Tag Archives: Treatment

Psychology Fact: মৃত্যুর নাম শুনেই ভয় কেঁপে ওঠেন, অতিরিক্ত ভয় গ্রাস করে? জানেন কোন অসুখে ভুগছেন?

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মৃত্যুঞ্জয় কবিতায় বলেছিলেন, ‘আমি মৃত্যু-চেয়ে বড় এই শেষ কথা বলে/ যাব আমি চলে’’ কিন্তু মৃত্যু নিয়ে সকলেই তো এমন সাহসী তো হন না৷ নিজের বা প্রিয়জনের মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ বা ভয় থাকাই স্বাভাবিক৷
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মৃত্যুঞ্জয় কবিতায় বলেছিলেন, ‘আমি মৃত্যু-চেয়ে বড় এই শেষ কথা বলে/ যাব আমি চলে’’ কিন্তু মৃত্যু নিয়ে সকলেই তো এমন সাহসী তো হন না৷ নিজের বা প্রিয়জনের মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ বা ভয় থাকাই স্বাভাবিক৷
কিন্তু এই উদ্বেগই যখন মাত্রাতিরিক্ত হয়, তখন তা হয় অসুখের নামান্তর৷ এমনই অসুখের নাম থানাটোফোবিয়া৷ কী এই রোগ? বিশেষজ্ঞ ডাঃ বিন্দা সিং এই নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন৷
কিন্তু এই উদ্বেগই যখন মাত্রাতিরিক্ত হয়, তখন তা হয় অসুখের নামান্তর৷ এমনই অসুখের নাম থানাটোফোবিয়া৷ কী এই রোগ? বিশেষজ্ঞ ডাঃ বিন্দা সিং এই নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন৷
সড়ক দুর্ঘটনা হোক বা অসুস্থতা, যে কোনও কারণেই হোক না কেন? যারা মৃত্যুকে অনেক কাছ থেকে দেখেছে, তাঁদের মধ্যে এই ধরনের নানা সমস্যা হয়৷ বিশেষ করে প্রিয় মানুষের মৃত্যু মস্তিষ্ককে গভীরভাবে প্রভাবিত করে৷
সড়ক দুর্ঘটনা হোক বা অসুস্থতা, যে কোনও কারণেই হোক না কেন? যারা মৃত্যুকে অনেক কাছ থেকে দেখেছে, তাঁদের মধ্যে এই ধরনের নানা সমস্যা হয়৷ বিশেষ করে প্রিয় মানুষের মৃত্যু মস্তিষ্ককে গভীরভাবে প্রভাবিত করে৷
কিছু লোক বস্তুগত জিনিসকে বড্ডো ভালবাসে৷ যার ফলেই শুরু হয় সমস্যা৷ বস্তুগত টান এতটাই হয়ে যায়, যে ব্যক্তি জিনিসকে ছেড়ে যেতে ভয় পায়৷ এই কারণেই ধীরে ধীরে মৃত্যু ভয় গ্রাস করতে শুরু করে৷
কিছু লোক বস্তুগত জিনিসকে বড্ডো ভালবাসে৷ যার ফলেই শুরু হয় সমস্যা৷ বস্তুগত টান এতটাই হয়ে যায়, যে ব্যক্তি জিনিসকে ছেড়ে যেতে ভয় পায়৷ এই কারণেই ধীরে ধীরে মৃত্যু ভয় গ্রাস করতে শুরু করে৷
বিন্দা জানান এই ধরনের মানুষদের কগনিটিভ বিহেভিওরাল থেরাপি দিয়ে চিকিৎসা করানো হয়৷ এই চিকিৎসায় ভয়ের কারণ, উৎস সম্বন্ধে প্রশ্ন করা হয়৷ কাল্পনিক গল্প লিখতে বলা হয়৷
বিন্দা জানান এই ধরনের মানুষদের কগনিটিভ বিহেভিওরাল থেরাপি দিয়ে চিকিৎসা করানো হয়৷ এই চিকিৎসায় ভয়ের কারণ, উৎস সম্বন্ধে প্রশ্ন করা হয়৷ কাল্পনিক গল্প লিখতে বলা হয়৷
মৃত্যু নিয়ে বহু জনারই বহু মত রয়েছে৷ রয়েছে তার দার্শনিক ব্যাখ্যাও৷ কিন্তু যাকে এড়ানো সম্ভবই নয়, তাকে নিয়ে অতিরিক্ত ভয় পেয়ে বর্তমান নষ্টের তো কোনও মানেই হয় না৷
মৃত্যু নিয়ে বহু জনারই বহু মত রয়েছে৷ রয়েছে তার দার্শনিক ব্যাখ্যাও৷ কিন্তু যাকে এড়ানো সম্ভবই নয়, তাকে নিয়ে অতিরিক্ত ভয় পেয়ে বর্তমান নষ্টের তো কোনও মানেই হয় না৷

