Tag Archives: RG Kar Case

Chandrima Bhattacharya: ‘ঘাড়ধাক্কা’ দেওয়া হয়েছিল জুনিয়র ডাক্তারদের? মুখ খুললেন চন্দ্রিমা! বললেন, ‘আমিও তো মা…’

কলকাতা: জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে শনিবারও হল না মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। চন্দ্রিমা জানিয়ে দেন, শনিবার আর বৈঠক সম্ভব না। এরপর ফিরে যান জুনিয়র ডাক্তাররাও। চিকিৎসকরা দাবি করেন, ভিডিও ছাড়াই মিটিংয়ে রাজি ছিলেন তাঁরা, শুধু মিনিটস-এ দু’পক্ষের সই চাওয়া হয়েছিল৷ তখন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী এসে জানালেন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে আর সম্ভব নয় বৈঠক। এমনকী অভিযোগ করে জুনিয়র চিকিৎসকদের অনেকেই বলেন, ‘যেন ঘাড়ধাক্কা দেওয়া হল’। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন চন্দ্রিমা নিজেই। বললেন, ”ঘাড় ধাক্কা! এই ধরনের কোনও কথা আমি বাড়িতেও বলি না। মুখ্যমন্ত্রী ডেকেছেন, আমি বলব কেন এমন! ভুল করেও বলিনি। ছোট ছোট ছেলেমেয়ে ওরা। আমি বলেছি তিন ঘণ্টা সময় হয়ে গিয়েছে, আমরা চলে যাচ্ছি। ছেলেরা ছোট। মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে অনেকে অনেক সময় অনেক কিছু বলেছেন। তিনি ক্ষমা করে দিয়েছেন। আমিও মা।”

তাঁর কথায়, ”খুব বৃষ্টি ছিল বাইরে। মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে ছাতা ধরে চিকিৎসকদের মাথায়। রাত ৮টা নাগাদ নিজে বেরিয়ে এসে হাতজোড় করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”আসুন কথা বলি। যদি সেটাও না চান, এক কাপ চা খেয়ে যাবেন।”

আরও পড়ুন: ‘এই’ এক জায়গাতেই বারবার হোঁচট, গ্রেফতার টালার সেই ওসি! শেষ মুহূর্তে ফাঁস করে দিলেন বড় ‘রহস্য’, চমকে যাবেন শুনে

চন্দ্রিমার সংযোজন, ” ৯টা পর্যন্ত কিছু বলেননি চিকিৎসকরা। সব কিছু প্রস্তুত ছিল। ৪০ জন এসেছিলেন চিকিৎসকরা। ওরা ছোট, ওদের কথাকে গুরুত্ব দিয়ে অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু রাত ৯টা পর্যন্ত কিছু বললেন না। তারপর আধিকারিকরা যখন বেরোতে যাচ্ছি, চিকিৎসকরা জানান মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন। কোনও পূর্বে দেওয়া শর্ত ছাড়াই আলোচনা করবেন বললেন তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর। এত যে সময় দেওয়া হল, তখন আলোচনা করলেন না। তারা যখন বলবেন, তখনই সরকারকে রেডি থাকতে হবে কথা বলার জন্য, এটা এরকম মনে হল।”

শনিবার দুপুরেই জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনাস্থলে চলে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ কমিটি ভেঙে দেওয়া হল। সেই প্রসঙ্গ তুলেও চন্দ্রিমা বলেন, ”শনিবার মুখ্যমন্ত্রী দিদি হিসেবে ধরনা মঞ্চে গিয়ে অনুরোধ করেন, যা যা দাবি আছে, সেগুলো খতিয়ে দেখবেন। নিশ্চিত করেছিলেন বিচার পাবেন। বেশ কিছু দাবি তিনি মেনে নিয়েছিলেন, ঘোষণা করেছিলেন। যেমন রোগী কল্যাণ সমিতির সব কমিটি ভেঙে দেওয়া হল। আমরা এটাই বলব, যতটা মুখ্যমন্ত্রীর করার, তিনি করেছেন।”

রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ”আমি বিনীত ভাবে অনুরোধ করব, মুখ্যমন্ত্রী যেখানে সব শর্ত মেনেছেন, সেখানে আর কী বলার থাকতে পারে। এটা সাব জুডিস ম্যাটার, তিনি নিজেও বলেছেন। বিচারের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী নিজে পথে নেমেছেন। যাতে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা থেকে না বঞ্চিত হন, সেটাও তো দেখতে হবে।”

