Tag Archives: RCB

Kohli vs Gambhir: ফের কোহলি বনাম গম্ভীর তুমুল ঝামেলা, তেড়ে যাওয়া থেকে আঙুল তুলে আক্রমণ, থামাতে হিমসিম খেল দুই দল

লখনউ: ফের একবার আইপিএলের মঞ্চে বিরাট কোহলির বনাম গৌতম গম্ভীর দ্বন্দ্ব। তাদের ‘শত্রুতার’ যেন কেনও শেষ নেই। শুরুটা হয়েছিল সেই ২০১৩ সালের আইপিএলে। কেকেআর বনাম আরসিবি ম্যাচে। এরপরও একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন এই দুই তারকা ক্রিকেটার। আইপিএল ২০২৩-এ আরসিবির বনাম লখনউ সুপার জায়ান্টসের প্রথম পর্বের সাক্ষাতে চিন্নাস্বামীতে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জেতার পর আবেগ ধরে রাখতে পারেননি গৌতম গম্ভীর। আবেগের বিস্ফোরণে করেছিলেন নানা অঙ্গভঙ্গি। সেখান থেকেই যেন বিরাট-গম্ভীর দ্বন্দের আগেুনে ফের ঘি পড়েছিল। কিন্তু লখনউয়ের মাঠে আরসিবি বদলার ম্যাচ জেতার পর বিরাট কোহলি ও গৌতম গম্ভীরের মধ্যে যেটা ঘটল তা ছাপিয়ে গেল অতীতে সব কিছুকে।

ঘটনার সূত্রপাত ম্যাচ চলাকালীন। প্রথম পর্বের হারের পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে মাঠে নিজের চেনা মেজাজে দেখা যায় বিরাট কোহলিকে। এক একটি করে লখনউয়ের উইকেট পড়েছে আর কোহলির আবেগতাড়িত সেলিব্রেশন দেখেছে সকলে। একটা সময় তো এলএসজির উইকেট পড়ার পর লখনউয়ের ডাগআউটের দিকে তাকিয়ে মুখে আঙুল দিয়ে চুপ করে থাকার ভঙ্গি দেখান কোহলি। আসলে বেঙ্গালুরুর চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে মুখে আঙুল নিয়ে দর্শকদের চুপ করিয়েছিলেন গৌতম গম্ভীর। আর বিরাট তার পাল্টা দেওয়ার পর গম্ভীরকে ক্ষুব্ধ দেখিয়েছিল। ম্যাচ চলাকালীন লখনউয়ের নবীন উল হকের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিলেন কোহলি।

ঘটনা এখানেই শেষ নয়। ম্যাচ শেষে হাত মেলানোর সময় ফের কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে কোহলি ও নবীন উল হকের। সেই সময় সেখানে উপস্থিত হন গৌতম গম্ভীর। কোহলি ও গম্ভীর হাত মেলানোর সময় এক ঝটকায় হাত ছাড়িয়ে দেন। তারপরই বাদানুবাদ শুরু হয় দু জনের মধ্যে। ছুটে আসেন দুই দলের প্লেয়ার ও কোচিং স্টাফরা। সাময়ীকভাবে পরিস্থিতি ঠান্ডা করা হয়। কিন্তু কিছু সময় পর কোহলি ও গম্ভীর দূর থেকে কিছু বলেন। তখন ফের একে অপরের দিকে তেড়ে যান। একে অপরের দিকে আঙুল তুলে চলে তুমুল বিবাদ। দুই দিল্লির ক্রিকেটারের ঝামেলা থামাতে ময়দানে নামেন অমিত মিশ্রা ও বিজয় দাহিয়া। তাদের চেষ্টায় কোনওমতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

আরও পড়ুনঃ IPL 2023: যুবরাজ-পাঠানদের খিদে মেটাতে কী হাল হয়েছিল প্রীতি জিন্টার, ১৪ বছর পর ‘রহস্য ফাঁস’

বিরাট কোহলি ও গৌতম গম্ভীরের বিবাদের এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগেনি। যেখান স্পষ্ট দেখা যায় মাঠের পরিস্থিতি কতটা উত্তপ্ত হয়েছিল। পরে কেএল রাহুলের সঙ্গেও আলাদা করে কথা বলেন বিরাট কোহলি। তখন অবশ্য পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার জন্য বিরাট কোহলি ও গৌতম গম্ভীরের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় কিনা সেটাই দেখার।

