Tag Archives: Raidighi

Strom: ভয়ানক তাণ্ডব…! মাত্র কয়েক মিনিটের ঝড়ে সব শেষ, লন্ডভন্ড গোটা এলাকা, মৃত্যু গবাদিপশুর, ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি

রায়দিঘি: মাত্র কয়েক মিনিটের ঝড়। আর তাতেই ধূলিসাৎ ঘর-বাড়ি। ভেঙে পড়েছে ইলেকট্রিক পোস্ট। বিপর্যস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা। ঘটনাটি ঘটেছে রায়দিঘির নন্দকুমারপুরের মহব্বতনগরে। ঘটনার পর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এলাকায় যান রায়দিঘির বিধায়ক ডা: অলক জলদাতা।

ঠিক কি হয়েছিল এলাকায়, স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে হঠাৎ ঝোড়ো বাতাস বইতে শুরু করে প্রথমে। পড়ে সেই বাতাসের গতিবেগ মুহূর্তে বেড়ে যায়। এরপর এলাকার অধিকাংশ ঘরের ছাউনি উড়িয়ে নিয়ে যায় বাতাসে। কিছু ঘর ভেঙে পড়ে। গোয়ালঘর ভেঙে মৃত্যু হয় গবাদিপশুর।

আরও পড়ুন-     শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

প্রাণভয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ততক্ষণে আশ্রয় নেন নিকটবর্তী আশ্রয় কেন্দ্রে। ঝড় থামলে এলাকায় এসে দেখেন ততক্ষণে সব শেষ।বর্তমানে এলাকা থেকে ভাঙা ইলেকট্রিক পোস্ট সারিয়ে এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা সচল করার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন।

সকাল থেকে এলাকার বিধায়ক স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এই ঝড় নিয়ে তিনি জানিয়েছেন, আদর্শ আচরণ বিধি বলবৎ রয়েছে এলাকায়। তার মধ্যে আসা ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরা অসহায় অবস্থায় রয়েছে। সেজন্য এই মানুষগুলি যাতে সাহায্য পায় সেজন্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে অনুরোধ করব সর্বোতভাবে।

নবাব মল্লিক

South 24 Parganas News: নাব্যতা কমছে রায়দিঘির জেটির, চলছে বিকল্প ব্যবস্থার খোঁজ

রায়দিঘি: দিনের পর দিন নাব্যতা কমছে রায়দিঘির জেটির। ফলে অসুবিধা হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। যার জেরে শুরু হয়েছে বিকল্প ব্যবস্থার খোঁজ।প্রশাসন সূত্রে খবর, এই সমস্যা দূর করতে রায়দিঘি থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে ঠাকুরান নদীতে দমকল খেয়াঘাটের কাছে নগেন্দ্রপুরে নির্মান করা হবে নতুন জেটি।যেখানে নাব্যতা থাকবে অনেক বেশি। ফলে জোয়ার বা ভাটায় সমস্যা হবেনা। এমনিতেই রায়দিঘির জেটির অবস্থা সঙ্গীন হয়ে উঠেছে। এই জেটি সারানোর জন্য পরিকল্পনাও রয়েছে।

আরও পড়ুন: থেকে ‌যাবে স্মৃতি, নতুন ভোটারা গাছ লাগাল ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে

তবে নগেন্দ্রপুরের এই জেটি নির্মাণ হলে মৎস্যজীবীদের অনেক সুবিধা হবে। এই জেটিটিকে ল্যান্ডিং সেন্টার হিসাবে ব্যবহার করা যাবে। ফলে অনেক ট্রলার সেখানে দাঁড়াতে পাড়বে। যেখান থেকে গভীর সমুদ্রে যাতায়াত আরও সহজ হয়ে উঠবে। এর কাছেই তৈরি করা হবে বরফ কল। যার কাজ শেষের দিকে। ফলে মৎস্যজীবীরা খুবই উপকৃত হবেন। উপকৃত হবেন পর্যটকরাও। তারাও এই জেটি ব্যবহার করে সুন্দরবনের খুব কাছে পৌঁছে যেতে পারবেন। যেতে পারবে বনি ক্যাম্পে। ফলে এই জেটি ভবিষ্যতে যে রায়দিঘির জেটির বিকল্প হয়ে উঠবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
নবাব মল্লিক

