Tag Archives: Nursing Home

North Dinajpur News: ইসলামপুরে বেসরকারি নার্সিং হোমে পাঁচ শিশু কন্যার জন্ম দিলেন এক প্রসূতি

উত্তর দিনাজপুর: ইসলামপুরে এক বেসরকারি নার্সিং হোমে এক সাথে পাঁচ শিশু কন্যার জন্ম দিলেন তাহের বেগম নামে এক প্রসূতি। জানা গিয়েছে বিহারের ঠাকুরগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা জাভেদ আলম। তাঁর স্ত্রী তাহেরা বেগম। জাভেদ ভিন রাজ্যে কাজে বাইরে রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ একাদশে পছন্দের বিষয় নিয়ে পড়তে গেলে মাধ্যমিকের কিসে কত পেতে হবে? তালিকা প্রকাশ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের

প্রথম দুই মাসের পর আল্ট্রাসোনোগ্রাফি মাধ্যমে ডাক্তার ফারজানা নুরি ওই প্রসূতিকে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন যে তার গর্ভে পাঁচ শিশু সন্তান রয়েছে। এরপর ডাক্তারের পরামর্শ মতো প্রসূতি মাকে সাহস দিতে শুরু করে ডাক্তার ফারজান নুরি।

রবিবার ভোরে ইসলামপুরের আমবাগান এলাকায় রেজা কেয়ার নামে এক বেসরকারি নার্সিং হোমে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হন তাহেরা বেগম নামে ওই প্রসূতি। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্বাভাবিক ভাবে পাঁচ শিশু কন্যার জন্ম দেন তিনি। জন্মের পর পাঁচ শিশু ও শিশুর মা সুস্থ রয়েছে এমনটাই পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে।

পিয়া গুপ্তা

Private Hospital: চিকিৎসার বিল মেটাতে হাসপাতালই বাধ‍্য করল লোন নিতে! কড়া ব‍্যবস্থা স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের 

কলকাতা: পেট যন্ত্রণা, বমি, আর চারদিন ষ্টুল পরিষ্কার না হওয়া এই ছিল উপসর্গ। তাঁর চিকিৎসাতেই শহরের নামজাদা বেসরকারি হাসপাতাল আট দিনে বিল করল ৪ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা! এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই বিলের প্রায় পৌনে ৩ লক্ষ টাকাই নাকি ওষুধ এবং চিকিৎসার সরঞ্জামের খরচ! অথচ, রোগী ফৈয়জ হোসেনের জন্য আলাদা করে এই বেসরকারি হাসপাতাল কোন মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে নি, অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত এই হাসপাতালে হয়নি কোন অস্ত্রোপচারও! এত বড় অঙ্কের বিল মেটাতে লোনের বোঝা চাপিয়ে দেয়ার মত গুরুতর অভিযোগও উঠেছে এই বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে!

আরও পড়ুনঃ ৫০ কিমি/ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া! পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব বাংলায়! ৪৮ ঘণ্টার মধ‍্যে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি জেলায় জেলায়!

বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসার পাহাড় প্রমাণ খরচের অভিযোগ প্রায়ই তোলেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। তার বিষয় অভিযোগ জানাতে স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের দ্বারস্থ হন অনেক রোগীর পরিবার। কিন্তু ‘প্রত্যাশা’র যাবতীয় সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে কলকাতার আলিপুর এলাকার বেসরকারি  হাসপাতাল। পুরো টাকা দিতে না পারা রোগীর পরিবারকে হাসপাতালে বসেই বাধ্য করা হল লোন নিতে। কোনওক্রমে ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা মেটাতে পেরেছিলেন ফৈয়জ হোসেন। আর বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের থেকে চড়া সুদে তাঁকে ঋণ নিতে হল দেড় লক্ষ টাকা! সেই টাকাতেই মেটানো হলো বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসার খরচ!

পরিবারের অভিযোগ পৌঁছতেই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখেন রাজ্যের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন। প্রথমেই বেসরকারি হাসপাতালের কাছে নির্দেশ যায়, রোগীকে ঋণমুক্ত করতে হবে। তারপর শুরু হয় ব্যবস্থা নেওয়া। স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের চেয়ার পার্সন অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘গোটা ঘটনাটা পুলিশকে তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগীকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বিল নতুন করে তৈরি করতে বলা হয়েছে এই বেসরকারি হাসপাতালকে। এর আগেও বাইপাসের ধারের এক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে একই রকম অভিযোগ উঠেছিল। তখনও স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন কড়া হাতে ব্যাবস্থা নিয়েছিল।’

Nursing: নার্সিং-এ ভর্তিতে বয়স বাধা নয়, বিজ্ঞপ্তি স্বাস্থ্য দফতরের

Nursing Admission : নার্সিং-এ ভর্তিতে বয়স বাধা নয়। নার্সিং-এ ভরতি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি স্বাস্থ্য দফতরের। নার্সিং-এ ভরতিতে রইল না বয়সসীমা। BSC,MSC,GNM কোর্সে ভরতিতে বয়স বাধা নয়।

Swastha Sathi: স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের নিয়মে বিরাট বদল! কী, কী বদল দেখে নিন এক নজর!

কলকাতাঃ স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় বেসরকারি হাসপাতালে জরুরী পরিষেবার চিকিৎসা নিয়মে বদল আনলো সরকার। দুর্ঘটনা ঘটার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে আনতে হবে রোগীকে। জমা দিতে হবে, দুর্ঘটনা সংক্রান্ত প্রামাণ্য সরকারি নথি। তবেই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে মিলবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে অপারেশন করানোর সুবিধা। অর্থাৎ দুর্ঘটনায় জখম ব্যক্তিকে আগে সরকারি হাসপাতালে দেখিয়ে, মেডিক‍‍্যাল সার্টিফিকেট নিয়ে, তারপর যেতে হবে বেসরকারি হাসপাতালে।

আরও পড়ুনঃ কাচের মতো পরিষ্কার ত্বক! ‘এই’ সবজিতেই মিলবে রূপচর্চার সমস্যার নির্ভুল সমাধান

সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমের তরফে সরকারের পোর্টালে আগে থেকে নথিভুক্ত অর্থোপেডিক সার্জেন ছাড়া অন্য কেউ অপারেশন করলে মিলবে না স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা।

সকাল ৯ টা মধ্যে চালু করতেই হবে হাসপাতালের বহির্বিভাগ। ৯:১৫ মধ্যে এসএমএস এর মাধ্যমে তা নির্দিষ্ট করতে হবে। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা হাজার হাজার রোগীদের স্বার্থের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের। এরফলে ও পি ডি চালু করতে চিকিৎসকরাও সঠিক সময় আসবেন হাসপাতালে।

Nursing Home: মালদহের এই নার্সিংহোমে সর্বনাশ কাণ্ড! সিল করে দিল প্রশাসন

সেবক দেবশর্মা, মালদহ: অবৈধ গর্ভপাতের অভিযোগ। মালদহে নার্সিংহোমে হানা প্রশাসনের। ‘সিল’ করে দেওয়া হল নার্সিংহোম। মালদহের ইংরেজবাজারের যদুপুর গাবগাছি এলাকার ঘটনা । মাসছয়েক আগেই এই নার্সিংহোম তৈরি হয়। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই নার্সিংহোমে ছয় মাসের এক প্রস্তুতির বেআইনিভাবে গর্ভপাত করানো হয়। কোনও চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়াই হয় গর্ভপাত প্রক্রিয়া।

শুধু তাই নয়, নার্সিংহোমের এডমিশন রেজিস্টরে ওই রোগীর কোনও নাম নথিভুক্ত করাও হয়নি। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াই হয়েছে অত্যন্ত চুপিসারে। আজ সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য দফতর এবং পুলিশের যৌথদল আচমকা হানা দিয়ে ওই নার্সিংহোম ‘সিল’ করে দেয়। নার্সিংহোম বন্ধের পর প্রবেশপথে নোটিশও ঝুলিয়েছে প্রশাসন।প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগেই ওই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আসে প্রশাসনের কাছে।

অভিযোগ পাওয়ার পর গত ১৪ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসনের একটি দল সেখানে সরেজমিনে তদন্তে যান। ওই তদন্তে উঠে আসে একাধিক অনিয়মের ঘটনা। এরপরেই নার্সিংহোম বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।তবে শুধুমাত্র অবৈধ গর্ভপাত নয়, এই নার্সিংহোমে রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট তৈরি হলেও কোনওরকম রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র নেই বলেও অভিযোগ।

আরও পড়ুন: এবার বড় ধাক্কা খেলেন মহুয়া মৈত্র, দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশে বিরাট অস্বস্তি!

মেডিক্যাল কলেজের বায়ো মেডিকেল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থাও অত্যন্ত খারাপ। সব মিলিয়ে শুধুমাত্র অবৈধ গর্ভপাত নয় , এখানকার পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেও রীতিমতো অসন্তুষ্ট প্রশাসন।প্রশাসন জানিয়েছে, পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে । কারণ , যেকোনও নার্সিংহোমের ওপর নির্ভর করেন বহু মানুষ।

আরও পড়ুন: ‘শেষ জবাব দিতে চলেছি’, জানুয়ারি ৭! বড় সিদ্ধান্তের পথে তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী

সেক্ষেত্রে চিকিৎসার মান যথোপযুক্ত না হলে আরও ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে। যদিও অবৈধ গর্ভপাতের অভিযোগ মানতে নারাজ নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। তাঁদের পাল্টা দাবি , সামান্য প্রযুক্তিগত সমস্যা ছিল। তবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কারো গর্ভপাত করানো হয়নি। প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ।