Tag Archives: RG Kar Hospital

R G Kar Murder: সন্দীপের কীর্তি ফাঁস! পড়ুয়াদের পাশ করানো থেকে হাসপাতালের জিনিসপত্র কেনা, লক্ষ লক্ষ টাকার কমিশন নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ

কলকাতা: আরজি করের পদত‍্যাগী অধ‍্যক্ষ‍ সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে উঠছে একের পর বিস্ফোরক অভিযোগ। পড়ুয়াদের পাশ-ফেল করানো থেকে হাসপাতালের জন‍্য কেনা বিভিন্ন জিনিসে বিপুল অঙ্কের টাকার কমিশন নেওয়া, একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে অধ‍্যক্ষে বিরুদ্ধে।

অধ‍্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, শুধুমাত্র আরজি কর নয়, বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ পড়ুয়াদের সাপ্লিতে পাস করানো, ফেল করাদের পাশ করানো এসবের বিনিময়ে দশ লক্ষ টাকা করে নিতেন তিনি। নিজের ঘনিষ্ঠ বৃত্তের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বিভিন্ন সাবজেক্ট অনার্স পাইয়ে দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগও উঠেছে।

আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে নয়া মোড়! তদন্তে ‘অনাস্থা’, বিস্ফোরক দাবি নিহত চিকিত্‍সকের বাবা-মা, আইনজীবীর

তার পেটোয়া ছাত্রছাত্রীদের ইচ্ছাপূরণে বেশ কয়েকটি ক্যান্টিন থাকা সত্ত্বেও একটি সুসজ্জিত ক্যাফেটেরিয়া তৈরি করা হয়, সেখানেও দুর্নীতির অভিযোগ। সন্দীপের দাপট এবং স্বাস্থ্য দফতরের বিভিন্ন জায়গাতে এতটাই ক্ষমতা, কারোর পক্ষে তাঁর বিরুদ্ধে টুঁ শব্দ করারও জো ছিলোনা।

আর জি করের যেকোনও কিছু করতে গেলে টেন্ডার পিছু কুড়ি শতাংশ কমিশন দেওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে। আরজি করের অন্দরে কান পাতলে শোনা যায়, হাসপাতালে অ‍্যাম্বুলেন্স, পার্কিং, হলুদ ট্যাক্সি, প্রত্যেকটি ক্যান্টিন, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী সংস্থা থেকে শুরু করে যাবতীয় জিনিসপত্র কেনা সবেতেই কমিশন পেতেন প্রিন্সিপাল প্রতিমাসে প্রায় এগারো লক্ষ টাকা কমিশন ঢুকতো।

করোনার সময় হাই ফ্লো নেজাল অক্সিজেন মেশিন একেকটি প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা বেশি দিয়ে কেনার অভিযোগ যেখানে অন্যান্য সরকারি মেডিকেল কলেজ বা বেসরকারি হাসপাতাল গুলি এক লক্ষ ৩০ হাজার থেকে এক লক্ষ ৮০ হাজার টাকায় মেশিনটি কিনেছে, সেখানে আরজিকর ৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকায় এই মেশিন কেনে।

আরও পড়ুন: হোটেলে থাকছেন? বিছানার নীচে জলের বোতল ফেলতে ভুলবেন না! ৯৯% শতাংশ লোকজনই জানেন না কারণ

সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে উঠে এসেছে আন্ডার গ্রাজুয়েটে স্কিল ল্যাবের টেন্ডারের দুর্নীতির অভিযোগ। তিন কোটি টাকায় এই টেন্ডার পায় মা তারা ট্রেডার্সযেখানে ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ-সহ বিভিন্ন জায়গাতে এই ল্যাব তৈরি করতে ৬২ লক্ষ টাকা খরচ হয়। গত বছরই চার মৃতদেহের ময়না তদন্তর রিপোর্ট চাপ দিয়ে অন্যরকম করার অভিযোগ উঠেছিল প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে, তৎকালীন বিভাগীয় প্রধান এই বিষয়ে অভিযোগও করেন।

RG Kar Doctor Death: মাফিয়ারাজ চালাতেন সন্দীপ! আরজি করের প্রাক্তন সহকর্মীর বিরুদ্ধে কী বললেন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল সুপার?