RG Kar case- Junior Doctor protest: জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতিতে ব্যাপক প্রভাব, এক ধাক্কায় কমল রোগীর ভর্তির পরিমাণ এবং অস্ত্রোপচারের সংখ্যা

কলকাতা: জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়ল স্বাস্থ্য পরিষেবায়। এক ধাক্কায় সরকারি মেডিকেল কলেজগুলিতে কমল আউটডোর পরিষেবা ও রোগীর ভর্তির পরিমাণ। সেই সঙ্গে কমে গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচারের সংখ্যাও।

স্বাস্থ্য দফরের মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে রিপোর্ট দিয়েছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে ১০ অগাস্ট এর পর থেকে কর্ম বিরতিতে আউটডোর পরিষেবা ৫০ শতাংশ কমেছে। সরকারি মেডিকেল কলেজগুলিতে রোগী ভর্তির পরিমাণ কমেছে ২৫ শতাংশ। সেই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচার কমেছে ৫০ শতাংশ।

আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, এবার মানসিক স্বাস্থ্যজনিত খরচও দেবে সরকার

সূত্রের খবর, প্রতি সপ্তাহে রাজ্য জুড়ে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচার হয়। সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে কলকাতার মেডিকেল কলেজগুলিতে। জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতিতে এসএসকেএম হাসপাতাল ও আরজি কর হাসপাতালে সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে।

আরও পড়ুন: কলেজে ছাত্রীদের বাথরুমে গোপন ক্যামেরা রাখার অভিযোগ! বাজেয়াপ্ত ৩০০ অশ্লীল ভিডিও ভর্তি ল্যাপটপ

জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতিতে বেশ কয়েক দিন ধরেই বিঘ্নিত হয়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবা। তাই এই নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছিল নবান্ন। স্বাস্থ্য দফতর এবার এই নিয়ে রিপোর্ট জমা দিল নবান্নে। এবার এই রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে নবান্নের তরফে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেটাই দেখার।

৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের মৃত্যু ঘিরে দেশ জুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়। এর পরেই কর্মবিরতি শুরু করের জুনিয়র ডাক্তাররা। তার পর থেকে বেশ কিছু দিন ধরে চিকিৎসা পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে আরজি করে।

Indian citizen in Bangladesh: বাংলাদেশে হোটেলের ছাদ থেকে ঝাঁপ ভারতীয়ের, আহতদের প্রাণ বাঁচাতে খুলল সীমান্ত

উত্তর ২৪ পরগনা: সরকার পতনের পরেও অশান্তির পরিস্থিতি বাংলাদেশে। এই পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তগুলিতে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। সীমান্তে অতিরিক্ত সতর্ক নিরাপত্তারক্ষীরা।

বাংলাদেশ উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝেই যশোরের একটি হোটেলে ছিলেন অসমের ব্যবসায়ী দুই ভাই রবিউল ইসলাম ও শাহিদ আলি। গতকাল রাতে সেই হোটেলেই অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। প্রাণ বাঁচাতে শাহিদ আলি উঁচু ছাদের থেকে ঝাঁপ দিয়ে পড়েন নিচে, তাতেই পা ভেঙে গিয়েছে তার বলে জানা যায়।

আরও পড়ুন: ১৪ লাখের চাকরি, ৬০০ বর্গ গজ জমি… বড় পুরস্কার পাচ্ছেন সিরাজ, কে দিচ্ছে জানেন?