South 24 Parganas News: শুরু স্নানযোগ, কাশীনগরের পরশকুণ্ডে পুণ্য স‍ঞ্চয়ে ভিড় হাজার হাজার পুণ্যার্থীর

নবাব মল্লিক, রায়দিঘি: কাশীনগরের পরশকুণ্ডে স্নান উপলক্ষে ভিড় জমালেন হাজার হাজার পুণ্যার্থী। প্রতি বছরের মতো এ বছরও এই স্নানযোগ শুরু হয়েছে। সরকারি হিসাবে এখনও ৮০ হাজার পুণ্যার্থী স্নান করেছেন। স্থানীয়দের বিশ্বাস এই পুকুরে স্নান করলে পুণ্য অর্জন হয়। মূলত মনের একাধিক ইচ্ছা পূরণ করতে মনের আনন্দে ডুব দেন তাঁরা। এই পুকুরটিকে বলা হয় পরশকুণ্ড। সন্তানহীন অনেক দম্পতি আসেন এই পুকুরে স্নান করতে।

আরও পড়ুন : কখনও মন্দিরে পুজো, কখনও ময়দানে জমিয়ে ফুটবল! ভোটের প্রচারে রঙিন দিলীপ ঘোষ

স্থানীয়দের দাবি, কাশীনগর এলাকা খুবই পবিত্র। এখানে এই পুকুরে স্নান করতে প্রবল বিশ্বাসে দূর দূরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ এখনও আসেন। স্থানীয়দের কাছে এই পুকুরের নাম পরশকুণ্ড। অত্যন্ত পবিত্র এই পুকুরের জল সংগ্রহ করে অনেকেই নিয়ে যান বাড়িতে। একসময় এই পুকুরের জলকে পানীয় জল হিসাবে ব্যবহার করতেন স্থানীয়রা। তবে বর্তমানে এলাকায় নলকূপ স্থাপিত হওয়ায় এই জলকে আর পানীয় জল হিসাবে ব্যবহার করা হয়না। কিন্তু পবিত্র জল হিসাবে এই পুকুরের জল সংগ্রহ করে বাড়িতে রাখেন অনেকেই। বিপদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে এই বিশ্বাসে অনেকেই সংগ্রহ করেন এই জল।

Viral News: গোটা গ্রামের কেউ মাধ্যমিক পাশ করতে পারে না এখানে! কারণ জানলে অবাক হবেন

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ওরা নদীর পাড়ে বসবাস করে। দিনের অধিকাংশ সময় কাটে নদীতে, মাছ ধরে। তাদের পরিবারের ছোট ছেলে-মেয়েরাও সহযোগিতা করে সেই কাজে। ফলে তারা আগ্রহ হারাচ্ছে পড়াশোনার প্রতি। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে শেষ চার থেকে পাঁচ বছরে গ্রাম থেকে মাধ্যমিকের গণ্ডি টপকাতে পারেনি কেউ। এমন ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মনি নদীর পাশে নিমতলা কলোনি এলাকায়।

গ্রামের অর্থনৈতিক পরিবেশও ভাল নয়। নদীর পাড়ে মাটির বাড়িতে থাকে তারা। নিজেদের আধার কার্ড, ভোটার কার্ডের সমস্যাও দূর করতে পারে না তারা। তার উপর ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল দিনের পর দিন। এই সমস্যার সমাধান বের করতে স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে নদীর পাশেই নির্মাণ করে বিদ্যাসাগর পাঠমন্দির। নদীর তীরে ছোট মাটির বেড়া দেওয়া ঘরে চলছে পাঠদান পক্রিয়া।

আরও পড়ুন:  শনিবার এই তিনটে জিনিস ভুলেও কিনবেন না! নয়তো শনিদেবের ক্রোধে সর্বনাশ হবে! অভাব ছাড়বে না!

