Tag Archives: RG Kar Hospital

RG Kar Hospital Case Hearing: ‘নমুনা কে সংগ্রহ করেছেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ’, আরজি কর হাসপাতালে তরুণী ডাক্তার হত্যাকাণ্ডের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে বলল সিবিআই

নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি ঘিরে আগ্রহ তুঙ্গে। সোমবার এই অপরাধকাণ্ডের শুনানিতে সিবিআই-এর কাছে নতুন স্টেটাস রিপোর্ট চেয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। তরুণী ডাক্তারকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ১৭ সেপ্টেম্বর।

এই ঘটনায় ফরেন্সিক রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন ওঠে দেশের শীর্ষ আদালতে। সিবিআই-এর তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগৃহীত নমুনা দিল্লিতে এমস-এ পাঠানোর। অর্থা‍ৎ ফরেন্সিক রিপোর্টে সন্তুষ্ট নয় সিবিআই৷

আরও পড়ুন : আরজি কর মামলায় ফের স্টেটাস রিপোর্ট তলব সুপ্রিম কোর্টের, পরবর্তী শুনানি ১৭ সেপ্টেম্বর

আইনজীবী তুষার বলেন, ‘‘আমাদের কাছে ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট আছে এবং একটি জিনিস বলা হয়েছে যে যখন সকাল ৯.৩০-টার সময় তরুণীকে পাওয়া গিয়েছিল, তখন দেহ থেকে তাঁর জিনস এবং অন্তর্বাস সরানে ছিল। সেগুলি দেহের কাছেই পড়ে ছিল। অর্ধনগ্ন দেহে ছিল ক্ষতচিহ্ন। তাঁরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। তাঁরা সেগুলি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। সিবিআই ঠিক করেছে ওই সংগৃহীত নমুনা পাঠাবে এমস এবং অন্যান্য কিছু ল্যাবরেটরিতে।’’ প্রধান বিচারপতি শুনানিতে জানতে চান, মৃতদেহ কখন ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল? তার চালান কোথায়, সে নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে প্রধান বিচারপতির।

RG Kar Supreme Court Update: ময়নাতদন্তের ‘সময়’ নিয়ে সংশয়! কে করেছিল সেই ভিডিওগ্রাফ…? কী তাঁর ডেজিগনেশন? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টে

নয়াদিল্লি: আরজি কর কাণ্ডে এবার সুপ্রিম কোর্টে ময়না তদন্তের রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তোলা হল। সন্ধ্যা ৬টার পর ময়নাতদন্ত করার কোনও নিয়ম নেই। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলে আইনজীবী তুষার মেহতার বক্তব্য, দুপুর ২.৩০ থেকে রাত ১১.৩০টা পর্যন্ত ১০টি জিডি রয়েছে। তাহলে একটি কি ভুয়ো? নাকি পরে তা তৈরি করা হয়েছে? কারা করেছে ভিডিওগ্রাফি? কোনও প্রমাণ আছে? কখন ময়নাতদন্ত করা হয়, তা নিয়েও সংশয়।

আইনজীবী তুষার মেহতা একইসঙ্গে আদালতকে বলেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং জিডি দেখুন। ময়না তদন্তেরর সময় সমস্ত পোশাক দেওয়া হয়েছিল কিনা? পোস্টমর্টেম ডাক্তারদের সিল করার কথা। আপনি একবার দেখুন সেটা করা হয়েছিল কিনা। পোস্টমর্টেমের উপরে দেখুন ভিডিওগ্রাফ করা হয়। কে করেছিল সেই ভিডিওগ্রাফ? কী তাঁর ডেজিগনেশন। কিছু উল্লেখ নেই। একইসঙ্গে আইনজীবী বলেন, সব ডাক্তাররা নর্থবেঙ্গল লবির অংশ।

আরও পড়ুন: ঝেঁপে আসছে…! হাতে মাত্র দু’ঘণ্টা! বজ্রবিদ্যুৎ বৃষ্টিপাত সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায়! আবহাওয়ার মেগা আপডেট

ময়নাতদন্তের জন্য যে চালান হস্তান্তরের কথা তা নিয়ে এরপরেই প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, “চালানটা কোথায়? যখন দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হস্তান্তর করা হয়? এই চালানটি প্রয়োজনীয়। কারণ দেহের সঙ্গে সঙ্গে আর কী কী মেটিরিয়াল পাঠানো হয়েছিল সেটা সেখানে উল্লেখ থাকবে।