CBI-RG Kar Case: ‘এই’ এক জায়গাতেই বারবার হোঁচট, গ্রেফতার টালার সেই ওসি! শেষ মুহূর্তে ফাঁস করে দিলেন বড় ‘রহস্য’, চমকে যাবেন শুনে

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় শনিবার রাতে গ্রেফতার হয়েছেন টালা থানার সদ্য প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। এই প্রথম ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতারির ঘটনা ঘটল। একই সঙ্গে দুর্নীতি মামলায় জেলে থাকা সন্দীপ ঘোষকেও ধর্ষণ ও দুর্নীতি মামলায় শনিবার গ্রেফতার করেছে সিবিআই।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় শনিবার রাতে গ্রেফতার হয়েছেন টালা থানার সদ্য প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। এই প্রথম ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতারির ঘটনা ঘটল। একই সঙ্গে দুর্নীতি মামলায় জেলে থাকা সন্দীপ ঘোষকেও ধর্ষণ ও দুর্নীতি মামলায় শনিবার গ্রেফতার করেছে সিবিআই।
কিন্তু টালা থানার ওসি-কে কোন সূত্র ধরে গ্রেফতার করল সিবিআই? জানা গিয়েছে, অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, প্রমাণ লোপাট, এফআইআর করায় বিলম্বের অভিযোগ আনা হয়েছে। ১২০বি, ২৩৮/১৯৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে।
কিন্তু টালা থানার ওসি-কে কোন সূত্র ধরে গ্রেফতার করল সিবিআই? জানা গিয়েছে, অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, প্রমাণ লোপাট, এফআইআর করায় বিলম্বের অভিযোগ আনা হয়েছে। ১২০বি, ২৩৮/১৯৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে।
সিবিআই সূত্রে খবর, ঘটনার দিন অর্থাৎ ৯ অগাস্টের ঘটনাক্রম অর্থাৎ সময় সারণী নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে বারে বারে হোঁচট খান টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল।
সিবিআই সূত্রে খবর, ঘটনার দিন অর্থাৎ ৯ অগাস্টের ঘটনাক্রম অর্থাৎ সময় সারণী নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে বারে বারে হোঁচট খান টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল।
ঘটনার পর কেন সন্দীপ ঘোষের বয়ান রেকর্ড করা হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে অভিজিৎবাবুকে। কেন সন্দীপের বয়ান কলকাতা পুলিশ ঘটনার চার দিন পর নিয়েছিল? সিবিআই সূত্রে দাবি, গ্রেফতারের আগের মুহূর্তে টালা থানার সদ্য প্রাক্তন ওসি দাবি করেছেন, ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সন্দীপের বয়ান প্রথমে নেওয়া হয়নি। পরে চাপে পড়ে বয়ান রেকর্ড করে লালবাজার।
ঘটনার পর কেন সন্দীপ ঘোষের বয়ান রেকর্ড করা হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে অভিজিৎবাবুকে। কেন সন্দীপের বয়ান কলকাতা পুলিশ ঘটনার চার দিন পর নিয়েছিল? সিবিআই সূত্রে দাবি, গ্রেফতারের আগের মুহূর্তে টালা থানার সদ্য প্রাক্তন ওসি দাবি করেছেন, ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সন্দীপের বয়ান প্রথমে নেওয়া হয়নি। পরে চাপে পড়ে বয়ান রেকর্ড করে লালবাজার।
প্রসঙ্গত, ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতাল থেকে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসকের দেহ৷ এই ঘটনার তদন্তে নেমে পরের দিনই সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ৷ এরপর এই মামলার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই।
প্রসঙ্গত, ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতাল থেকে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসকের দেহ৷ এই ঘটনার তদন্তে নেমে পরের দিনই সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ৷ এরপর এই মামলার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই।
সন্দীপ ঘোষকে দিনের পর দিন টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই৷ তাঁর পলিগ্রাফ টেস্টও করা হয়৷ এরপর আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির তদন্তে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই৷ এবার মূল মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হল৷ একই সঙ্গে গ্রেফতার হলেন টালা থানার সেই সময়ের ওসি অভিজিৎ মণ্ডলও।
সন্দীপ ঘোষকে দিনের পর দিন টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই৷ তাঁর পলিগ্রাফ টেস্টও করা হয়৷ এরপর আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির তদন্তে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই৷ এবার মূল মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হল৷ একই সঙ্গে গ্রেফতার হলেন টালা থানার সেই সময়ের ওসি অভিজিৎ মণ্ডলও।

ESMA-RG Kar Case: মমতা চান না জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে ‘এসমা’ প্রয়োগ করতে! কী এই ‘এসমা’? কী হয় জারি করলে?

