Tag Archives: RG Kar Hospital

Aparna Sen: ‘কেন পুলিশ আত্মহত্যার ঘটনা বলল..?’, আরজি কর-এ এসে প্রশ্ন তুললেন অপর্ণা সেন

কলকাতা: চিকিৎসকদের সঙ্গে সহমর্মিতা বিশিষ্টদের। মঙ্গলবার আরজি কর হাসপাতালে যান অপর্ণা সেন সহ-বিশিষ্টরা। আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা। প্রসঙ্গত এই মামলায় কলকাতা পুলিশকে ডেডলাইন দিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আর জি করের নির্যাতিতা তরুণীর বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মমতা জানিয়েছিলেন, আগামী রবিবারের মধ্যে যদি পুলিশ এই ঘটনার কিনারা না করতে পারে, তাহলে রাজ্য এই মামলার তদন্তভার সিবিআই-কে দিয়ে দেবে৷ কিন্তু, তার আগেই মামলার তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট৷

RG Kar Hospital: আরজি করে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় তোলপাড় সারা দেশ, জানেন কে ছিলেন আরজি কর?

উত্তর কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য কেন্দ্র আরজি কর হাসপাতাল। শহরের তো বটেই রাজ্যেরও বহু মানুষ নির্ভর করেন এই আরজি কর হাসপাতালের উপর। আরজি করে জুনিয়র ডাক্তার ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় সারা দেশ জুড়ে চলছে প্রতিবাদ। কিন্তু কে এই আরজি কর?
উত্তর কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য কেন্দ্র আরজি কর হাসপাতাল। শহরের তো বটেই রাজ্যেরও বহু মানুষ নির্ভর করেন এই আরজি কর হাসপাতালের উপর। আরজি করে জুনিয়র ডাক্তার ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় সারা দেশ জুড়ে চলছে প্রতিবাদ। কিন্তু কে এই আরজি কর?
১৮৮৬ সালে বাঙালি চিকিৎসক রাধা গোবিন্দ কর এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। সেই সময় থেকে আমৃত্যু অর্থাৎ ১৯১৮ সাল পর্যন্ত এই হাসপাতালের সচিব ছিলেন রাধা গোবিন্দ কর বা আরজি কর। উনিশ শতকের শুরু থেকেই বাংলার চিকিৎসা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল এই হাসপাতাল।
১৮৮৬ সালে বাঙালি চিকিৎসক রাধা গোবিন্দ কর এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। সেই সময় থেকে আমৃত্যু অর্থাৎ ১৯১৮ সাল পর্যন্ত এই হাসপাতালের সচিব ছিলেন রাধা গোবিন্দ কর বা আরজি কর। উনিশ শতকের শুরু থেকেই বাংলার চিকিৎসা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল এই হাসপাতাল।
১৮৫২ সালে হাওড়ায় জন্ম নেন আরজি কর। বড় হয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাশ করেন রাধা গোবিন্দ কর। পরবর্তী কালে কলকাতা বুকে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন এই হাসপাতাল।
১৮৫২ সালে হাওড়ায় জন্ম নেন আরজি কর। বড় হয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাশ করেন রাধা গোবিন্দ কর। পরবর্তী কালে কলকাতা বুকে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন এই হাসপাতাল।
১৯১৬ সালে আরজি কর হাসপাতাল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডাক্তারি কোর্স প্রিলিমিনারি সাইন্টিফক এমবি কোর্স শুরু করে। ১৯১৯ সালে আরজি করে এমবি স্তরে পড়াশোনা শুরু হয়।
১৯১৬ সালে আরজি কর হাসপাতাল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডাক্তারি কোর্স প্রিলিমিনারি সাইন্টিফক এমবি কোর্স শুরু করে। ১৯১৯ সালে আরজি করে এমবি স্তরে পড়াশোনা শুরু হয়।
স্বাধীনতার পরে ১৯৪৮ সালের ১২ মে এই প্রতিষ্ঠানের নাম দেওয়া হয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ অ্য়ান্ড হসপিটাল। পরে ১৯৫৮ সালের ১২ মে এই হাসপাতাল পশ্চিমবঙ্গ সরকার অধিগ্রহণ করে।
স্বাধীনতার পরে ১৯৪৮ সালের ১২ মে এই প্রতিষ্ঠানের নাম দেওয়া হয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ অ্য়ান্ড হসপিটাল। পরে ১৯৫৮ সালের ১২ মে এই হাসপাতাল পশ্চিমবঙ্গ সরকার অধিগ্রহণ করে।

RG Kar Doctor Death: যে ঘরে ধর্ষিত হন ডাক্তার তরুণী, তার উল্টোদিকেই চলছে সংস্কার! প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা? 