কলকাতা:  আরজি কর কাণ্ডে ফের মুখ খুললেন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের বর্তমান ডেপুটি সুপার আখতার আলি। আগে তিনি আরজি করেই ছিলেন। সুপারের দাবি, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ হাসপাতালেই মাফিয়ারাজ চালাতেন। এরই বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় তাঁকে বদলি করে দেওয়া হয় বলে জানালেন আখতার আলি। তিনি অভিযোগ করেন, “বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতির কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সন্দীপ ঘোষ। বেআইনি কাজে জোর করে সই করতে বলতেন।”

আরও পড়ুন-  পাচ্ছেন না রোগী! হাসপাতালগুলির হাল ফেরাতে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক মমতার

সেই কাজ তিনি না করায় তাঁকে বদলি করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আকতার আরও জানান, বিভিন্ন টেন্ডারে দুর্নীতি, ছাত্রদের কাছে টাকা তোলা সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে এই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। শুধু তাঁকে নয় আরও বেশ কয়েকজন কর্মচারী ও চিকিৎসককে বদলি করে দেওয়া হয় আর জি কর মেডিক্যাল থেকে, জানালেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, স্বাস্থ্য দফতরের অনেক আধিকারিক সন্দীপ ঘোষের ঘরে এসে চিকিৎসকদের বদলি করার তালিকা তৈরি করতেন। সন্দীপ ঘোষের মাথায় কারও বড় হাত রয়েছে বলে মনে করেন বর্তমান মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের ডেপুটি সুপার আকতার আলি।

এ দিকে, হাই কোর্টের নির্দেশে চাপে রয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। সোমবার তিনি স্বেচ্ছায় আরজি করের অধ্যক্ষের পদ থেকে সরে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে আরজি করের বদলে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ করা হয়। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে মঙ্গলবার হাই কোর্টে শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, “আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষকে সুযোগ দিচ্ছে আদালত। উনি ছুটির আবেদন করুন আজই, না হলে আদালত সরানোর নির্দেশ জারি করবে।” অধ্যক্ষকে লম্বা ছুটিতে যাওয়ার পরামর্শ দেন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি।

আরও পড়ুন- ‘যথাযথ তদন্ত হচ্ছে’, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করে পরিষেবা চালুর অনুরোধ স্বাস্থ্যসচিবের

আদালতের পরামর্শের পরেই নাকি পদক্ষেপ করেন সন্দীপ। আদালতে রাজ্যের আইনজীবী জানায়, আদালত ইচ্ছেপ্রকাশের পরপরই ছুটির আবেদন করে দিয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। এই প্রসঙ্গে আদালত সন্দীপ ঘোষের আরজি কর থেকে পদত্যাগ পত্র এবং ন্যাশনালের নতুন নিয়োগপত্র জমার নির্দেশ দেয়।

সন্দীপ ঘোষকে পদত্যাগের ৪ ঘণ্টার মধ্যেই ন্যাশনালের দায়িত্ব দেওয়ার প্রসঙ্গও উঠে আসে শুনানিতে। রাজ্যের এই পদক্ষেপের পরেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। জুনিয়র ডাক্তার এবং পড়ুয়ারা জানিয়েছিলেন তাঁরা নতুন অধ্যক্ষ হিসাবে সন্দীপ ঘোষকে চান না, অধ্যক্ষের ঘরে তালাও ঝুলিয়ে দেন। বিক্ষোভ সামলাতে ন্যাশনালে যান রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান এবং বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা।

R G Kar Murder: আরজি কর কাণ্ডে নয়া মোড়! তদন্তে ‘অনাস্থা’, বিস্ফোরক দাবি নিহত চিকিত্‍সকের বাবা-মা, আইনজীবীর