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এখনও চলছে। প্রথমে নবান্ন, আর শনিবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে, কবে কাটবে এই অচলাবস্থা? দু পক্ষই অবশ্য এখনও আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে সচেষ্ট।
কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এখনও চলছে। প্রথমে নবান্ন, আর শনিবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে, কবে কাটবে এই অচলাবস্থা? দু পক্ষই অবশ্য এখনও আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে সচেষ্ট।
জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বরাবরই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সূত্র বের করার পক্ষপাতী মুখ্যমন্ত্রী। আগেও একাধিক বার, এমনকী শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনাস্থলে উপস্থিত হয়েও মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন, তিনি ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবেন না। সেই সূত্রেই তাঁর মুখেও উঠে এসেছে, এসমা আইনের প্রসঙ্গ। অন্য রাজ্যের উদাহরণ টেনে তিনি জানিয়েছেন, এ রাজ্যে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে এমন কোনও আইন প্রয়োগ করতে চায় না রাজ্য সরকার।
জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বরাবরই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সূত্র বের করার পক্ষপাতী মুখ্যমন্ত্রী। আগেও একাধিক বার, এমনকী শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনাস্থলে উপস্থিত হয়েও মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন, তিনি ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবেন না। সেই সূত্রেই তাঁর মুখেও উঠে এসেছে, এসমা আইনের প্রসঙ্গ। অন্য রাজ্যের উদাহরণ টেনে তিনি জানিয়েছেন, এ রাজ্যে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে এমন কোনও আইন প্রয়োগ করতে চায় না রাজ্য সরকার।
কিন্তু এই 'এসমা' কী? কোন কোন ক্ষেত্রে, কোন কোন পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োগ করা যায় এই আইন? এক কথায়, এসমা হল-এসেনশিয়াল সার্ভিস মেন্টেন্যান্স অ্যাক্ট।
কিন্তু এই ‘এসমা’ কী? কোন কোন ক্ষেত্রে, কোন কোন পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োগ করা যায় এই আইন? এক কথায়, এসমা হল-এসেনশিয়াল সার্ভিস মেন্টেন্যান্স অ্যাক্ট।
মূলত চিকিৎসা, পরিবহণ, বিদ্যুৎ সরবরাহের মতো জরুরি পরিষেবা ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে বা বিপর্যস্ত হয়ে উঠলে, সেই পরিস্থিতির মোকাবিলায় কর্মবিরতি, ধর্মঘট নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে কর্মচারীদের ওভারটাইম কাজ করতেও বাধ্য করতে পারে প্রশাসন।
মূলত চিকিৎসা, পরিবহণ, বিদ্যুৎ সরবরাহের মতো জরুরি পরিষেবা ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে বা বিপর্যস্ত হয়ে উঠলে, সেই পরিস্থিতির মোকাবিলায় কর্মবিরতি, ধর্মঘট নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে কর্মচারীদের ওভারটাইম কাজ করতেও বাধ্য করতে পারে প্রশাসন।
১৯৬৮ সালে তৈরি আইনটি ১৯৮১ সালে সংশোধন করা হয়েছিল। কোনও সরকার এই আইন জারি করলে, এই আইন যারা লঙ্ঘন করেন, তাদের ছ' মাস পর্যন্ত জেল হতে পারে। অন্য দিকে কাজে বাধা, কাজ বন্ধ রাখতে উৎসাহিত করলে শাস্তি দ্বিগুণ, অর্থাৎ এক বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
১৯৬৮ সালে তৈরি আইনটি ১৯৮১ সালে সংশোধন করা হয়েছিল। কোনও সরকার এই আইন জারি করলে, এই আইন যারা লঙ্ঘন করেন, তাদের ছ’ মাস পর্যন্ত জেল হতে পারে। অন্য দিকে কাজে বাধা, কাজ বন্ধ রাখতে উৎসাহিত করলে শাস্তি দ্বিগুণ, অর্থাৎ এক বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া (রেগুলেশনস, ২০০২)-র ২ নম্বর ধারা অনুযায়ী, কোনও অবস্থাতেই চিকিৎসকেরা মূমূর্ষু রোগীকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করতে পারেন না। চিকিৎসা, পরিবহণ, বিদ্যুৎ সরবরাহের মতো জরুরি পরিষেবার মতো ক্ষেত্রে এই আইন জারি করা যায়।
মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া (রেগুলেশনস, ২০০২)-র ২ নম্বর ধারা অনুযায়ী, কোনও অবস্থাতেই চিকিৎসকেরা মূমূর্ষু রোগীকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করতে পারেন না। চিকিৎসা, পরিবহণ, বিদ্যুৎ সরবরাহের মতো জরুরি পরিষেবার মতো ক্ষেত্রে এই আইন জারি করা যায়।
প্রসঙ্গত, দু’বছর আগে ওড়িশায় স্বাস্থ্য কর্মী ও নার্সদের ধর্মঘটের কারণে একই রকম পরিস্থিতি হয়েছিল। সেই সময়ে নবীন পট্টনায়েক সরকার এসমা প্রয়োগ করেছিলেন। তবে, এ রাজ্যের সরকারি কর্তাদের মতে, ওড়িশার পরিস্থিতির সঙ্গে বাংলার অবস্থার তুলনা চলে না। আরজি করের ঘটনা নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ ও প্রতিবাদ সঙ্গত। সরকার তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসে কাজের পরিবেশ ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রস্তুত। তবে, তাঁরা এমনও বলছেন, লাগাতার এ ধরনের কর্মবিরতি কোনও সরকারের পক্ষেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, দু’বছর আগে ওড়িশায় স্বাস্থ্য কর্মী ও নার্সদের ধর্মঘটের কারণে একই রকম পরিস্থিতি হয়েছিল। সেই সময়ে নবীন পট্টনায়েক সরকার এসমা প্রয়োগ করেছিলেন। তবে, এ রাজ্যের সরকারি কর্তাদের মতে, ওড়িশার পরিস্থিতির সঙ্গে বাংলার অবস্থার তুলনা চলে না। আরজি করের ঘটনা নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ ও প্রতিবাদ সঙ্গত। সরকার তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসে কাজের পরিবেশ ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রস্তুত। তবে, তাঁরা এমনও বলছেন, লাগাতার এ ধরনের কর্মবিরতি কোনও সরকারের পক্ষেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।