RCB vs RR: আজ কোহলি বনাম বাটলার যুদ্ধ, বাগিচা শহরে গোলাপি ঝড় তুলতে চায় রাজস্থান

বেঙ্গালুরু: দুটো দলের প্রধান শক্তি ওপেনাররাই। জস বাটলার ও যশস্বী জয়সওয়ালের দিকেই বড় রানের জন্য তাকিয়ে রাজস্থান। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে আবার ভরসা দিচ্ছেন ফাফ ডু প্লেসি ও বিরাট কোহলি। সর্বাধিক রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় গোড়ার দিকেই রয়েছেন দু’জনে। চিন্নাস্বামীতে রবিবার বিকেলে টক্কর তাই দুই দলের ওপেনারদেরই।

ছয় ম্যাচে রাজস্থানের সংগ্রহ ৮ পয়েন্ট। সঞ্জু স্যামসনের দলের নেট রান-রেটও রীতিমতো ভালো (১.০৪৩)। সমসংখ্যক ম্যাচে ব্যাঙ্গালোরের পকেটে ৬ পয়েন্ট। ডু’প্লেসিরা নেট রানরেটেও (-০.০৬৮) অনেক পিছিয়ে। তবে শেষ ম্যাচে ১৫৫ রানের টার্গেটও তাড়া করতে পারেনি রাজস্থান। ১০ রানে হেরেছে তারা। অন্যদিকে, ২৪ রানে পাঞ্জাব কিংসকে হারানোর আত্মবিশ্বাস সঙ্গী আরসিবি’র।

সেই বিচারে টগবগে থাকার কথা হোম টিমেরই। ওপেনিংয়ে বাটলার-যশস্বী ঝড় তুললেও রাজস্থানকে চিন্তায় রাখছে মিডল অর্ডারে ধারাবাহিকতার অভাব। অধিনায়ক সঞ্জু ও ক্যারিবিয়ান শিমরন হেটমায়ার রান করেছেন ঠিকই, তবে কেউই নিয়মিতভাবে রান পাননি। দেবদূত পাদিক্কাল ও রিয়ান পরাগ আবার প্রত্যাশাপূরণে ব্যর্থ। পেস বোলিংয়ে ট্রেন্ট বোল্ট সেরা অস্ত্র রয়্যালসদের।

পাওয়ার প্লে চলাকালীন আঘাত হানছেনও বাঁহাতি পেসার। ডু’প্লেসি ও কোহলিরকে নিশ্চিতভাবেই চ্যালেঞ্জ জানাবেন তিনি। সন্দীপ শর্মার অভিজ্ঞতাও ওজন বাড়াচ্ছে বোলিংয়ের। স্পিন বিভাগে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের উপস্থিতি বৈচিত্র্য বাড়াচ্ছে। শুধু বল হাতেই নয়, ব্যাট হাতেও দরকারে কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারেন অ্যাশ।

তবে লেগস্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল সেরা ছন্দে নেই। বেশি রান দিয়ে ফেলছেন তিনি। ডু’প্লেসি ও কোহলি উভয়ের ব্যাট থেকেই এখনও পর্যন্ত এসেছে চারটি হাফ-সেঞ্চুরি। তবে ভিকে’র স্ট্রাইক রেট নিয়ে ফিসফাস চলছে। সমালোচকদের বক্তব্য, স্পিনের বিরুদ্ধে রানের গতি বাড়াতে পারছেন না তিনি।

আসলে আরসিবি মিডল অর্ডারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ছাড়া নির্ভরযোগ্য কেউ না থাকাও হয়তো বিরাটের ক্রিজে টিকে থাকতে চাওয়ার কারণ। দীনেশ কার্তিক, শাহবাজ আহমেদ, মহীপাল লোমরোর, সুয়শ প্রভু দেশাইরা ঝড় তুলতে ব্যর্থ। তবে বাটলার-যশস্বীকে নিশ্চিতভাবেই চাপে রাখবেন মহম্মদ সিরাজ। ছয় ম্যাচে তাঁর পকেটে ১২ উইকেট।