ভাইকে কোনও রকমে উদ্ধার করে প্রাণে বাঁচিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করে বেনাপোল সীমান্তে নিয়ে এসে পৌঁছন দাদা। তবে দাদা রবিউলেরও আগুন লেগে ঘাড়ের মাংস পুড়ে গিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এখনও যেন সেই আতঙ্ক তাদের চোখে মুখে স্পষ্ট।

আরও পড়ুন: বাসের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা গাড়ির! মুহূর্তে হাহাকার, চলে গেল ৭টি প্রাণ, আহত বহু

চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে আসতে চেয়ে এম্বুলেন্স করে সীমান্তে আসেন তারা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে মানবিকতার দিক থেকে দু’দেশের সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়। সেখানেই দেখা যায় বাংলাদেশের অ্যাম্বুল্যান্সে করে আনা ওই রোগীকে ভারতের অ্যাম্বুলেন্সের স্থানান্তরিত করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে। এক দিকে বাংলাদেশে হানাহানি, তাণ্ডবের চিত্র সোশ্যাল মিডিয়াতে ফুটে উঠলেও, বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এমন মানবিকতার ছবি অবশ্য বিরল। সকলেই এখন চাইছেন দ্রুত শান্তি ফিরুক প্রতিবেশী দেশে।

Patient from Bangladesh: মারণরোগে আক্রান্ত স্ত্রী! কার্ফু পেরিয়ে স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ভারতে বাংলাদেশের সাহিদুল

হরষিত সিংহ, মালদহ: দেশে জ্বলছে আগুন। সেই আগুনের আঁচ পড়েছে শহর থেকে গ্রামাঞ্চলে। গোটা বাংলাদেশে এখন কার্ফু জারি। সেনাবাহিনীর টহল চলছে শহর থেকে গ্রাম। এমন পরিস্থিতিতে বাড়ি থেকে বার হতে ভয় পাচ্ছেন বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিক। কিন্তু তারপরেও দেশের এমন উত্তাল অবস্থাতেই দেশের বাইরে আসতে হল মহম্মদ সাহিদুল ইসলামকে। কারণ গত পাঁচ মাস ধরে তাঁর স্ত্রী অসুস্থ।

বাংলাদেশে চিকিৎসা সত্ত্বেও শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। একেবারে শয্যাশায়ী অবস্থায় রয়েছেন তাঁর স্ত্রী। আগে থেকেই এই সময় ভারতের ব্যাঙ্গালোরে স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে নাম নথিভুক্ত করেছেন। ভিসা পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় দেশের পরিস্থিতি। মহম্মদ সাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘আগে থেকেই ভিসা হয়েছিল। স্ত্রীকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য আসতেই হবে। তাই অনেক কষ্টে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করলাম। ব্যাঙ্গালোর যাব স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য।’’

আরও পড়ুন : মাত্র ৮ বছর বয়সেই বাজিমাত! কিক বক্সিংয়ে স্বর্ণপদক কৃষ্ণনগরের বিস্ময়বালকের

রবিবার স্ত্রীকে নিয়ে মহদিপুর স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে আসেন মহম্মদ সাইদুল ইসলাম। বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলায় তাঁর বাড়ি। বাড়িতে সন্তানদের রেখে এখন তিনি বিদেশে এসেছেন স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য। কিন্তু তাঁর মনে এখনও আতঙ্ক কাজ করছে। একদিকে স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য বিদেশে আসা, অপরদিকে দেশের অভ্যন্তরীণ অবস্থা ভয়াবহ। দুই সমস্যার মাঝে বাংলাদেশের নাগরিক মহম্মদ সাহেদুল ইসলাম। আত্মীয় তাহিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘ আমাদের দেশের অবস্থা খুব খারাপ। গোটা দেশজুড়ে কার্ফু জারি হয়েছে। এমন অবস্থায় আমাদের ভারতবর্ষে আসতে হল রোগীর চিকিৎসার জন্য।’’

ভারতবর্ষে কতদিন থাকতে হবে? এখনও তিনি সঠিক জানেন না। স্ত্রীর চিকিৎসায় কী হবে, কতদিন ধরে চিকিৎসা চলবে, এই চিন্তায় এখন তাঁর মন বিধ্বস্ত। সঙ্গে দেশের পরিস্থিতিও তাকে ভাবাচ্ছে। তিনি চান স্ত্রীকে সুস্থ করে দ্রুত দেশে ফিরতে।