RG Kar Case Arrest: আরজি করে চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনে বহু অসঙ্গতি! ৩৬ দিনের মাথায় গ্রেফতার টালা থানার ওসি

কলকাতাঃ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় গ্রেফতার টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। এই প্রথম সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতারির ঘটনা। ষড়যন্ত্র, প্রমান লোপাট, এফআইআর করায় বিলম্বের অভিযোগে গ্রেফতার অভিজিৎ মণ্ডল। গ্রেফতার করল স্পেশ্যাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। ১২০বি, ২৩৮/১৯৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আরজি কর কাণ্ডের পরে অপসারিত করা হয় টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, প্রমান লোপাট, এফআইআর করায় বিলম্বের অভিযোগ রয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয় শনিবার। এ দিন শুধু অভিজিৎ মণ্ডল নয়, গ্রেফতার করা হয় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও।

আরও পড়ুনঃ ‘মিটিং না করো ভিতরে এসো, চা খেয়ে যাও’, বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর বেনজির আতিথেয়তা, বরফ গলল?

প্রসঙ্গত, ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতাল থেকে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসকের দেহ৷ এই ঘটনার তদন্তে নেমে পরের দিনই গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয় রায় নামে একজন সিভিক ভলেন্টিয়ারকে৷ এরপর এই মামলার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। সন্দীপ ঘোষকে একটানা প্রায় ১৪ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই৷ তাঁর পলিগ্রাফ টেস্টও করা হয়৷ এরপর আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির তদন্তে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই৷ এবার মূল মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হল৷

স্বাস্থ্য ভবনের সামনে খাবারের পাহাড়! আন্দোলনরত চিকিৎসকদের পাশে মানুষ

উত্তর ২৪ পরগনা: রোদ, বৃষ্টি মাথায় করে এখনও চলছে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান বিক্ষোভ। আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার বিচার চেয়ে পাঁচ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নায় হাজার হাজার জুনিয়ার ডাক্তার।

দীর্ঘ বেশ কয়েকদিন ধরে টানা চলা এই অবস্থান-বিক্ষোভে আন্দোলনকারীদের পাশে থাকতে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে এসে পৌঁছচ্ছে বিপুল পরিমাণ খাবার, জলের বোতল-সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী।

এত খাবার যে বিলিয়েও শেষ হচ্ছে না, তাই বাধ্য হয়ে এই মুহূর্তে আর খাবার না পাঠানোর আর্জিও জানাচ্ছেন আন্দোলনরত চিকিৎসক পড়ুয়ারা। অতিরিক্ত খাবার বিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে স্থানীয় এলাকার দুঃস্থ মানুষজন ও শিশুদের মধ্যে।

আরও পড়ুন- আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নয়, আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর

অবস্থান বিক্ষোভ চলার মাঝেই শুরুর দিকে একসময় খাবারের ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। এর পরই সমাজমাধ্যমে খাবারের সাহায্য চেয়ে ভাইরাল হয় পোস্ট। সেই থেকে বহু মানুষ অবস্থানরত ডাক্তারদের জন্য খাবার পাঠাতে শুরু করেন দিন রাত।

কী নেই সেই তালিকায়! চাল থেকে শুরু করে হরেক রকমের মিষ্টি, বিভিন্ন ধরনের বিস্কুট থেকে শুরু করে ফ্রুট জুস, পানীয় জল, আরও কত কী! এত বিপুল পরিমাণ খাবার এসে পৌঁছয় যে রীতিমতো খাওয়ার লোকেরই অভাব পড়ে যায়।

ফল, ডিম-সহ অতিরিক্ত খাবার সাধারণ মানুষদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে। রয়েছে পর্যাপ্ত পানীয় জলের বোতল। বাধ্য হয়ে আর খাবার না পাঠানোর আর্জি জানাচ্ছেন ধর্নায় বসা ডাক্তাররা।

আরও পড়ুন- ‘কাল সারারাত আমি ঘুমোতে পারিনি! একটু সময় দিন’, শেষ চেষ্টা করে আর্জি মমতার

প্রতিদিন নানা প্রান্ত থেকে বহু সাধারণ মানুষজনও যোগ দিচ্ছেন তাঁদের এই অবস্থান-বিক্ষোভে। খোঁজ নিচ্ছেন তাদের নানা সুবিধা অসুবিধার। পাশে থেকে মানসিকভাবেও শক্তি জোগাচ্ছেন চিকিৎসক পড়ুয়াদের।

হরেক স্লোগানে এখন রীতিমতো মুখরিত স্বাস্থ্য ভবনের সামনের রাস্তা। তবে এই বিপুল পরিমাণ খাবারের আয়োজন দেখতেও এখন অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন স্বাস্থ্য ভবনের সামনে। বৃষ্টি মাথায় করে মাটি কামড়ে নিজেদের দাবি পূরণে এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা।

Rudra Narayan Roy

MJN Medical College & Hospital: আরজি কর কাণ্ডের পর বদলে গিয়েছে কোচবিহার হাসপাতাল! এক ঝলকে দেখুন বিস্তারিত

কোচবিহার: জেলা কোচবিহারের এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। সদর শহরের বুকেই অবস্থিত এই মেডিক্যাল কলেজ। তবে দীর্ঘ সময় ধরে এখানে একাধিক বিষয় নিয়ে সমস্যার কথা উঠে আসছিল। আর এই সকল সমস্যার কারণেই কিছু দিন আগে দ্রুত বদলি করে দেওয়া হয় আগের সুপারকে। তারপর নতুন এমএসভিপি এসে বেশ কিছু রদবদল ঘটান পরিষেবার। আর তাতেই রীতিমত খুশি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের স্টাফ থেকে শুরু করে রোগী ও তাঁদের আত্মীয় পরিজনেরা। বর্তমান সময়ে হাসপাতালের পরিষেবা উন্নত হয়ে উঠেছে অনেকটাই।

আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের ৭ জেলায় ভয়ঙ্কর হড়পা বানের আশঙ্কা! সতর্ক করল হাওয়া অফিস