গ্রামের ছেলে মেয়েরা উদ্যোগী হয়ে পড়াচ্ছেন সেখানে প্রায় নিখরচায়। স্থানীয় মৎস্যজীবীরা এখানে মা গঙ্গাকে আরাধ্যা দেবী হিসাবে মানেন। তাঁর কাছেই মনের সব কথা জানান তাঁরা। সেজন্য এই পাঠমন্দিরের পাশে স্থান হয়েছে তাঁর। সেখানেই সরস্বতী পুজোর মত চলে তাঁর পুজো। এই পাঠমন্দিরে রয়েছে পড়ুয়াদের জন্য অবারিত দ্বার। ছোট থেকে একটু বড় সকলেই পড়ে এখানে। গ্রামের নাম উজ্বল করার সংকল্প নিয়েছে তারা। শিক্ষার আলোকে গ্রামের শিশুদের আলোকিত করতে চায় সকলেই। তাদের এই প্রয়াস সাফল্য লাভ করুক সেটাই এখন চান সকলেই।

নবাব মল্লিক

Travel: এবার এক ছাতার তলায় একাধিক মন্দির! রায়দিঘিতে হবে ধর্মীয় পর্যটন! জানুন

রায়দিঘি: এবার এক ছাতার তলায় জুড়বে একাধিক প্রাচীন মন্দির। আর তারপর রায়দিঘিতে শুরু হবে ধর্মীয় পর্যটন। বর্তমানে সেই দিকেই এগোচ্ছে পরিকল্পনা। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন ও রাজ্য সরকারের কাছে এ নিয়ে একটি প্রস্তাব জমা পড়েছে। কোন কোন মন্দির থাকবে এই ধর্মীয় পর্যটনের মধ্যে তা জেনে নিন আপনিও।

থাকছে মা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির। এরপর থাকছে বড়াশি শিব মন্দির। সেখান থেকে পর্যটকরা যাবেন চক্রতীর্থে।  এরপর সেখান থেকে পর্যটকরা যাবেন মা নারয়নী মন্দিরে।

আরও পড়ুন: দেবী দুর্গার এই তিন মন্ত্র পাঠ করলেই সব বাধা কাটবে! সুখ, উন্নতি, টাকায় ভরবে জীবন!

সেই মন্দির দেখা হয়ে গেলে পর্যটকরা যাবেন ঐতিহাসিক জটার দেউলে। এই সব মন্দিরগুলি এক দিনেই ঘুরিয়ে দেখানো হবে। ট্যুর প্যাকেজের মধ্যে থাকবে সেগুলি। এই ধর্মীয় পর্যটন ব্যবস্থা চালু হলে আগামীদিনে যে রায়দিঘি রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে স্থান করে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বর্তমানে এই মন্দিরগুলি আলাদা, আলাদা করে দেখতে আসেন পর্যটকরা, তবে এবার সেই দিনের অবসান হবে।

নবাব মল্লিক

South 24 Parganas News: শিলান্যাসের ১৫ বছর পরেও রায়দিঘিতে আসেনি একটিও ট্রেন!

রায়দিঘি: রেললাইন সম্প্রসারণের কাজের জন্য ঘটা করে শিলান্যাস হয়েছিল করা রায়দিঘিতে। কিন্তু শিলান্যাসের ১৫ বছর পরও রায়দিঘিতে আসেনি একটিও ট্রেন। শুরুই হয়নি কোনও কাজ। প্রতি বছর নির্বাচন আসলেই সেই প্রসঙ্গ উঠে আসে সাধারণ মানুষের কথায়। কিন্তু কাজ আর হয়না।

আরও পড়ুন: আপনি কি লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান! ব্যবহার করুন সুবিধা আ্যপ