Pregnant woman death: প্রসবের সময় মারা যান স্ত্রী! দেহ সৎকার করে চিতাভস্ম থেকে যা পাওয়া গেল… জানলে আপনিও শিউরে উঠবেন

মেরঠ: চিকিৎসকদের ভারতে ঈশ্বর হিসাবে মানা হয়। তাঁরা নাকি ঈশ্বরের মতো মৃত মানুষের শরীরের প্রাণ ফেরাতে পারে। কিন্তু অনেক সময় ঈশ্বরের মতো চিকিৎসকদেরও ভুলভ্রান্তি হয়। যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয় সাধারণ মানুষকে।

আরও পড়ুন: ফের বাবা ভাঙ্গার ভয়ঙ্কর ভবিষ্যদ্বাণী! ২০২৫-এ কী হবে? শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে

উত্তরপ্রদেশে সম্প্রতি একটি ঘটনা নিয়ে এমনই অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। মেরঠে সন্তানপ্রসব করতে গিয়ে সম্প্রতি মৃত্যু হয় এক মহিলার। ভাগ্যের পরিহাস মেনে নিয়ে মৃত মহিলার দেহ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসে তাঁর পরিবার। তারপরে সমস্ত ধর্মীয় আচার মেনে মৃতদেহ সৎকার করা হয়। মৃতদেহ সম্পূর্ণ দাহ হলে সেখান থেকে চিতাভষ্ম সংগ্রহ করার সময় শিউরে ওঠে পরিবার। চিতাভস্ম থেকে এমন জিনিষ পাবেন তা সেই মহিলার পরিবারের সদস্যরা আশাই করেননি।

আরও পড়ুন: দু’সপ্তাহের মধ্যেই আবার বিশ্বজয় ভারতের! ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট হলেন তৃণমূল সাংসদ

ঘটনাটি ঘটেছে রথৌরা খুর্দ গ্রামের হস্তিনাপুর থানা এলাকায়। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে মেরঠের জেকে হাসপাতালে প্রসবযন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু অপারেশন চলাকালীন প্রাণ হারান সেই মহিলা। তাঁর অস্থিভস্ম সংগ্রহ করার সময় পরিবারের সদস্যরা সেখান থেকে একটি সার্জিক্যাল ব্লেড খুঁজে পান। ঘটনার আকস্মিকতায় বাকরুদ্ধ হয়ে যায় মৃত মহিলার পরিবার। সম্পূর্ণ ঘটনা তাঁরা সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। পরিবারের অভিযোগ, অপারেশনের পরেও মহিলার শরীরে ছিল সার্জিক্যাল ব্লেড, যার জেরেই মৃত্যু হয়েছে অন্তঃসত্ত্বা মহিলার।

ঘটনার পরে মেরঠের চিফ মেডিক্যাল অফিসারের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং সাসপেন্ড করা হয়েছে অভিযুক্ত হাসপাতালের লাইসেন্স।

Free Biopsy Test: এই জেলায় বিনামূল্যে বায়োপ্সি টেস্টের সুযোগ

দক্ষিণ দিনাজপুর: দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হলেও আর চিন্তা নেই। এবার জেলাতেই মুশকিল আসান। আধুনিক চিকিৎসার সমস্ত বন্দোবস্ত ও পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে জানা গিয়েছে, চলতি মাস থেকেই বিনামূল্যে বায়োপ্সি পরীক্ষা হবে জেলায়।

ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট বা নবজাতক শিশুদের জন্য এসএনসিইউ এগুলি আগেই তৈরি হয়েছে। সেই পরিষেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাচ্ছেন জেলার মানুষ। এবার আর‌ও একধাপ এগিয়ে বালুরঘাট হাসপাতালে শুরু হতে চলেছে বিনামূল্যে বায়োপ্সি টেস্ট। যা এতদিন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় পাওয়া যেত না। বায়োপ্সি পরীক্ষা জেলায় শুরু হলে তা ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে জেলাতে বড় পদক্ষেপ হবে বলে চিকিৎসক মহলের ধারণা।

