Tag Archives: housewife

West Medinipur News: সংসার সামলে যা করেন স্নাতক পাশ এই গৃহবধূ, জানলে অবাক হবেন!

পশ্চিম মেদিনীপুর: ছোট থেকেই শখ তাঁর এটা সেটা বানানোর। কখনও উল দিয়ে কখনও আবার ধাতু। হাতের সামনে যা পান তাই দিয়েই বানিয়ে ফেলেন রকমারি জিনিস। হার,কানের দুল,চুড়ি থেকে শুরু করে মহিলাদের সাজসজ্জার নানা উপকরণ বানিয়ে চলেছেন রীণা ঘোড়াই ঘোষ। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা ব্লকের বালিচক এলাকার বাসিন্দা তিনি। বাড়ির কাজ সামলে যে বাড়তি সময় পান তাতে হাতের কাজ করেই স্বনির্ভর হচ্ছেন রীণা। বাড়িতে বসেই বানান হ্যান্ডমেড অক্সিডাইজ জাঙ্ক জুয়েলারি। সে সব বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়ে বাকিদেরও দিশা দেখাচ্ছেন তিনি।

ইদানীং মেয়েদের সাজসজ্জার নানা জিনিস বাজারে বিক্রি হয়। তবে গয়না সবই চড়া দামে। সোনা রূপোর গয়না ছেড়ে চাহিদা বেড়েছে হাতে বানানো নানা জুয়েলারির। অক্সিডাইজ জাঙ্ক জুয়েলারি কিংবা এমব্রডারি নানান গয়না বানিয়ে অনলাইনে বা বাড়ি থেকে বিক্রি করে মাসে ভালই উপার্জন করছেন রীণা। তাঁর হাতে তৈরি গয়না এখন এলাকার বাইরেও জনপ্রিয়।

শুধু হাতের কাজে দক্ষ এমনই নয়। পড়াশোনায়ও আগ্রহ ছিল রীণার। স্নাতক হওয়ার পর শিক্ষক শিক্ষণের প্রশিক্ষণও নিয়েছেন তিনি। তবে বর্তমানে যৌথ পরিবারে সংসার সামলানোর পাশাপাশি তিনি অর্থ রোজগারের পথ বেছে নিয়েছেন হাতের কাজেই। বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে তাঁর বানানো গয়নার। দামও সাধ্যের মধ্যে। ৪০টাকা থেকে ৪০০, ৫০০ টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি হচ্ছে গয়নাগুলো।

আরও পড়ুন: চা  বাগান জলের তলায়, বন্যার আতঙ্কে মেচপাড়া ও চুয়াপাড়াবাসী

চাকরির আকাল। তাই চাকরির পিছনে না ছুটে বাড়িতেই হাতের নানা জিনিস বানিয়ে স্বনির্ভরতার দিশা দেখাচ্ছেন স্নাতক পাশ এই গৃহবধূ। আগামীতে বৃহৎ আকারে এই ব্যবসার বাড়ানোর চিন্তাভাবনা রয়েছে রীণার। তাঁর স্বনির্ভরতার ভাবনা চিন্তাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন এলাকার সকলে।

রঞ্জন চন্দ

Lightning Death: তিল তুলতে গিয়ে মহাবিপত্তি, চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হল না

বাঁকুড়া: বর্ষাকালে বৃষ্টি শুরু হলেই মুখে হাসি ফোটে বাঁকুড়ার কৃষকদের। তবে একইসঙ্গে বর্ষা হয়ে ওঠে বেদনার কারণ। জমিতে কাজ করতে করতে বাজ পড়ে মৃত্যু হয় বহু মানুষের। সেইসঙ্গে রয়েছে সাপ খোপের ভয়। ঠিক তেমনই একটি ঘটনা ঘটল জেলায়। মাঠে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে মর্মান্তিক মৃত্যু হল এক গৃহবধূর, আহত একটি শিশু।

বৃষ্টি হচ্ছে কি হচ্ছে না তার ঠিক নেই। ঘন কালো মেঘ দেখা দিলেই শুরু হচ্ছে বজ্রপাত। বাঁকুড়ার খেটে খাওয়া মানুষজন দিন গুজরানের জন্য মাঠে কাজ করতে ব্যস্ত থাকেন সেই সময়। তাঁদের উপরেই যেন এই প্রাকৃতিক কোপ পড়ছে বারে বারে। কোতোলপুর থানার সাইতারা গ্রামের বাসিন্দা সীমা পাল (৩১)। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে জমিতে তিল তোলার কাজ করছিলেন। এই তিল তুলে বিক্রি করে যা আয় হয় সেটা দিয়ে সংসার চলে তাঁদের। কিন্তু সেই তিল তুলতে গিয়েই হল মহা বিপত্তি।

আর‌ও পড়ুন: ইউটিউব দেখে মডেলিংয়ে বাজিমাত! ফ্যাশন শো’তে প্রথম বন্ধ চা বাগানের তরুণ…

দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি এমনটা হতে পারে। হঠাৎ করেই শুরু হয় মুষলধারে বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি। ফলে বাড়ি ফিরে আসার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেন তাঁরা। ঠিক সেই সময় বিকট শব্দে একটি বাজ পড়ে ওই স্থানে। তাতে আহত হয় এক শিশু। অপর দিকে বজ্রপাতের আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সীমা পাল। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে আসা হয় কোতোলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Turmeric Cultivation: হলুদ চাষ করে নিজের পায়ে দাঁড়ান

উত্তর দিনাজপুর: সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি। সেই মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে স্বনির্ভর হওয়া ছাড়া অন্য গতি নেই আজকের দিনে। এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে এবার মহিলারা একজোট হয়ে হলুদ চাষ শুরু করেছেন। এই হলুদ চাষের মধ্য দিয়ে তাঁরা স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন।

উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের জলঙ্গি গ্রামের মহিলারা দুটো পয়সা লাভের মুখ দেখছেন হলুদ চাষ করে। গ্রামের ১০-১২ জন মহিলা মিলে গ্রামের জমিতে হলুদের চারা রোপণ করে চাষ করছেন। এই হলুদ তাঁরা নিজেদের জমি থেকে তুলে নিয়ে এসে হাঁড়ির মধ্যে সিদ্ধ করে শুকিয়ে তারপর বিভিন্ন হাটে- বাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করছেন। এর ফলে দুটো লাভের মুখ দেখছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।

আর‌ও পড়ুন: বোঝা নয়, চান পরিবারের অবলম্বন হতে… বিশ্বদীপের কাণ্ড দেখলে চমকে যাবেন

স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা জানান, একটা সময় তাঁদের সংসার খুবই কষ্টের মধ্যে চালাতে হত। স্বামীর একার রোজগারের উপর তাঁদের তাকিয়ে থাকতে হত। ফলে যে কোনও দরকারে হাত পাততে হত স্বামীর কাছে। কিন্তু হলুদ চাষ শুরু করার পর গোটা বিষয়টাই বদলে গিয়েছে।

বিভিন্ন হাটে হাটে গিয়ে হলুদ বিক্রি শুরু করার পর ওই মহিলাদের কাছেঅর্ডারও আসছে বিভিন্ন জায়গা থেকে। রান্নার মসলা হিসেবেই হোক কিংবা প্রসাধনী ও ভেষজ চিকিৎসা, সর্বত্রই হলুদের ব্যবহার হয় ফলে তার চাহিদা থাকে যথেষ্ট বেশি। আর সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়ে স্বনির্ভর হয়ে উঠেছেন এই মহিলারা।

পিয়া গুপ্তা