Tag Archives: RG Kar Hospital

RG Kar Protest: রাত দখলের প্রতিবাদ মিছিলে এসে বারাসাতে নিগৃহীত মহিলা, তারপর যা হল

উত্তর ২৪ পরগনা: একদিকে তখন মাইকে বেজে চলেছে আর কবে, আর কবে….. অরিজিৎ সিং-এর প্রতিবাদের গান। প্রতিবাদীদের মুখে তখন জাস্টিস জাস্টিস মুহুর্মুহু স্লোগানে মুখরিত গোটা এলাকা। এমন পরিস্থিতির মাঝেই রাত দখলের মিছিলে এসে বারাসাত ডাকবাংলো মোড় এলাকায় নির্যাতিতা হলেন দুই মহিলা-সহ এক যুবক। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের শেষ পর্যায়ে মহিলার সঙ্গে অশালীন আচরণ করায় এক ব্যক্তিকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিল সাধারণ মানুষজন। জানা গিয়েছে, অন্যান্য জায়গার মতো এদিন বারাসাত জুড়ে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই মিছিলে অংশ নেওয়া দুই মহিলা বাড়ি ফেরার পথে এক ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় তাঁদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন।

আরও পড়ুনঃ প্রতিবাদ মিছিলেই শ্লীলতাহানি! সাহায‍্য করল না পুলিশই, রাগে ফেটে পড়ল জনজোয়ার

নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগ, তাঁকে দেখে কটুক্তি করতে থাকে ধৃত ব্যক্তি। রাত হয়ে যাওয়ায় মিছিল থেকে মা ও মাসীকে বাড়ি নিয়ে যেতে, বাইক নিয়ে এসেছিল মহিলার ছেলে। মা-মাসিকে কটুক্তি করছে দেখে প্রতিবাদ করে ছেলে। অভিযোগ সেই সময় রাস্তার মধ্যেই তাঁদের উপর আক্রমণ করে ওই মদ্যপ ব্যক্তি, ওই পরিস্থিতিতে মাকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয় ছেলেও। মহিলাকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয় ও শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করে অভিযুক্ত। যুবকের জামাও টেনে ছিঁড়ে দেওয়া হয়। মহিলার চিৎকার শুনে আশেপাশের এলাকাবাসীরা-সহ প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেওয়া লোকজন ছুটে আসেন। এরপরই ওই মদ্যপ ব্যক্তিকে ধরে ফেলে তাঁরা। তাঁদের সঙ্গেও একপ্রকার ধস্তাধস্তি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ফোন করা হয় বারাসাত থানার পুলিশকে। এরপরই ঘটনাস্থলে বারাসাত থানার পুলিশ পৌঁছে ওই মদ্যপ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

আরও পড়ুনঃ ঋতুপর্ণাকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান শ্যামবাজারে! গাড়ির কাচে ধাক্কা! বিক্ষোভের মুখে মিমিও

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় বারাসাতের ওই এলাকায়। ঘটনার পর থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানান নির্যাতিতা মহিলারা। গোটা ঘটনার লিখিত আকারে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বারাসাত থানায়। আহত ছেলেকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে বারাসাত হাসপাতালে। এমন ঘটনা রাতে জেলা সদর শহর বারাসাতে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে আবারও তুলে দিল বড় প্রশ্ন চিহ্ন।

Rudra Narayan Roy

RG Kar Protest: প্রতিবাদ মিছিলেই শ্লীলতাহানি! সাহায‍্য করল না পুলিশই, রাগে ফেটে পড়ল জনজোয়ার

কলকাতাঃ যাদবপুরে প্রতিবাদ সমাবেশের মধ্যেই ঘটে গেল আরেক ঘটনা। মহিলা মনোবিদ কৃষ্ণকলি তিথি বন্দ্যোপাধ্যায়কে শ্লীলতাহানি অভিযোগ উঠল এক মদ্যপ যুবকের বিরুদ্ধে। মহিলার অভিযোগ তিনি এই 8B বাস টার্মিনাসে গানে গানে যখন প্রতিবাদ করছিলেন তখন এই মদ্যপ ব্যক্তি তাঁঁকে স্পর্শ করে। মহিলা তাঁকে ভিড়ের মধ্যে থেকে টেনে বের করে নিয়ে আসে এবং সাধারণ মানুষ তাঁকে ঘিরে মারমুখী হলে তিনি আইন হাতে নিতে বারণ করেন।

আরও পড়ুনঃ ‘ আরজি কর আমার এক মেয়েকে কেড়েছে, কিন্তু লাখ-লাখ ছেলে-মেয়ে এনে দিয়েছে’