KKR: শাহরুখের সামনে শপথ বাক্য পাঠ টিম কেকেআরের, ড্রেসিংরুমের ভাইরাল ভিডিও দেখুন

কলকাতা: কলকাতা নাইট রাইডার্স এত সহজে আরসিবি দলটাকে হারিয়ে দেবে বোঝা যায়নি। কিন্তু এটাই ক্রিকেট। আগে থেকে অনেক ভবিষ্যৎবাণী মিলে না। এমনিতে দলের ওজনে এবং ধারে ভারে এগিয়েছিল বেঙ্গালুরু। কিন্তু বৃহস্পতিবার কেকেআর যে খেলাটা তুলে ধরেছে তার জবাব ছিল না বিরাট কোহলিদের কাছে। ম্যাচ জয়ের পর ইডেনের ড্রেসিংরুমে শাহরুখ খানের সঙ্গে সেলিব্রেশনে মাতল গোটা দল।

সেলিব্রেশন কথাটা হয়তো ঠিক নয়। বলা উচিত গোটা দলকে নতুন শপথ নেওয়ালেন কিং খান। ম্যাচ জয়ের পর শাহরুখের আনন্দের ভিডিও এবং ছবি প্রত্যেকেই দেখেছেন। কিন্তু ড্রেসিংরুমের ভেতরের ছবি এমনি দেখা সম্ভব নয়। সেটাই নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে কেকেআর। সেখানে দেখা যাচ্ছে শাহরুখ খান রিঙ্কু সিং কে বলছেন তুমি লিড কর, আমরা সবাই একসঙ্গে বলব।

রিঙ্কু খানিকটা লজ্জা পেতে শাহরুখ নিজেই শুরু করলেন শপথ বাক্য। তিনি বলেন, আমরা কেকেআর, আমাদের রক্ত এই জার্সির জন্য লড়াই করবে। অবস্থান যতই কঠিন হোক আমরা প্রতিটা ম্যাচে নিজেদের উজাড় করে দেব। কোচ চন্দ্রকান্ত পন্ডিত, অভিষেক নায়ার এবং গোটা দল এরপর হাততালি এবং শ্যাম্পেন ওপেন করেন।

আবার প্রত্যেককে জড়িয়ে ধরে চুমু খান শাহরুখ। বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন একটা দল হিসেবে লড়াই করতে পারলে এই কেকেআর অনেক দলের রাতের ঘুম কেড়ে নেবে। পাঠান আসতেই নাইটরা বাদশা প্রমাণ পেল কলকাতা। তবে একটা ম্যাচের জন্য নয়, পুরো টুর্নামেন্টে এভাবে খেলতে হবে ছেলেদের মনের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছেন স্বয়ং কিং খান। এর থেকে বড় মোটিভেশন আর কী হতে পারে?

Suyash Sharma: অভিষেকেই ৩ উইকেট নিয়ে বাজিমাত, সুয়াশ শর্মার মিস্ট্রি স্পিনের জাদু চললে কপালে দুঃখ রয়েছে অনেক দলের

কলকাতা: আইপিএল শুরু অনেক আগেই কেকেআরের অনুশীলনে নজর কেড়েছিলেন সুয়াশ শর্মা। একটু ঘষে-মেজে নিতে পারলেই এই তরুণের লেগ স্পিনার ধাঁধা সমস্যায় ফেলতে পারে তাবড় তাবড় ব্যাটারদের তা তখনই বুঝতে পেরেছিল কেকেআর টিম ম্যানেজম্যান্ট। কেকআর সুনীল নারিন ও বরুণ চক্রবর্তীর সঙ্গে যে আরও এক মিস্ট্রি স্পিনার পাওয়ার আভাস তখনই পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা ছাড়া আইপিএলের মত বড় মঞ্চের চাপ কতটা নিতে পারবে তা নিয়ে একটা প্রশ্ন চিহ্ন ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার ইডেনে আরসিবির মত তারকাখোচিত দলের বিরুদ্ধে স্বপ্নের অভিষেক করলেন সুয়াশ শর্মা।