আরও পড়ুন: গণ প্রতিরোধ গড়ে টাওয়ার বসানো আটকে দিলেন গ্রামবাসীরা

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস জানিয়েছেন, আগে মালদহ, শিলিগুড়ি অথবা কলকাতা থেকে বায়োপ্সি রিপোর্ট আনতে হত। যা ছিল সময় সাপেক্ষ এবং অত্যন্ত খরচ সাপেক্ষ। এখন থেকে এই সুবিধা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে জেলাতেই পাওয়া যাবে।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নতুন ১০ তলা ভবনের অষ্টম তলায় এই বায়োপ্সি পরীক্ষার পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। এবার শুধু শুরু করার অপেক্ষা। এর আগেই জেলা হাসপাতালে এমআরআই পরিষেবা চালু হয়েছে পিপিপি মডেলে।

সুস্মিতা গোস্বামী

Homeopathy Awareness Week: ‘খরচ কম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই’, হোমিওপ্যাথি নিয়ে সচেতনতা প্রসারে বললেন বাঁকুড়ার মেডিক্যাল অফিসার

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁকুড়া: বর্তমান যুগের চিকিৎসা ব্যবস্থার খরচ প্রচন্ড বেড়ে গেছে। অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালগুলি বাদ দিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেলেই জীবনের সব সঞ্চয় শেষ হয়ে যাচ্ছে বহু মানুষের। তারপরেও মিলছে না ১০০ শতাংশ সফলতা। তবে এই চিকিৎসার খরচকে নামিয়ে নিয়ে আসা যায় নামমাত্র মূল্যে। এখন প্রশ্নটা হচ্ছে কীভাবে?

বাঁকুড়া জেলার মেডিক্যাল অফিসার (আয়ুষ শাখা) এই প্রশ্নের উত্তরে বললেন, “হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থা”। “বিশ্ব হোমিওপ্যাথিক দিবস” হল ১০ এপ্রিল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের কারণে সেই দিনটি পালন করা হয়নি বাঁকুড়ায়। তবে বাঁকুড়ায় ২৪-৩০ জুন চলছে হোমিওপ্যাথিক সচেতনতা দিবস। তাই এই সময়টাকে উপলক্ষ করেই পালন করা হচ্ছে হোমিওপ্যাথি উৎসব। এই সপ্তাহ জুড়ে চলছে হোমিওপ্যাথি সচেতনতা। জেলার হোমিওপ্যাথি ডিসপেন্সারি গুলিতেও করা হচ্ছে বিভিন্ন ক্যাম্প, যাতে মানুষের সচেতনতা বাড়ে হোমিওপ্যাথির প্রতি।

আরও পড়ুন : বর্ষায় তড়কার ডালেই পালাবে গ্যাস অম্বল বদহজম! শুধু এভাবে খেতে হবে দিনের এই সময়ে

ডিস্ট্রিক্ট মেডিক্যাল অফিসার আরও বলেন যে, ‘‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা একটা জায়গায় গিয়ে থেমে যায়, সেসব ক্ষেত্রে মানুষ এগিয়ে আসেন হোমিওপ্যাথির দিকে। এছাড়াও অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসায় রয়েছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, যেটা হোমিওপ্যাথিতে নেই বললেই চলে। বাচ্চারা খেতে চায় না অ্যালোপ্যাথি ওষুধ। বাচ্চাদের ওষুধ খাওয়ানো একপ্রকার যুদ্ধে পরিণত হয়েছে। কিন্তু হোমিওপ্যাথি ওষুধ খুব সহজেই খেয়ে নেয় বাচ্চারা।’’ এই সকল কারণের জন্যই হোমিওপ্যাথি গুরুত্ব অপরিসীম বলে মনে করছেন তিনি।

হোমিওপ্যাথি হল বিকল্প চিকিৎসার একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। এটি ১৭৯৬ সালে জার্মান চিকিৎসক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান শুরু করেছিলেন ।এর অনুশীলনকারীরা হোমিওপ্যাথ বা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক নামে পরিচিত। এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি সচেতনতা গড়ে তুলতে বাঁকুড়ায় চলছে হোমিওপ্যাথি সপ্তাহ পালন।

Kolkata treatment: ২৫ সপ্তাহের শিশুকে সুস্থ করে চিকিৎসাশাস্ত্রে নয়া দিশা দেখাল ডিভাইন নার্সিং হোম