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের ভয়াবহতার জেরে উত্তাল রাজ্য। প্রতিবাদী স্বর শোনা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও। রাজ্য জুড়ে চিকিৎসা পরিষেবা বেহাল। শহর ও জেলার ডাক্তাররা বিচার চেয়ে বিক্ষোভে শামিল। সে পরিস্থিতিতে নিঃশব্দে সেজে উঠছে আরজি কর? এমনই জানালেন বিক্ষোভকারীদের একাংশ।

আরজি কর হাসপাতালের যে চেস্ট মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের সেমিনাররুমে চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল, তার বিপরীতেই নাকি চলছে সংস্কারের কাজ। তবে কি সূত্র লোপাটের চেষ্টায় ব্যস্ত হয়ে পড়ল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? সেই প্রশ্ন উঠছে এসএফআই, ডিওয়াইএফআই-এর একাংশের থেকে। ডিসি নর্থ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন।

যদিও সংস্কার কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি এখনও। যা ছবি নজরে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ঘরে ভাড়া বাঁধা। দরজার জায়গায় বড় খোঁদল। চলছে মেরামতি।

আরও পড়ুন- মাফিয়ারাজ চালাতেন সন্দীপ! আরজি করের প্রাক্তন সহকর্মীর বিরুদ্ধে কী বললেন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল সুপার?

এ দিকে আরজি কর হাসপাতালের ডাক্তারি পড়ুয়া ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ, হাই কোর্টের নজরদারিতে হবে সিবিআই তদন্ত।

আরজি কর মামলায় হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, প্রশাসন কখনওই নিহত চিকিৎসকের পরিবারের পক্ষে ছিল না। সেই সঙ্গে আদালত আরও বলে, এই ঘটনা ব্যতিক্রমী। এই মামলায় মৃতের পরিবারের মামলাকে মূল মামলা ধরে এগোনো হবে বলে মঙ্গলবার শুনানিতে জানায় হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে তিন সপ্তাহ পরে, সেই সঙ্গে আদালতের নজদারিতেই হবে শুনানি। সেই পরিস্থিতিতে আরজি করের সেই অভিশপ্ত সেমিনার রুমের বিপরীত দিকে মেরামতির ঘটনা সন্দিগ্ধ করছে বিক্ষুব্ধদের।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চেস্ট ডিপার্টমেন্টের পোস্ট গ্রাজুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন সেই তরুণী। গভীর রাতে ডিপার্টমেন্টের সেমিনার রুম থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। দেহের পাশে মোবাইল, ল্যাপটপ, ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণীর দেহ মাটিতে পড়ে ছিল সংজ্ঞাহীন অবস্থায়। তাঁর সারা দেহে গভীর এবং ভয়ানক ক্ষতের নমুনা মিলেছে ময়নাতদন্তে।

Calcutta high court on R G Kar murder: ‘রাস্তায় পড়ে থাকা কোনও দেহ এটা নয়!’ আর জি কর কাণ্ড ‘পিকিউলিয়ার’, বললেন ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি

কলকাতা: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করল হাইকোর্ট৷ তরুণীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধারের পর কেন হাসপাতালের সুপার অথবা প্রিন্সিপাল পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন না এবং সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের হল না, তা নিয়েই এ দিন প্রশ্ন তুলেছেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম৷ তাঁর পর্যবেক্ষণ, ‘আমরা বুঝতে পারছি না, রাস্তায় পড়ে থাকা কোনও দেহ এটা নয়। প্রিন্সিপাল বা সুপারইনটেনডেন্ট কেন অভিযোগ করলেন না?’ আর জি করের ঘটনাকে ‘পিকিউলিয়ার’ বলেও এ দিন মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি৷

আর জি কর কাণ্ডে প্রথমে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্তে নেমেছিল পুলিশ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পুলিশের এই মনোভাব নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি৷ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আদালতে যুক্তি দেওয়া হয়, যেহেতু প্রথমে কোনও অভিযোগ আসেনি, তাই প্রাথমিক ভাবে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়৷ যদিও রাজ্যের এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয় বলেই জানিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি৷ পুলিশ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলে এ দিনই তরুণী চিকিৎসককে নির্যাতন করে খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত৷

আরও পড়ুন: আরজি করের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাই কোর্টের! আদালতের নজরদারিতে হবে তদন্ত

এ দিন পুলিশের পাশাপাশি আর জি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়েও তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট৷ ইস্তফা দেওয়ার চার ঘণ্টার মধ্যেই কেন তাঁকে ফের অন্য একটি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের পদে বসানো হল, সেই প্রশ্নও তোলে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ৷ আপাতত সন্দীপ ঘোষ ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষ পদে যোগ দিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত৷ তাঁর ছুটির আবেদন মঞ্জুর করার জন্যও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ৷

পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এ দিন এজলাসেই কেস ডায়েরি সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য কলকাতা পুলিশকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট৷ বাকি নথি আগামিকাল সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷

R G Kar Student death: আদালতের নির্দেশ, আর জি কর কাণ্ডে পুলিশের কাছ থেকে তদন্তভার গেল সিবিআইয়ের কাছে, বৈঠকে মমতা

কলকাতা: কলকাতা পুলিশকে ডেডলাইন দিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আর জি করের নির্যাতিতা তরুণীর বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মমতা জানিয়েছিলেন, আগামী রবিবারের মধ্যে যদি পুলিশ এই ঘটনার কিনারা না করতে পারে, তাহলে রাজ্য এই মামলার তদন্তভার সিবিআই-কে দিয়ে দেবে৷ কিন্তু, তার আগেই মামলার তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট৷

কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, হাইকোর্টের নজরদারিতেই হবে এই সিবিআই তদন্ত।

আদালতের মধ্যেই আর জি করের চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় কেস ডায়েরি সিবিআই-কে হস্তান্তর করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তদন্ত সংক্রান্ত অন্যান্য নথি বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে সিবিআই-কে দিতে হবে কলকাতা পুলিশকে। নির্দেশ হাইকোর্টের৷ সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সমস্ত নথিই সিবিআই চাইলে দিতে হবে পুলিশকে।

আরও পড়ুন: আরজি করের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাই কোর্টের! আদালতের নজরদারিতে হবে তদন্ত

সূত্রের খবর, আদালতের রায়ের পরেই নবান্নে হয় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। বৈঠকে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কলকাতা পুলিশের পুলিশ কমিশনার। হাসপাতাল গুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, সিবিআই-কে তদন্তভার দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ছুটির আবেদন না করলেই অপসারণ! হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ শুনেই বড় পদক্ষেপ সন্দীপ ঘোষের

এদিন Unicef এর প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। ডায়বেটিসের চিকিৎসা নিয়ে রাজ্যের প্রশংসা করেন unicef এর সদস্যেরা।

RG Kar Doctor Death: আরজি কর কাণ্ডে পথে নামল নকশাল, অধ্যক্ষের গ্রেফতার চেয়ে কী বললেন দলনেতা?

কলকাতা:  আরজি কর কাণ্ডে এবার পথে নামলেন নকশালরা। আরজি করের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই প্রায় সব রাজনৈতিক দল এবং গণসংগঠনগুলি এই নিয়ে রাস্তায় নেমেছে। সোমবার এই ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দেখা গেল নকশালদেরও। এ দিন এন আর এস হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি করে সিপিআইএমের লিবারেশন-সহ প্রায় সব গণসংগঠন। এন আর এস হাসপাতালে গেটের বাইরে প্রথমে মোমবাতি জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়।

আরও পড়ুন- মাফিয়ারাজ চালাতেন সন্দীপ! আরজি করের প্রাক্তন সহকর্মীর বিরুদ্ধে কী বললেন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল সুপার?

এর পর শিয়ালদা ফুটব্রিজের নিচে কিছুক্ষণ পথ অবরোধ করেন তাঁরা। সংগঠনের প্রবীণ নেতা বাসুদেব বসু বলেন, “আমরা এই ঘটনার শুধু নিন্দাই জানাচ্ছি তা নয়। একই সঙ্গে আমাদের দাবি, বিচারবিভাগীয় তদন্ত। কাজে যুক্ত আছেন এমন বিচারককে দিয়ে পুরো বিষয়টি তদন্ত করা হোক বলে আমরা দাবি জানিয়েছি।”

বাসুদেবের দাবি, শাসকদলের পক্ষ থেকে বারবারই গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে পুরো বিষয়টা। কেউ বলছেন ফাঁসি চাই, কেউ বলছেন এনকাউন্টারের কথা। এর পরই বলেন, “কিন্তু আমরা বলছি সঠিক তদন্ত হোক। এই ঘটনার পেছনে যারা যারা যুক্ত রয়েছে প্রত্যেকেরই শাস্তি হোক। বিশেষ করে ওই মেডিকেল কলেজের যিনি অধ্যক্ষ তাঁর শুধু ইস্তফা দিলেই কাজ হবে না, তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে।”

এর পরই তাঁর অভিযোগের তির যায় শাসকদলের দিকে। তিনি বলেন,”এইসব করে শাসক দলের পক্ষ থেকে ম্যানেজ করার চেষ্টা হচ্ছে। আমরা সেটা মানব না। একই সঙ্গে মহিলাদের জন্য কঠোর নিরাপত্তা দিতে হবে। আমরা এই নিয়ে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাব।” বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে এনআরএস থেকে ক্রিক রোর দলীয় দফতর পর্যন্ত মিছিল করেন সংগঠনের নেতা, কর্মী, সমর্থকরা।

Calcutta high court on R G Kar murder: রোগী স্বার্থে কাজে ফিরুন চিকিৎসকরা, আন্দোলনকারীদের আবেদন হাইকোর্টের

কলকাতা: আর জি করে হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি আন্দোলনরত চিকিৎসকদের রোগীদের স্বার্থে কাজে ফেরার আবেদন জানাল কলকাতা হাইকোর্ট৷ সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্র বের করে চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আবেদন জানিয়েছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ৷

এ দিনই আর জি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ৷ আদালতের নজরদারিতেই তদন্ত চলবে৷ নির্দিষ্ট সময় অন্তর হাইকোর্টকে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে রিপোর্ট দিতে হবে সিবিআই-কে৷ তিন সপ্তাহ পর ফের হাইকোর্টে মামলার শুনানি হবে৷

আরও পড়ুন: সকাল ৯:৩০ থেকে কী হয়েছিল…? আদালতে উঠল মিনিট ধরে ‘সিডিউল’! হাইকোর্টে আরজি কর কাণ্ডের ‘কেস ডায়েরি’

পাশাপাশি, প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন আর জি করের পদত্যাগী অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে৷ আপাতত তাঁকে ছুটিতে যাওয়ার এবং ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের পদে যোগ না দিতেও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট৷ আর জি কর কাণ্ডকে কেন্দ্র করে আর জি কর কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়েও এ দিন অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি৷

কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেই তাঁরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানানো হয়েছে৷

RG Kar High Court: সকাল ৯:৩০ থেকে কী হয়েছিল…? আদালতে উঠল মিনিট ধরে ‘সিডিউল’! হাইকোর্টে আরজি কর কাণ্ডের ‘কেস ডায়েরি’

কলকাতা: দুপুর একটার মধ্যে আরজি কর কাণ্ডে কেস ডায়েরি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ পালন করেছে রাজ্যে। আর তাতেই আদালতে উঠে এসেছে চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যু সংক্রান্ত একাধিক তথ্য।

গত শুক্রবার ঘটনার দিন কলকাতা পুলিশ যে তদন্ত করেছে আদালতে নির্দেশে তার সবিস্তার বিবরণ আদালতে জমা দিয়েছেন রাজ্যের আইনজীবী। পাশাপাশি ওই দিন মৃত ছাত্রীর বাবা-মাকে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করানোর যে অভিযোগ উঠেছে, তা অস্বীকার করেছে রাজ্য।

ঘটনার দিন সকাল থেকে মিনিট ধরে সিডিউল তুলে ধরা হয় আদালতে। রাজ্যের আইনজীবীর তরফে জানানো হয় থানায় সকাল ৯:৩০ ফোন করা হয়। পরে আরজি কর হাসপাতালের অ্যাসিস্টান্ট সুপার ফোন করেন ২ বার। টালা হাসপাতাল ফাঁড়িতে সকাল ১০:১০ খবর আসে। টালা থানা জানতে পারে ১০:৩০। আইসি জানায় ডেপুটি কমিশনার-সহ শীর্ষ অফিসারদের। ১১টা নাগাদ হোমিসাইড টিম পৌঁছয় হাসপাতালে। ১৫০ জন চিকিৎসকেরা জমায়েত হয় হাসপাতালে।”