কথা ছিল জয়নগর মজিলপুর স্টেশন থেকে রায়দিঘি পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ হবে। ২০০৯ সালে রেলমন্ত্রী ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সে সময় জয়নগর মজিলপুর রেলস্টেশন থেকে রায়দিঘি পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার রেল লাইন সম্প্রসারণের জন্য শিলান্যাস করেছিলেন তিনি। রায়দিঘিতে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে ঢাকঢোল পিটিয়ে শিলান্যাস করেছিলেন তৎকালীন সাংসদ চৌধুরী মোহন জাতুয়া।

আরও পড়ুন: গরমের এই শরবতেই শরীর ও মন দুই থাকবে চনমনে! রইল সহজ রেসিপি

তারপর কেটে গিয়েছে অনেকটা সময়। কিন্তু রেললাইন আর হয়নি। মথুরাপুর ২ নং ব্লক হল নদী-নালা ঘেরা প্রত্যন্ত একটি এলাকা। এই এলাকার মানুষজনকে কলকাতায় আসতে হলে ছোট গাড়িতে করে প্রথমে ২৫ কিলোমিটার দূরে মথুরাপুরে পৌঁছাতে হয়। এরপর সেখান থেকে শিয়ালদহ যেতে হয়। রেললাইন চালু হয়ে সেই সমস্যা মিটবে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
কিন্তু কবে চালু হবে এই রেললাইন সেই প্রশ্নই এখন করছেন সাধারণ মানুষজন।
নবাব মল্লিক

Local News: জমি জট কাটিয়ে রায়দিঘিতে শুরু বাস টার্মিনাস তৈরির কাজ

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রায়দিঘিতে তৈরি হবে নতুন বাস টার্মিনাস। ফলে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। এই বাস টার্মিনাস তৈরি হলে রায়দিঘি ছাড়াও পাথরপ্রতিমা ও কুলতলির বাসিন্দারা খুবই উপকৃত হবেন।

আরও পড়ুন: কীভাবে ভেষজ আবির তৈরি করবেন? রইল সম্পূর্ণ প্রণালী

এই বাস টার্মিনাস তৈরির জন্য আগেই জায়গা দেখার কাজ শেষ হয়েছিল। শুরু হয়েছিল নির্মাণ কাজ। কিন্তু মাঝপথে সেই কাজ থমকে যায়। জমিদাতারা আদলতে যাওয়ায় কাজ মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। তবে সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে সম্প্রতি। ফলে বাস টার্মিনাস তৈরির কাজে আর কোনও বাধা রইল না। এরপরই নতুন করে কাজ শুরুর সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

আগে রায়দিঘি থেকে বাস ধর্মতলায় যেত। কিন্তু বর্তমানে সেই বাস পরিষেবা বন্ধ। বর্তমানে ছোট বাস ডায়মন্ডহারবার পর্যন্ত যায়। নতুন বাস টার্মিনাস হলে সেই সমস্যা মিটবে। এই এলাকার যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম বাস। নিকটস্থ রেলস্টেশন ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত‌। ফলে এই বাস টার্মিনাস তৈরি হওয়া খুবই প্রয়োজন। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী কয়েকবছরের মধ্যে এই বাস টার্মিনাস তৈরি হয়ে যাবে বলে আশাবাদী সকলেই।

নবাব মল্লিক

South 24 Parganas News: রায়দিঘিতে আজব কান্ড! পরিবেশপ্রেমী তৈরি করেছেন মশা ধরা যন্ত্র

রায়দিঘি: রায়দিঘিতে আজব কান্ড করছেন এক পরিবেশপ্রেমী। ওই পরিবেশপ্রেমীর নাম সুপ্রভাত দাস। নিজের বাড়িতে তিনি তৈরি করেছেন মশা ধরা যন্ত্র। তাতে রোজ ধরছেন ১০ থেকে ১২ কেজি মশা। সেগুলি একজায়গায় জড়ো করে তৈরি করছেন জৈব সার। এছাড়াও তিনি বাড়িতেই বানাচ্ছেন বীজতলা রোপন করা মেশিন। সস্তার এই মেশিন তৈরি হলে আগামীদিনে কৃষকদের উপকার হবে বলে মনে করছেন তিনি।