কিন্তু পুলিশ পাশে দাঁড়িয়ে থেকে কোনওভাবেই সাহায্যের জন্য বা জনরসের হাত থেকে ওই যুবককে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসে না। অনেক দৌড়ঝাপ করার পর যাদবপুর থানার পুলিশ ওই মধ্যম যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। যাদবপুর থানার সামনে সকলে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। অভিযোগকারী মহিলা বাইরেই ছিলেন। এরপর আমরা তিলোত্তমার পক্ষ থেকে সোহিনী সরকারস বিদিপ্তা চক্রবর্তীরা সেখানে আসেন। তাঁরা কৃষ্ণকলিকে ভেতরে নিয়ে যান অভিযোগ জানানোর জন্য। কৃষ্ণকলির সঙ্গে যাঁরা ছিলেন তাঁদের অভিযোগ পুলিশের মধ্যেও একজন ওই ভিড়ের মধ্যে মধ্যক অবস্থায় ছিলেন।

গোটা ঘটনায় যাদবপুর থানার বাইরে ধনধুমার কাণ্ড। যাদবপুর থানার দায়িত্বে থাকা একজন এ সি পদমর্যাদার পুলিশের সঙ্গে বাইরের জনতার বাকবিতান্ড বেড়ে যায়। সংবাদমাধ্যমও পুলিশকে প্রশ্ন করে। যাদবপুর থানা ঘেরাও করে আমরা তিলকত্তমা ও এদিনের যাদবপুরে শামিল জনতা স্লোগান দিতে থাকে। ওখানে উপস্থিত তিনজন মহিলা বলছেন যে এটা পুলিশ ইচ্ছে করে করেছে আন্দোলনের অভিমুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য।

আরও পড়ুনঃ নিভল রাজভবনের আলো! ‘..এনাফ ইজ এনাফ…’ আরজি কর নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘বিশেষ’ নির্দেশ রাজ্যপালের

অভিযোগকারিনী কৃষ্ণকলি নিউজ 18 বাংলাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বলেছেন নিউজ 18 বাংলা না থাকলে তিনি সেই মুহূর্তে ওই মদ্যপ ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিতে পারতেন না।

Rituparna Faces Go Back: ঋতুপর্ণাকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান শ্যামবাজারে! গাড়ির কাচে ধাক্কা! বিক্ষোভের মুখে মিমিও

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের রাত জাগো আন্দোলনে শামিল হতে গিয়ে চরম বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। শ্যামবাজারে তাঁকে লক্ষ্য করে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। তাঁর গাড়িতেও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। এরপরেই পরিস্থিতি দেখে গাড়ি ঘুরিয়ে নিতে কার্যত বাধ্য হন অভিনেত্রী।

শ্যামবাজারে এদিন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত পৌঁছতেই তাঁকে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের একাংশ। চিকিৎসক থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের দিকে গো ব্যাক স্লোগান দিতে দিতে তাঁকে লক্ষ্য করে তেড়ে যান বলেও অভিযোগ। আন্দোলকারীদের একাংশ ঋতুপর্ণার গাড়িতে হামলা করেন বলেও অভিযোগ। গাড়িতে জোরে জোরে আঘাত করতে থাকেন তারা। এমন অবস্থা হয় যে গাড়ির কাচ ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়। ঋতুপর্ণা গাড়ির ভিতর থেকে অনুরোধ করেন সকলকে শান্ত থাকার। কিন্তু জনগণ তার উপস্থিতি শ্যামবাজারে মেনে নেয়নি। বিশেষ করে চিকিৎসকরা ফেটে পড়েন গো ব্যাক স্লোগানে।

আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত…! নিম্নচাপ হুঁশিয়ারি…! ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়ার আমূল বদল! ৫ থেকে ১০ কী হতে চলেছে? সতর্কবাণী আইএমডির

একই ঘটনা এইদিন ঘটেছে যাদবপুর এইট বিতেও। সেখানে মিমি চক্রবর্তী পৌঁছলে সাধারণ মানুষ তাঁকে লক্ষ্য করে গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন। কিছুক্ষণ পিছনে দাঁড়িয়ে থেকে মিমি গাড়িতে উঠে এলাকা ছাড়েন। তখনও গাড়ির বাইরে থেকে সাধারণ মানুষ প্রাক্তন সাংসদকে লক্ষ্য করে গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন।

প্রসঙ্গত, আরজি করে ঘটনার পর এই স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনে কোথাও যেন তারকাদের প্রতি সাধারণ মানুষের আক্রোশ স্পষ্ট। যদিও স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, সোহিনী সরকার ও সুদীপ্তা চক্রবর্তীদের আন্দোলনকারীরা সহজেই আন্দোলনে শামিল করেছেন। তবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও মিমি চক্রবর্তীর মতো তারকাদের সামাজিক মাধ্যমেও চরম ট্রোলড হতে হয়েছে।

RG Kar Protest: ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে…’ বিচার পেতে আলোর পথে আরজি করের পড়ুয়ারা,শামিল নিহতের বাবা-মা-ও

কলকাতা: বিচার পেতে আলোর পথে, প্রদীপ জ্বালিয়ে অভিনব প্রতিবাদে আরজি করের পড়ুয়ারা। নাগরিক সমাজকেও প্রতিবাদ করার আবেদন জুনিয়র চিকিৎসকদের।আরজি কর হাসপাতালে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন নির্যাতিতার বাবা, মা এবং পরিবারের সদস্যেরা। মোমবাতি হাতে নিয়ে ‘বিচার চাই’ স্লোগানে গলা মেলাচ্ছেন তাঁরা। আরজি করে নির্যাতিতার স্মরণে নীরবতা পালন করা হল। দু’মিনিট নীরবতা পালন করেন চিকিৎসকেরা। এর পর ‘আগুনের পরশমণি’ গান ধরেন প্রতিবাদীরা।

১৪ অগাস্ট পথ দখল করেছিল তামাম রাজ্য। চাহিদা একটাই, আরজি করের নিহত চিকিৎসক-পড়ুয়ার খুনের বিচার চাই। গর্জে উঠেছিল কাতারে-কাতারে মানুষ। মধ্যরাতে রাস্তায়-রাস্তায়, মোড়ে-মোড়ে মানুষের ঢল নেমেছিল। কার-ও হাতে মোববাতি,কারো হাতে মশাল। মুখে স্লোগান। কোথাও বা অনুষ্ঠিত হয়েছিল পথ-নাটিকা, কোথাও বা রাস্তাজুড়ে আঁকা হয়েছিল গ্র্যাফিটি। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। এই কর্মসূচির ডাক ছিল সমাজমাধ্যমে হওয়া পোস্টের মাধ্যমে। এ বার সরাসরি কর্মসূচির ডাক দিয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন। ‘বিচার পেতে আলোর পথে’ নামে কর্মসূচি পালিত হচ্ছে আরজি করে। প্রথমে বলা হয়, শহরবাসী যেন ঘরের বৈদ্যুতিন আলো নিভিয়ে মোমের আলোয় প্রতিবাদ জানান। কিন্তু বিভিন্ন মহল থেকে বলা হয়, মোমের আলোয় আলোর পথ তৈরি হোক। রাজি হন জুনিয়ার চিকিৎসকদের দলও।

বুধবার ঠিক রাত ৯টায় কর্মসূচি শুরু করলেন আরজি করের আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। হাসপাতালে ধর্নামঞ্চের সামনে আলো নেভানো হল, জ্বালানো হয়েছে মোমবাতি এবং প্রদীপ। আত্মবিশ্বাস উপচে পড়ল চিকিৎসকদের কণ্ঠে, ”আমরা স্থেটোস্কোপের চাপে লালবাজারের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেছি। সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে আছি। দ্রুত যেন শুনানি শুরু হয়।”

আরজি কর এবং শ্যামবাজার চত্বরে কর্মসূচিকে ঘিরে পুলিশও প্রস্তুত। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

RG Kar Case: ধর্ষণ রোধে মমতা সরকারের ‘অপরাজিতা’ বিল! খুশি হলেন? বিস্ফোরক আরজি কর নির্যাতিতার পরিবার

উত্তর ২৪ পরগনা: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভায় পাস হল নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিশেষ বিল ‘অপরাজিতা’। রাজ্যের আইনমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই “অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল সংশোধনী বিল ২০২৪” পেশ করা হয়। যেখানে ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগে, অভিযুক্তদের দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করে চরম সাজা দেওয়া-সহ একাধিক শাস্তির কথা বলা হয়েছে।

