিয়ে জলাশয়ের অভাব, তীব্র শীত ও স্রোতহীন নদীর অভাবে আইসল্যান্ডে মশা জন্মাতে পারে না।
এ ছাড়া মশার বংশবিস্তারের জন্য প্রয়োজন জলাশয়। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, আইসল্যান্ডের জলাশয়ে রাসায়নিকের যে অনুপাত আছে, তা মশার বংশবৃদ্ধিকে দারুণ চ্যালেঞ্জে ফেলে।
শীতের তীব্রতায় আইসল্যান্ডে মশার বংশবৃদ্ধি করতে না পারলেও, ইউরোপের অনেক শীতপ্রধান দেশে মশারা সাবলীল। আইসল্যান্ডের পাশের দেশ গ্রিনল্যান্ডে যখন শীত শুরু হয়, তখন শীতনিদ্রায় থাকে মশারা। শীত শেষে বরফ গলা শুরু হলে, তারা ডিম পাড়তে শুরু করে। আইসল্যান্ডের মতো এখানে শীত শেষ হওয়ার পর আবার হঠাৎ করে শীত চলে আসে না। তাই গ্রিনল্যান্ডে বাচ্চা ফোটানোর চক্র পূর্ণ করতে পারে মশা।
Just another WordPress site