আরও পড়ুন: পকেটে ৫০ টাকা থাকলেই হবে, জঙ্গলে হাইকিং-নৌকা ভ্রমণ কী নেই! দোলে একদিন ঘুরে আসুন

এছাড়াও সাপ বাঁচাতে তিনি কাজ করেন নিরন্তরভাবে। সাপ দেখলেই অনেকে সেই সাপ মেরে ফেলে। এ নিয়ে লাগাতার প্রচার চালান সুপ্রভাতবাবু। এলাকায় সাপ বের হওয়ার খবর শুনলেই, সেখানে পৌঁছে যান তিনি‌। এরপর সেই সাপ ধরে জঙ্গলে ছেড়ে দিয়ে আসেন সুপ্রভাত বাবু। বাড়িতে বিভিন্ন গাছ ও গুল্মের সমাহারে একটি বাগান তৈরি করেছেন তিনি‌। এইসব নিয়েই সারাদিন এখন ব্যস্ত থাকেন সুপ্রভাত বাবু। পরিবেশকে রক্ষা করতে এই কাজ তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর এই কাজকর্মে অবাক স্থানীয় বাসিন্দারা। সারাদিনের মধ্যে অনেকেই তিনি কি করছেন তা দেখতে তাঁর বাড়িতে আসেন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত পরিবেশের স্বার্থে এই কাজ তিনি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

নবাব মল্লিক

South 24 Parganas News: বাবার মৃত্যুর পর একাই খাড়ির মিউজিয়াম সামলাচ্ছেন ছেলে

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: জানেন কি মথুরাপুর ২ নং ব্লকের খাড়িতে রয়েছে একটি মিউজিয়াম। প্রায় হাজারের উপর প্রত্নবস্তু সম্বলিত এই মিউজিয়ামটি তৈরি করেছিলেন দীনবন্ধু নস্কর। সুন্দরবনের ইতিহাসকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে একাই শুরু করেছিলেন লড়াই। বর্তমানে সুন্দরবনের ইতিহাসের একটি জীবন্ত দলিল এই মিউজিয়াম। কিন্তু দীনবন্ধু নস্কর প্রয়াত হওয়ার পর থেকে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এই মিউজিয়াম এখন ধ্বংসের মুখে। প্রায় আড়াই বছর পরও কোনও সুযোগ সুবিধা না মেলায়, বর্তমানে তাঁর পুত্র পঙ্কজ নস্কর মিউজিয়ামের দেখভাল করছেন। বাবার মত তিনিও বের হচ্ছেন প্রত্নবস্ত সংগ্রহের জন্য।

আরও পড়ুন: ইঁদুরের ফাঁদে পড়ে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ! এই বিপদের কথা জানলে চলাফেরায় আপনিও সতর্ক হবেন

নিজের চেষ্টাতে আরও প্রত্নবস্ত জোগাড় করেছেন তিনি। তবুও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে প্রত্নবস্তুগুলিতে জমেছে ধুলো। ভেঙে পড়ছে টালির চাল। ত্রিপল দিয়ে কোনোও রকমে ঢেকে রাখা হয়েছে, টিমটিম করে জ্বলা সুন্দরবনের সুপ্রাচীন ইতিহাস সম্বলিত একটি মিউজিয়ামকে।কোথায় এই মিউজিয়াম তা জানতে আপনাকে আসতে হবে রায়দিঘির খাড়িতে। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার নামখানা অথবা লক্ষীকান্তপুর লোকালে চেপে নামতে হবে মথুরাপুরে। সেখান থেকে শ্রীমতি মোড়ে নেমে গ্রামের পথ ধরে খাড়ি।