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে নতুন মোড়। হাইকোর্টে মামলা দায়ের করতে চাইলেন নিহত চিকিত্‍সকের বাবা-মা। তদন্ত ঠিক পথে এগোচ্ছে না বলে আশঙ্কা পরিবারের। জানালেন পরিবারের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।

হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার ক্ষেত্রে মৃত চিকিত্‍সকের বাবা-মায়ের আবেদন মঞ্জুর করল প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ। নিহত চিকিত্‍সকের বাবা-মা জানিয়েছেন, ‘‘সকাল ৯:৩০ টায় আমাদের ফোন করে বলা হয় আমাদের মেয়ে অসুস্থ। ১৫ মিনিট পর ফোন করে বলা হয়, সে আত্মহত্যা করেছে। হাইকোর্টের নজরদারিতে তদন্ত চাইছি যে তদন্ত চলছে তাতে কোনও আস্থা নেই।’’

আরও পড়ুন: সোদপুর থেকে ফিরেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী! আরজি কর-কাণ্ডের জেরে অবশেষে নজরে সরকারি হাসপাতাল

তদন্ত ঠিক পথে এগোচ্ছে না বলে অভিযোগ তুললেন পরিবারের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। ঘটনার শুরু থেকে তথ্যে অসঙ্গতির অভিযোগ এনেছেন তিনি। পরিবারের আইনজীবী এদিন জানান, ‘‘সকাল ১০:৩৫ নাগাদ প্রথম ফোন আসে আপনারা কী ওই পরিবার? আপনাদের মেয়ে অসুস্থ। ১৫ মিনিট পর জানানো হয় আবার, তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।’’

আরও পড়ুন: হোটেলে থাকছেন? বিছানার নীচে জলের বোতল ফেলতে ভুলবেন না! ৯৯% শতাংশ লোকজনই জানেন না কারণ

পরিবারের আইনজীবী আরও জানান, ‘‘ দ্রুত পরিবার হাসপাতালে গেলে ৩ ঘন্টা বসিয়ে রাখা হয়। মেয়ের দেহ দেখতে দেওয়া হয়নি। এরপর দেখানোর পর বলা হয়, অন‍্য কারোর সঙ্গে যেন এই নিয়ে কথা না বলে পরিবার।’’

RG Kar Rape and Murder Case: আগে একাধিক জায়গায় নাইট শিফট করলেও ইদানিং নাইট শিফট করতে ভাল লাগছিল না, কোন বড় সত্যির দিকে আঙুল দেখালেন মৃত চিকিৎসকের হবু স্বামী

উত্তর ২৪ পরগনা: দীর্ঘ ১৩ বছরের সম্পর্কে পড়াশোনা পাগল মেধাবী বান্ধবী যে আর জি কর হাসপাতালে গিয়ে ধীরে ধীরে নানা চাপের মধ্যে পড়ছেন তা যেন আগেই আঁচ করতে পেরেছিল বয়সে কয়েক বছরের বড় সিনিয়র ডাক্তার প্রেমিক।

সম্পর্কের শুরু থেকেই ছোটখাটো বিষয়ে জানাতেন সিনিয়র প্রিয় বন্ধুকেই। তবে ভালোবাসার মানুষকে হয়তো বর্তমান কর্মক্ষেত্রে চলা পরিস্থিতির সবটুকু বলে ওঠার আগেই ঘটলো এই নৃশংস নারকীয় ঘটনা। নম্র, ভদ্র, বিনয়ী হওয়ার কারণে পাশাপাশি কাজের প্রতি ভালবাসা থেকেই আরজি করের অন্দরে চলা চাপের সঙ্গেও লড়াই করতে হচ্ছিল নির্যাতিতা ওই ডাক্তার পড়ুয়াকে। তবে কিছুদিন যাবৎ বদলে ছিল গোটা পরিস্থিতি।

বাবা-মায়ের পাশাপাশি তাই ভালোবাসার মানুষের কাছেও এক প্রকার আক্ষেপ করে জানিয়েছিল, “আমার আর নাইটটা করতে ভাল লাগে না। কেমন যেন অসুবিধা হয়।” অসুবিধার কথা বিশদে জিজ্ঞাসা করায়, তার কোন ব্যাখ্যা দেননি প্রেমিকা, নির্যাতিতা ওই ডাক্তারি পড়ুয়া।

আরও পড়ুন – Blood Clotting: ২টাকার এই জিনিস রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা চুটকিতে করবে দূর! জানেন কোন বয়সে শরীরে থাবা বসায় এই রোগ

“এর আগেও বহুবার বহু জায়গায় নাইট করেছে ও। তবে সম্ভবত কিছু একটা আঁচ করতে পারছিল।” অনুমান ১৩ বছর ধরে চেনা ভালবাসার প্রেমিকের। যখনই ওর সঙ্গে কথা হতো তখন বেশিরভাগ সময়ে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় এবং পেশেন্টদের ট্রিটমেন্ট নিয়ে কথা বলতেন দু’জনে। কথাগুলো বলতে গিয়ে ভালবাসার মানুষকে হারানো চিকিৎসক প্রেমিকের ধরে আসছিল গলা। তবে এই নারকীয় ঘটনা যে একজনের কাজ নয়, তাই একপ্রকার মেনে নিচ্ছেন তিনিও।

ছিল মুক্তোর মত হাতের লেখা, পড়াশোনা বাদ দিয়ে কোনও কিছুই বুঝত না। এটুকুই বলার একজন অসাধারণ ডাক্তারকে হারালাম আমরা। কান্না ভেজা গলায় জানালো আর জি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় ধর্ষণ করে খুন করা ডাক্তারের বন্ধু । এখন তার দাবি, যত দ্রুত সম্ভব পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হয়ে, যে কজন এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। তদন্তের বিষয় নিয়েও “কাকু কাকিমার সঙ্গে” কথা হয়েছে বলেও জানায় সে। ডাক্তার প্রেমিকের ভালোবাসার চিকিৎসক প্রেমিকাকে দেওয়া, শেষ উপহার ছিল ‘হ্যারিসনের’ একটি বই। সে কথা মনে করতে গিয়ে আজ যেন চোখের কোনে থাকা জল আর বাধ মানছে না।

উঠে আসুক আসল প্রকৃত সত্য। চরম শাস্তি হোক অপরাধীদের এখন প্রেমিকার আত্মার শান্তি কামনা করে এটুকুই চাইছে নির্যাতিতা তরুনীর ভালবাসার ডাক্তার প্রেমিক।

Rudra Narayan Roy

Priyanka Gandhi on R G Kar murder: ‘মনকে কাঁপিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা’, লিখলেন প্রিয়াঙ্কা৷ ন্যায়বিচার চাইলেন রাজ্য সরকারের কাছে

কলকাতা: আর জি কর কাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করলেন কংগ্রেসনেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা৷ কলকাতার সরকারি হাসপাতালের এই ঘটনা তাঁকে নাড়িয়ে দিয়েছে বলে এক্স হ্যান্ডেলে করা পোস্টে দাবি করেছেন প্রিয়াঙ্কা৷ পাশাপশি রাজ্য সরকারের কাছেও নির্যাতিতার পরিবার এবং চিকিৎসকদের জন্য ন্যায়বিচার চেয়েছেন তিনি৷  যদিও প্রিয়াঙ্কা গান্ধির এই পোস্টের জবাব দিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ৷

প্রিয়াঙ্কার উদ্বেগকে যথার্থ বলে স্বীকার করে নিয়ে কংগ্রেস নেত্রীর উদ্দেশ্যে কুণাল জানিয়েছেন, এই ঘটনায় দ্রুত তদন্ত এবং বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করার জন্য তৎপর হয়েছে রাজ্যে সরকার৷

এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে প্রিয়াঙ্কা লেখেন, ‘কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে ট্রেনি চিকিৎসকের সঙ্গে ঘটে যাওয়া দুষ্কর্ম এবং হত্যার ঘটনা মনকে কাঁপিয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট৷ কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের নিরাপত্তা গোটা দেশেই একটি বড় ইস্যু এবং তা নিয়ে জোরাল উদ্যোগ প্রয়োজন৷’

কংগ্রেস নেত্রী আরও লেখেন, ‘আমার রাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ, এই ঘটনায় দ্রুত তদন্ত এবং কঠোর শাস্তি হোক যাতে নির্যাতিতার পরিবার এবং চিকিৎসকরা বিচার পান৷’

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী, পুলিশের উপরই এখনও আস্থা! সন্দেহের তালিকায় কারা, মুখ খুললেন নির্যাতিতার বাবা

এক্স হ্যান্ডেলে প্রিয়াঙ্কা গান্ধির এই পোস্টের জবাব দিয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ লেখেন, ‘আপনার উদ্বেগ যথার্থ ম্যাডাম৷ কিন্তু নিশ্চিন্ত থাকুন, এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন৷ এই ঘটনায় তিনি কঠোর অবস্থান নিয়েছেন৷ পুলিশ তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে, একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তদন্ত চলছে৷ এমন কি মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআই-কে দিতেও তৈরি৷ এই মামলার বিচার ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে হবে, রাজ্য সরকার অপরাধীর ফাঁসি চাইবে৷’

ঘটনাচক্রে সোমবারই আর জি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কলকাতা পুলিশকে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, সাত দিনের মধ্যে কিনারা না হলে আর জি কর কাণ্ডের তদন্তভার সিবিআই-কে দেওয়া হবে৷

R G Kar murder update: মুখ্যমন্ত্রী, পুলিশের উপরই এখনও আস্থা! সন্দেহের তালিকায় কারা, মুখ খুললেন নির্যাতিতার বাবা

সুুবীর দে, সোদপুর: সোমবার দুপুরেই উত্তর চব্বিশ পরগণার সোদপুরে আর জি করের নিহত ডাক্তারি পড়ুয়ার বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে নির্যাতিতার বাবা মা এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি৷ এর পরেই কলকাতা পুলিশকে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, সাত দিনের মধ্যে কিনারা না হলে আর জি কর কাণ্ডের তদন্তভার সিবিআই-কে দেওয়া হবে৷

মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর মুখ খুললেন আর জি কর কাণ্ডে নিহত মহিলা চিকিৎসকের বাবা৷ সোমবার রাতে তিনি বলেন, ‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীর উপরে পূর্ণ আস্থা রেখেছি। বিভিন্ন সংগঠন থেকে আসা মানুষের কাছে আমরা একটাই দাবি রেখেছি, আমরা ন্যায় বিচার চাই। ডাক্তার থেকে শুরু করে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ যাঁরাই এসেছেন, আমরা একই কথা বলেছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে তাঁরা বলেছেন,এটা একজনের কাজ নয়। পুলিশ তদন্ত করছে। পুলিশের উপরে আস্থা রেখেছি।’

আরও পড়ুন: বিতর্কিত সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যালেও আপত্তি! গেট পাহারায় পড়ুয়ারা, ঘরে তালা

কিন্তু মেয়ের এই নৃশংস পরিণতির জন্য কাকে বা কাদের সন্দেহ করছেন তাঁরা? নিহত চিকিৎসকের বাবা চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে বলেন, ‘আর জি কর হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন ডিপার্টমেন্টে যারা রয়েছে, তাদেরকেই আমরা সন্দেহের তালিকায় রেখেছি৷’

সোমবার সোদপুরে নির্যাতিতার বাড়ি গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এই মামলাটা ফাস্টট্র্যাক কোর্টে তুলব যাতে দ্রুত বিচার হয়৷ দোষীর ফাঁসি চাওয়া হবে৷ কিছু লোক এখনও সামাজিক অবক্ষয়ের মধ্যে আছে৷ মেয়েদের গায়ে হাত দেওয়া যে কত বড় অপরাধ, তার উপর এরকম অত্যাচার করেছি৷ ওখানে নার্সরা ছিলেন, হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীরা ছিলেন, তার পরেও কীভাবে এই ঘটনা ঘটল আমি এখনও বুঝতে পারছি না৷’