হাসপতালে ভর্তি থাকা রোগীর দুই আত্মীয় পঙ্কজ বর্মণ ও সন্দীপ বর্মণ জানান, “হাসপাতালের পরিষেবার বেশ কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তাই বর্তমানে রোগীরা সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন। আগামী দিনে এই সকল পরিষেবা আরও উন্নত হয়ে উঠুক এমনটাই প্রত্যাশা তাঁদের। তবে হাসপাতাল চত্বরে সুরক্ষা ব্যবস্থা আঁটসাঁট করা হয়েছে, এছাড়া সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে বেশ কিছু জায়গায়। এতে সুরক্ষা ব্যবস্থা অনেকটাই বেড়ে উঠেছে হাসপাতাল চত্বরের। ফলে স্টাফ থেকে শুরু করে রোগী ও তাঁদের আত্মীয় পরিজন বেশ অনেকটাই সুরক্ষিত মনে করছেন নিজেদের। এছাড়া হাসপাতালে বেড়েছে পুলিশের টহল।”

আরও পড়ুন: পলিগ্রাফে রাজি হলেও নার্কো টেস্টের অনুমতি দেয়নি সঞ্জয়! কেন আলাদা এই দুই পরীক্ষা?

হাসপাতালে সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, “বেশ কিছু জায়গায় সিসিটিভি ইতিমধ্যেই বসানো হয়েছে। আরও বেশ কিছু জায়গায় সিসিটিভি বসানো হবে। মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হবে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে।” মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের একাধিক বিষয়ের উন্নয়ন ঘটলেও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে এখনোও সমস্যা রয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। তবে আগামী দিনে সেই সকল সমস্যাগুলিও সমাধান করার কথা জানিয়েছেন নতুন এমএসভিপি।

Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রী এলেও এখনই অবস্থান উঠছে না, সাফ জানালেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা, আলোচনায় বসার আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীকে

কলকাতা:  জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থানে শনিবার দুপুরে হাজির হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই অবস্থান বিক্ষোভে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দেন তিনি চিকিৎসকদের সমস্ত দাবি ভেবে দেখবেন৷ কিন্তু এই আশ্বাসের ভিত্তিতেই এখনই অবস্থান তুলে নিতে নারাজ অবস্থানরত চিকিৎসকরা৷

তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর এভাবে তাঁদের অবস্থানের জায়গায় এসে কথা বলার বিষয়টিকে সদর্থক চেষ্টা হিসেবে দেখলেও তাঁরা চান মুখোমুখি আলোচনা৷ অবস্থানরত ডাক্তারদের ফোরামের পক্ষ থেকে চিকিৎসকরা সাফ জানিয়ে দেন আলোচনা না হলে অবস্থান চলবেই৷

এমনকি সেই সময়েই যদি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের  সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতিতে কথা বলতে চান বলেও আন্দোলনরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন৷

Kalatan Dasgupta Arrested: ধরনামঞ্চে হামলার অভিযোগ! ভাইরাল অডিও-কাণ্ডে গ্রেফতার সিপিএম যুব নেতা কলতান দাশগুপ্ত

কলকাতা: জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনায় হামলার আশঙ্কা সংক্রান্ত একটি ফোনালাপের অডিও শুক্রবারই প্রকাশ্যে আসে। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থান বিক্ষোভে বড়সড় হামলার চক্রান্ত চালাচ্ছে বামেদের একটি যুব সংগঠন।  দুই নেতার মধ্যে কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ করে এমনই দাবি করেছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ ৷ যদিও এই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি নিউজ18 বাংলা ৷  রাজ্য সরকার এবং শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে বদনাম করতেই এই পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন কুণাল ঘোষ৷ সেই ঘটনায় এ বার গ্রেফতার করা হল বাম যুব নেতা কলতান দাশগুপ্তকে।

কলতান ডিওয়াইএফআইয়ের মুখপত্রের সম্পাদক এবং সিপিএমের কলকাতা জেলা কমিটিরও সদস্য এই যুব নেতা। শুক্রবারই পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন এক অভিযুক্ত, সঞ্জীব দাস। সঞ্জীব স্বীকার করেছেন গলা ওঁর। আজ, শনিবার কলতানকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করে ১৪ দিনের হেফাজত চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