আরসিবির বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে ছিলেন না সুয়াশ শর্মা। কেকেআরের বোলিংয়ের সময় ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামেন তিনি। কিন্তু অভিষেকেই যে এই ১৯ বছরের তরুণ লেগ স্পিনার বাজিমাত করে দেবেন তা কল্পনাও করতে পারেননি অনেকে। ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়েছেন তিনি। ইডেনে নীতিশ রানা যখন সুয়াশ শর্নার হাচতে বল তুলে দেন তার আগে সুনীল নারিন ও বরুণ চক্রবর্তীরা জোর ধাক্কাটা দিয়ে দিয়েছে। তবুও অভিষেক ম্যাচে বল করার একটা চাপ থেকেই যায়। কিন্তু সেই চাপ কাটিয়ে যে বোলিংটা এদিন সুয়াশ শর্মা করলেন তা অনবদ্য বললেও কম হবে। ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। তার শিকারের ঝুলিতে রয়েছে দীনেশ কার্তিক, অনুজ রাওয়াত ও করণ শর্মাদের নাম। সুয়াশের বলের গতি, লাইন, লেংথ, গুগলি, লেগ স্পিনা সব কিছুই বোঝা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়ছিল আরসিবি ব্যাটারদের। অভিষেক ম্যাচেই নিজেকে প্রমাণ করতে পেরে খুশি এই তরুণ লেগ স্পিনার।

আরও পড়ুনঃ কোহলিকে ‘ঝুমে জো পাঠান’ গানের স্টেপ শেখালেন শাহরুখ, মেতে উঠল গোটা ইডেন, ভাইরাল ভিডিও

আরসিবির বিরুদ্ধে ৩ উইকেট নিয়ে শিরোনামে উঠে এসেছেন এই মিস্ট্রি স্পিনার। কিন্তু কে এই সূয়াশ শর্মা তা এখনও অনেকের কাছেই অচেনা। সূয়াশ শর্মার বয়স ১৯ বছর। জন্ম ২০০৩ সালে ১৫ মে। দিল্লির বাসিন্দা। লেগ স্পিন বোলিং করার পাশাপষি ডান হাতি ব্যাটার তিনি। ছোট থেকেই ক্রিকেট প্রতি ভালোবাসা তার। ক্লাব লেভেলে ক্রিকেট খেললেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এখনও অভিষেক হয়নি। তবে আইপিএলের মত বিশ্বমানের মঞ্চে যেভাবে শুরু করেছেন সুয়াশ সেটা ধরে রাখতে পারলে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না এই মিস্ট্রি লেগ স্পিনারের।

KKR vs RCB: এক ম্যাচ হেরেই দিশেহারা কেকেআর? আরসিবি ম্যাচে দলে হতে পারে বড় পরিবর্তন

কলকাতা: নতুন অধিনায়ক ও নতুন কোচের অধীনে জয় দিয়ে আইপিএল ২০২৩ মরসুম শুরু করতে চেয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ডিএলএস নিয়মে ৭ রানে হারতে হয়েছে কেকেআরকে। তবে প্রথম ম্যাচ হারের পর নাইটদের ব্যাটিং-বোলিং পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্নের মুখে পড়েছে অধিনায়ক নীতিশ রানার অধিনায়কত্ব। ফলে ৬ তারিখ ঘরের মাঠে ইডেন গার্ডেন্সে নামার আগে চাপে রয়েছে কোচ চন্দ্রকান্ত পন্ডিতের দল।

এখনও পর্যন্ত যা খবর দ্বিতীয় ম্যাচের নামার আগে দলের প্রথম একাদশ কী হবে তা নিয়ে তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে কেকেআর টিম ম্যানেজম্যান্ট। ইতিমধ্যেই প্রথম একাদশে একাধিক পরিবর্তন হতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। তার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় কেকেআরের তরফ থেকে শেয়ার করা হয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে নারায়ণ জগদীশান অনুশীলনে একের পর এক বাউন্ডারি মারছেন। অবলীলায় খেলছেন পেসারদের। ভিডিও শেয়ার করে কেকেআরের তরফে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে নারায়ণ জগদীশানের জন্য তৈরি থাকুন।

প্রথম ম্যাচে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে ছিলেন না এন জগদীশান। যা নিয়ে প্রশ্নও উঠেছিল। কারণ গত মরসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে স্বপ্নের ফর্মে ব্যাট করেছেন জগদীশান। টানা ৫টি শতরান করেছিলেন। এর আগে সিএসকেতে ছিলেন জগদীশান। কিন্তু খুব একটা সুযোগ পাননি। আইপিএল ২০২৩-এর নিলামে তাকে দলে নেয় কেকেআর। সুযোগ আসলে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন এন জগদীশান।

আরও পড়ুনঃ Indian Railways: ভারতে প্রথম ট্রেন যাত্রা কবে, কোন স্টেশনে থেকে কোথায় গিয়েছিল, যাত্রী ছিল কারা