এর পরেই পুলিশকে সময় বেঁধে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ‘ওঁর (নিহত চিকিৎসক) বাবা মা আমাকে বললেন ভিতরের কেউ জড়িত আছে৷ যদি তাই হয় ওঁর বন্ধুবান্ধব সহ যাদের উপরেই সন্দেহ হচ্ছে তাঁদের ডেকে কথা বলা হবে৷ যিনি প্রথম বাড়িতে ফোন করে খবর দিয়েছিলেন, তাকেও ডাকা হবে৷ আমি চাই পুলিশ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তদন্ত শেষ করুক৷ তার পরেও যদি রবিবার পর্যন্ত যদি তাঁরা কুলকিনারা করতে না পারেন, তাহলে এই কেসটা আমরা সিবিআইকে দিয়ে দেব৷ কারণ ভিতরেরও তো অনেকে আছে৷ আমি প্রথম থেকেই বলছি, এখানে আমাদের লেনাদেনা কিছু নেই৷’

Sandip Ghosh appointment controversy: বিতর্কিত সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যালেও আপত্তি! গেট পাহারায় পড়ুয়ারা, ঘরে তালা

কলকাতা: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের পদত্যাগী অধ্যক্ষকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে নিযুক্ত করেছিল স্বাস্থ্য দফতর৷ কিন্তু বিতর্কিত এই চিকিৎসক আধিকারিককে প্রিন্সিপাল পদে মানতে নারাজ ন্যাশনাল মেডিক্যালের পড়ুয়া এবং জুনিয়র চিকিৎসকরাও৷

সন্দীপ ঘোষকে ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের বিরোধিতা করে এ দিন সন্ধের পর থেকেই নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে৷ সন্দীপু ঘোষের হাসপাতালে প্রবেশ আটকাতে গেটে পাহারাও দিতে শুরু করেছেন পড়ুয়ারা৷ এমন কি, অধ্যক্ষের ঘরেও তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন তাঁরা৷

আরও পড়ুন: যৌনাঙ্গে গভীর ক্ষত, ভেঙে যায় হাইমেন! তরুণী চিকিৎসক খুনের ময়নাতদন্তের বীভৎস রিপোর্ট

বিক্ষোভকারী জুনিয়র চিকিৎসক এবং মেডিক্যাল পড়ুয়াদের চাপের মুখে পড়ে আর জি কর কাণ্ডের জেরে এ দিন হাসপাতালের অধ্যক্ষ হিসেবে পদত্যাগ করেন সন্দীপ ঘোষ৷ পাশাপাশি চাকরি থেকেও ইস্তফা দেন তিনি৷ যদিও চাকরি থেকে সন্দীপ ঘোষের ইস্তফা যে গ্রহণ করা হবে না, এ দিন সোদপুরে নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এর পরেই সন্দীপ ঘোষকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত করে স্বাস্থ্য দফতর৷

আর জি কর কাণ্ডের জেরে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও ভাবেই সন্দীপ ঘোষের নতুন নিয়োগও মেনে নেবেন না তাঁরা৷ আর জি করের পদত্যাগী অধ্যক্ষকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও দাবি করেছেন তাঁরা৷ যদিও এ দিন পদত্যাগ করে সন্দীপ ঘোষ পাল্টা অভিযোগ করেছিলেন, আর জি কর হাসপাতালে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি আটকানোর কারণেই রোষের মুখে পড়তে হল তাঁকে৷

RG Kar Doctor Murder Post Mortem Report: যৌনাঙ্গে গভীর ক্ষত, ভেঙে যায় হাইমেন! তরুণী চিকিৎসক খুনের ময়নাতদন্তের বীভৎস রিপোর্ট

কলকাতা: আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় নতুন করে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এল। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দাবি, যৌনাঙ্গে গভীর ক্ষত রয়েছে। এন্টি মর্টেনামে দেখা গিয়েছে বিপুল পরিমাণ রক্তপাতে হাইমেন ফেটে যায়। গভীর ক্ষতের প্রমাণ মিলেছে।

১৫০ গ্রাম দেহরস স্টেট ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে পরবর্তী পরীক্ষার জন্য। তরুণী চিকিৎসকের বুকে আঘাত লাগে, শ্বাসরোধ করে দমবন্ধ করা হয়েছে। থাইরয়েড, হাড়ে নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। আঙুলের নখ, ডিএনএ স্যাম্পলিং স্টেট ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। শ্বাসরোধ করে গলা টিপেই খুন করা হয়েছে ওই চিকিৎসককে।

আরও পড়ুন: প্রবল মারে চশমার কাচ ঢোকে চোখে, দেওয়ালে ঠোকা হয় মাথা, আরজি কর কাণ্ডে ময়নাতদন্তে ভয়ঙ্কর তথ্য

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেয়ে কলকাতা পুলিশের দাবি, খুন-ধর্ষণের আগে মারধরে প্রবল বল প্রয়োগ করা হয়েছিল নির্যাতিতার উপর। তারই ইঙ্গিত মিলেছে ময়না তদন্তের রিপোর্টে। কোন আঘাত কীভাবে হয়েছে, তারই ইঙ্গিত রয়েছে রিপোর্টে। এমনকী নিজেকে বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়েছিলেন নির্যাতিতা। ধস্তাধস্তি হয়েছিল। বাধা দিতে চেয়েছিলেন নির্যাতিতা। তিনি যে বাধা দিয়েছিলেন তারও প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তর হাত ও মুখে আঁচড়ের ক্ষত দাগ মিলেছে।

আরও পড়ুন: বুড়িয়ে যাচ্ছে চামড়া? রাতে শোওয়ার আগে ‘এই’ এক কাজে চকচক করবে মুখ! রইল গোপন টিপস

ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানানো হয়েছে নির্যাতিতা তরুণীর কোথায় কী ভাবে ক্ষত হয়েছিল। চোখের ক্ষত ভাঙা চশমার কাচে ঘটেছে। সঞ্জয়ের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে প্রতিরোধ করেছিলেন ওই চিকিৎসক। প্রবল ধস্তাধস্তিতে চশমার কাচ ভেঙে যায়। কাচ ভেঙে ক্ষত এবং চোখ থেকে রক্ত বেরিয়ে পড়ে। মাথায় আঘাত রয়েছে। ধস্তাধস্তির সময় চিৎকার রুখতে নির্যাতিতার মুখ চেপে দেওয়ালে ঠুকে দেওয়া হয়েছিল।

অভিজিৎ চন্দ

RG Kar Doctor Murder Case: তৃতীয় দিনেও রামপুরহাট মেডিকেলে আন্দোলন জারি

বীরভূম: কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা রাজ্য। এই ন্যাকারজনক ঘটনায় জড়িত সকলের গ্রেফতারের দাবিতে চিকিৎসকদের পাশাপাশি পথে নেমেছে আমজনতাও। সোমবার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবির পাশাপাশি নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতির পথে হাঁটেন চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠন।

বীরভূমের রামপুরহাট মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকদের আন্দোলন তৃতীয় দিনে পা দিয়ে দিয়েছে। সরকারি হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। এই দাবিগুলো নিয়ে শনিবার তাঁরা মিছিল করে প্রতিবাদ জানান। সন্ধেয় মোমবাতি মিছিলের পর হাসপাতালের মূল প্রবেশ পথ বন্ধ করে তার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখান চিকিৎসকরা। তবে মূল প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেওয়া হলেও খুলে রাখা হয়েছিল জরুরি বিভাগের প্রবেশ পথ।

আর‌ও পড়ুন: গাছের ডালে গাছের চারা রোপণ! কী এই ট্রি টপ প্ল্যান্টেশন? কেন করা হয়?