তরফে জানানো হয়েছে, কলতানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ বেলার দিকে সাংবাদিক বৈঠক করা হবে। সেখানে বিশদ তথ্য তুলে ধরবে পুলিশ। বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ গ্রেফতার করেছে কলতানকে। এই অডিও ক্লিপের সঙ্গে কলতানের যোগ পাওয়া গিয়েছে বলে খবর।

আরও পড়ুন: অ্যাম্বুল্যান্সের পিছনে পাগলের মতো ছুটছে একটি কুকুর, ভাইরাল ভিডিও! মন ছুঁয়ে যাবে শেষ দৃশ্য

তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক দাবি করেছেন, গতকাল জুনিয়র চিকিৎসকরা যখন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের জন্য গিয়েছিলেন, তখনই এই হামলা চালানোর কথা ছিল৷ কিন্তু কোনও কারণে সেই হামলা চালানো সম্ভব হয়নি৷ কুণাল ঘোষের দাবি, যে দুই সংগঠন মিলে এই চক্রান্ত সাজিয়েছে, তাদের সূত্রেই এই অডিও ক্লিপ শাসক দলের হাতে এসেছে৷

কুণাল ঘোষের প্রকাশ করা এই অডিও ক্লিপে দুই ব্যক্তির কথোপকথন উঠে এসেছে৷ সেখানে প্রথমে একজনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘সাহেব অর্ডার করেছে সল্ট লেক ওড়ানোর জন্য৷’ এর পরের কথোপকথনে দ্বিতীয় ব্যক্তিকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমি এত বছর এই কাজ করেছি, কোনওদিন ভয়ডর লাগেনি কিন্তু এখন এটাতে বিবেকে লাগছে, করাটা কী ঠিক হবে, ওরা তো লোকের জীবন বাঁচায়। অডিও ক্লিপে বাপ্পা বলে একজনের নামও উঠে এসেছে৷’

CBI-RG Kar Case: এই হস্টেলেই ছিল নির্যাতিতার রুম, সেখানেই বাবা-মা’কে নিয়ে গেল CBI, তারপর চাঞ্চল্যকর ঘটনা, ঠিক কী ঘটল? পড়ুন

কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালের এই হস্টেলেই ছিল নির্যাতিতার রুম, সেখানেই বাবা-মা’কে নিয়ে গেল CBI, তারপর চাঞ্চল্যকর ঘটনা! ঠিক কী ঘটল?

সূত্রের খবর, হস্টেলের রুমেই  মুখোমুখি বসিয়ে বয়ান রেকর্ড করা হল নির্যাতিতার পরিবার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, চিকিৎসক, রুম মেট-দের। এই প্রথম মুখোমুখি বসিয়ে বয়ান রেকর্ড হল দু’পক্ষের। সূত্রের খবর, নির্যাতিতার পরিবারকে নিয়ে সিবিআই ঢোকে হাসপাতালের হস্টেলের চিকিৎসকের রুমে। সেখানেই প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে বয়ান রেকর্ড করা হয়। বিকেল ৫.১৩ থেকে সন্ধে ৭.১০ পর্যন্ত বয়ান রেকর্ড করার প্রক্রিয়া চলে। ৮টা নাগাদ হস্টেলে থেকে বার হয় সিবিআই-এর টিম।

আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তে এবার চাঞ্চল্যকর নয়া মোড়। শুক্রবার সকালেই নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাবা-মা’কে নিয়ে আরজি কর হাসপাতালে যায় সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, নির্যাতিতার বাবা-মা ঘটনার দিন পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন। কলকাতা পুলিশের হাত থেকে সিবিআই তদন্তভার পাওয়ার পর একাধিক বার নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেছে সোদপুরের বাড়িতে গিয়ে। সেখানেই তাঁরা একাধিকবার পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন বলে খবর।

নির্যাতিতার দেহ উদ্ধারের দিনের ঘটনাক্রম তুলে ধরে হাসপাতাল ও পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছিল নির্যাতিতার পরিবার। কখনও ময়নাতদন্ত, কখনও দ্রুত দেহ সৎকারের জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই সূত্রেই এদিন নির্যাতিতার বাবা-মা-কাকিমাকে নিয়ে আরজি কর হাসপাতালে যায় সিবিআই। সেখানে ছিলেন এমএসভিপি সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়। এরপর নির্যাতিতার পরিবারকে নিয়ে হস্টেলে ঢোকে সিবিআই। সেখানেই দু পক্ষের বয়ান রেকর্ড করা হয়।