প্রসঙ্গত, কলকাতা নাইটরাইডার্সের পরবর্তী ম্যাচ ৬ তারিখ। প্রতিপক্ষ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। ইডেন গার্ডেন্সে দীর্ঘ দিন পর খেলবে কেকেআর। ২০১৯ সালের পর আর ইডেনে হয়নি আইপিএলে কেকেআের ম্যাচ। কেকেআর বনাম আরসিবি ম্যাচ ঘিরে উন্মাদনার পারদ তুঙ্গে ক্রিকেট প্রেমিদের মধ্যে। তবে প্রথম ম্যাচ হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে কেকেআরের প্রথম একাদশ কী হয় সেটাই দেখার।

Virat Kohli: বিরাট দাপট! ৮ কোটির ভয়ঙ্কর পেসারকে ছাতু করে নতুন বার্তা কিং কোহলির

বেঙ্গালুরু: ৮ কোটি টাকা দিয়ে ইংল্যান্ডের সেরা ফাস্ট বোলার জোফ্রা আর্চারকে দলে নিয়েছিল মুম্বই। বুমরাহ নেই। তাই রোহিত শর্মার দলের প্রধান স্ট্রাইক বোলার তিনি। দুরন্ত গতিতে বল করতে পারেন তাতে সন্দেহ ছিল না। অতীতে আর্চারকে খেলতে গিয়ে লুটিয়ে পড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ। কিন্তু বিরাট কোহলি অন্য জিনিস বুঝে গেলেন ইংলিশ পেসার।

আর্চার বল করতে নামলেই বিপক্ষের ব্যাটাররা একেবারে দাঁড়াতেই পারবে ন। কিন্তু রবিবার চিন্নস্বামীতে সেটা হল না। ইংরেজ পেসারকে পুরোপুরি শাসন করলেন বিরাট কোহলি। শুধু যে শাসন করেছেন, তা নয়, চরম ঔদ্ধত্যের সঙ্গে আর্চারকে বেধড়ক মারেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের তারকা খেলোয়াড়। যা দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন আরসিবিতে বিরাটের সতীর্থ দীনেশ কার্তিক।

আরও পড়ুন – KKR: দ্বিতীয় শ্রেণীর দল কেকেআর! নাইটদের নিয়ে চূড়ান্ত হতাশ প্রাক্তন তারকা থেকে বিশেষজ্ঞ

তিনি বললেন, এটাই হলেন বিরাট কোহলি। যিনি বিপক্ষের সেরা অস্ত্রকে পালটা দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন। ৪৯ বলে অপরাজিত ৮২ রান করন। তিনি যেভাবে আর্চারের বিরুদ্ধে খেলেন, সেটা আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন কিনা, তা জানতে চাওয়া হয়। কার্তিক বলেন, দেখুন, এটাই বিরাট কোহলি। প্রতিপক্ষ শিবিরের সেরা অস্ত্রকে চিহ্নিত করে।

আর সেই অস্ত্রকেই পালটা দেওয়ার পথে হাঁটে বিরাট। একটা বার্তা দিতে চায়। স্টেপ-আউট করে মিড-অফের উপর বাউন্ডারির ফেলে দিয়েছে বিরাট। খুব বেশি খেলোয়াড় বলতে পারবে না যে তারা জোফ্রা আর্চারের বলে স্টেপ-আউট করে কভারের উপর দিয়ে মেরেছে। যে পুল শট মেরেছে,ওটাও দুর্দান্ত। সব মিলিয়ে আর্চারের ১৭ টি বল খেলে ২৮ রান করেন।

কিং কোহলির এই মেজাজ দেখে উচ্ছ্বসিত ক্রিস গেইল। বিরাটের প্রাক্তন সতীর্থ জানিয়ে দিয়েছেন দেখে মনে হচ্ছে এবার এক বিন্দু চাপ নেই কোহলির ওপর। খোলা মনে খেলছে। অভিজ্ঞতা থেকে গেইল বলছেন এবারের আইপিএলে আরসিবি চ্যাম্পিয়ন হবে কিনা জানা নেই, কিন্তু বিরাট কোহলি অনেক বোলারের রাতের ঘুম কেড়ে নেবেন সেটা নিশ্চিত।