আরও পড়ুন: লাইন দেওয়ার দিন শেষ ডায়মন্ডহারবার হাসপাতালে বসেছে কিউআর কোড

এই খাড়ি ছত্রভোগ সংগ্রহশালায় রয়েছে ফসিলস, পাল ও সেন যুগের মূর্তি, প্রাগোতৈহাসিক জীবের হাড়‌। ১০ থেকে ১২ হাজার বছর আগের পাথর, শিলালিপি। নব্যপ্রস্তর যুগের হাতিয়ার, একাধিক দামী পাথর সহ আরও অন্যান্য বস্তু। এ নিয়ে, আক্ষেপের সুরে পঙ্কজ নস্কর জানিয়েছেন, এই মিউজিয়াম সুন্দরবন এলাকার ইতিহাসের দলিল। সরকারি অর্থ সাহায্যে যদি মিউজিয়ামটিকে রক্ষণাবেক্ষণ করা যায়, তাহলে সুন্দরবন এলাকার মানুষ তাদের নিজেদের এলাকায় একটি সুন্দর মিউজিয়াম দেখতে পাবে। তবে মিউজিয়ামের বর্তমান অবস্থা নিয়ে কিছুটা হতাশ তিনি।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
মিউজিয়ামের ভাঙাচোরা দশার হাল কবে ফিরবে সেই উত্তর নেই কারও কাছেই। তবে এই মিউজিয়াম ধ্বংস হওয়ার আগে বিনামূল্যে আপনিও দেখে আসতে পারেন এই সংগ্রহশালা।

নবাব মল্লিক

Ayodhya Ram Mandir: ৩০ বছরের পুরানো রামমন্দিরে পুজো দিয়েই খুশি রায়দিঘির করসেবক

রায়দিঘি: একসময় অযোধ্যায় গিয়েছেলেন করসেবক হয়ে। ছিলেন রামমন্দির আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। আর সেজন্য রামমন্দির উদ্ধোধনের দিন সেখানে থাকার জন্য আমন্ত্রণ পত্র এসেছিল তাঁর কাছে। তবুও বহু প্রতীক্ষিত সেই দিনে অযোধ্যায় সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারলেন না রায়দিঘির করসেবক তপন নস্কর‌। এর কারণ হিসাবে তপন নস্কর জানিয়েছেন বিবাদিত ধাঁচা সরিয়ে রামলালার প্রতিষ্ঠার পর, তিনি বাড়িতে এসেছিলেন। এরপর বাড়িতেই তৈরি করেন রামমন্দির। এই মন্দির এখন এলাকার পুরানো রামমন্দির হিসাবে পরিচিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: অযোধ্যা থেকে ৭৮০ কিলোমিটার দূরে রামের বিরাট ছবি

সেসময় একাই নেমেছিলেন যুদ্ধে, তারপর কেটেছে অনেকটাই সময়। প্রায় ৩০ বছর পর ভগবান শ্রী রামকে নিয়ে মানুষের মধ্যে একটা উন্মাদনা কাজ করছে। এলাকায় আরও নতুন মন্দির হয়েছে, সেগুলিও দেখভাল করতে হচ্ছে‌। বাড়ির পুজোও করতে হচ্ছে। সেজন্য এবার তিনি যেতে পারেননি। এই সমস্ত কাজ মিটলে গ্রামের অনেক মানুষকে সঙ্গে নিয়ে পরের মাসেই অযোধ্যাতে যাবেন তিনি। একসময় পাশে ছিলনা অনেকেই। তবে এখন তাঁর সঙ্গে রয়েছেন অনেক গ্রামবাসী। সেটাই এখন তাঁর কাছে খুব আনন্দের।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
ভগবান শ্রী রামের জন্য করা করসেবা আজ পূর্ণতা পেয়েছে। এই খবরে তিনি গর্বিত বলে তিনি জানিয়েছেন।

নবাব মল্লিক