কলকাতা: চিকিৎসা ব্যবস্থায় ক্রমশ এগিয়ে চলেছে  কলকাতা। এখন আর শরীরের কোনও সমস্যা হলেই বাংলার মানুষকে বাইরে যেতে হয় না। কলকাতাতেই পাওয়া যায় আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা। সম্প্রতি চিকিৎসার তেমনই নিদর্শন দেখা গেল ডিভাইন নার্সিং হোমে।

আরও পড়ুন: ১৯৯৯ সালে ভারতের ‘বিশ্বাস’ ভেঙেছিল পাকিস্তান, ২৫ বছর পর ভুল স্বীকার নওয়াজ শরিফের

সম্প্রতি বেলেঘাটার ডিভাইন নার্সিং হোমে, চিকিৎসক সুনীল কুমার যাদবের তত্ত্বাবধানে এক শিশুর চিকিৎসা হয়। শিশুটির জন্ম হয় মাত্র ২৫ সপ্তাহ বয়সে। এই অপরিণত শিশুটির জন্ম গ্রহণের সময় ওজন ছিল মাত্র ৬০৫ গ্রাম। জন্মের পরেই শিশুটি শ্বাসের সমস্যা- সহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। প্রাথমিক ভাবে শিশুটির চিকিৎসা করা হয় সার্ফ্যাক্ট্যান্ট এবং যান্ত্রিক ভেন্টিলেশনের মাধ্যমে। তার পরে সিপ্যাপের মাধ্যমে শ্বাসের ব্যবস্থা এবং নলে দিয়ে শিশুটির শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়। এত কিছুর পরেও ষষ্ঠ দিনে শিশুটি সেপসিস (এক ধরনের সংক্রমণ) এবং নেক্রোটাইজিং এন্টারোকোলাইটিসে (অন্ত্রের সমস্যা) আক্রান্ত হয়।

এত কিছুর পরেও লড়াই থামাননি চিকিৎসকেরা। ৭০ দিন নার্সিংহোমে থাকার পর শিশুটিকে ১৬৫০ গ্রাম ওজন নিয়ে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ে সফল হন চিকিৎসকেরা। ছেড়ে যাওয়ার সময় শিশুটির চোখ এবং কান পরীক্ষা করা হয় এবং স্বাভাবিক রিপোর্টে সবকিছুই স্বাভাবিক আসে।

Hospital ordered 10 Lakh compensation: ১৬ বছর আগে শিশুর মৃত্যু, চিকিৎসার গাফিলতির জন্য ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা হাসপাতালের

১৬ বছর আগের ঘটনা। চিকিৎসায় গাফিলতির জন্য প্রাণ যায় ১২ বছর বয়সি ছেলের। দীর্ঘ ১৬ বছর পর মিলল স্বস্তি, হাসপাতালকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১০ লক্ষ টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল দিল্লির জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা আদালত।

আরও খবর: রোদের মধ্যে বেরোতে হচ্ছে, মাথায় পরতে পারেন এসি হেলমেট, কোথায় পাওয়া যাবে?

কী হয়েছিল ১৬ বছর আগে? ২০০৭ সালে ১২ বছর বয়সি দেবানন্দকে সাপে কামড়ানোর পরে ছেলেকে নিয়ে মহাত্মা গান্ধি মিশন হাসপাতালে হাজির হন পরশুরাম। সন্তানকে বাঁচানোর জন্য় অনেক চেষ্টার পরেও প্রাণ যায় ছেলেকে বাঁচাতে পারেননি পরশুরাম। তার পরেই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন পরশুরাম।

আরও খবর: তিন বছর পরে ধরে ভারতে আটকে বাংলাদেশি শিশু, অবশেষে ফিরল দেশে

অবশেষে জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের নির্দেশে মিলল স্বস্তি। ১০ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হল হাসপাতালকে। ওই ব্য়ক্তির অভিযোগ অনুযায়ী, হাসপাতালে আক্রান্ত ছেলেকে নিয়ে যাওয়ার পরে চিকিৎসক শিনু গুপ্তা পরামর্শ দেন ছেলেকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে। কারণ সেই চিকিৎসকের ধারণা ছিল বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ সামলাতে পারবেন না পরশুরাম। যদিও অনেক অনুরোধের পরেও চিকিৎসক আক্রান্ত শিশুটির চিকিৎসা না শুরু করে আরও টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। তার পরে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ শিশুটি মারা যায়। অবশেষে সুবিচার পেলেন পরশুরাম।