উত্তরে সিবিআইয়ের দাবি— “আমাদের কাছে যে ফাইল দেওয়া হয়েছে সেখানে চালানটি নেই।” এরপরেই প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, “তাহলে চালান ছাড়াই ময়নাতদন্ত হয়ে গেল?” বিচারপতি পার্দিওয়ালা বলেন, “চালান যদি মিসিং হয় তাহলে আমাদের বুঝতে হবে কিছু সমস্যা আছে— ” প্রধান বিচারপতি বলেন, কলকাতা হাইকোর্টের শুনানিতে সিডিতে দেখানো হয়েছিল। এমনটাই জানাচ্ছেন কাউন্সিল। অন্তত ১৪ ঘণ্টার ডিলে রয়েছে এফআইআর রুজু করার ক্ষেত্রে। সেটা অনেকটাই পরিষ্কার।

 

RG Kar Protest: অবিশ্বাস‍্য! আরজি কর কাণ্ডে শুনানির আগেই যা ঘটল! সব শুনলে আঁতকে উঠবেন

উত্তর ২৪ পরগনা: নৈহাটিতে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে চলা মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ছিঁড়ে দেওয়া হল মাইকের তার, ছিনিয়ে নেওয়া হল প্রতিবাদীদের গলার চেন, চলল ধস্তাধস্তি। প্রতিবাদ মিছিল ভেস্তে দিতেই এই হামলা বলে দাবি রাস্তায় প্রতিবাদে শামিল হওয়া মানুষদের। জানা যায়, নৈহাটিতে এদিন নরেন্দ্র বিদ্যানিকেতনের প্রাক্তনীরা একটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করে। সেখানে অংশ নিয়েছিল অন্যান্য স্কুলের প্রাক্তনীরাও।

আরও পড়ুনঃ রোজ করুন এই ৩ কাজ! কোলেস্টেরলের পুরোপুরি বেরিয়ে যাবে শরীর থেকে! প্রতিদিন খেলেই বাজিমাত, কমবে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি

অভিযোগ, মিছিল যখন রামকৃষ্ণ মোড়ে প্রবেশ করে, তখন দুষ্কৃতীরা ওই মিছিলে হামলা চালায়। এমনকী প্রতিবাদীদের মারধর করা হয় বলেও জানা গিয়েছে। প্রতিবাদীদের ব্যবহার করা টোটো আটকে দিয়ে রীতিমত বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয় এলাকায়। এর ফলেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। যদিও এই প্রতিবাদ মিছিল হলেও, ছিল না পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ বলে জানাচ্ছেন প্রতিবাদীরা।

আরও পড়ুনঃ রোজ ছোট্টো এক দুটো দানা! উপকার ভাবনাতীত! ঝপঝপ করে কমবে ওজন!শক্তি হবে লোহার মতো

শিক্ষকদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীদের মধ্যে মহিলাও ছিল বলে জানাচ্ছেন অনেক নাগরিক। আজ, সোমবারই সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর-কাণ্ডের শুনানি। তার আগেই প্রতিবাদীদের আন্দোলনের মোড় ঘোরাতে দুষ্কৃতীদের এমন হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। বিচারের দাবিতে চলা এই প্রতিবাদ মিছিলে কেন হঠাৎ করে হামলা চালানো হলো তা এখনও স্পষ্ট নয়।

Rudra Narayan Roy

RG Kar Case: আরজি কর কাণ্ডে বড় প্রমাণ ‘লোপাট’, মৃতার পাশ থেকে বাজেয়াপ্ত ল্যাপটপ,মোবাইলে নেই কোন-ও হাতের ছাপ, যা জানাল CBI

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে মোড়-ঘোরানো চঞ্চল্যকর তথ্য সিবিআইয়ের হাতে। সিবিআই সূত্রে দাবি, ঘটনাস্থল থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া ল্যাপটপ, মোবাইল, ব্লু- টুথ থেকে ফ্রিঙ্গার প্রিন্ট উধাও! আর এখানেই সবথেকে বড় প্রশ্ন! কীভাবে উধাও হল হাতের ছাপ?

৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার হলঘরে উদ্ধার হয় এক জুনিয়র চিকিৎসকের ক্ষতবিক্ষত-রক্তাক্ত মৃতদেহ। সেই নারকীয় ঘটনার পর কলকাতায়, পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে তোলপাড়! চিকিৎসক-সহ সমাজের সর্বশ্রেণীর মানুষের দাবি একটাই, ‘বিচার চাই’! ঘটনার পর থেকে সমাজের নানা মহল থেকে দাবি উঠেছে, বহু প্রমাণ লোপাট হয়েছে। যদিও  পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে কোনও প্রমাণ নষ্ট হয়নি৷ ডিসি (সেন্ট্রাল) জানিয়েছেন, ঘটনার দিন সকাল ১০.১০ মিনিটে প্রথমবার ঘটনার খবর পায় পুলিশ৷ সকাল ১০.১২ মিনিটে হাসপাতালের আউটপোস্ট থেকেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশকর্মীরা৷ সকাল সাড়ে দশটায় মৃতদেহের পাশে দ্বিতীয় কর্ডন বা ঘেরাটোপ তৈরি করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে৷

পুলিশের দাবি, প্রথমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই মৃতদেহ ঘিরে রাখার ব্যবস্থা করেছিল৷ নির্জাতিতার মৃতদেহের পাশ থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছিল কিছু ইলেকট্রনিক ডিভাইস আর এবার সেখানেই বড় ধাঁধা! ফরেন্সিক পরীক্ষায় দেখা গেল, বাজেয়াপ্ত হওয়া ল্যাপটপ, মোবাইল বা ব্রু-টুথে কোন-ও ফিঙ্গার প্রিন্ট নেই। তাহলে কিন খুনের পর কেউ বা কারা এই সমস্ত ডিভাইস থেকে হাতের ছাপ মুছে ফেলেছিল যাতে ব্যবহারকারী বা অন্য কারো হাতের ছাপ না মেলে? তদন্তে সিবিআই। ইতিমধ্যে কয়েকজনের বয়ান রেকর্ড করেছে সিবিআই ।

ARPITA HAZRA

Sandip Ghosh-Rg Kar Case: দুর্নীতির টাকা সন্দীপ ঘোষ কোথায় সরাতেন? পাঠাতেন কাকে? খোঁজ পেল ইডি! চাঞ্চল্যকর মোড়

কলকাতা: আরজি কর দুর্নীতিতেও টাকা অন্যত্র সরানোর হদিশ মিলেছে বলে সূত্রের খবর। একাধিক সংস্থা খুলে সরানো হয়েছে দুর্নীতির টাকা, এমনই দাবি ইডির তদন্তকারী অফিসারদের। প্রাথমিক পর্যায়ে ৮ থেকে ১০ টি সংস্থার হদিশ মিলেছে বলে খবর। এই সমস্ত সংস্থার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেই টাকা সরেছে অন্যত্র। তদন্তে এমনই ইঙ্গিত পেয়েছে ইডি।

শুক্রবার তল্লাশি অভিযানে এহেন সংস্থার সন্ধানও পেয়েছেন তদন্তকারীরা। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নিকটতম আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠদের নামে সংস্থা খুলে টাকা সরানোর অভিযোগ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। ওই সংস্থাগুলোর একাধিক ডিরেক্টরের নামও পেয়েছে ইডি।

আরও পড়ুন: ‘চাকরিতে ফাঁকি না দিয়ে কাজে মন দিন’, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কড়া নির্দেশ নবান্নের

এদিকে, আরজি কর হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড়। আটক করা হয়েছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে। শুক্রবার সকাল থেকে দফায় দফায় তাঁকে জেরা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জেরা করা হয় পরিবারের সদস্যদেরও। এমনকি গোটা বাড়িজুড়ে চলে তল্লাশি অভিযানও।

এদিকে, শুক্রবার সাত সকালে সন্দীপ ঘোষের শ্বশুরবাড়িতেও হয় ইডির হানা। সূত্রের খবর মারফত জানা যায়, হুগলির পাদ্রী পাড়ার বিবেকানন্দ সরণিতে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের শ্বশুরবাড়ি। এই বাড়িতেই সাতসকালে ইডির আধিকারিকেরা কেন্দ্রীয় জওয়ানদের নিয়ে হানা দেয়।

তবে বাড়িতে গিয়ে তাঁরা দেখেন দরজায় তালা বন্ধ ছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে সন্দীপ ঘোষের শ্বশুরবাড়িতে কেউ থাকে না, তালা বন্ধই থাকে বেশিরভাগ সময়। সন্দীপ ঘোষের শ্বশুরের নাম রামকৃষ্ণ দাস। তবে বর্তমানে এই বাড়িতে তাঁরা থাকেন না বলেই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। আর সেই কারণেই তালা বন্ধ দেখে ফিরে যান ইডির আধিকারিকেরা।এরপর বৈদ্যবাটি নার্সারি রোডে কুণাল রায়ের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি শুরু করেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়েই শঙ্করপল্লিতে কুণাল রায়ের বাড়িতে ঢোকেন তাঁরা। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পরে দরজা খোলেন তিনি। সেখানে দীর্ঘ সময় তল্লাশি চলছে বলে জানা গিয়েছে।

Baruipur Hospital: সচেতন করতে হাসপাতালে আইনের ধারা উল্লেখ করে বোর্ড, কেন জানুন….

দক্ষিণ ২৪ পরগনা : কোন ধারায় কী শাস্তি হতে পারে! হাসপাতালে গন্ডোগোল হলে কি করা উচিত, তা জানাতে আইনের ধারা উল্লেখ করে বোর্ড লাগিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হল বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে। এতে হাসপাতালে আসা রোগীর পরিবার পরিজন তা দেখে নিজেরাই সচেতন হবে বলেই মনে করছেন হাসপাতাল কতৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: সুন্দরবনের জঙ্গলের ধারে বসবাস, চাপা আতঙ্কে দিন কাটছে এলাকাবাসীর

হাসপাতালের মেল ওয়ার্ড থেকে ফিমেল ওয়ার্ড এমনকী এমারজেন্সি বিভাগে বোর্ড বসানো হয়েছে। তাতে একেবারে উল্লেখ করা হয়েছে হাসপাতালের কাজে বাধাদান করলে ৩৫৩ ধারায় দুই বছর কারাদণ্ড হবে। চিকিৎসক, নার্স সহ কর্মীদের ভয় দেখালে ৫০৬ ধারায় ৩ থেকে ৭ বছর কারাদণ্ড হবে। অকারনে হাসপাতালে ভিড় করলে ১৪১ ও ১৪৩ ধারায় ৬ মাস কারাদণ্ড হবে। চিকিৎসক, নার্স সহ অন্য কর্মীদের আঘাত করলে ৩৩২ ও ৩৩৩ ধারায় ৩ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

প্রসঙ্গত, হাসপাতালে পরপর চিকিৎসকদের নানা হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যদিও পুলিস তৎপর হয়ে অভিযোগ পাওয়া মাত্রই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছিল। এদিকে, মঙ্গলবার হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসককে চাকরি খেয়ে নেবো বলে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী মুনমুন মোল্লাকে বুধবার বারুইপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে জামিন দিয়ে দেন।

সুমন সাহা

RG Kar: আরজি কর-এ ‘বিনা চিকিৎসা’য় মৃত্যু যুবকের, অভিষেকের আর্জি,’ পরিষেবা সচল রেখে আন্দোলন চলুক’

কলকাতা: শুক্রবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ‘বিনা চিকিত্‍সা’য় মৃত্যু হয় এক যুবকের। জানা যায়, হুগলির কোন্নগরে বাইক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন বছর ২৪-এর এক যুবক। দুই পায়ের উপর দিয়ে চলে যায় লরি! গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় শ্রীরামপুরের হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতায়। আজ, শুক্রবার সকালে আহত যুবককে নিয়ে আরজি কর হাসপাতালে পৌঁছন পরিবারের সদস্যরা।

পরিবারের অভিযোগ, একবার আউটডোর, একবার এমারজেন্সি বিল্ডিংয়ে নিয়ে যাওয়া হয় যুবককে। কিন্তু ভর্তি করা হয়নি হাসপাতালে। সকাল ৯ থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত পায়ে ব্যান্ডেজ বেঁধে ফেলা রাখা হয়েছিল। কোনও চিকিত্‍সা হয়নি। পরিবারের সদস্যরা এও জানান, আরজি কর হাসপাতালের তরফে তাঁদের জানানো হয়, পর্যাপ্ত ডাক্তার নেই। রোগীকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে। কিন্তু ততক্ষণে প্রবল রক্তক্ষরণে ঝিমিয়ে পড়েছেন যুবক। শেষপর্যন্ত বেলা ১২টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! তাঁর কথায়, ” কোন্নগরে বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত এক যুবক কার্যত কোনও চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেল। ৩ ঘণ্টা ক্রমাগত রক্তক্ষরণ হয় তাঁর। আরজি করের মর্মান্তিক ঘটনার প্রতিবাদে চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরেই এই পরিণতি। আমি মানছি, জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিটি দাবি ন্যায্য। তাঁরা কোন-ও অন্যায় দাবি রাখেননি। কিন্তু আমার বিনীত অনুরোধ, পরিষেবা সচল রেখে আন্দোলন চলুক।”

অভিষেক আরও লেখেন, ” প্রতিরোধযোগ্য অবহেলার কারণে মৃত্যু হতে দেওয়া অপরাধযোগ্য হত্যাকাণ্ডের সমতুল্য। যদি প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে হয়, তাহলে তা গঠনমূলকভাবে করা উচিত। সহানুভূতি ও মানবতার সঙ্গে, যাতে নিষ্ক্রিয়তা বা অবহেলার কারণে আর কোনও জীবন ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে।”