RCB vs MI: আজ হিটম্যান বনাম কিং কোহলির লড়াই! মিস করা যাবে না মুম্বই বনাম আরসিবি

বেঙ্গালুরু: বিরাট কোহলি বনাম রোহিত শর্মা। রবিবার সন্ধ্যায় চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আমনে-সামনে ভারতীয় ক্রিকেটের দুই মহাতারকা। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের লড়াই নিয়ে তাই বাড়ছে উত্তাপ। প্রায় তিন বছর ভিকে’র ব্যাটে প্রত্যাশিত দাপট দেখা যায়নি। তবে সম্প্রতি দেশের জার্সিতে পুরনো মেজাজ ফিরে পেয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন – SRH vs RR: বাটলার, অশ্বিনদের রাজস্থানের সামনে আজ উমরানের হায়দারাবাদ, ফেভারিট রয়েলস

‘কিং’ কোহলির সেই দাপটই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে দেখার অপেক্ষায় ভক্তরা। নেতৃত্বের বোঝা কাঁধে না থাকায় বেশ ফুরফুরেও লাগছে তাঁকে। অধিনায়ক ফাফ ডু’প্লেসির সঙ্গে সম্ভবত ওপেন করবেন ভিকে। অন্যদিকে, রোহিত আইপিএলের সফলতম অধিনায়ক। পাঁচবার ট্রফি জিতেছেন তিনি। তবে গত মরশুমে তালিকায় সবার শেষে ছিল মুম্বই।

সেই ব্যর্থতা দূরে সরিয়ে নতুন উদ্যমে এবার শুরু করতে মরিয়া নীতা আম্বানির দল। সেই লক্ষ্যে সামনে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত রোহিত। ঈশান কিষানের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে তিনি খেলে দিলে বাকিদের কাজ অনেক হাল্কা হয়ে যাবে। ২০২০ সাল থেকে ধরলে মোট পাঁচবারের সাক্ষাতে শেষ তিনবারই মুম্বইকে হারিয়েছে ব্যাঙ্গালোর।

ফাফ ডু’প্লেসির নেতৃত্বে এবার অধরা মাধুরী লাভের আশায় আরসিবি। তবে চোট-আঘাত ও অন্য কারণে শুরুতে সেরা দল নামাতে পারছে না তারা। জশ হ্যাজলউড ও রজত পাতিদারকে প্রতিযোগিতার প্রথমার্ধে পাওয়া যাবে না চোটের জন্য। ফলে তাঁদের অনুপস্থিতি বড় আঘাত। রবিবার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের খেলা নিয়েও সংশয় রয়েছে।

এমনিতেই উইল জ্যাকস পুরো মরশুমে নেই। ম্যাক্সওয়েলও খেলতে না পারলে মিডল অর্ডারকে ভঙ্গুর দেখাবে। লেগস্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকেও পাচ্ছে না তারা। দেশের হয়ে খেলায় ব্যস্ত রয়েছেন শ্রীলঙ্কার লেগস্পিনার। এই পরিস্থিতিতে অলরাউন্ডার মাইকেল ব্রেসওয়েলের উপর ভরসা রাখছে দল।

আইপিএলে চোকার্স তকমা ঘোচাতে মরিয়া বিরাট কোহলির আরসিবি! নায়ক নামতেই পাগল দর্শকরা

বেঙ্গালুরু: আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। আইপিএলের জ্বরে কাঁপছে গোটা দেশ। বিভিন্ন দলের তারকা ক্রিকেটাররা ইতমধ্যেই অনুশীলনে নেমে পড়েছেন। অনুশীলনে নেমে পড়লেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলিও। ব্যাঙ্গালোরের এম এ চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে রবিবার যখন অনুশীলনে নামেন সমর্থকরা গ্যালারিতে উচ্ছাসে ফেটে পড়েন।

অনুশীলন শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই তার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড হয়ে যায়। যেখানে তাকে নেটে ঘাম ঝরাতে দেখা যাচ্ছে , ব্যাটিং অনুশীলন দলের সতীর্থ অস্ট্রেলিয়ান গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে আলাপচারিতা করতে দেখা যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ছন্দে ছিলেন না কিং কোহলি। ফর্মে ফিরেই আরসিবির সঙ্গে আলাপচারিতায় কোহলি বলেন, তিনি আগে যেরকম মানসিকতায় ব্যাটিং করতেন, সেই ছন্দ ফিরে পেয়েছেন তিনি, কিন্তু ব্যাটিং এ আরো উন্নতি দরকার।

তিনি আশাবাদী ছিলেন আইপিএল ২০২৩ এই তিনি সেরা খেলাটা খেলতে পারবেন। আরসিবির তরফে প্রকাশিত এক ভিডিওতে কোহলি জানিয়েছেন, খেলার প্রতি ভালোবাসাটা পুনরায় আবিষ্কার করাটাই আসল। অনেকদিন ধরে মাঠে যা হচ্ছিলো তার থেকে দূরে চলে গিয়েই সেটা আমি বুঝতে পারি। যখন আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম, আমি পথ খুজছিলাম।

আমি মানুষ হিসেবে নিজের সাথে সমন্বয়ের চেষ্টা করছিলাম, সব সময় নিজেকে বিচার করার চেষ্টা করিনি। খেলার থেকে দূরে থাকাই আমায় সাহায্য করেছে। খেলার প্রতি উত্তেজনা ও ভালোবাসা আবিষ্কার করতে পেরেছি তার ফলে। যখন আমি ফিরে আসি, আমার সামনে শুধুই সুযোগ ছিল , কোনো চাপ ছিল না। তার ফলাফলও দেখা গেল। আমি টি-২০, একদিনের ও টেস্ট ম্যাচে ভালো খেলতে শুরু করলাম।

আমি আগে যেভাবে খেলা উপভোগ করতাম সেভাবেই উপভোগ করা শুরু করলাম, কিন্তু এখনো সেরা পারফরম্যান্স থেকে দূরে আমি, আশা করি আসন্ন আইপিএলে সেই খেলাটা খেলতে পারবো। তাতে দলেরই ভালো হবে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এখনো পর্যন্ত আইপিএল ট্রফি জিততে পারেনি।

২০০৯, ২০১১ ও ২০১৬ এর মরসুমে তারা ফাইনালে পৌঁছেছিলো কিন্তু ট্রফি জিততে পারেনি। ২০১০, ২০১৫ ও ২০২১ এ তারা প্লে অফে পৌঁছয়। আইপিএলে ২২৩ ম্যাচে ৬৬২৪ রানের মালিক কোহলি আইপিএলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। কোহলির আশা তার পারফরম্যান্স দলকে প্রথম আইপিএল ট্রফি এনে দেবে।

WPL 2023: টস জিতলেন আরসিবি অধিনায়ক স্মৃতি মন্ধনা, দিল্লি ক্যাপিটালসকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ

মুম্বই: উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ডবল হেডার। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি রয়্যাস চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও দিল্লি ক্যাপিটালস। আরসিবির দলের নেতৃত্বে দিচ্ছেন ভারতীয় দলের তারকা ওপেনার স্মৃতি মন্ধনা। অপরদিকে দিল্লির দলের নেতৃত্বে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বজয়ী দলের অধিনায়ক মেগ ল্যানিং। দুই দলেরই প্রথম ম্যাচ এটি। জয় দিয়ে মরসুম শুরু করাই লক্ষ্য রয়্যাস চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও দিল্লি ক্যাপিটালসের।

প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় ম্যাচে দ্বিতীয় ম্যাচে টস ভাগ্য সাথ দিল আরসিবি অধিনায়কের। টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্মৃতি মন্ধনা। দুপুরের খেলা, শিশির সমস্যা নেই, ফ্রেস উইকেটে পেসাররা যাতে কিছুটা সুবিধা পায় সেই কারণেই টস জিতে ফিল্ডিং করা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্মৃতি মন্ধনা। টস হারলেও তা নিয়ে খুব একটা ভাবতে নারাজ বলে জানান মেগ ল্যানিং। বড় স্কোর করে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখাই লক্ষ্য রাজধানীর দলের।

মুম্বইয়ের ব্রাবোন স্টেডিয়ামে হচ্চে আরসিবি বনাম দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ। পিচে ব্যাটারদের জন্য সাহায্য রয়েছে। তবে স্পিনাররাও খানিক সাহায্য আশা করতে পারেন। এর আগে মেয়েদের যে ১০টি টি-২০ ম্যাচ এই মাঠে হয়েছে সেখানে ৫টি ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করা দল জয় পেয়েছে। ৫ ম্যাচে জয় এসেছে রান তাড়া করে। প্রথম ইনিংসের গড় স্কোর থাকে ১৬৫। দ্বিতীয় ইনিংসে তা কমে দাঁড়ায় ১৪৯-তে। দুপুরে ম্যাচ হওয়ায় শিশিরের বড় ফ্যাক্টর হয়ে ওঠার সম্ভাবনা কম।