অবস্থান বিক্ষোভের তৃতীয় দিন জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলতে হাসপাতালে আসেন রামপুরহাটের মহকুমাশাসক। সমস্ত দাবি দাওয়া শুনে তিনি দ্রুত এগুলির সমাধান করার আশ্বাস দেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজেদের বিক্ষোভে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা।মহকুমাশাসককে জুনিয়র চিকিৎসকরা জানান, যতদিন পর্যন্ত আরজি করের ঘটনার মূল অভিযুক্তদের শাস্তি হচ্ছে এবং তাঁদের সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলবে। জুনিয়র চিকিৎসকদের এই বক্তব্যের পরে মহকুমাশাসক সৌরভ পান্ডে হাসপাতাল থেকে তাঁদের বিক্ষোভ তুলতে অনুরোধ করেন। কারণ তাঁদের বিক্ষোভের জেরেই সম্পূর্ণ ভারতে ব্যাহত হচ্ছে বহির্বিভাগের চিকিৎসা পরিষেবা। সমস্যায় পড়ছেন রোগীর পরিবার।

সৌভিক রায়

RG Kar Doctor Murder Case: ফাঁস সঞ্জয়ের নয়া কীর্তি! রোগীর পরিবারের মহিলারাও টার্গেট, পেসক্রিপশন থেকে নম্বর নিয়ে…কলকাতার গৃহবধুর ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে ইতিমধ‍্যেই গ্রেফতার সঞ্জয় রায়। ৫ টি বিয়ে, স্ত্রীর ক‍্যানসারে মৃত‍্যু, সহকর্মীদের উত্যক্ত করা, সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে আগেই উঠে এসেছে অনেক চাঞ্চল‍্যকর অভিযোগ। এবার ধৃত সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন উত্তর কলকাতার এক গৃহবধু।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, মাস তিনেক আগে আরজি করে সন্তানের চিকিত্‍সার জন‍্য গিয়েছিলেন গৃহবধু। সেই সময় সঞ্জয় নিজে আলাপ করেন তার সঙ্গে। ওষুধ কিনে দেওয়ার অছিলায় পেসক্রিপশন থেকে নম্বর নিয়ে নেন সঞ্জয়। এরপর থেকেই ওই গৃহবধুকে ফোন করতেন সঞ্জয়। গৃহধুকে বিরক্ত করার অভিযোগ উঠেছে ধৃতের বিরুদ্ধে। এতেই শেষ নয় সঞ্জয়ের কীর্তি।

আরও পড়ুন: ‘ফাঁসির দাবি জানাব’, আবার জানিয়ে দিলেন মুখ‍্যমন্ত্রী! তদন্ত নিয়েও বড় ঘোষণা মমতার

অভিযোগ, গৃহবধুকে ফোনে উত্যক্ত করার পাশাপাশি দেখা করার জন্য চাপ দিতেন সঞ্জয়। এমন কি হুমকি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে ধৃত সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে। সঞ্জয়ের সিডিআর থেকে ওই গৃহবধূর নম্বর পায় কলকাতা পুলিশ। এরপর ওই গৃহবধূকে আজ ডাকা হয়েছে লালবাজারে।

আরও পড়ুন: টকটকে লাল নয়, ঘন নীল! বলুন তো কোন প্রাণীর রক্তের রং নীল? এক লিটারের দামই ১০ লাখ!

আরজি করের ঘটনায় তোলপাড় গোটা রাজ‍্যজুড়ে। মহিলা চিকিত্‍সককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় আগামী মঙ্গলবার ‘নাগরিক সমাজের ধিক্কার পদযাত্রা’র ডাক দেওয়া হয়েছে অপর্ণা সেন, সোহিনী সেনগুপ্ত, পল্লব কীর্তনিয়ারা,বিভাস চক্রবর্তী-সহ বেশ কয়েকজন সেলেব থাকবেন বলেই জানা গিয়েছে।