তবে এই বিল নিয়েই এবার অসন্তোষ প্রকাশ করতে শোনা গেল আরজি কর-কাণ্ডে নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মায়ের গলায়। বিলের বিরোধিতা করে নির্যাতিতার মা জানান, “আজকে যাঁরা ডাক্তারি পড়ছেন সে ছেলেই হোক বা মেয়ে এটা বিচার করা উচিত নয়। মেয়েরা ১২ ঘণ্টা ডিউটি করবে ছেলেরা ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করবে, এটাতে মেয়েদের আরও ছোট করা হচ্ছে। এটা তো একটা বৈষম্য আনা হচ্ছে, এটা কেন করা হবে! এই বিলকে আমি কোনও ভাবেই সমর্থন করি না।”

আরও পড়ুন: বেলঘরিয়ায় বিরাট কাণ্ড! স্কুল ফেরত ছাত্রীকে দাঁ নিয়ে আক্রমণ যুবকের, বাঁচাতে গিয়ে রক্তাক্ত মা-ও!

নির্যাতিতার বাবার বক্তব্য, “ছেলেরা বেশি কাজ করবেন, কিন্তু মেয়েরা ১২ ঘণ্টার বেশি কাজ করতে পারবেন না, এটা কেমন কথা! আজকে যদি মেয়েদের কর্মক্ষেত্রে রাতে বেরনোর প্রয়োজন হয় তবে বেরবেন না? সেক্ষেত্রে চাকরি ছেড়ে দিয়ে তাঁদের বাড়িতে বসে থাকতে হবে! আর এর মাধ্যমে ছেলে-মেয়ের যে বৈষম্য দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে এটা তো সরকারের অক্ষমতা।”

আরও পড়ুন: চাল-ডালে পোকা ধরেছে? কৌটোয় রাখুন এই ‘একটা’ জিনিস! পোকার বংশ থাকবে না

নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকে আরও জানানো হয়,  ‘মেয়েদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতিকে সামনে আনতে হবে। সন্দীপ ঘোষ যদি এরকম দুর্নীতি না করতেন, তবে তাঁদের মেয়েকে এভাবে প্রাণ হারাতে হত না বলেও মনে করছেন সন্তান হারা বাবা-মা। স্বাস্থ্য দফতর কেন সন্দীপ ঘোষকে আড়াল করার চেষ্টা করেছে সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।

Rudra Narayan Roy

Sandip Ghosh-RG Kar Case: গ্রেফতার হয়েও ‘ভাঙছেন’ না সন্দীপ ঘোষ, এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ! চমকে দিয়ে দুই ‘বড়’ দাবি

কলকাতা: আরজি কর দুর্নীতির তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তোলার আগে তাঁর বক্তব্য শোনেনি হাইকোর্ট। এই মর্মে অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন সন্দীপ ঘোষ। আগামী ৬ তারিখ তাঁর এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা। সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করে নিজের আর্জিতে সন্দীপ ঘোষ আরও অভিযোগ করেছেন, ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে দুর্নীতিকে কোনও কারণ ছাড়াই যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে হাইকোর্টে।

যদিও আইনজীবীদের সূত্রে জানা যাচ্ছে, গ্রেফতারের আগেই সিবিআই তদন্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। একক বেঞ্চ, ডিভিশন বেঞ্চে কোনও সুরাহা না পাওয়ায় ২৭ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টে জেনারেল ডায়েরি হয়। এসএলপি দায়ের হয় ৩১ অগাস্ট। যদিও এই দুর্নীতি মামলাতেই ২ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন সন্দীপ। যদিও সন্দীপ যে আবেদন সুপ্রিম কোর্টে করেছেন, তার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর।

প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যায় আরজি কর আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধষর্ণ ও খুনের ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভের পারদ বাড়ছে, রাগে ফুঁসছে গোটা রাজ্য। সেই সূত্রে মঙ্গলবার সন্দীপ ঘোষকে আদালত চত্বরে সপাটে চড় মেরেছেন এক বিক্ষোভকারী।

আরও পড়ুন: বিনীত গোয়েলকে সরিয়ে দেওয়া হোক! দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

গত ১৬ অগাস্ট থেকে টানা ১৫ দিন সিবিআই জেরা করে সন্দীপকে। সোমবার ফের তাঁকে তলব করা হয়েছিল সিজিও কমপ্লেক্সে। সন্ধ্যায় সেখান থেকে সিবিআই আধিকারিকেরা সন্দীপকে নিয়ে যান নিজাম প্যালেসে। তার পরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়, সন্দীপ ঘোষকে আরজি কর দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে।

হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের পাশাপাশি আরও বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে। টেন্ডার দুর্নীতি থেকে সরকারি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগও রয়েছে তার মধ্যে। অভিযোগ, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে বেশির ভাগ ‘অনিয়ম’ই হয়েছে সন্দীপ অধ্যক্ষ থাকাকালীন। গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় এক চিকিৎসক পড়ুয়ার দেহ। ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ ওঠে। এই আবহে আরজি করে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগও উঠতে শুরু করে। তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপের বিরুদ্ধে আঙুল তুলে তাঁর ইস্তফার দাবি তোলেন সেখানকার জুনিয়র ডাক্তারেরা।

আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের জন্য গত ১৬ অগস্ট সিট গঠন করে রাজ্য সরকার। সেই সিটের উপর অনাস্থা প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। এই আবহে মেডিক্যাল কলেজে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে আরও একটি মামলা করেন হাসপাতালের প্রাক্তন অতিরিক্ত সুপার আখতার আলি। এরপর কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের মামলার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। এফআইআর করা হয় সন্দীপের বিরুদ্ধে।

Bangla Video: ১৫০’টি নতুন সিসিটিভি, বাড়ছে নিরাপত্তা রক্ষী! এবার নিরাপত্তায় আরও সজাগ জেলা হাসপাতাল

পশ্চিম বর্ধমান: নিরাপত্তার শক্ত বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হচ্ছে আসানসোল জেলা হাসপাতালকে। আরজি কর কান্ডের পর থেকে হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। এমন অবস্থায় আসানসোল জেলা হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। বসছে আরও প্রচুর সংখ্যক সিসিটিভি। হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য থাকছেন বাড়তি নিরাপত্তা রক্ষী।

জানা গিয়েছে, আসানসোল জেলা হাসপাতালের পুরানো ভবন এবং নতুন ভবনে নিরাপত্তার খাতিরে আরও সিসিটিভি বসানো হবে। আরও ১৫০’টি নতুন সিসিটিভি বসানোর জন্য ইতিমধ্যেই জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। কোথায় কোথায় সিসিটিভির প্রয়োজন আছে, তা ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখেছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। অন্যদিকে জেলা হাসপাতালে নিরাপত্তার জন্য আরও ২৪ জন নিরাপত্তা রক্ষী চেয়ে আবেদন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: নামিদামি স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল সব রয়েছে, শুধু রাস্তার এই হাল! কোথায় দেখুন

এছাড়াও হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসক, চিকিৎসা কর্মী, বিশেষ করে মহিলা কর্মীদের জন্য রেস্টরুমগুলিকে আরও উন্নত করা হচ্ছে। অন্যদিকে নিরাপত্তার স্বার্থে জেলা হাসপাতালে নজরদারি বৃদ্ধি করেছে জেলা পুলিশ। বর্তমানে রাত্রিবেলায় কমপক্ষে চারবার জেলা হাসপাতাল চত্বর টহল দিচ্ছেন পুলিশের কর্মীরা। পাশাপাশি, হাসপাতাল চত্বরে গড়ে তোলা হয়েছে পুলিশ ক্যাম্প। সেখানেও কর্মরত পুলিশকর্মীদের সংখ্যা বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়েছে। সম্মতি মিলেছে তাতেও।

এ বিষয়ে জেলা হাসপাতালে সুপার নিখিল চন্দ্র দাস বলছেন, হাসপাতাল জুড়ে আগে থেকেই একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরায় রয়েছে। নিরাপত্তাকর্মীরা রয়েছেন তা আরও বাড়ানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখন আরও মজবুত।

নয়ন ঘোষ

RG Kar Protest: রাজ্য সরকারের দেওয়া সর্বোচ্চ সম্মান ফিরিয়ে দিলেন এই খ্যাতনামা নাট্যকার!

উত্তর ২৪ পরগনা: সোশ্যাল মিডিয়ায় শাসকদলের বিধায়কের কটাক্ষের পর, অপমানিত হয়ে রাজ্য সরকারের দেওয়া নাট্যক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সম্মান দীনবন্ধু মিত্র পুরস্কার ফেরতের ঘোষণা করলেন বিশিষ্ট বর্ষিয়ান নাট্যকার চন্দন সেন। ২০১৭ সালের রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে দেওয়া হয়েছিল এই সম্মান। নাট্যকার জানান যে, রাজ্যে বর্তমান যে পরিস্থিতি চলছে সেই পরিস্থিতিতে একসময়ে তাঁর সঙ্গে নাটকের সূত্রে পরিচিত কাঞ্চন মল্লিক আজকের শাসকদলের বিধায়ক যে কটাক্ষ করেছেন তাতে তিনি ব্যথিত। এবং তারই প্রতিবাদে ও অসম্মান বোধ করায় রাজ্য সরকারের দেওয়া এই পুরস্কার তিনি ফিরিয়ে দিচ্ছেন।