আরসিবির একাদশ: স্মৃতি মিন্ধানা (অধিনায়ক), সোফি ডিভাইন, এলিস পেরি, হেদার নাইট, রিচা ঘোষ (উইকেটকিপার), দিশা কাশাত, প্রীতি বোস, কণিকা আহুজা, সোভানা আশা, মেগান স্কাট, রেণুকা সিং ঠাকুর।

আরও পড়ুনঃ হার মানল ছেলেদের আইপিএলও, প্রথম ম্যাচেই একাধিক রেকর্ড গড়ল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স

দিল্লি ক্যাপিটালসের একাদশ: শেফালি ভার্মা, অ্যালিস ক্যাপসে, জেমাইমা রড্রিগেজ, মেগ ল্যানিং (অধিনায়ক), মারিজ্যান কাপ, জেস জোনাসেন, তানিয়া ভাটিয়া (উইকেটকিপার), অরুন্ধুতি রেড্ডি, শিখা পাণ্ডে, রাধা যাদব, তারা নরিস।

 

Sania Mirza, RCB: স্মৃতি, রিচাদের বিশেষ ক্লাস নিলেন সানিয়া মির্জা, দিলেন বিরাট উপদেশ

মুম্বই: আরসিবির ডিরেক্টর অব ক্রিকেট মাইক হেসন দলের সঙ্গে সানিয়ার যোগ দেওয়া নিয়ে বলেন, কোন খেলা থেকে তুমি উঠে এসেছ সেটা বড় কথা নয়, কীভাবে চাপ সামলাতে হয় সেটা জানাটাই আসল। মহিলাদের খেলাধুলোতে সানিয়া একজন বড় আদর্শ। ছ’বারের গ্র্যান্ড স্লামজয়ী সানিয়া মির্জা সদ্য টেনিসকে অবসর জানিয়েছেন। দুবাই থেকে দেশে ফিরেই তিনি হাজির হয়েছে আরসিবি শিবিরে।

স্মৃতি, রিচা, রেনুকা থেকে শুরু করে সোফি ডিভাইন, এলিস পেরি, মেগান শুটদের মতো বিদেশি ক্রিকেটারদের সানিয়া বলেছেন, ক্রিকেট তার খেলা নয়। কিন্তু তিনি এই খেলা ফলো করেন। আসলে একজন সফল মহিলা অ্যাথলিটকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে দীর্ঘদিন সফল থাকতে গেলে কিভাবে সংবাদ মাধ্যমের চাপ এবং স্পন্সরদের সামলাতে হয় সেসব দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে জেনে এসেছেন তিনি।

তাই কারও কোনও সাহায্য লাগলে সানিয়া সব সময় পাশে থাকবেন। এমনকি তিনি যদি দেশে নাও থাকেন তার ফোনে চ্যাট করে উপদেশ নিতে পারবেন ক্রিকেটাররা। পেশাদার টেনিস থেকে অবসর নিয়েছেন গত সপ্তাহে। তবুও সংসার ছাড়াও নিজেকে জড়িয়ে রাখতে চান বিভিন্ন কাজে। পয়সা দেখে যাতে ভারতীয় মেয়েদের মাথা তাড়াতাড়ি ঘুরে না যায় সেদিকে সতর্ক থাকতে বলেছেন ভারতীয় টেনিসের গ্ল্যামার গার্ল।

শুধু ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট নয়, দেশের জার্সিতেও কিভাবে মেয়েরা চাপ সামলাবে এই নিয়ে নিজের মতামত দিয়েছেন সানিয়া। রবিবার, ৫ মার্চ রয়েছে আরসিবির প্রথম ম্যাচ। তাঁর আগে স্মৃতি মান্ধানা হেথার নাইটদের পেপটক দিলেন মেন্টর সানিয়া মির্জা।

সানিয়া এর আগেই ভবিষ্যতের টেনিস খেলোয়াড় তুলে আনার জন্য একটি একাডেমি তৈরি করেছেন। ভারতের মা-বাবাদের কাছে তার অনুরোধ এবং আবেদন পেশাদার খেলাও যে মেয়েদের ক্যারিয়ার হতে পারে এটা নিশ্চিত করে জানুন। যে সম্মান খেলাধুলায় দেশকে এনে দেওয়া যায় সেটা লেখাপড়া চেয়ে বেশি বরং কম নয়।