সূত্রের খবর, আগামিকাল কোন্নগর যাবে তৃণমূল প্রতিনিধি দল। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব  কথা বলেছেন নিহতের পরিবারের সঙ্গে। বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর  বিষয়কে ঘিরে প্রচারে নামবে তৃণমূল।

Kunal Ghosh TMC: ‘আমি কেন এখনও তৃণমূলের হয়ে বলছি…?’ এবার আসল ‘কারণ’ বলে দিলেন কুণাল ঘোষ!

কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর থেকে বারবারই নতুন নতুন মন্তব্য করে সংবাদ শিরোনামে তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ। এই নিয়ে দলের ভিতরে বাইরে সমালোচনা ও কটাক্ষেরও সম্মুখীন হতে হচ্ছে বার বার। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন কুণাল। তিনি কেন এখনও তৃণমূলের হয়ে কথা বলছে তার কারণ নিজেই স্পষ্ট করলেন।

কুণাল ঘোষ শুক্রবার বলেন, “আমি কেন এখনও তৃণমূলের হয়ে বলছি, অনেকে প্রশ্ন করছেন। সমালোচিতও হচ্ছি বিস্তর। আমি তৃণমূলের হয়ে বলছি, কারণ আমি তৃণমূলের সৈনিক। আমি আরজি করের ঘটনা ডিফেন্ড করছি না। প্রথম পোস্ট আমার ছিল, দোষীদের শাস্তি চাই। এখনও একই কথা, দোষীদের শাস্তি। যে বা যারা আড়াল করছে, তাদের শাস্তি। প্রশাসনের যে যে পদক্ষেপকে মানুষ ভুল বলেছেন, আমি একটা দল করেও সেই ভুল প্রকাশ্যে বলেছি। নাগরিক আন্দোলনের আমি সমর্থক। কিন্তু যাদের জমানায় এই ধর্ষণ, খুন বারবার ঘটেছে বা ঘটে, সেইসব রাজনৈতিক শক্তির মুখোশ পরা ইভেন্টের আমি বিরোধী।”

আরও পড়ুন: সাগরে ফুঁসছে নিম্নচাপ…! আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার বিরাট সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে! কী হবে কলকাতায়? জানিয়ে দিল আইএমডি

একইসঙ্গে কুণাল যোগ করেন, “আজকের মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ঠিক/ভুল/বিকৃত/ অভিমুখকৃত কথা ছড়িয়ে দেওয়া সহজ। তাতে অনেক মানুষ একসঙ্গে আমাকে ভুল বুঝতে পারেন, কিন্তু আমার কাছে আমি পরিষ্কার এবং স্পষ্ট অবস্থানে দাঁড়িয়ে। এই সময়ে ব্যক্তিগত রাগ মেটাতেও অক্ষম ঈর্ষার কিছু আক্রমণ আসে, সেসব হয়েই থাকে। আমি তৃণমূলের সৈনিক। দলের কিছু ব্যক্তির প্রতি আমার কিছু অভিমান, অভিযোগ থাকলেও আমি আনুগত্যের প্রমাণ দিয়েছি। দলের বিরুদ্ধে এখন সম্মিলিত বিপক্ষ শক্তির আক্রমণ; কিছু পদক্ষেপের কারণে নাগরিকদের স্বাভাবিক বিরক্তি, ক্ষোভ। এই সময় আমি দলের পক্ষে সৈনিকের ভূমিকা পালনই কর্তব্য বলে মনে করছি। দলের মধ্যেই ভুল সংশোধনের প্রক্রিয়া চলছে, এখনও তাতে আস্থা রাখি। মমতাদির নেতৃত্বে, অভিষেকের সেনাপতিত্বে আমি এবং আমার মত আরও সৈনিকরা সাধ্যমত লড়ছে।”

এরপরে তৃণমূল নেতার মন্তব্য, “আবার বলি, আরজি করের দোষী/রা, মদতদাতারা শাস্তি পাক। দুর্নীতিচক্র ভেঙে যাক। নাগরিক সমাজের আন্দোলনে সমর্থন আছে। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দলের অরাজনৈতিক মুখোশে অরাজকতা তৈরির চেষ্টার বিরোধিতা করব। কারণ, একবার অরাজকতা লাগামছাড়া হলে সেটা হবে বাংলার সুদূরপ্রসারী ক্ষতি।