Tag Archives: oldest voter

Lok Sabha Election 2024: ভোটারের বয়স ১২১ বছর! জীবনে প্রথমবার বাড়িতে বসে ভোট দিলেন ঝালন বেওয়ার

উত্তর দিনাজপুর: প্রথমবার বাড়িতে বসে ভোট দিলেন ১২১ বছরের ঝালন বেওয়ার। তিনিই সম্ভবত বাংলার সবচেয়ে প্রবীণ ভোটার। তবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও ঘোষণা করা হয়নি। করণদিঘির কুইতোরে বাড়ি প্রবীণ ঝালন বেওয়ার। তাঁর বাড়িতে ভোট নেওয়ার জন্য ভোট কর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পোলিং এজেন্ট ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা উপস্থিত ছিলেন।

২০২১ এর বিধানসভা ভোটে বাড়িতে গিয়ে প্রবীণ ও বিশেষভাবে সক্ষম ভোটারদের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া প্রথম চালু হয়েছিল। এই প্রথা মেনেই অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে শতবর্ষ পার করা ঝালন বেওয়ার ঘরের মধ্যে প্লাইউড দিয়ে অস্থায়ী বুথ তৈরি করা হয়। উল্লেখ্য, করণদিঘি বিধানসভায় ৮০ ঊর্ধ্ব ও ভোটকেন্দ্রে যেতে অক্ষম ভোটারের সংখ্যা ২২১ জন। করণদিঘি, রায়গঞ্জ, চাকুলিয়া, ইসলামপুর, গোয়ালপোখর, হেমতাবাদ, কালিয়াগঞ্জ বিধানসভার বিভিন্ন এলাকায় আরও এমন বহু ভোটার রয়েছেন। তাঁদের বাড়ি গিয়ে ভোট নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

আর‌ও পড়ুন: সকাল ৭ টা’তেই ভোটের লাইনে তরুণ বাম প্রার্থী

এদিকে প্রথমবার বাড়িতে বসে ভোট দিতে পেরে খুশি বৃদ্ধা ঝালন বেওয়ার। তিনি বলেন, অনেকটা বয়স হয়ে যাওয়ায় বেশিরভাগ সময়ই বিছানায় শুয়ে ও লাঠি হাতে চলাফেরা করে কেটে যায়। তাই লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেওয়ার ক্ষমতা নেই। বাড়িতে বসে ভোট দিতে পেরে ভাল লাগছে। এদিকে বাড়িতে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ায় তিনি জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

পিয়া গুপ্তা

Oldest Voter: বয়স ১১৪ বছর! এ বারও হেঁটে বুথে গিয়ে ভোট দিতে চান কোচবিহারের প্রবীণতমা ভোটার

সার্থক পণ্ডিত, কোচবিহার: ইতিমধ্যে নির্বাচনের উত্তাপ ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিযোগিতা। ইতিমধ্যেই কোচবিহার জেলার ভোটার তালিকার প্রবীণতম মানুষগুলির নাম ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এই তালিকার মধ্যে থাকা প্রথম নামটি হল কুমুদিনী বর্মনের। তাঁর বয়স ১১৪ বছর। শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের খলিসামারি অঞ্চলের জটামারি গ্রামের বাসিন্দা এই মহিলা। ভাবতে অবাক লাগছে? তবে এটাই সত্যি! এই বয়সে এসেও তিনি রীতিমত হেঁটে চলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে তিনি বুথকেন্দ্রে গিয়ে ভোটও দেবেন।

প্রবীণ ভোটার কুমুদিনী বর্মন জানান, জেলার মধ্যে তিনি সবচেয়ে প্রবীণ এই বিষয়টি তাঁর জানা ছিল না। তবে বিষয়টি জানার পর অনেকটাই খুশি তিনি। দীর্ঘ সময় ধরে গণতন্ত্রের উৎসব, ভোটের মধ্যে শামিল হতে বেশ ভাল লাগে তাঁর। বিগত বছরগুলিতেও তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দান প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি বুথের মধ্যে গিয়েই ভোট দান করেছেন। চলতি বছরেও বুথ কেন্দ্রে গিয়ে ভোটদানের ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। তবে এবার তাঁর জন্য কোনও আলাদা ব্যবস্থা আছে কিনা সেই বিষয়টি তাঁর জানা নেই।”

আরও পড়ুন : আজ এই রঙের কাপড় ও অন্য জিনিস দান করুন! বাঁচুন পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের কুপ্রভাব থেকে

এলাকার স্থানীয় পঞ্চায়েত সুবোধ বর্মন জানান, “গোটা জেলার মধ্যে তাঁর বুথকেন্দ্রে থাকা এই ভোটার জেলার সবচেয়ে পুরনো ভোটার। এই বিষয়টি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত আনন্দের। এত বয়সে এসেও যে তিনি যেভাবে হেঁটে চলে ঘুরে বেড়াতে পারেন এটাই আশ্চর্যের। বিগত বছর গুলিতে তাঁরা গাড়ির ব্যবস্থা করেছিলেন এই ভোটারকে বুথকেন্দ্র পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার জন্য। চলতি বছরেও নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন ঠিক এমনটাই ইচ্ছে রয়েছে তাঁদের। তবে যদি তিনি যেতে চান তাহলেই। না হলে বাড়ির মধ্যেই তাঁর ভোট দানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।”

বৃদ্ধা মহিলার পুত্রবধূ নিভা বর্মন জানান, তাঁর শাশুড়ি-মার বয়স যে জেলার মধ্যে সবচাইতে বেশি এই বিষয়টা তাঁর জানা ছিল না। তবে বিষয়টি জানার পর থেকেই তাঁদের মধ্যে এক আলাদা আনন্দ কাজ করছে। তাই ভোটের দিন শাশুড়ি-মার সঙ্গে ভোট দিতে তিনিও যাবেন ভোটকেন্দ্রে।