Tag Archives: eldest voter

Lok Sabha Election 2024: ভোট উত্তাপ মাখতে বাড়ির বদলে বুথের লাইনে ১০০ বছরের বৃদ্ধা!

পশ্চিম মেদিনীপুর: গত পাঁচটি দফার মত ষষ্ঠ দফাতর ভোটেও মানুষের উৎসাহ দেখা গেল। কমিশনের হিসাব অনুযায়ী এদিন বাংলার আটটি লোকসভা কেন্দ্র সার্বিকভাবে ভোট পড়েছে ৭৭.৯৯ শতাংশ। এরমধ্যে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৭৮.৯২ শতাংশ।

এদিন সকাল সাতটা বাজার আগে থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রের বুথগুলির সামনে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন নজরে এসেছে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে নবীদের পাশাপাশি ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছেন প্রবীণরাও। ভোটের দিন সকালে ঘাটাল লোকসভার ১০৭ নম্বর বুথে সকাল সকাল ভোট দিতে চলে আসেন বিভা সামন্ত। প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে একেবারে ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরেন ৭৫ বছর বয়সী এই বৃদ্ধা।

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ রেজাল্ট

আরও পড়ুন: গড় কাঁথি ধরে রাখতে পারবে অধিকারীরা? উত্তরের সন্ধানে সকাল সকাল ভোট সৌমেন্দুর

ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে লম্বা লাইন পড়ার আগে বুথে চলে এসেছিলেন রুপা চাঙরি ও মহেশ চাঙরি নামে এক প্রবীণ দম্পতি। মহেশবাবু বয়সের ভারে এখন অনেকটাই মুহ্যমান। তাই স্ত্রীর কাঁধে ভর দিয়ে বুথে এসে অংশগ্রহণ করেন গণতন্ত্রের সব থেকে বড় উৎসবে।

ঘাটাল লোকসভা এলাকার সুলতানপুরের অন্যতম বয়স্ক ভোটারও পৌঁছে এসে। বৃদ্ধার ছেলের বয়স ৬০ বছরের বেশি। সেই বীণাপাণি সাধুর ছেলে জানিয়েছেন, মায়ের বয়স ১০০’র কাছাকাছি। তবুও তিনি বাড়িতে ভোট না দিয়ে বুথে ভোট দিতে এসেছেন।

Oldest Voter: বয়স ১১৪ বছর! এ বারও হেঁটে বুথে গিয়ে ভোট দিতে চান কোচবিহারের প্রবীণতমা ভোটার

সার্থক পণ্ডিত, কোচবিহার: ইতিমধ্যে নির্বাচনের উত্তাপ ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিযোগিতা। ইতিমধ্যেই কোচবিহার জেলার ভোটার তালিকার প্রবীণতম মানুষগুলির নাম ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এই তালিকার মধ্যে থাকা প্রথম নামটি হল কুমুদিনী বর্মনের। তাঁর বয়স ১১৪ বছর। শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের খলিসামারি অঞ্চলের জটামারি গ্রামের বাসিন্দা এই মহিলা। ভাবতে অবাক লাগছে? তবে এটাই সত্যি! এই বয়সে এসেও তিনি রীতিমত হেঁটে চলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে তিনি বুথকেন্দ্রে গিয়ে ভোটও দেবেন।

প্রবীণ ভোটার কুমুদিনী বর্মন জানান, জেলার মধ্যে তিনি সবচেয়ে প্রবীণ এই বিষয়টি তাঁর জানা ছিল না। তবে বিষয়টি জানার পর অনেকটাই খুশি তিনি। দীর্ঘ সময় ধরে গণতন্ত্রের উৎসব, ভোটের মধ্যে শামিল হতে বেশ ভাল লাগে তাঁর। বিগত বছরগুলিতেও তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দান প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি বুথের মধ্যে গিয়েই ভোট দান করেছেন। চলতি বছরেও বুথ কেন্দ্রে গিয়ে ভোটদানের ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। তবে এবার তাঁর জন্য কোনও আলাদা ব্যবস্থা আছে কিনা সেই বিষয়টি তাঁর জানা নেই।”

আরও পড়ুন : আজ এই রঙের কাপড় ও অন্য জিনিস দান করুন! বাঁচুন পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের কুপ্রভাব থেকে

এলাকার স্থানীয় পঞ্চায়েত সুবোধ বর্মন জানান, “গোটা জেলার মধ্যে তাঁর বুথকেন্দ্রে থাকা এই ভোটার জেলার সবচেয়ে পুরনো ভোটার। এই বিষয়টি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত আনন্দের। এত বয়সে এসেও যে তিনি যেভাবে হেঁটে চলে ঘুরে বেড়াতে পারেন এটাই আশ্চর্যের। বিগত বছর গুলিতে তাঁরা গাড়ির ব্যবস্থা করেছিলেন এই ভোটারকে বুথকেন্দ্র পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার জন্য। চলতি বছরেও নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন ঠিক এমনটাই ইচ্ছে রয়েছে তাঁদের। তবে যদি তিনি যেতে চান তাহলেই। না হলে বাড়ির মধ্যেই তাঁর ভোট দানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।”

বৃদ্ধা মহিলার পুত্রবধূ নিভা বর্মন জানান, তাঁর শাশুড়ি-মার বয়স যে জেলার মধ্যে সবচাইতে বেশি এই বিষয়টা তাঁর জানা ছিল না। তবে বিষয়টি জানার পর থেকেই তাঁদের মধ্যে এক আলাদা আনন্দ কাজ করছে। তাই ভোটের দিন শাশুড়ি-মার সঙ্গে ভোট দিতে তিনিও যাবেন ভোটকেন্দ্রে।