আরও পড়ুনঃ ছিঃ! একদিকে চলছে প্রতিবাদ, অন‍্যদিকে ফের পাঁচতারা হোটেলে শ্লীতাহানির শিকার গায়িকা

ইতিমধ্যে তিনি রাজ্য সরকারে তথ্য সংস্কৃতি দফতরকে মেল করে বিষয়টি জানিয়েও দিয়েছেন বলে জানান। পাশাপাশি তিনি তথ্য সচিবকে জানিয়ে দেন সরকারের তরফ থেকে দেওয়া আর্থিক মূল্য ২৫০০০ টাকাও তিনি ফেরত দিয়ে দেবেন। যেহেতু বিধায়কের ওই মন্তব্যের পর সরকার বা দলের পক্ষ থেকে কোনরকম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়নি, তাই কাঞ্চন মল্লিক এর কথা একপ্রকার সরকারে থাকা রাজনৈতিক দলের কথা ধরে নিয়েই নাট্যকারের এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনেরা। ইতিমধ্যেই আরজিকর কাণ্ড নিয়ে পথে নামতে দেখা গিয়েছে কলাকুশলীদের। সে ক্ষেত্রে নানা সময় নানা কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে প্রতিবাদীদের। এই পরিস্থিতিতে একজন খ্যাতনামা নাট্যকারের এভাবে সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষজন।

আরও পড়ুনঃ তৈরি নিম্নচাপের প্রকোপ! আর মাত্র দু’ঘণ্টা! দক্ষিণবঙ্গে ধেয়ে আসছে বৃষ্টি! আবহাওয়ার মেগা আপডেট!

চন্দন বাবু আরও জানান যে, যেভাবে আরজি করের ডাক্তার মেয়েটিকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি রাজ্য সরকারের কোন ভূমিকা দেখতে পাননি। তাঁর বাবাও ডাক্তার ছিলেন। তাই এক ডাক্তারের প্রতি এই পাশবিক নির্যাতনের এবং খুনের প্রতিবাদে তাঁর এই পুরস্কার ফেরতের সিদ্ধান্ত। প্রয়োজনে রাস্তাতেও নামবেন তিনি বলে জানান এই বর্ষিয়ান নাট্যকার।

Rudra Narayan Roy

RG Kar Case: ফের ভয়ঙ্কর অভিযোগ, এবার সরিয়ে দেওয়া হল আরও এক গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালের প্রিন্সিপালকে!

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের আবহেই কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ডঃ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়া হল। প্রিন্সিপাল পদের অযোগ্য তিনি, এই অভিযোগ উঠতেই সরিয়ে দেওয়া হল। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের অভিযোগ ছিল এই প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে। প্রশ্ন উঠেছে, পাঁচ বছর প্রফেসর না থেকেও তাকে কীভাবে অধ্যক্ষ করা হয়?

ডঃ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের পরিবর্তে জেএনএম হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডঃ মণিদীপ পালকে নতুন প্রিন্সিপাল পদে নিযুক্ত করা হল। পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হল।

আরও পড়ুন: একাধিক অভিযোগ! অবশেষে বদলি সন্দীপ ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে

অন্যদিকে, রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ- উপাচার্য দেবাশীষ বসুর পদত্যাগের দাবি সহ বিভিন্ন দাবিতে প্রিন্সিপালের ঘরের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ করে জুনিয়র চিকিৎসকরা। নদিয়ার কল্যাণী কলেজ অফ মেডিসিন অ্যান্ড জেএনএম হাসপাতালের বর্তমান প্রিন্সিপাল অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে প্রিন্সিপালের পদ থেকে সরিয়ে দিল রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়।

অপসারিত প্রিন্সিপালের দাবি, এনএমসি-র যে যোগ্যতা দরকার, সেটা কম থাকায় পদ ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে প্রিন্সিপালের ঘরের বাইরে হাসপাতালের নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন দাবিতে গতকাল থেকে জুনিয়র চিকিৎসক থেকে মেডিক্যাল পড়ুয়ারা আন্দোলন করছিলেন। এরই মধ্যে প্রিন্সিপালকে সরিয়ে দেওয়ায় কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসক থেকে পড়ুয়ারা। এমনকি দাবি উঠেছে, কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজে এসে ক্ষমা চাইতে হবে সহ উপাচার্যকে।