রাজ্যের তরফে আরও জানায় হয়, সোদপুর থেকে নিহত চিকিৎসকের অভিভাবকরা আসে দুপুর ১টায়। পৌঁছয় ফরেনসিক টিম। জানা যায় সেমিনার রুমের ঘটনা। তখন ফরেনসিক টিম সেমিনার রুমে কাজ করছিল। শীর্ষ আধিকারিকদের জানানো হয়। ১০ মিনিটের মধ্যে ভিড় সামলে অভিভাবকদের নিয়ে যাওয়া হয় সেমিনার হলে। সেখানে চেয়ার দেওয়া হয় বসতে। তখন ফরেনসিক চলছিল। তবে দেহ দেখতে দেওয়ার জন্য তাঁদের ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে বলে মৃতার বাবা-মায়ের তরফে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা অস্বীকার করেছেন রাজ্যের আইনজীবী।

RG Kar Doctor Death: ‘যথাযথ তদন্ত হচ্ছে’, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করে পরিষেবা চালুর অনুরোধ স্বাস্থ্যসচিবের

কলকাতা: সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর মঙ্গলবার স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরুপ নিগম জানালেন, তিনি নিজে গিয়ে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করেছেন। চিকিৎসা পরিষেবা চালু না হলে যে ভীষণ অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে, সে বিষয়ে সতর্ক হওয়ার অনুরোধ স্বাস্থ্য সচিবের।

আরও পড়ুন-  পাচ্ছেন না রোগী! হাসপাতালগুলির হাল ফেরাতে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক মমতার

তাঁর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রীও নিজে গিয়ে দেখা করে এসেছেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। আমরা আবার বলছি যথাযথ তদন্ত হচ্ছে। একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। আবাসিক চিকিৎসকদের কাছে আমাদের অনুরোধ, যথাযথ ভাবে চিকিৎসা পরিষেবা দিন। যাতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা না হয়।”

নিগম আরও বলেন, “আমরা চাই এমন ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়। রাজ্য চায় পরিষেবা যথাযথ হোক। রোজ এক লক্ষ টেলিমেডিসিনে চিকিৎসা হয়। ১২-১৫ লক্ষ আউটডোর হয়।” সেখানে বর্তমানে যে অব্যবস্থা চলেছে তাতে রোগী মৃত্যু এবং হয়রানির ছবি স্পষ্ট। মমতা নিজেও এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেই গতকালের বৈঠক ডেকেছিলেন নবান্নে।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। বিক্ষোভের আঁচ শহরের হাসপাতাল ছাড়িয়ে দাবানলের মতো ছড়িয়ে গিয়েছে জেলা হাসপাতালগুলিতেও। রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে চলছে কর্মবিরতি। বন্ধ পরিষেবা। জুনিয়র ডাক্তারদের ডাকে লাগাতার বিক্ষোভ হাসপাতাল চত্বরগুলিতে। কী ভাবে দ্রুত স্বাভাবিক করা যায় পরিস্থিতি, তা নিয়ে আলোচনা করতেই মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে এই বৈঠক করেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন-  পাচ্ছেন না রোগী! হাসপাতালগুলির হাল ফেরাতে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক মমতার

অন্য দিকে, মঙ্গলবার হাইকোর্টে পৌঁছেছে আরজি কর কাণ্ডের কেস ডায়েরি। সিপিএম সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন গতকাল এক প্রাক্তন সরকারি ফরেনসিক এক্সপার্টের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। তিনি জানিয়েছেন, এ হেন ভয়াবহ অপরাধ একজনের পক্ষে করা সম্ভব নয়। বিকাশ সাফ বলেন, “আদালত জানতে চাইলে সেই নাম আমি বলতে পারি।”
অন্য দিকে প্রশাসনের দাবি, পরিবারের তরফে তদন্ত নিয়ে যে অনুরোধ রাখা হয়েছে তা মেনে চলছে পুলিশ। প্রতিদিন একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার পরিবারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলেছেন।