Tag Archives: raniganj

West Bardhaman News: খনি অঞ্চলে সেই পুরানো সমস্যা, আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয়রা

রানীগঞ্জ, পশ্চিম বর্ধমান: গত সপ্তাহে দু’দিনের ভারী বৃষ্টিপাত। তাতেই ফিরে এসেছে সেই পুরনো সমস্যা। খনি অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে ধস নামার ঘটনা। রানীগঞ্জের বাসরা এলাকার ছুরিপাড়ায় নেমেছে একটি বিশাল ধস। একটি বসত বাড়ির পাশেই এই বিশাল ধস নামতে দেখা গিয়েছে। যা নিয়ে রীতিমত আতঙ্কিত ওই বাড়িতে বসবাসকারী পরিবারটি।

বাড়ির পাশে বিশাল ধস নামার কারণে ওই বাড়িটিতে বসবাস করতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। যেকোনও সময় বাড়িটি ধসের কবলে ধুলিস্যাৎ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বাড়ি মালিক। তিনি জানিয়েছেন, বিগত দু-তিন দিন ধরে ওই ধসের পরিমাণ বাড়ছে। অর্থাৎ ধসটি আরও এলাকা জুড়ে বিস্তৃত হচ্ছে। ধসের গভীরতা দেখলে আঁতকে উঠছেন সকলে। অন্যদিকে ধসের কারণে গ্রাম জুড়ে বাড়ছে আতঙ্ক।

এই দুর্ভোগের কারণ হিসেবে ইসিএলের ঢিলেঢালা মনোভাবকে দায়ী করছেন সকলে। অভিযোগ, ওই এলাকায় আগে ইসিএল খনন কার্য চালিয়েছে। অর্থাৎ সেখানে আগে কয়লা খনি ছিল। ফলে ওই এলাকার মাটির নিচে ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। তাদের অভিযোগ, কয়লা উত্তোলনের পর সেখানে ঠিকঠাক ভাবে বালি ভরাট করেনি ইসিএল কর্তৃপক্ষ। তার ফলে ভারী বৃষ্টিতে আলগা মাটি ধসে যাচ্ছে। আর দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন গ্রামের মানুষ।

আরও পড়ুনঃ GK: বলুন তো, বিশ্বের কোন প্রাণী ৯টি মস্তিষ্ক রয়েছে? উত্তর জানলে অবাক হবেন

প্রসঙ্গত, খনি অঞ্চলে ধস নামার ঘটনা প্রায়ই দেখা যায়। অন্ডাল, রানীগঞ্জ, পাণ্ডবেশ্বরের বিভিন্ন জায়গায় ছোট, বড় ধসের ঘটনা সামনে আসে প্রায়শই। তবে বর্ষাকালে সেই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। গত সপ্তাহে দু’দিনের ভারী বৃষ্টিপাতের পর জেলার খনি অঞ্চলে ধস নামতে দেখা যাচ্ছে। যার ফলে আতঙ্ক বাড়ছে মানুষের মধ্যে। অন্যদিকে রানীগঞ্জে বাসরা এলাকায় বসতবাড়ির পাশে বিশাল এই ধস চিন্তা বাড়িয়েছে সকলের।

নয়ন ঘোষ

Primary School: স্কুল-পড়ুয়া সব আছে, রোজ হয় মিড ডে মিল, তবুও এখানে শিকেয় উঠেছে পড়াশোনা!

পশ্চিম বর্ধমান: এটা এক বহু পুরনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাহিনী। আজ‌ও এখানে নিয়মিত আসে পড়ুয়ারা। বিদ্যালয় ভবনের হালও বেশ ভাল। সেখানে নিয়মিত মিড ডে মিল দেওয়া হয় পড়ুয়াদের। বিদ্যালয়ে এসে খেলাধুলার অবাধ অবসর রয়েছে পড়ুয়াদের কাছে। কিন্তু এই সব কিছুর মাঝেই হয় না আসল কাজটাই, বিদ্যালয়ে এসে পড়াশোনার সুযোগ‌ই পায় না ছোট ছোট পড়ুয়ারা!

এমন অবাক করা অবস্থাটি হল আসানসোল পুরনিগমের অন্তর্গত ৯০ নম্বর ওয়ার্ডের নিম্ন বুনিয়াদী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। এই বিদ্যালয়কে কেন্দ্র করেই অভিভাবকদের বড় অভিযোগ। তাঁদের অভিযোগ, এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাঠ কার্যত চুকে যেতে বসেছে। কারণ বিদ্যালয়ে প্রায় ১৫০ জন পড়ুয়া থাকলেও, শিক্ষক রয়েছেন মাত্র একজন! যিনি আবার বিদ্যালয়ের টিচার ইনচার্জ পদেও রয়েছেন। ফলে পড়ানোর থেকে অফিশিয়াল কাজকর্ম বেশি করতে হয়।

আর‌ও পড়ুন: চিংড়ি চাষ করলেই মোটা লাভ! সাহায্য করতে এগিয়ে এল মৎস্য দফতর

গত কয়েক বছরে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংখ্যা কমে গিয়েছে। অথচ নতুন শিক্ষক এখানে আর আসেননি। একজন সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তিনিও গত এপ্রিল মাসে অবসর গ্রহণ করেন। আর তারপর থেকে বিদ্যালয়ের পুরো দায়িত্ব এসে পড়েছে বর্তমান টিচার ইনচার্জের কাঁধে। তার কাঁধে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজকর্ম থেকে শুরু করে বিদ্যালয় দেখাশোনার সমস্ত দায়িত্ব রয়েছে। প্রতিদিন নিয়ম করে পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের খাবার দেওয়ার বিষয়টিও দেখতে হয়। এত কিছু করে একা মানুষের পক্ষে স্কুলের চারটি শ্রেণির ক্লাস নেওয়া আর সম্ভব হচ্ছে না।

এই সব কিছু কাজ যে একসঙ্গে একজন শিক্ষকের পক্ষে দেখা সম্ভব নয়, তা কার্যত মেনে নিয়েছেন বর্তমান টিচার ইনচার্জ। এই বিষয়টি মেনে নিচ্ছেন অভিভাবকরাও। এই বিদ্যালয়ে স্থানীয় অনেক দরিদ্র পরিবারের পড়ুয়ারা পড়াশোনা করে। এই পরিস্থিতিতে স্কুলটি বন্ধ হয়ে গেলে সকলের ক্ষতি হবে। তাই দ্রুত শিক্ষক পাঠিয়ে স্কুলের হাল ফেরানোর আবেদন জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

নয়ন ঘোষ